Search This Blog

Friday, December 13, 2019

বাংলা সহিহ হাদিস সিরিজ-২ (পবিত্রতা-গোসল অধ্যায়)-(৬৭টি হাদিস)


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
বাংলা সহিহ হাদিস সিরিজ-২ (পবিত্রতা-গোসল অধ্যায়)
(মোট ৬৭টি হাদিস, ১-৬৭)
 সহিহ ও জাল-জইফ হাদিস চিহ্নিত/নির্নিত
 

পরিচ্ছেদ ০১.
সাগর বা সমুদ্রের পানি পবিত্রঃ
হাদিস নং-১
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ সমুদ্রের পানি পবিত্র এবং তার মৃত প্রাণী হালাল। চারজন এ হাদীস বর্ণনা করেছেন। শব্দ বিন্যাস আবূ শাইবার, ইবনু খুযাইমাহ ও তিরমিযী হাদীসটিকে সহীহ্‌ বলেছেন। ইমাম মালিক, শাফি‘ঈ ও আহমাদ বিন্‌ হাম্বালও এটি বর্ণনা করেছেন। [১]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
 [১] আবূ দাঊদ ৮৩, নাসায়ী ১/৫০, ১৭৬, ৭০৭ তিরমিযী ৬৯, ইবনু মাযাহ ৩৮৬, ইবনু আবী শায়বাহ ১৩১, ইবনু খুযাইমাহ ১১১ । সফওয়ান বিন সুলাইম সূত্রে; তিনি আলে বানী আযরাক এর সাঈদ বিন সালামাহ (রাঃ) থেকে, তিনি বানী আব্দুল দ্বার এর মুগীরাহ বিন আবূ বুরদাহ থেকে বর্ণনা করেন। তিনি আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) কে বলতে শুনেছেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমরা সমুদ্রে বিচরণ করি, আর আমাদের সাথে অল্প পরিমান পানি নিয়ে যাই, ফলে আমরা যদি এই পানি দিয়ে অযু করি তাহলে আমাদের খাবার পানির পিপাসায় ভোগার আশংকা রয়েছে। সুতরাং আমরা কি সমুদ্রের পানি দিয়ে ওযু করতে পারি? অতঃপর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ উক্তি করেন। ইমাম তিরমিযী হাদীসটিকে হাসান সহীহ বলেছেন। মুহাক্কিক সুমাইর আয-যুহাইরি বুলুগুল মারামের ব্যাখ্যা গ্রন্থে বলেন, এই সনদ সহীহ। কেউ আবার এতে ত্রুটি আছে বলে মন্তব্য করলেও তাতে কোন ক্ষতি নেই, কেননা হাদীসটির কয়েকটি শাহেদ (সমর্থক) হাদীস রয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পানির মূল পবিত্র অবস্থায় বহাল থাকা
হাদিস নং-২
আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ‘নিশ্চয়ই পানি পবিত্র জিনিস, কোন কিছুই তাকে অপবিত্র করতে পারে না।’-৩ জনে; [২] আহমাদ একে সহীহ্‌ বলেছেন। [৩]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
[২] আবূ দাঊদ ৬৬, নাসায়ী ১৭৪, তিরমযী ৬৬। আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলা হলো, আমরা কি বুযা’আহ নামক কূপের পানি দিয়ে ওযূ করতে পারি? আর ঐ কূপটি এমন ছিল যে, তাতে হায়েযের নেকড়া, কুকুরের গোশ্‌ত এবং অন্যান্য ময়লা আবর্জনা ফেলা হতো। অতঃপর রাসূল এ হাদীস বর্ণনা করেন। মুহাক্কিক সুমাইর আয-যুহাইরি বুলুগুল মারামের ব্যাখ্যা বলেন, হাদীসটি বিশুদ্ধ, যদিও একজন রাবী অস্পষ্টতার কারণে হাদীসটিকে ত্রুটিযুক্ত বলা হয়েছে। কিন্তু এর অন্য একটি সনদ ও কয়েকটি শাহেদ রয়েছে যা হাদীসটি বিশুদ্ধ হাদীসের পরিণত করছে। বিঃ দ্রঃ হাদীসের কথা – “ (আরবী)” বিষয়ে ইমাম খাত্তাবী তাঁর মা’আলিমুস সুনান (১/৩৭) গ্রন্থে বলেন, এ হাদীস শ্রবণ করে অনেকের মনে এ ধারণা জন্মাতে পারে যে, তারা এ কাজটি ইচ্ছাকৃতভাবে করতো। তাদের সম্পর্কে এমন মন্দ ধারণা জায়েজ নয়; বিশেষ করে মুসলিমদের ক্ষেত্রে আরো নয়। তাছাড়া এমন (নোংরা) স্বভাব পূর্বেকার বা বর্তমানকালের কোন মানুষের সে মুসলিম হক বা কাফির হোক এমন (নোংরা) স্বভাব হতে পারে না। বরং তারা পানিকে সব সময় পবিত্র, পরিস্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখতেন। অতএব এমন যুগের লোকদের সম্বন্ধে এমন ধারণা কিভাবে করা যায় অথচ তারা দ্বীনের অত্যন্ত উচ্চ পর্যায়ে ব্যক্তিত্ব এবং মুসলমানদের সবচেয়ে সন্মানিত দল! তাছাড়া সেদেশে পানি দুষ্প্রাপ্য অথচ তার প্রয়োজন নিতান্তই বেশি। তা সত্ত্বেও পানির সাথে এমন আচরণ কি অত্যন্ত কঠিন কথা নয়!? এদিকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পানির ঘাট এবং নালায় মলমূত্র ত্যাগকারীর উপর লানত করেছেন। তাহলে কি করে তারা পানির কূপ ও নালাসমূহকে ময়লা ফেলার জন্য নির্দিষ্ট করতে পারে; আর তাতে ময়লা আবর্জনা নিক্ষেপ করা হতে পারে? এমন আচরণ তাদের জন্য মোটেই মানানসই নয়। হ্যাঁ বিষয়টি এমন হতে পারে যে, ঐ কূপটি কোন মধ্যবর্তী স্থানে ছিল এবং পানির প্রবাহ রাস্তা ও ময়লা ফেলার স্থানের বর্জ্যকে ভাসিয়ে নিয়ে উক্ত কূপে নিক্ষেপ করতো। আর তাতে পানির পরিমাণ খুব বেশি হওয়ায় তাতে কোন প্রভাব পড়তো না এবং পানির স্বাভাবিক বৈশিষ্টের কোন পরিবর্তন করতো না।
[৩] এ বিষয়টি ইমাম মুনজিরী তার ‘মুখতাসার’ নামক গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
নাপাক বা ময়লা মিশ্রিত পানির বিধান
হাদিস নং-৩
আবূ উমামাহ বাহিলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহ্‌র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “নিশ্চয় পানিকে কোন কিছু অপবিত্র করতে পারে না তবে যা তার ঘ্রাণ, স্বাদ ও রঙকে পরিবর্তন করে দেয়।” – ইবনু মাজাহ, [৪] আবূ হাতিম এটিকে য’ঈফ বলেছেন। তবে হাদিসের প্রথম অংশ সহিহ [৫]
[৪] যঈফ, ইবনু মাযাহ ৫২১-রুশদাইন বিন সা’দ সূত্রে। মুয়াবিয়াহ বিন সালিহ রাশিদ বিন সা‘দ থেকে, তিনি আবূ উমামাহ হতে। তিনি দুর্বল, আবূ রুশদাইদ এর দুর্বলতার কারণে। তাছাড়া হাদীসের সনদে ইজতিরাব-এর সমস্যা রয়েছে।
[৫] তাঁর ছেলে ‘ইলাল’ গ্রন্থে (১/৪৪) বর্ণনা করেছেন। অতঃপর বলেছেনঃ আমার পিতা বলেছেন যে, রুশদাইদ বিন সা‘দ হাদীসটিকে আবূ উমামাহ সূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে মুত্তাছিল হিসেবে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু রুশদাইন শক্তিশালী রাবী নয়। সঠিক কথা এই যে, হাদীসটি মুরসাল।
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
হাদিস নং-৪
বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ
বাইহাকীতে রয়েছে “পানি পবিত্র তবে কোন নাজাসাত (অপবিত্র বস্তু) পড়ার কারণে পানির ঘ্রাণ, স্বাদ ও রঙকে নষ্ট ও পরিবর্তন হলে সেই পানি অপবিত্র হয়ে যাবে।” [৬]
[৬] যঈফ। বায়হাক্বী তাঁর ‘আস্‌-সুনানুল কুবরা’য় (১৫৯-২৬০) আবূ উমামাহ হতে বর্ণনা করেছেন। এর সনদে বাকিয়াহ বিন ওয়ালীদ নামক একজন রাবী আছেন যিনি মুদাল্লিস। আর তিনি ‘আনআন’ শব্দেও বর্ণনা করেছেন। এ হাদীসের অন্য একটি সনদ রয়েছে, সেটিও দুর্বল।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
কী পরিমাণ পানি অপবিত্র হবে; আর কী পরিমান পানি অপবিত্র হবে না
হাদিস নং-৫
 ‘আবদুল্লাহ বিন ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহ্‌র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ‘পানির পরিমাণ যদি দু’কুল্লা (কুল্লা হচ্ছে বড় আকারের মাটির পাত্র বিশেষ যাতে প্রায় একশত তের কেজি পানি আটে।) (মটকা) হয় তবে তার মধ্যে কোন অপবিত্র বস্তু পড়লে তা না-পাক হবে না।’
(চারজনে এটি বর্ণনা করেছেন এবং ইবনু খুযাইমাহ ও ইবনু হিব্বান এক সহীহ বলেছেন।) [৭]
[৭] আবূ দাঊদ (৬৩,৬৪,৬৫); নাসায়ী (১/৬৪,১৭৫); তিরমিযী (৬৭); ইবনু মাযাহ (৫১৭)। হাদিসটি সহীহ। কিছু দোষ বর্ণনা করা হলেও তা ক্ষতিকর নয়। ইবনু খুযিমাহ (৯২); হাকিম (১৩২); ইবনু হিব্বান (১২৪৯) প্রমুখ হাদিসটি সহীহ বলেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
আবদ্ধ বা স্থির পানিতে পেশাব করা এবং তাতে ফরয গোসল করার বিধান
হাদিস নং-৬
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ‘অপবিত্র (জুনুবী) অবস্থায় কেউ যেন আবদ্ধ পানিতে (নেমে) গোসল না করে। [৮]
বুখারীর বর্ণনায় আছে, “কোন ব্যক্তি যেন স্রোত নেই এমন আবদ্ধ পানিতে প্রস্রাব করার পর তাতে নেমে আবার গোসল না করে।” [৯]
সহিহ মুসলিমে ফীহি শব্দের পরিবর্তে মিনহু (উক্ত বর্ণনাকারী থেকে) শব্দ রয়েছে। [১০] আর আবূ দাঊদে রয়েছেঃ “অপবিত্র অবস্থায় তাতে যেন (নেমে) গোসল না করে।” [১১]
[৮] মুসলিম (২৮৩)
[৯] বুখারী (২৩৯)
[১০] মুসলিম (২৮২)
[১১] সুনান আবূ দাঊদ (৭০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
হাদিস নং-৭
আবু হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদা ফজরের নামাযের সময় আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিলালকে বললেন, “হে বিলাল! তুমি ইসলামে তোমার নিকট সবচেয়ে বেশি আশাব্যঞ্জক উপকারী যে কাজ করেছ, তা আমাকে বল। কারণ আমি জান্নাতে আমার আগে আগে তোমার (জুতার) শব্দ শুনতে পেলাম!” বিলাল বললেন, আমি ইসলামে আমার নিকট সবচেয়ে বেশি আশাব্যঞ্জক উপকারী এ ছাড়া অন্য কাজ করিনি যে, আমি দিবারাত্রে যখনই পরিপূর্ণ পবিত্র হয়েছি, তখনই সেই পবিত্রতা দ্বারা আল্লাহর লিখিত তকদীর অনুযায়ী নামায পড়েছি।’ (বুখারী ১১৪৯, মুসলিম ৬৪৭৮নং)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
১. অধ্যায়ঃ
গোসলের পূর্বে উযূ করা।
হাদিস নং-৮
 ‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন জানাবাতের গোসল করতেন, তখন প্রথমে তাঁর হাত দু'টো ধুয়ে নিতেন। অতঃপর সালাতের উযূর মত উযূ করতেন। অতঃপর তাঁর আঙ্গুলগুলো পানিতে ডুবিয়ে নিয়ে চুলের গোড়া খিলাল করতেন। অতঃপর তাঁর উভয় হাতের তিন আঁজলা পানি মাথায় ঢালতেন। তারপর তাঁর সারা দেহের উপর পানি ঢেলে দিতেন।
(সহিহ বুখারী, তাওহীদ প্রকাশনী-হাদিস নং-২৪৮, মুসলিম ৩/৯- হাঃ ৩১৬, আহমাদ ২৫৭০৪, আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৪১, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৪৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
হাদিস নং-৯
মাইমূনা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালাতের উযূর ন্যায় উযূ করলেন, পা দুটো ব্যতীত এবং তাঁর লজ্জাস্থান ও যে যে স্থানে নোংরা লেগেছে তা ধুয়ে নিলেন। অতঃপর নিজের উপর পানি ঢেলে দেন। অতঃপর সেখান হতে সরে গিয়ে পা দু'টো ধুয়ে নেন। এই ছিল তাঁর জানাবাতের গোসল।
(সহিহ বুখারী, তাওহীদ প্রকাশনী-হাদিস নং-২৪৯, ২৫৭, ২৫৯, ২৬০, ২৬৬, ২৭৪, ২৭৬, ২৮১; মুসলিম ৩/৯, হাঃ ৩১৭, আহমাদ ২৬৮৬১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৪২, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৪৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
২. অধ্যায়ঃ
স্বামী-স্ত্রীর এক সাথে গোসল।
হাদিস নং-১০
'আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি ও নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একই পাত্র (কাদাহ) হতে (পানি নিয়ে) গোসল করতাম। সেই পাত্রকে ফারাক বলা হতো।
(সহিহ বুখারী, তাওহীদ প্রকাশনী-হাদিস নং-২৫০, ২৬১, ২৬৩, ২৭৩, ২৯৯, ৫৯৫৬, ৭৩৩৯; মুসলিম ৩/১০, হাঃ ৩১৯, আহমাদ ২৫৮৯৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৪৩, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৪৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ০৬.
পুরুষ এবং নারীর একে অপরের গোসলের অবশিষ্ট পানি দ্বারা গোসল করা নিষেধ
হাদিস নং-১১
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - এর জনৈক সহাবী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জুনুবী পুরুষের গোসলের অবশিষ্ট পানি দিয়ে নারীকে আর নারীর অবশিষ্ট পানি দ্বারা পুরুষের গোসল করতে নিষেধ করেছেন, বরং তারা যেন পাত্র হতে একই সঙ্গে আজলা-আজলা করে পানি উঠিয়ে নিয়ে গোসল করে।‘ -আবূ দাঊদ, নাসায়ী এটি বর্ণনা করেছেন এবং এর সানাদটি সহীহ্‌। [১২]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
[১২] আবূ দাঊদ (৮১); নাসায়ী (১/১৩০)- দাঊদ বিন আবদুল্লাহ আল-আওদী সূত্রে, তিনি হামীদ আল-হুমাইরী থেকে তিনি রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর একজন সাহাবী হতে বর্ণনা করেছেন। (টিকাকার বলেছেন), মুহাক্কিক সুমাইর আয-যুহাইরি বুলুগুল মারামের ব্যাখ্যা গ্রন্থে বলেনঃ এই সনদটি সহীহ, হাফিজ ইবনু হাজার রহঃ ও অনুরূপ বলেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
স্ত্রীর গোসলের অবশিষ্ট দ্বারা পুরুষের গোসল বৈধ
হাদিস নং-১২
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাইমূনা (রাঃ) এ’র গোসলের অবশিষ্ট পানি দ্বারা গোসল করতেন।’ (মুসলিম) [১৩]
[১৩] মুসলিম (৩২৩)
হাদিস নং-১৩
বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ
সুনান চতুষ্টয় (আবূ দাঊদ, নাসায়ী, তিরমিযী ও ইবনু মাজাহ) -র বর্ণনায় উল্লেখ রয়েছেঃ “গামলার পানিতে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর জনৈক স্ত্রী গোসল করেছিলেন, অতঃপর নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর (অবশিষ্ট) পানি দিয়ে গোসল করতে এলে তাঁর স্ত্রী তাঁকে বললেন, আমি তো (জুনুবী) অপবিত্র ছিলাম। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, পানি তো আর অপবিত্র হয় না।‘ তিরমিযী ও ইবনু খুযাইমাহ একে সহীহ্‌ বলেছেন। [১৪]
[১৪] আবূ দাঊদ (৬৮); তিরমিযী (৬৫); ইবনু মাযাহ (৩৭০); সাম্মাক বিন হারর সূত্রে । তিনি ইকরিমাহ হতে, তিনি ইবনু আব্বাস হতে হাদিসটি বর্ণনা করেছেন। ইমাম তিরমিযী বলেনঃ “এ হাদিসটি হাসান সহীহ”। মুহাক্কিক সুমাইর আয-যুহাইর বুলুগুল মারামের ব্যাখ্যা গ্রন্থে বলেনঃ সনদটি সেরকমই। যদি তা সাম্মাক হতে ইকরিমা সূত্রে বর্ণিত হয়ে থাকে। এটা ত্রুটিযুক্ত।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
হাদিস নং-১৪
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহ্‌র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরশাদ করেছেনঃ ‘কুকুর কোন পাত্র চাটলে সেই পাত্রকে পবিত্র করতে সাতবার সেটিকে পরিষ্কার করে ধুতে হবে-তার প্রথম বার মাঠি দিয়ে (মাজতে হবে)।’ [১৫]
মুসলিমের আরেক বর্ণনায় “সেটির (চেটে রাখা ) উচ্ছৃষ্ট বস্তু ফেলে দিবে” কথাটি রয়েছে। [১৬] আর তিরমিযীতে আছে, ‘শেষের বার অথবা প্রথমবার মাটি দিয়ে (মেজে নিয়ে ধুবে)। [১৭]
[১৫] মুসলিম (৯১, ২৯৭)
[১৬] মুসলিম (৮৯, ২৭৯)
[১৭] সুনান তিরমিযী (৯১), তাঁর মতে আরো কিছু অতিরিক্ত শব্দ রয়েছে। তা হচ্ছে ‘পাত্রে বিড়াল মুখ দেয়া তবে একবার ধুয়ে নিবে। মুহাক্কিক সুমাইর আয-যুহাইরি বুলুগুল মারামের ব্যাখ্যা গ্রন্থে বলেনঃ এ অতিরিক্ত শব্দসমূহ সহীহ। ইবনু শাহিনের ‘নাসিখুল হাদীস ওয়াল মানসূখাহ’ গ্রন্থে (১৪০) এরূপ বর্ণনা রয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
বিড়ালের উচ্ছিষ্ট পবিত্র
হাদিস নং-১৫
আবূ কাতাদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আল্লাহ্‌র রসুল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিড়াল প্রসঙ্গে বলেছেন, “সে অপবিত্র নয় এবং তোমাদের মাঝে চলাফেরা করতে থাকে” । তিরমিযী ও ইবনু খুযাইমাহ একে সহীহ্‌ বলেছেন। [১৮]
[১৮] আবূ দাঊদ (৭৫); নাসায়ী (১/৫৫,১৭৮); তিরমিযী (৯২), ইবনু মাযাহ (৩৬৭); ইবনু খুযাইমাহ (১৪০) কাবশাহ বিনতে কা’ব বিন মালিক সূত্রে । সে যখন ইবনু আবূ কাতাদাহর অধীনে ছিল তখন আবূ কাতাদাহ (রাঃ) একদিন তাঁর নিকট গেলে সে ওযুর পানপাত্র পেশ করলেন। কাবশাহ বলেন, অতঃপর একটি বিড়াল এসে পাত্রে মুখ দিয়ে তা থেকে কিছু পানি পান করে ফেলল। তারপর ইবনু আবূ কাতাদাহ পাত্রটি নিয়ে তা থেকে পান করলেন। কাবশা বলে্‌ আমি তাঁর পান করার দৃশ্য দেখছিলাম। পান করা শেষে তিনি বললেন, হে আমার ভাতিজী! তুমি আশ্চর্য হয়েছো? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ বলে উক্ত হাদিসটি বর্ণনা করলেন। ইমাম তিরমিযী বলেন, হাদিসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
কাপড় থেকে মনী ধৌত করা এবং তা রগড়ানো।
হাদিস নং-১৬
সুলায়মান ইব্‌নু ইয়াসার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
সুলায়মান ইব্‌নু ইয়াসার (রাঃ) হতে বর্ণিত, ‘আমি ‘আয়িশাহ (রাঃ)-কে কাপড়ে লাগা বীর্য সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম।’ তিনি বললেনঃ আমি আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাপড় হতে তা ধুয়ে ফেলতাম। তিনি কাপড় ধোয়ার ভিজা দাগ নিয়ে সলাতে বের হতেন। (বুখারী পর্ব ৪ : /৬৪ হাঃ ২৩০, মুসলিম ২/৩২ হাঃ ২৮৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩. অধ্যায়ঃ
এক সা' বা অনুরূপ পাত্রের পানিতে গোসল।
হাদিস নং-১৭
আবূ সালামা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি ও 'আয়িশা (রাঃ)-এর ভাই 'আয়িশা (রাঃ)-এর নিকট গমন করলাম। তাঁর ভাই তাঁকে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর গোসল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। তিনি প্রায় এক সা' (আড়াই কিলোগ্রাম পরিমাণ)-এর সমপরিমাণ এক পাত্র আনলেন। তারপর তিনি গোসল করলেন এবং স্বীয় মাথার উপর পানি ঢাললেন। তখন আমাদের ও তাঁর মাঝে পর্দা ছিল। আবূ 'আবদুল্লাহ [বুখারী (রহঃ)] বলেন যে, ইয়াযীদ ইব্‌ন হারূন (রহঃ), বাহয্‌ জুদ্দীই (রহঃ) শু’বাহ (রহঃ) থেকে “ نَحْوًا مِنْ صَاعٍ ” এর পরিবর্তে “ قَدْرِ صَاعٍ ” (এক সা’ পরিমাণ) এর কথা বর্ণনা করেন।
(সহিহ বুখারী, তাওহীদ প্রকাশনী-হাদিস নং-২৫১, মুসলিম ৩/১০, হাঃ ৩২০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৪৪, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৪৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
হাদিস নং-১৮
আবূ জা‘ফার (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি ও তাঁর পিতা জাবির ইব্‌নু 'আবদুল্লাহ্‌ (রাঃ)-এর নিকট ছিলেন। সেখানে আরো কিছু লোক ছিলেন। তাঁরা তাঁকে গোসল সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করলেন। তিনি বললেন, এক সা' তোমার জন্য যথেষ্ট। তখন এক ব্যক্তি বলে উঠলঃ আমার জন্য তা যথেষ্ট নয়। জাবির (রাঃ) বললেনঃ তোমার চেয়ে অধিক চুল যাঁর মাথায় ছিল এবং তোমার চেয়ে যিনি উত্তম ছিলেন (আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর জন্য তো এ পরিমাণই যথেষ্ট ছিল। অতঃপর তিনি এক কাপড়ে আমাদের ইমামাত করেন।
(সহিহ বুখারী, তাওহীদ প্রকাশনী-হাদিস নং-২৫২ ২৫৫, ২৫৬; মুসলিম ৩/১১, হাঃ ৩২৯, আহমাদ ১৫০৪১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৪৫, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৫০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
হাদিস নং-১৯
ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও মাইমূনা (রাঃ) একই পাত্রের পানি দিয়ে গোসল করতেন।
আবূ ‘আবদুল্লাহ (রহঃ) বলেন, ইব্‌নু ‘উয়ায়নাহ (রহঃ) তাঁর শেষ জীবনে ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ)-এর মাধ্যমে মাইমূনা (রাঃ) হতে তা বর্ণনা করতেন। তবে আবূ নু'আয়ম (রাঃ)-এর বর্ণনাই ঠিক। (সহিহ বুখারী, তাওহীদ প্রকাশনী-হাদিস নং-২৫৩, মুসলিম ৩/১০, হাঃ ৩২২, আহমাদ ২৬৮৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৪৬, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৫১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৪. অধ্যায়ঃ
মাথায় তিনবার পানি ঢালা।
হাদিস নং-২০
জুবায়র ইব্‌নু মুত'ইম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি তিনবার আমার মাথায় পানি ঢালি। এই বলে তিনি উভয় হাতের দ্বারা ইঙ্গিত করেন।
(সহিহ বুখারী, তাওহীদ প্রকাশনী-হাদিস নং-২৫৪, মুসলিম ৩/১১, হাঃ ৩২৭, আহমাদ ১৬৭৪৯, ১৬৭৮০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৪৭, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৫২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
হাদিস নং-২১
জাবির ইব্‌নু ‘আবদুল্লাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজের মাথায় তিনবার পানি ঢালতেন।
(সহিহ বুখারী, তাওহীদ প্রকাশনী-হাদিস নং-২৫৫, ২৫৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৪৮, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৫৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
হাদিস নং-২২
আবূ জা'ফার (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমাকে জাবির (রাঃ) বলেছেন, আমার নিকট তোমার চাচাত ভাই অর্থাৎ হাসান ইব্‌নু মুহাম্মাদ ইব্‌নু হানাফিয়াহ আগমন করেছিলেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, জানাবাতের গোসল কীভাবে করতে হয়? আমি বললাম, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তিন আঁজলা পানি নিতেন এবং নিজের মাথার উপর ঢেলে দিতেন। অতঃপর নিজের সারা দেহে পানি বহিয়ে দিতেন। তখন হাসান আমাকে বললেন, আমার মাথার চুল খুব বেশি। আমি তাঁকে বললাম, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর চুল তোমার চেয়ে অধিক ছিল।
(সহিহ বুখারী, তাওহীদ প্রকাশনী-হাদিস নং-২৫৬, ২৫২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৪৯, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৫৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৫. অধ্যায়ঃ
গোসলে একবার পানি ঢালা ৷
হাদিস নং-২৩
ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মাইমূনাহ্ (রাঃ) বলেনঃ আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর জন্য গোসলের পানি রাখলাম৷ তিনি তাঁর হাত দুবার বা তিনবার ধুয়ে নিলেন৷ পরে তাঁর বাম হাতে পানি নিয়ে তাঁর লজ্জাস্থান ধুয়ে ফেললেন৷ তারপর মাটিতে হাত ঘষলেন৷ তারপর কুলি করলেন, নাকে পানি দিলেন, তাঁর চেহারা ও দু’হাত ধুয়ে নিলেন৷ অতঃপর তাঁর সারা দেহে পানি ঢাললেন৷ তারপর একটু সরে গিয়ে দু’পা ধুয়ে নিলেন৷
(সহিহ বুখারী, তাওহীদ প্রকাশনী-হাদিস নং-২৫৭, ২৪৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫০, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৫৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৬. অধ্যায়ঃ
গোসলে হিলাব (উটনীর দুধ দোহনের পাত্র) বা খুশবু ব্যবহার করা৷
হাদিস নং-২৪
 ‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন জানাবাতের গোসল করতেন, তখন হিলাবের অনুরূপ পাত্র চেয়ে নিতেন৷ তারপর এক আঁজলা পানি নিয়ে প্রথমে মাথার ডান পাশ এবং পরে বাম পাশ ধুয়ে ফেলতেন৷ দু’হাতে মাথার মাঝখানে পানি ঢালতেন৷
(সহিহ বুখারী, তাওহীদ প্রকাশনী-হাদিস নং-২৫৮,মুসলিম ৩/৯, হাঃ ৩১৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫১, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৫৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭. অধ্যায়ঃ
অপবিত্রতার গোসলে কুলি করা ও নাকে পানি দেয়া ৷
হাদিস নং-২৫
ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
মাইমূনাহ্ (রাঃ) বলেনঃ আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর জন্য গোসলের পানি ঢেলে রাখলাম৷ তিনি তাঁর ডান হাত দিয়ে বাঁ হাতে পানি ঢাললেন এবং উভয় হাত ধুলেন। অতঃপর তাঁর লজ্জাস্থান ধৌত করলেন এবং মাটিতে তাঁর হাত ঘষলেন। পরে তা ধুয়ে কুলি করলেন, নাকে পানি দিলেন, তারপর তাঁর চেহারা ধুলেন এবং মাথার উপর পানি ঢাললেন। পরে ঐ স্থান হতে সরে গিয়ে দু’পা ধুলেন। অবশেষে তাঁকে একটি রুমাল দেয়া হল, কিন্তু তা দিয়ে শরীর মুছলেন না।
(সহিহ বুখারী, তাওহীদ প্রকাশনী-হাদিস নং-২৫৯, ২৪৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫২, ইসলামী
ফাউন্ডেশনঃ ২৫৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৮.অধ্যায়ঃ
পরিচ্ছন্নতার জন্য মাটিতে হাত ঘষা ।
হাদিস নং-২৬
মাইমূনাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অপবিত্রতার গোসল করলেন। তিনি নিজের লজ্জাস্থান ধুয়ে ফেললেন। তারপর হাত দেয়ালে ঘষলেন এবং তা ধুলেন। তারপর সালাতের উযূর ন্যায় উযূ করলেন। গোসল শেষ করে তিনি তাঁর দু’পা ধুয়ে নিলেন।
(সহিহ বুখারী, তাওহীদ প্রকাশনী-হাদিস নং-২৬০, ২৪৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫৩, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৫৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৯. অধ্যায়ঃ
যখন জানাবাত ছাড়া হাতে কোন নাপাকী না থাকে, ফরয গোসলের আগে হাত না ধুয়ে পানির পাত্রে তা প্রবেশ করানো যায় কি?
ইব্‌ন উ’মর (রাঃ) ও বারা-ইব্‌ন আ’যিব (রাঃ) হাত না ধুয়ে পানিতে হাত ঢুকিয়েছেন, তারপর উযু করেছেন। ইব্‌ন উ’মর (রাঃ) ও ইব্‌ন আ’ব্বাস (রাঃ) যে পানিতে ফরয গোসলের পানির ছিটা পড়েছে তা ব্যবহারে কোন দোষ মনে করতেন না।
হাদিস নং-২৭
 ‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি ও নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একই পাত্রের পানি দিয়ে এভাবে গোসল করতাম যে, তাতে আমাদের দু’জনের হাত একের পর এক পড়তে থাকতো।
(সহিহ বুখারী, তাওহীদ প্রকাশনী-হাদিস নং-২৬১, ২৫০; মুসলিম ৩/১০, হাঃ ৩১৯, ৩২১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫৪, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৫৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
হাদিস নং-২৮
 ‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জানাবাতের গোসল করার সময় প্রথমে হাত ধুয়ে নিতেন।
(সহিহ বুখারী, তাওহীদ প্রকাশনী-হাদিস নং-২৬২, ২৪৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫৫, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৬০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
হাদিস নং-২৯
 ‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি ও নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একই পাত্রের পানি নিয়ে জানাবাতের গোসল করতাম।
(সহিহ বুখারী, তাওহীদ প্রকাশনী-হাদিস নং-২৬৩, ২৫০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫৬, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৬১)
‘আবদুর রহমান ইব্‌নু কাসিম (রহঃ) তাঁর পিতার সূত্রে আয়িশা (রাঃ) থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
হাদিস নং-৩০
আনাস ইব্‌নু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর স্ত্রীদের কেউ কেউ একই পাত্রের পানি নিয়ে গোসল করতেন। মুসলিম (রহঃ) এবং ওয়াহ্‌ব ইব্‌নু জারীর (রহঃ) শু‘বাহ (রাঃ) হতে ‘তা ফরয গোসল ছিল বলে বর্ণনা করেছেন।
(সহিহ বুখারী, তাওহীদ প্রকাশনী-হাদিস নং-২৬৪, আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫৭, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৬২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
১০. অধ্যায়ঃ
গোসল ও উযূর অঙ্গ পৃথকভাবে ধোয়া ৷
ইব্‌নু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি উযূর অঙ্গসমূহ শুকিয়ে যাওয়ার পর দু’পা ধুয়েছিলেন।
হাদিস নং-৩১
মাইমূনাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর জন্য গোসলের পানি রাখলাম, তিনি উভয় হাতে পানি ঢেলে দু’বার করে বা তিনবার করে তা ধুয়ে নিলেন৷ অতঃপর তিঁনি ডান হাতে পানি নিয়ে বাম হাতে ঢাললেন এবং তাঁর লজ্জাস্থান ধুয়ে নিলেন৷ পরে তাঁর হাত মাটিতে ঘষলেন৷ তারপর কুলি করলেন ও নাকে পানি দিলেন। আর তাঁর চেহারা ও হাত দু’টো ধুলেন৷ তারপর তাঁর মাথা তিনবার ধুলেন এবং তাঁর সারা শরীরে পানি ঢাললেন৷ অবশেষে সেখান হতে একটু সরে গিয়ে তাঁর দু’পা ধুয়ে ফেললেন৷
(সহিহ বুখারী, তাওহীদ প্রকাশনী-হাদিস নং-২৬৫, ২৪৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫৯, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৬৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
১১. অধ্যায়ঃ
গোসলের সময় ডান হাত থেকে বাম হাতের উপর পানি ঢালা ৷
হাদিস নং-৩২
মাইমূনাহ্ বিনতু হারিস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জন্য গোসলের পানি রেখে পর্দা করে দিলাম। তিনি পানি দিয়ে দু’বার কিংবা তিনবার হাত ধুলেন৷ সুলায়মান (রাঃ) বলেন, তৃতীয়বারের কথা বলেছেন কিনা আমার মনে পড়ে না। তখন তিনি ডান হাতে পানি নিয়ে বাম হাতে ঢাললেন এবং ‍লজ্জাস্থান‍ ধুয়ে নিলেন৷ তারপর তাঁর হাত মাটিতে বা দেওয়ালে ঘষলেন৷ পরে তিনি কুলি করলেন, নাকে পানি দিলেন এবং তাঁর চেহারা ও দু’হাত ধুলেন এবং মাথা ধুয়ে ফেললেন। তারপর তাঁর শরীরে পানি ঢেলে দিলেন৷ পরে সেখান হতে সরে গিয়ে তাঁর দু’পা ধুয়ে নিলেন৷ অবশেষে আমি তাঁকে একখণ্ড কাপড় দিলাম; কিন্তু তিনি হাতের ইঙ্গিতে নিষেধ করলেন এবং তা নিলেন না।
(সহিহ বুখারী, তাওহীদ প্রকাশনী-হাদিস নং-২৬৬, ২৪৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫৮, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৬৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
১২. অধ্যায়ঃ
একাধিকবার বা একাধিক স্ত্রীর সাথে সঙ্গত হবার পর একবার গোসল করা।
হাদিস নং-৩৩
মুহাম্মাদ ইব্‌নু মুনতাশির (রহঃ) তাঁর পিতা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি ‘আয়িশা (রাঃ) এর নিকট [আবদুল্লাহ ইব্‌নু ‘উমার (রাঃ)-এর উক্তিটি [১] উল্লেখ করলাম। তিনি বললেনঃ আল্লাহ্‌ আবূ ‘আবদুর রহমানকে রহম করুন। আমি আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে সুগন্ধি লাগাতাম, তারপর তিনি তাঁর স্ত্রীদের সঙ্গে মিলিত হতেন। তারপর ভোরবেলায় এমন অবস্থায় ইহ্‌রাম বাঁধতেন যে, তাঁর দেহ হতে খুশবু ছড়িয়ে পড়তো।
(সহিহ বুখারী, তাওহীদ প্রকাশনী-হাদিস নং-২৬৭, ২৭০; মুসলিম ১৫/৭, হাঃ ১১৯২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৬০, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৬৫)
[১] আমি এমন অবস্থায় ইহ্‌রাম বাঁধতে পছন্দ করি না, যাতে সকালে আমার দেহ থেকে খুশবু ছড়িয়ে পড়ে (দ্র. হাদীস নং ২৬৮) ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
হাদিস নং-৩৪
আনাস ইব্‌নু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর স্ত্রীগণের নিকট দিনের বা রাতের কোন এক সময়ে পর্যায়ক্রমে মিলিত হতেন। তাঁরা ছিলেন এগারজন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি আনাস (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করলাম, তিনি কি এত শক্তি রাখতেন? তিনি বললেন, আমরা পরস্পর বলাবলি করতাম যে, তাঁকে ত্রিশজনের [১] শক্তি দেয়া হয়েছে। সা’ঈদ (রহঃ) ক্বাতাদাহ (রহঃ) হতে বর্ণনা করেন, আনাস (রাঃ) তাঁদের নিকট হাদীস বর্ণনা প্রসঙ্গে (এগারজনের স্থলে) নয়জনের কথা বলেছেন।
(সহিহ বুখারী, তাওহীদ প্রকাশনী-হাদিস নং-২৬৮, ২৮৪, ৫০৬৮, ৫২১৫ দ্রষ্টব্য) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৬১, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৬৬)
[১] কোন কোন রিওয়ায়াতে, বেহেশতী চল্লিশজনের শক্তি দান করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে । এবং তিরমিযীর বর্ণনায় একজন বেহেশতীর শক্তি একশ লোকের শক্তির সমান বলে উল্লেখ করা হয়েছে (হাশিয়া ৪, সহীহ বুখারী ৭১, আসাহ্‌হুল মাতাবি, দিল্লী) ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
১৩. অধ্যায়ঃ
মযী বের হলে তা ধুয়ে ফেলে উযূ করা।
হাদিস নং-৩৫
 ‘আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমার অধিক মযী বের হত। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কন্যা আমার স্ত্রী হবার কারনে আমি একজনকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করার জন্য পাঠালাম। তিনি প্রশ্ন করলে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ উযূ কর এবং লজ্জাস্থান ধুয়ে ফেল।
(সহিহ বুখারী, তাওহীদ প্রকাশনী-হাদিস নং-২৬৯, ১৩২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৬২, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৬৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
১৪. অধ্যায়ঃ
খুশবু লাগিয়ে গোসল করার পর খুসবুর আসর থেকে গেলে।
হাদিস নং-৩৬
মুহাম্মাদ ইব্‌নু মুনতাশির (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি ‘আয়িশা (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করলাম এবং আবদুল্লাহ্‌ ইব্‌নু ‘উমার (রাঃ) এর উক্তি উল্লেখ করলাম,- “আমি এমন অবস্থায় ইহরাম বাঁধা পছন্দ করি না যাতে সকালে আমার দেহ হতে সুগন্ধি ছড়িয়ে পড়ে।” ‘আয়িশা (রাঃ) বললেনঃ আমি আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে সুগন্ধি লাগিয়েছি, তার পর তিনি পর্যায়ক্রমে তাঁর স্ত্রীদের সঙ্গে মিলিত হয়েছেন এবং তাঁর ইহ’রাম অবস্থায় সকাল হয়েছে।
(সহিহ বুখারী, তাওহীদ প্রকাশনী-হাদিস নং-২৭০, ২৬৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৬৩, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৬৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
হাদিস নং-৩৭
 ‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি যেন এখনো দেখছি, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর ইহ্‌রাম অবস্থায় তাঁর সিঁথিতে খুশবুর ঔজ্জ্বল্য রয়েছে।
(সহিহ বুখারী, তাওহীদ প্রকাশনী-হাদিস নং-২৭১, ১৫৩৮, ৫৯১৮, ৫৯২৩; মুসলিম ১৫/৭, হাঃ ১১৯০, আহমাদ ২৫৮৩৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৬৪, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৬৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
১৫. অধ্যায়ঃ
চুল খিলাল করা এবং চামড়া ভিজেছে বলে নিশ্চিত হওয়ার পর তাতে পানি ঢালা।
হাদিস নং-৩৮
 ‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন জানাবাতের গোসল করতেন, তখন তিনি দু’হাত ধৌত করতেন এবং সালাতের উযূর মত উযূ করতেন। তারপর গোসল করতেন। পরে তাঁর হাত দিয়ে চুল খিলাল করতেন। চামড়া ভিজেছে বলে যখন তিনি নিশ্চিত হতেন, তখন তাতে তিনবার পানি ঢালতেন। তারপর সমস্ত শরীর ধুয়ে ফেলতেন।
(সহিহ বুখারী, তাওহীদ প্রকাশনী-হাদিস নং-২৭২, ২৪৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৬৫, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৭০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
হাদিস নং-৩৯
 ‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি আরো বলেছেনঃ আমি ও আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একই পাত্র হতে গোসল করতাম। আমরা একই সাথে তা হতে আঁজলা ভরে পানি নিতাম।
(সহিহ বুখারী, তাওহীদ প্রকাশনী-হাদিস নং-২৭৩, ২৫০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৬৫ শেষাংশ, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৭০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
১৬. অধ্যায়ঃ
অপবিত্র অবস্থায় যে উযূ করে সমস্ত শরীর ধোয় কিন্তু উযূর প্রত্যঙ্গগুলো দ্বিতীয়বার ধোয় না।
হাদিস নং-৪০
মাইমূনা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জানাবাতের গোসলের জন্য পানি রাখলেন। তারপর দু’বার বা তিনবার ডান হাত দিয়ে বাম হাতের উপর পানি ঢাললেন এবং তাঁর লজ্জাস্থান ধৌত করলেন। তারপর তাঁর হাত মাটিতে বা দেয়ালে দু’বার বা তিনবার ঘষলেন। পরে তিনি কুলি করলেন ও নাকে পানি দিলেন এবং চেহারা ও দু’হাত ধৌত করলেন। তারপর তাঁর মাথায় পানি ঢাললেন এবং তাঁর শরীর ধুলেন। অতঃপর একটু সরে গিয়ে তাঁর দু’পা ধৌত করলেন। মাইমূনা (রাঃ) বলেনঃ অতঃপর আমি একখণ্ড কাপড় দিলে তিনি তা নিলেন না, বরং নিজ হাতে পানি ঝেড়ে ফেলতে থাকলেন।
(সহিহ বুখারী, তাওহীদ প্রকাশনী-হাদিস নং-২৭৪, ২৪৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৬৬, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৭১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
১৭. অধ্যায়ঃ
মসজিদের ভিতরে নিজের জানাবাতের কথা স্মরণ হলে তখনই বেরিয়ে পড়বে, তায়াম্মুম করতে হবে না।
হাদিস নং-৪১
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ একবার সালাতের ইক্বামাত দেয়া হলে সবাই দাঁড়িয়ে কাতার সোজা করছিলেন, তখন আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের সামনে বেরিয়ে আসলেন। তিনি মুসাল্লায় দাঁড়ালে তাঁর মনে হলো যে, তিনি জানাবাত অবস্থায় আছেন। তখন তিনি আমাদের বললেনঃ স্ব স্ব স্থানে দাঁড়িয়ে থাক। তিনি ফিরে গিয়ে গোসল করে আবার আমাদের সামনে আসলেন এবং তাঁর মাথা হতে পানি ঝরছিল। তিনি তাকবীর (তাহ্‌রীমাহ) বাঁধলেন, আর আমরাও তাঁর সাথে সালাত আদায় করলাম।
(সহিহ বুখারী, তাওহীদ প্রকাশনী-হাদিস নং-২৭৫, আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৬৭, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৭২)
‘আবদুল আ’লা (রহঃ) যুহরী (রহঃ) হতে এবং আওযা’ঈ (রহঃ)-ও যুহরী (রহঃ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
(৬৩৯, ৬৪০; মুসলিম ৫/২৯, হাঃ ৬০৫, আহমাদ ১০৭২৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
১৮. অধ্যায়ঃ
জানাবাতের গোসলের পর দু’ হাত ঝাড়া।
হাদিস নং-৪২
মাইমূনা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর জন্য গোসলের পানি রাখলাম এবং কাপর দিয়ে পর্দা করে দিলাম। তিনি দু’হাতের উপর পানি ঢেলে উভয় হাত দুয়ে নিলেন। তারপর ডান হাত দিয়ে বাম হাতে পানি ঢেলে লজ্জাস্থান ধৌত করলেন। পরে হাতে মাটি লাগিয়ে ঘষে নিলেন এবং ধুয়ে ফেললেন। অতঃপর কুলি করলেন, নাকে পানি দিলেন, চেহারা ও দু’হাত (কনুই পর্যন্ত) ধৌত করলেন। তারপর মাথায় পানি ঢাললেন ও সমস্ত শরীরে পানি পৌছালেন। তারপর একটু সরে গিয়ে দু’পা ধুয়ে নিলেন। অতঃপর আমি তাঁকে একটা কাপড় দিলাম কিন্তু তা নিলেন না। তিনি দু’হাত ঝাড়তে ঝাড়তে চলে গেলেন।
(সহিহ বুখারী, তাওহীদ প্রকাশনী-হাদিস নং-২৭৬, ২৪৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৬৮, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৭৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
১৯. অধ্যায়ঃ
মাথার ডান দিক হতে গোসল শুরু করা।
হাদিস নং-৪৩
 ‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমাদের কারও জানাবাতের গোসলের প্রয়োজন হলে সে দু’হাতে পানি নিয়ে তিনবার মাথায় ঢালত। পরে হাতে পানি নিয়ে ডান পাশে তিনবার এবং আবার অপর হাতে পানি নিয়ে বাম পাশে তিনবার ঢালত।
(সহিহ বুখারী, তাওহীদ প্রকাশনী-হাদিস নং-২৭৭, আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৬৯, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৭৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
২০. অধ্যায়ঃ
নির্জনে বিবস্ত্র হয়ে গোসল করা এবং পর্দা করে গোসল করা। পর্দা করে গোসল করাই উত্তম
বাহায (রহঃ) তাঁর পিতার সূত্রে তাঁর দাদা হতে বর্ণনা করেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, লজ্জা করার ব্যাপারে মানুষের চেয়ে আল্লাহ্‌ তা’আলাই হকদার।
হাদিস নং-৪৪
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ বানী ইসরাঈলের লোকেরা নগ্ন হয়ে একে অপরকে দেখা অবস্থায় গোসল করতো। কিন্তু মূসা (‘আঃ) একাকী গোসল করতেন। এতে বানী ইসরাঈলের লোকেরা বলাবলি করছিল, আল্লাহর কসম, মূসা (‘আঃ) ‘কোষবৃদ্ধি’ রোগের কারণেই আমাদের সাথে গোসল করেন না। একবার মূসা (‘আঃ) একটা পাথরের উপর কাপড় রেখে গোসল করছিলেন। পাথরটা তাঁর কাপড় নিয়ে পালাতে লাগল। তখন মূসা (‘আঃ) “পাথর! আমার কাপড় দাও,” “পাথর! আমার কাপড় দাও”, বলে পেছনে পেছনে ছুটলেন। এদিকে বাণী ইসরাঈল মূসার দিকে তাকাল। তখন তারা বলল, আল্লাহর কসম মূসার কোন রোগ নেই। মূসা (‘আঃ) পাথর থেকে কাপড় নিয়ে পরলেন এবং পাথরটাকে পিটাতে লাগলেন। আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন, আল্লাহর কসম, পাথরটিতে ছয় কিংবা সাতটা পিটুনীর দাগ পড়ে গেল।
বাহায (রহঃ) তাঁর পিতার সূত্রে তাঁর দাদা হতে বর্ণনা করেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, লজ্জা করার ব্যাপারে মানুষের চেয়ে আল্লাহ্‌ তা’আলাই হকদার। সহিহ বুখারী, তাওহীদ প্রকাশনী-হাদিস নং-২৭৮।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
হাদিস নং-৪৫
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি আরো বলেন যে, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ এক সময় আইয়ুব (‘আঃ) বিবস্ত্রাবস্থায় গোসল করছিলেন। তখন তাঁর উপর সোনার পঙ্গপাল বর্ষিত হচ্ছিল। আইয়ুব (‘আঃ) তাঁর কাপড়ে সেগুলো কুড়িয়ে নিচ্ছিলেন। তখন তাঁর রব তাঁকে বললেনঃ হে আইয়ুব! আমি কি তোমাকে এগুলো হতে অমুখাপেক্ষী করিনি? উত্তরে তিনি বললেন, হ্যাঁ, আপনার ইয্‌যতের কসম। অবশ্যই করেছেন। তবে আমি আপনার বরকত হতে বেনিয়ায নই। এভাবে বর্ণনা করেছেন ইব্‌রাহীম (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ একদা আইয়ুব (‘আঃ) বিবস্ত্র অবস্থায় গোসল করেছিলেন। সহিহ বুখারী, তাওহীদ প্রকাশনী-হাদিস নং-২৭৯,
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
২১. অধ্যায়ঃ
লোকের সামনে গোসলের সময় পর্দা করা।
হাদিস নং-৪৬
উম্মু হানী বিনতু আবূ ত্বলিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি মাক্কাহ বিজয়ের বছর আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট গিয়ে তাঁকে গোসলরত অবস্থায় দেখলাম, ফাতিমাহ (রাঃ) তাঁকে পর্দা করে রেখেছিলেন। আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিজ্ঞেস করলেন ইনি কে? আমি বললামঃ আমি উম্মু হানী। সহিহ বুখারী, তাওহীদ প্রকাশনী-হাদিস নং-২৮০।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
হাদিস নং-৪৭
মাইমূনা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর জন্য পর্দা করেছিলাম আর তিনি জানাবাতের গোসল করছিলেন। তিনি দু’হাত ধুলেন। তারপর ডান হাত দিয়ে বাম হাতে পানি নিয়ে লজ্জাস্থান এবং যেখানে কিছু লেগেছিল তা ধুয়ে ফেললেন। তারপর মাটিতে বা দেয়ালে হাত ঘষলেন এবং দু’পা ছাড়া সালাতের উযূর মতই উযূ করলেন। তারপর তাঁর সমস্ত শরীরে পানি পৌঁছালেন। তারপর একটু সরে গিয়ে দু’পা ধুলেন। আবূ ‘আওয়ানাহ (রহঃ) ও [ سِتَرَ] (পর্দা করা) এর ব্যাপারটি এই হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। সহিহ বুখারী, তাওহীদ প্রকাশনী-হাদিস নং-২৮১।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
২২. অধ্যায়ঃ
মহিলাদের ইহ’তিলাম (স্বপ্নদোষ) হলে।
হাদিস নং-৪৮
উম্মুল মু‘মিনীন উম্মু সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আবূ তালহা (রাঃ) এর স্ত্রী উম্মু সুলায়ম (রাঃ) আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর খিদমাতে এসে বললেনঃ ইয়া রসূলাল্লাহ! আল্লাহ্ তা‘আলা হকের ব্যাপারে লজ্জা করেন না। স্ত্রীলোকের ইহ্‌তিলাম (স্বপ্নদোষ) হলে কি ফরয গোসল করবে? আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হাঁ, যদি তারা বীর্য দেখে। সহিহ বুখারী, তাওহীদ প্রকাশনী-হাদিস নং-২৮২।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
২৩. অধ্যায়ঃ
জুনুবী ব্যক্তির ঘাম, নিশ্চয়ই মুসলিম অপবিত্র নয়।
হাদিস নং-৪৯
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ তাঁর সাথে মদীনার কোন এক পথে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর দেখা হলো। আবূ হুরায়রা (রাঃ) তখন জানাবাত অবস্থায় ছিলেন। তিনি বলেন, আমি নিজেকে অপবিত্র মনে করে সরে পড়লাম। পরে আবূ হুরায়রা (রাঃ) গোসল করে এলেন। পুনরায় সাক্ষাত হলে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিজ্ঞেস করলেনঃ ওহে আবূ হুরাইরা! কোথায় ছিলে? আবূ হুরায়রা (রাঃ) বললেনঃ আমি জানাবাতের অবস্থায় আপনার সঙ্গে বসা সমীচীন মনে করিনি। তিনি বললেনঃ সুবহানাল্লাহ্‌! মু’মিন অপবিত্র হয় না। সহিহ বুখারী, তাওহীদ প্রকাশনী-হাদিস নং-২৮৩।মুসলিম ৮৫০নং)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
২৪. অধ্যায়ঃ
জানাবাতের অবস্থায় বের হওয়া এবং বাজার ইত্যাদিতে চলাফেরা করা
‘আত্বা (রহঃ) বলেছেন, অপবিত্র ব্যক্তি উযূ না করেও শিঙ্গা লাগাতে, নখ কাটতে এবং মাথা মুণ্ডন করতে পারে।
হাদিস নং-৫০
আনাস ইব্‌নু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একই রাতে পর্যায়ক্রমে তাঁর স্ত্রীদের সঙ্গে মিলিত হতেন। তখন তাঁর নয়জন স্ত্রী ছিলেন। সহিহ বুখারী, তাওহীদ প্রকাশনী-হাদিস নং-২৮৪।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
হাদিস নং-৫১
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমার সাথে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাক্ষাত হলো, তখন আমি জুনুবী ছিলাম। তিনি আমার হাত ধরলেন, আমি তাঁর সাথে চললাম। এক স্থানে তিনি বসে পড়লেন। তখন আমি সরে পড়ে বাসস্থানে এসে গোসল করলাম। আবার তাঁর নিকট গিয়ে তাঁকে বসা অবস্থায় পেলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেন আবূ হুরায়রা! কোথায় ছিলে? আমি তাঁকে (ঘটনা) বললাম। তখন তিনি বললেনঃ ‘সুবহানাল্লাহ্‌! মু’মিন অপবিত্র হয় না’। সহিহ বুখারী, তাওহীদ প্রকাশনী-হাদিস নং-২৮৫।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
২৫. অধ্যায়ঃ
অপবিত্র ব্যক্তির গোসলের পূর্বে উযূ করে ঘরে অবস্থান করা।
হাদিস নং-৫২
আবূ সালামা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি ‘আয়িশা (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করলামঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি জানাবাতের অবস্থায় ঘুমাতেন? তিনি বললেনঃ হাঁ, তবে তিনি উযূ করে নিতেন। সহিহ বুখারী, তাওহীদ প্রকাশনী-হাদিস নং-২৮৬।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
২৬. অধ্যায়ঃ
জুনুবীর ঘুমানো।
হাদিস নং-৫৩
 ‘উমার ইব্‌নুল-খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করলেনঃ আমাদের কেউ জানাবাতের অবস্থায় ঘুমাতে পারবে কি? তিনি বললেনঃ হাঁ, উযূ করে নিয়ে জানাবাতের অবস্থায়ও ঘুমাতে পারে। সহিহ বুখারী, তাওহীদ প্রকাশনী-হাদিস নং-২৮৭।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
২৭. অধ্যায়ঃ
জুনুবী উযূ করে নিদ্রা যাবে।
হাদিস নং-৫৪
 ‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন জানাবাতের অবস্থায় ঘুমাতে ইচ্ছা করতেন তখন তিনি লজ্জাস্থান ধুয়ে সালাতের উযূর মত উযূ করতেন। সহিহ বুখারী, তাওহীদ প্রকাশনী-হাদিস নং-২৮৮।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
হাদিস নং-৫৫
 ‘আবদুল্লাহ ইব্‌নু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ ‘উমার (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করলেনঃ আমাদের কেউ জুনুবী অবস্থায় ঘুমাতে পারবে কি? তিনি বললেনঃ হাঁ, যদি উযূ করে নেয়। সহিহ বুখারী, তাওহীদ প্রকাশনী-হাদিস নং-২৮৯।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
হাদিস নং-৫৬
 ‘আবদুল্লাহ ইব্‌নু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ উমর ইব্‌নুল খাত্তাব (রাঃ) আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বললেন, রাতে কোন সময় তাঁর গোসল ফরয হয় (তখন কী করতে হবে?) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে বললেনঃ উযূ করবে, লজ্জাস্থান ধুয়ে নিবে তারপর ঘুমাবে। সহিহ বুখারী, তাওহীদ প্রকাশনী-হাদিস নং-২৯০।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
২৮. অধ্যায়ঃ
দু’লজ্জা স্থান পরস্পর মিলিত হলে।
হাদিস নং-৫৭
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি স্ত্রীর চার শাখার মাঝে বসে তার সাথে সঙ্গত হলে, তার উপর গোসল ওয়াজিব হয়ে যায়। ‘আমর (রহঃ) শু‘বাহ্‌র সূত্রে এই হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। আর মূসা (রাঃ) হাসান [বাসরী (রহঃ)]-এর সূত্রেও অনুরূপ বলেছেন। আবূ ‘আবদুল্লাহ্‌ (রহঃ) বলেনঃ এটা উত্তম ও অধিকতর মযবুত। মতভেদের কারণে আমরা অন্য হাদীসটিও বর্ণনা করেছি, গোসল করাই অধিকতর সাবধানতা। সহিহ বুখারী, তাওহীদ প্রকাশনী-হাদিস নং-২৯১।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
২৯. অধ্যায়ঃ
স্ত্রী অঙ্গ হতে কিছু লাগলে ধুয়ে ফেলা।
হাদিস নং-৫৮
যায়দ ইব্‌নু খালিদ আল-জুহানী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি ‘উসমান ইব্‌নু ‘আফফান (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলেনঃ স্বামী-স্ত্রী সঙ্গত হলে যদি মনি বের না হয় (তখন কী করবে)? উসমান (রাঃ) বললেনঃ সালাতের উযূর মত উযূ করবে এবং লজ্জাস্থান ধুয়ে ফেলবে। ‘উসমান (রাঃ) বলেনঃ আমি এটা আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে শুনেছি। অতঃপর আলী ইব্‌নু আবূ ত্বলিব, যুবায়র ইব্‌নুল-আও্‌ওয়াম, ত্বলহা ইব্‌নু ‘উবাইদুল্লাহ ও উবাই ইব্‌নু কা‘ব (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করেছিলাম। তারা সবাই ঐ একই জবাব দিয়েছেন। আবূ সালামা (রহঃ) আবূ আইয়ুব (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি [আবূ আইয়ুব (রাঃ)] এ কথা আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে শুনেছেন। সহিহ বুখারী, তাওহীদ প্রকাশনী-হাদিস নং-২৯২।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
হাদিস নং-৫৯
উবাই ইব্‌নু কা‘ব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করলেনঃ হে আল্লাহর রসূল! স্ত্রীর সাথে সঙ্গম হলে যদি বীর্য বের না হয় (তার হুকুম কী?) তিনি বলেলেনঃ স্ত্রী থেকে যা লেগেছে তা ধুয়ে উযূ করবে ও সালাত আদায় করবে। আবূ ‘আবদুল্লাহ [বুখারী (রহঃ)] বলেনঃ গোসল করাই শ্রেয়। আর তা-ই সর্বশেষ হুকুম। আমি এই শেষের হাদীসটি বর্ণনা করেছি মতভেদ থাকার কারণে। কিন্তু পানি (গোসল) অধিক পবিত্রকারী। [১]সহিহ বুখারী, তাওহীদ প্রকাশনী-হাদিস নং-২৯৩।
 [১] এ বিধান পরে রহিত হয়েছে। স্ত্রী সঙ্গম হবার কারণে গোসল ফরয হয়। এটি সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
হাদিস নং-৬০
আম্‌র বিন আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যাতুস সালাসিল যুদ্ধ-সফরে এক শীতের রাতে আমার স্বপ্লদোষ হল। আমার ভয় হল যে, যদি গোসল করি তাহলে আমি ধ্বংস হয়ে যাব। তাই আমি তায়ান্মুম করে সঙ্গীদেরকে নিয়ে (ইমাম হয়ে) ফজরের নামায পড়লাম। আমার সঙ্গীরা একথা নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকটে উল্লেখ করলে তিনি বললেন, “হে আমর! তুমি নাপাক অবস্থায় তোমার সঙ্গীদের ইমামতি করেছ?” আমি গোসল না করার কারণ তাকে বললাম। আরো বললাম যে, ‘আল্লাহ তাআলার এ বাণীও আমি শুনেছি, তিনি বলেন, “তোমরা আত্মহত্যা করো না। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি বড় দয়াশীল।” (নিসাঃ ২৯) এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাসলেন এবং কিছুই বললেন না। (আহমদ ১৭৮১২, আবূ দাঊদ ৩৩৪, হাকেম ৬২৯নং)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
হাদিস নং-৬১
জাবের (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদা আমরা কোন সফরে বের হলাম। আমাদের মধ্যে এক ব্যক্তির মাথায় পাথরের আঘাত লেগে ক্ষত হয়েছিল। এরপর তার স্বপ্নদোষও হল। সে সঙ্গীদেরকে জিজ্ঞাসা করল, ‘আমার জন্য কি তায়াম্মুম বৈধ মনে কর?’ সকলে বলল, “তুমি পানি ব্যবহার করতে অক্ষম নও। অতএব তোমার জন্য আমরা তায়াম্মুম বৈধ মনে করি না।’ তা শুনে লোকটি গোসল করল এবং এর প্রতিক্রিয়ায় সে মারা গেল। অতঃপর আমরা যখন নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট ফিরে এলাম তখন তাকে সেই লোকটার ঘটনা খুলে বললাম। তা শুনে তিনি বললেন, “ওরা ওকে মেরে ফেলল, আল্লাহ ওদেরকে ধ্বংস করুক। যদি ওরা জানত না, তবে জেনে কেন নেয়নি? অজ্ঞতার ওষুধ তো প্রশ্নই। তার জন্য তায়াম্মুম ও (পটি বেঁধে) মাসহ যথেষ্ট ছিল।” (আবু দাঊদ ৩৩৬, বাইহাকী ১০১৬, দারাকুতনী ১/১৮৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
হাদিস নং-৬২
আবূ যার্র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “দশ বছর যাবৎ পানি না পাওয়া গেলে মুসলিমের ওযুর উপকরণ হল পাক মাটি। পানি পাওয়া গেলে গোসল করে নেওয়া উচিত। আর এটা অবশ্যই উত্তম।” (আহমদ ২১৩৭১, আবূ দাউদ ৩৩২, তিরমিযী ১২৪, মিশকাত ৫৩০নং)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
হাদিস নং-৬৩
ইমরান বিন হুস্বাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমরা নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সঙ্গে এক সফরে ছিলাম। এক সময় তিনি লোকেদের নিয়ে নামায পড়লেন। যখন তিনি নামায শেষ করলেন, তখন দেখলেন একটি লোক একটু সরে পৃথক দাঁড়িয়ে আছে। সে জামাআতে নামাযও পড়েনি। তিনি তাকে বললেন, “কি কারণে তুমি জামাআতে নামায পড়লে না?” লোকটি বলল, ‘আমি নাপাকে আছি, আর পানিও নেই।’ তিনি বললেন, “পাক মাটি ব্যবহার কর। তোমার জন্য তাই যথেষ্ট।” (বুখারী ৩৪৮, মুসলিম ১৫৯৫, মিশকাত ৫২৭নং)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
হাদিস নং-৬৪
উম্মে দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আমি সাধারণ গোসলখানা হতে বের হলাম। ইত্যবসরে নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাথে আমার সাক্ষাৎ হলে তিনি আমাকে বললেন, “কোত্থেকে, হে উম্মে দারদা?!” আমি বললাম, গোসলখানা থেকে। তিনি বললেন, “সেই সত্তার শপথ; যাঁর হাতে আমার প্রাণ আছে! যে কোনও মহিলা তার কোন মায়ের ঘর ছাড়া অন্য স্থানে নিজের কাপড় খোলে, সে তার ও দয়াময় (আল্লাহর) মাঝে প্রত্যেক পর্দা বিদীর্ণ করে ফেলে।” (আহমাদ ২৭০৩৮, ত্বাবারানীর কাবীর, সহীহ তারগীব ১৬২নং)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
হাদিস নং-৬৫
উমর বিন খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, হে লোক সকল! অবশ্যই আমি আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট শুনেছি, তিনি বলেছেন যে, “যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস রাখে, সে যেন অবশ্যই এমন (ভোজনের) দস্তরখানে না বসে, যাতে মদ্য পরিবেশিত হয়। যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস রাখে, সে যেন সাধারণ গোসলখানায় বিবস্ত্র হয়ে প্রবেশ না করে। আর যে মহিলা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস রাখে, সে যেন সাধারণ গোসলখানায় প্রবেশ না করে।” (আহমাদ ১২৫, সহীহ তারগীব ১৬৭নং)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩০-অধ্যায়
ইসলাম গ্রহণের পর গোসল করার বিধান
হাদিস নং-৬৬
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
সুমামাহ বিন উসাল (রাঃ) -এর ইসলাম গ্রহণের ঘটনায় বর্ণিত হয়েছে, নাবী (সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে ইসলাম আনয়নের সময় গোসল দেয়ার আদেশ করেছিলেন।আবদুর রাযযাক [১৩৫] এর মূল বক্তব্য বুখারী মুসলিমে আছে।
[১৩৫] মুসান্নিফ আব্দুর রাজ্জাক (/-১০/৯৮৩৪) তাতে আছে, (আরবী) তাকে গোসল করার নির্দেশ করলেন। ফলে সে গোসল করলো।
(বুখারী। ৪৩৭২; মুসলিম ১৭৬৪ টিও আবূ হুরাইরা হতে বর্ণিত। তাতে আছে-(আরবী) ফলে তিনি তথা সুমামাহ মসজিদের নিকটবর্তী কোন খেজুর বাগানে গেলেন এবং গোসল করলেন।)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩১-অধ্যায়
জুমুআর সালাতের জন্য গোসল করার বিধান
হাদিস নং-৬৭
আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘প্রত্যেক সাবালেগ মুসলমানের পক্ষে জুমুআর দিন গোসল করা ওয়াযিব।
(বুখারী ৮৭৯; মুসলিম ৮৪৬; আবূ দাঊদ ৩৪১; নাসায়ী /৯২; ইবনু মাজাহ ১০৮৯; আহমাদ /৬০; হাফেজ ইবনু হাজার হাদীসটিকে তিরমিযীর সাথে সম্পর্কিত করে ভুল করেছেন। হাদীসে গোসল ফরয হওয়ার বিধান পরবর্তী হাদীসের কারণে আর ওয়াজিব থাকে নি। তবে এর যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে।)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস


প্রিয় পাঠকবৃন্দঃ এখানে প্রসিদ্ধ ছয়টি হাদিস গ্রন্থ ছাড়াও অন্যান্যসহ মোট ৩০টি হাদিস গ্রন্থ থেকে গোসল সংক্রান্ত ৬৭টি হাদিস বর্ণনা করা হয়েছে। কিন্তু কোনো হাদিসেই ফরজ গোসলের প্রচলিত যে নিয়ত তথা “নাওয়াইতুয়ান গোসলা লিরাফইল জানাবাতি” নেই। অথচ আমরা তা যুগ যুগ ধরে পাঠ করে আসছি। আর একটা বিষয় হলো সহিহ হাদিস মোতাবেক ইয়ং জেনারেশন এর ৯৫%, বয়স্কদের ৮৫% ফরজ গোসল হয় না। আবার ৬০% শিক্ষিত আলেম ফরজ গোসল করার সহিহ নিয়ম জানেন না। যার ফলে এইসব মুসলমানরা আজীবন অপবিত্র। এদের ইবাদত-বন্দেগী কিংবা ইমান আমল কতোটুকু গৃহিত হয় একমাত্র আল্লাহ তায়ালাই জানেন।   সহিহ হাদিস মোতাবেক আল্লাহ আমাদের সকলকে চলার তৌফিক দান করুন-আমিন।

কোরআন ও সহিহ হাদিস ভিত্তিক আরো বিষয় জানতে এদের উপর ক্লিক করুনঃ


আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক
প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে আপনি Facebook, Twitter, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Addressসহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন।
“তোমরাই শ্রেষ্ঠ উম্মত, মানুষের (কল্যাণের) জন্য তোমাদেরকে বের করা হয়েছে। তোমরা মানুষকে সৎ কাজের আদেশ করবে এবং অসৎকাজ থেকে নিষেধ করবে।” (সূরা আল-ইমরান, আয়াত-১১০)
“তার চেয়ে ভাল কথা আর কি হতে পারে, যে মানুযকে আল্লাহর দিকে ডাকে, নিজে নেক আমল করে আর বলে যে, আমি সাধারণ মুসলমানদের মধ্য হতে একজন। (সূরা হা মীম সিজদা আয়াত-৩৩)
নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন:
 “যে হেদায়েতের প্রতি আহবান জানায়, তার জন্য তার অনুসারীদের সমপরিমাণ সওয়াব রয়েছে, তবে তা তাদের সওয়াব থেকে কোন কিছু হ্রাস করবে না। আর যে পথভ্রষ্টতার প্রতি আহবান জানায়, তার ওপর তার অনুসারীদের সমপরিমাণ পাপ আরোপিত, তবে তা তাদের পাপ থেকে কোন কিছু হ্রাস করবে না।” [মুসলিম (২৬৭৪)]
আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আ’স (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “আমার পক্ষ থেকে জনগণকে (আল্লাহর বিধান) পৌঁছে দাও, যদিও একটি আয়াত হয়। বনী-ইস্রাঈল থেকে (ঘটনা) বর্ণনা কর, তাতে কোন ক্ষতি নেই। আর যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে আমার প্রতি মিথ্যা (বা জাল হাদীস) আরোপ করল, সে যেন নিজ আশ্রয় জাহান্নামে বানিয়ে নিল।” 
(বুখারী ৩৪৬১,হাদিস  সম্ভার, হাদিস নং ১৫৪৮, রিয়াদুস সলেহিন, হাদিস নং ১৩৮৮।)
লেখক ও সংকলকঃ
মো: ইজাবুল আলম-এম.এ, সি.ইন,এড (ইসলামিক স্টাডিজ-রংপুর কারমাইকেল ইউনিভার্সিটি  কলেজ, রংপুর), বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ, গবেষক ও লেখক।
(মহাপরিচালক-পিএমএমআরসি, গুলশান-২,ঢাকা, বাংলাদেশ।

No comments:

Post a Comment

দান-ছাদাক্বা করার গুরুত্ব ও ফজিলত

    বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম দান-ছাদাক্বা করার গুরুত্ব ও ফজিলত   আল্লাহ তায়ালা বলেন, “যারা আল্লাহর পথে ব্যয় করে, তাদের উপমা একটি শস...