বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
বাংলা সহিহ হাদিস সিরিজ-২৬
(পাক পবিত্রতা অধ্যায়)
(দ্বিতীয় পর্ব)
হাদিস গ্রন্থ--মিশকাতুল মাসাবিহ (মিশকাত)-প্রকাশক-হাদিস একাডেমী
(PMMRC হাদিস নং-৩০৬৯-৩৩৫১টি মোট ২৮৩টি হাদিস)
(সহিহ ও জাল-জইফ হাদিস চিহ্নিত/নির্নিত)
(জাল-জইফ হাদিস আমলযোগ্য নয়)
মিশকাতুল মাসাবিহ (মিশকাত)-হবহু প্রকাশিত
মিশকাত হাদিস নং-৪২৭
PMMRC হাদিস নং-৩২১৫
আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর ইবনুল ‘আস (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সা’দ
ইবনু আবি ওয়াক্কাস-এর কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন। সে সময় সা’দ (রাঃ) উযূ করছিলেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, হে সা’দ! এত অপচয় কেন? সা’দ আবেদন করলেন, হে আল্লাহর রসূল!
উযূর মধ্যেও কি অপচয় আছে? তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, হাঁ আছে।
যদিও তুমি প্রবহমান নদীর কিনারায় থাক। [১]
[১] হাসান : আহমাদ ২/২২১, ইবনু মাজাহ্ ৪২৫,
সিলসিলাহ্ আস্ সহীহাহ্ ৩২৯৩।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৪২৮
PMMRC হাদিস নং-৩২১৬
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ), ইবনু মাস্‘ঊদ ও ইবনু
‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন
: যে ব্যক্তি উযূ করল এবং ‘বিস্মিল্লা-হ’ (আল্লাহর নাম নিয়ে) পড়ে উযূ করল, সে তাঁর
গোটা শরীরকে (গুনাহ হতে) পবিত্র করল। আর যে ব্যক্তি উযূ করল অথচ ‘বিস্মিল্লা-হ’ বলল
না, সে শুধু উযূর অঙ্গগুলোকে পবিত্র (পরিষ্কার) করল। [১]
[১] য‘ঈফ : দারাকুত্বনী ১/৭৩-৭৪। আলবানী (রহঃ)
বলেন, এটি মূলত তিনটি হাদীসের সমষ্টি ১ম টি উল্লেখিত শব্দে আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে
যার সানাদে মিরদাস ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনু আবূ বুরদাহ্ রয়েছে ইমাম যাহাবী
যাকে অপরিচিত হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আর উযূতে ‘‘বিস্মিল্লা-হ’’ বলার ব্যাপারে তার
হাদীস মুনকার।
২য়টি- ইবনু মাস্‘ঊদ (রাঃ) হতে إِذَا
تَطَهَّرَ
أَحَدُكُمْ
فَلْيَزْكُرِ
السْمَ
اللهِ
শব্দে মারফূ‘ সূত্রে বর্ণিত, যার সানাদে ইয়াহ্ইয়া ইবনু হাশিম নামে একজন মিথ্যুক বারী
রয়েছে।
৩য়টি- ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে مَنْ
تَوَضَّأَ
فَزَكَرَ
السْمَ
اللهِ
عَلى
وُضُوْئِه...
শব্দে মারফূ‘ সূত্রে বর্ণিত, যার সানাদে আবূ বাকর ‘আবদুল্লাহ ইবনু হাকীম আদ্ দাহিরী
নামে একজন মিথ্যুক রাবী রয়েছে।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৪২৯
PMMRC হাদিস নং-৩২১৭
আবূ রাফি‘ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) সলাতের উযূ করার সময় নিজের আঙ্গুলে পরা আংটি নেড়ে-চেড়ে নিতেন। [১]
দারাকুত্বনী উপরের দু’টি হাদীসই বর্ণনা করেছেন
এবং ইবনু মাজাহ শুধু দ্বিতীয় হাদিসটি বর্ণনা করেছেন।
[১] য‘ঈফ : ইবনু মাজাহ্ ৪৪৯, য‘ঈফুল জামি‘
৪৩৬১। কারণ এর সানাদের রাবী মা‘মার এবং তার পিতা উভয়ই দুর্বল।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
পরিচ্ছদঃ ৫.
প্রথম অনুচ্ছেদ
মিশকাত হাদিস নং-৪৩০
PMMRC হাদিস নং-৩২১৮
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেন : যখন তোমাদের কেউ স্ত্রীলোকের চার শাখার (দুই হাত দুই পা) মাঝখানে
বসে সঙ্গমে রত হয় তখন তার উপর গোসল করা ফার্য হয়ে যায়, যদিও বীর্যপাত না হয়। [১]
[১] সহীহ : মুসলিম ৩৪৮, বুখারী ৩৪৮।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৪৩১
PMMRC হাদিস নং-৩২১৯
আবূ সা‘ঈদ আল্ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেন : পানিতেই পানির প্রয়োজন, অর্থাৎ বীর্যপাত ছাড়া গোসল ফার্য নয়।
[১]
ইমাম মুহ্য়িয়ুস্ সুন্নাহ্ বলেন, এ হুকুম
রহিত হয়ে গেছে।
[১] সহীহ : মুসলিম ৩৪৩।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৪৩২
PMMRC হাদিস নং-৩২২০
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
“পানি পানি হতে” এ হুকুম হল স্বপ্নদোষের জন্য।
[১] আমি এ হাদীস বুখারী ও মুসলিমে পাইনি।
[১] য‘ঈফ : তিরমিযী ১১২। তবে ِفى
الْإِحْتِلَامِ
অংশটুকু ব্যতীত বাকীটুকু সহীহ সূত্রে প্রমাণিত।
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
মিশকাত হাদিস নং-৪৩৩
PMMRC হাদিস নং-৩২২১
উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদিন (আনাস-এর মা) উম্মু সুলায়ম
(রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আল্লাহ তা‘আলা হাক্ব কথা বলতে লজ্জাবোধ করেন না। স্ত্রীলোকের
স্বপ্নপদোষের কারণে তার উপর কি গোসল ফার্য হয়? তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
উত্তরে বললেন : হাঁ, যদি (ঘুম থেকে জেগে উঠে) বীর্য দেখে। এ উত্তর শুনে উম্মু সালামাহ্
(রাঃ) (লজ্জায়) স্বীয় মুখ ঢেকে ফেললেন এবং বললেন, হে আল্লাহর রসূল! স্ত্রীলোকেরও আবার
স্বপ্নদোষ হয় (পুরুষের ন্যায় বীর্যপাত হয়)। উত্তরে তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বললেন, হাঁ। কি আশ্চর্য! (তা না হলে) তার সন্তান তার সদৃশ হয় কিভাবে? [১]
[১] সহীহ : বুখারী ১৩০, মুসলিম ৩১৩।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৪৩৪
PMMRC হাদিস নং-৩২২২
ইমাম মুসলিম (রহঃ) উম্মু সুলায়ম (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
কিন্তু ইমাম মুসলিম উম্মু সুলায়ম-এর বর্ণনায়
এ কথাগুলো বেশী বলেছেন, তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ কথাও বলেছেন যে,
সাধারণত পুরুষের বীর্য গাঢ় ও সাদা। স্ত্রীলোকের বীর্য পাতলা ও হলদে। উভয়ের বীর্যের
মধ্যে যেটিই জয়ী হয়, অর্থাৎ- যে বীর্য আগে গর্ভাশয়ে প্রবেশ করে সন্তান তার সাদৃশ্য
হয়।।[১]
[১] সহীহ : মুসলিম ৩১১।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৪৩৫
PMMRC হাদিস নং-৩২২৩
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) পবিত্রতার জন্য ফার্য গোসল করার সময় প্রথমে (কব্জি পর্যন্ত) দুই হাত
ধুতেন। এরপর সলাতের উযূর মত উযূ করতেন। অতঃপর আঙ্গুলগুলো পানিতে ডুবিয়ে তা দিয়ে মাথার
চুলের গোড়া খিলাল করতেন। অতঃপর মাথার উপর তিন অঞ্জলি পানি ঢালতেন, তারপর শরীরের সর্বাঙ্গ
পানি দিয়ে ভিজাতেন। [১]
কিন্তু ইমাম মুসলিমের অপর বর্ণনায় আছে, রসূল
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পাত্রে হাত ডুবিয়ে দেয়ার আগে কব্জি পর্যন্ত হাত
ধুতেন। তারপর ডান হাত দিয়ে বাম হাতের তালুতে পানি ঢেলে লজ্জাস্থান ধুতেন, অতঃপর উযূ
করতেন।
[১] সহীহ : বুখারী ২৪৮, মুসলিম ৩১৬।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৪৩৬
PMMRC হাদিস নং-৩২২৪
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, (আমার খালা উম্মুল মু’মিনীন) মায়মূনাহ্
(রাঃ) বলেছেন, আমি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর গোসলের জন্য পানি রাখলাম
এবং কাপড় দিয়ে পর্দা করে দিলাম। প্রথমে তিনি দুই হাতের উপর পানি ঢাললেন এবং কব্জি পর্যন্ত
হাত ধুয়ে নিলেন। তারপর ডান হাত দিয়ে বাম হাতে কিছু পানি নিয়ে তা দিয়ে লজ্জাস্থান ধুলেন।
তারপর মাটিতে হাত ঘষে তা মুছে নিলেন। তারপর নিয়ম মত হাত ধুলেন। এরপর মাথার উপর পানি
ঢাললেন। সমস্ত শরীর পানি দিয়ে ভিজালেন। তারপর নিজ স্থান হতে একটু সরে গিয়ে পা ধুলেন।
আমি (শরীরের পানি মুছে ফেলার জন্য) তাঁকে কাপড় দিলাম। কিন্তু তিনি তা নিলেন না, দুই
হাত ঝাড়তে ঝাড়তে চলে গেলেন। [১]
[১] সহীহ : বুখারী ২৭৬, মুসলিম ৩১৭; শব্দবিন্যাস
বুখারীর।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৪৩৭
PMMRC হাদিস নং-৩২২৫
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক আনসার মহিলা নাবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর নিকট এসে হায়যের গোসল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করল। কীভাবে গোসল
করতে হবে তিনি তাকে সে ব্যাপারে জানিয়ে দিলেন। তারপর বললেন, মিস্কের সুগন্ধিযুক্ত একখন্ড
কাপড় নিয়ে তা দিয়ে ভালভাবে পাক-পবিত্রতা অর্জন করবে। মহিলাটি বলল, আমি কীভাবে তা দ্বারা
পবিত্রতা অর্জন করব? তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তুমি তা দ্বারা
পবিত্রতা অর্জন করবে। সে আবার বলল, আমি তা দ্বারা কীভাবে পবিত্রতা অর্জন করব? তিনি
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, সুব্হানাল্লাহ (এটাও বুঝলে না)! তা দ্বারা
পবিত্রতা লাভ করবে।‘আয়িশাহ্ (রা:) বললেন, তখন আমি তাকে আমার দিকে টেনে আনলাম এবং (চুপিসারে)
বললাম, রক্তক্ষরণের পর তা দ্বারা (গুপ্তাঙ্গের ভিতরের অংশ) মুছে নিবে (এতে দুর্গন্ধ
দূর হবে)। [১]
[১] সহীহ : বুখারী ৩১৪, মুসলিম ৩৩২।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৪৩৮
PMMRC হাদিস নং-৩২২৬
উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বললাম, হে আল্লাহর রসূল!, আমি এমন এক মহিলা যে, আমার মাথার
চুলের বেণী বেশ শক্ত করে বাঁধি। পবিত্রতা অর্জনের জন্য ফারয্ গোসলের সময় আমি কি তা
খুলে ফেলব? তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, না খুলবে না। তুমি তোমার
মাথার উপর তিন অঞ্জলি পানি ঢেলে দিবে। এটাই তোমার জন্য যথেষ্টঃ তারপর তুমি তোমার সর্বাঙ্গে
পানি ঢেলে নিবে ও পবিত্রতা অর্জন করবে। [১]
[১] সহীহ : মুসলিম ৩৩০।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৪৩৯
PMMRC হাদিস নং-৩২২৭
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) এক মুদ্দ পানি নিয়ে উযু করতেন এবং এক সা’ থেকে পাঁচ মুদ্দ পর্যন্ত পানি দিয়ে
গোসল করতেন। [১]
[১] সহীহ : বুখারী ২০১, মুসলিম ৩২৫।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৪৪০
PMMRC হাদিস নং-৩২২৮
মহিলা তাবি’ঈ মু’আযাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘আয়িশাহ (রা:) বলেছেন, আমি ও রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার ও তাঁর মাঝখানে রাখা একটি পাত্র হতে পানি
নিয়ে একসাথে (পবিত্রতার) গোসল করতাম। তিনি খুব তারাতারি করে আমার আগে পানি উঠিয়ে নিতেন।
আর আমি তখন বলতে থাকতাম, আমার জন্য কিছু রাখুন, আমার জন্য কিছু রাখুন। মু’আযাহ্ (রহঃ)
বলেন, তখন তারা উভয়ে নাপাক অবস্থায় থাকতেন। [১]
[১] সহীহ : বুখারী ২৬১, মুসলিম ৩২১; শব্দবিন্যাস
মুসলিমের।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছদঃ ৫.
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
মিশকাত হাদিস নং-৪৪১
PMMRC হাদিস নং-৩২২৯
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) –কে জিজ্ঞেস করা হল, কোন পুরুষ লোক (ঘুম থেকে জেগে শুক্রের) আদ্রতা পেল,
অথচ স্বপ্নদোষের কথা তার মনে পড়ছে না। তখন সে কী করবে? তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বললেন, সে (ফারয) গোসল করবে। অপরদিকে কোন পুরুষের স্মরণ আছে তার স্বপ্নদোষ
হয়েছে অথচ (কাপড়ে শুক্রের) কোন আদ্রতা সে খুঁজে পাচ্ছে না, (তখন সে কী করবে?) তিনি
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জবাবে বললেন, তাকে (ফারয) গোসল করতে হবে না। উম্মু
সুলায়ম (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, কোন স্ত্রীলোক যদি এরূপ দেখে তার উপরও কি গোসল ফারয হবে?
তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, স্ত্রীলোকরাও পুরুষের মতো। [১]
দারিমী ও ইবনু মাজাহ “তাকে গোসল করতে হবে না”
পর্যন্ত বর্ণনা করেছেন।
[১] সহীহ : আবূ দাঊদ ২৩৬, তিরমিযী ১১৩, দারিমী
৭৬৫, ইবনু মাজাহ ৬১২। তবে ইবনু মাজাহর لَا
غُسْلَ
عَلَيْهِ
অতিরিক্ত অংশটুকু দুর্বল। কারণ এ অংশটুকুর রাবী ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) আল ‘উমরী আল মুক্কাব্বার
সৃষ্টিশক্তিজনিত কারণে দুর্বল।
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
মিশকাত হাদিস নং-৪৪২
PMMRC হাদিস নং-৩২৩০
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ পুরুষের খাতনার জায়গা মহিলার খাতনার জায়গা অতিক্রম করলেই গোসল
করা ফারয হয়ে যাবে। তিনি [‘আয়িশাহ্ (রাঃ)] বলেন, আমি ও রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) তা করেছি, তারপর দু’জনেই গোসল করেছি। [৪৬৩] [১]
[১] সহীহ : তিরমিযী ১০৮, ইবনু মাজাহ্ ৬০৮।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৪৪৩
PMMRC হাদিস নং-৩২৩১
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ শরীরের প্রত্যেক পশমীর গোড়ায় নাপাকী থাকে। সুতরাং শরীরের পশমগুলোকে
ভালভাবে ধুবে এবং চামড়াকে উত্তমভাবে পরিষ্কার করবে। [৪৬৪]
ইমাম তিরমিযী বলেছেন এ হাদীসটি গরীব। এর রাবী
হারিস ইবনু ওয়াজীহ তেমন গ্রহনযোগ্য নন।
[১] [১] য‘ঈফ: আবূ দাঊদ ২৪৮, তিরমিযী ১০৬,
ইবনু মাজাহ্ ৫৯৭, য‘ঈফুল জামি‘ ১৮৪৭। কারণ এর সানাদে হারিস ইবনু ওয়াজীহ নামে একজন দুর্বল
রাবী রয়েছে।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৪৪৪
PMMRC হাদিস নং-৩২৩২
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক নাপাকীর এক চুল পরিমাণও ছেড়ে দিবে এবং তা ধুবে না তাকে
এভাবে এভাবে জাহান্নামে ‘আযাব দেয়া হবে। ‘আলী (রাঃ) বললেন, সেদিন হতে আমি আমার মাথার
সাথে শত্রুতা করছি। সেদিন হতে আমি আমার মাথার সাথে শত্রুতা করেছি। সেদিন হতে আমি আমার
মাথার সাথে শত্রুতা করে আসছি- এরূপ তিনবার বললেন। [৪৬৫]
কিন্তু আহমাদ ও দারিমী “সে হতেই আমি আমার মাথার
সাথে শত্রুতা করছি” বাক্যটি তিনবার বলেননি।
[১] [১] য‘ঈফ : আবূ দাঊদ ২৪৯, আহমাদ ৭২৯, দারিমী
৭৫১, সিলসিলাহ্ আয্ য‘ঈফাহ্ ৯৩০। কারণ এটি ‘আত্বা ইবনুস সায়িব হতে হাম্মাদ ইবনু সালামাহ্-এর
বর্ণনা। আর তিনি (হাম্মাদ) ‘আত্বার কাছ থেকে তার মুখস্থ শক্তির ত্রুটির অবস্থায় হাদীস
শ্রবণ করেছেন। এজন্য ইমাম নাবাবী (রহঃ) হাদীসটিকে য‘ঈফ বলেছেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৪৪৫
PMMRC হাদিস নং-৩২৩৩
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) গোসলের পর (সলাত বা অন্যান্য ইবাদাতের জন্য নতুন করে) উযূ করতেন না। [১]
[১] সহীহ : আবূ দাঊদ ২৫০, তিরমিযী ১০৭, নাসায়ী
২৫২, ইবনু মাজাহ্ ৫৭৯।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৪৪৬
PMMRC হাদিস নং-৩২৩৪
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) ফারয গোসলের সময় খিত্বমী দিয়ে নিজের মাথা ধুতেন, অথচ তিনি নাপাক ছিলেন। খিতমী
দিয়ে ধৌত করাকেই যথেষ্ট মনে করতেন। মাথায় পানি ঢালতেন না। [১]
[১] য‘ঈফ: আবূ দাঊদ ২৫৬। কারণ এর সানাদে একজন
অপরিচিত রাবী রয়েছে।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৪৪৭
PMMRC হাদিস নং-৩২৩৫
ইয়া‘লা [ইবনু মুররাহ্] (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) এক ব্যক্তিকে উলঙ্গ উন্মুক্ত জায়গায় গোসল করতে দেখলেন এবং (রাগভরে) তিনি
মিম্বরে দাঁড়ালেন । প্রথমে আল্লাহর প্রসংশা করলেন, এরপর বলেনঃ আল্লাহ তা’আলা বড় লজ্জাশীল
ও পর্দাশীল । তিনি লজ্জাশীলতা ও পর্দা করাকে বেশী পছন্দ করেন । তাই তোমাদের কেউ গোসল
করতে গেলে যেন পর্দা অবলম্বন করে। [১]
নাসায়ীর এক বর্ণনায় আছে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা বড় পর্দাশীল । অতএব তোমাদের কেউ
গোসল করতে ইচ্ছে করলে সে যেন কোন কিছু দিয়ে পর্দা করে নেয় ।
[১] সহীহ: আবূ দাঊদ ৪০১২, নাসায়ী ১/৭০, আহমাদ
৪/২২৪।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছদঃ ৫.
তৃতীয় অনুচ্ছেদ
মিশকাত হাদিস নং-৪৪৮
PMMRC হাদিস নং-৩২৩৬
উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, “বীর্যখলন হলেই গোসল ফরয হয়”-এ
হুকুম ইসলামের প্রাথমিক অবস্থায় ছিল। এরপর তা বাতিল করে দেয়া হয়েছে। [১]
[১] সহীহ : তিরমিযী ১১০, আবূ দাঊদ ২১৪, দারিমী
৭৫৯।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৪৪৯
PMMRC হাদিস নং-৩২৩৭
‘আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট এসে বলল, আমি ফরয গোসল করেছি এবং ফজরের সলাত আদায় করেছি,
এরপর আমি দেখলাম শরীরে নখ পরিমাণ পানি জায়গায় পানি পৌঁছনি। রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তুমি যদি এ শুকনা জায়গাটা হাত দিয়ে মুছে নিতে তাহলে তোমার
জন্য সেটাই যথেষ্ট হত। [১] [১] য‘ঈফ : ইবনু মাজাহ্ ৬৬৪। কারণ এর সানাদে মুহাম্মাদ বিন
‘আবদুল্লাহ নামে দুর্বল রাবী রয়েছে।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৪৫০
PMMRC হাদিস নং-৩২৩৮
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, প্রথমে সলাত ফরয ছিল পঞ্চাশ ওয়াক্ত।
পবিত্রতার গোসল ছিল সাতবার এবং প্রসাবের কাপড় ধোয়া ছিল সাতবার। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর দরবারে আবেদন করতে থাকেন, অবশেষে সলাত ফরয করা হয় পাঁচ
ওয়াক্ত, পবিত্রতার গোসল ফরয করা হয় একবার। এবং প্রসাব হতে কাপড় ধোয়া ফরয করা হয় একবার।
[১]
[১] য‘ঈফ : আবূ দাঊদ ২৪৭। কারণ এর সানাদে আইয়ূব
বিন জাবির (রাঃ) রয়েছে, যিনি ভিত্তিহীন হাদীস বর্ণনা করেন এবং আইয়ুব বিন উস্ম মতবিরোধপূর্ণ
রাবী।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
পরিচ্ছদঃ ৬.
প্রথম অনুচ্ছেদ
মিশকাত হাদিস নং-৪৫১
PMMRC হাদিস নং-৩২৩৯
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমার সাথে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দেখা হল। আমি তখন (বীর্যপাতের কারনে) নাপাক ছিলাম। তিনি আমার
হাত ধরলেন এবং আমি তার সাথে চলতে থাকলাম যে পর্যন্ত না তিনি বসলেন। তখন আমি চুপিসারে
সরে পড়লাম এবং যথাস্থানে এসে গোসল করে নিলাম। অতঃপর আবার তাঁর কাছে চলে গেলাম। তিনি
তখনো সেখানে বসা আছেন। তিনি বললেন, তুমি কোথায় ছিলে হে আবূ হুরাইরাহ্। আমি (সম্পূর্ণ)
বিষয়টি তাঁর কাছে (খুলে) বললাম। তিনি বললেন, সুবহানাল্লাহ মু‘মিন (কখনো) অপবিত্র হয়
না।
এটা বুখারী (২৮৫ হাঃ)-এর বর্ণনা। অনুরুপ অর্থবোধক
হাদীস মুসলিমও বর্ণনা করেছেন এবং বুখারীর কথার পর তার বর্ণনায় এ কথাও আছে আমি উত্তরে
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বললাম যখন আমার সাথে আপনার দেখা
হল তখন আমি নাপাক ছিলাম। তাই গোসল না করে আপনার সাথে বসাটা ঠিক মনে করলাম না। বুখারীর
আর একটি বর্ণনাও এভাবে এসেছে।
[১] [১] সহীহ : বুখারী ২৮৫, মুসলিম ৩৭১।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৪৫২
PMMRC হাদিস নং-৩২৪০
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘উমার (রাঃ) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে জিজ্ঞেস করে বললেন, (কোন সময়) রাতে তার নাপাকী হয়ে
গেলে (তৎক্ষণাৎ তার কী করা উচিৎ)? রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন,
তখন তুমি ওযু করবে, তোমার গুপ্তাঙ্গ ধুয়ে নিবে, অতঃপর ঘুমাবে। [১]
[১] সহীহ : বুখারী ২৯০, মুসলিম ৩০৬।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৪৫৩
PMMRC হাদিস নং-৩২৪১
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) নাপাক অবস্থায় ঘুমাতেন অথবা কিছু খাওয়ার ইচ্ছে করলে তখন সলাতের ওযূর মতো ওযূ
করতেন। [১]
[১] সহীহ : বুখারী ২৮৮, মুসলিম ৩০৫; শব্দবিন্যাস
মুসলিমের।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৪৫৪
PMMRC হাদিস নং-৩২৪২
আবূ সা‘ঈদ আল্ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ তার স্ত্রীর সাথে যৌন সঙ্গম করার পর আবারো যদি সঙ্গম
করতে চায়, তাহলে সে যেন মধ্যখানে (সলাতের ওযূর মত) ওযূ করে নেয়। [১]
[১] সহীহ : মুসলিম ৩০৮।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৪৫৫
PMMRC হাদিস নং-৩২৪৩
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) তাঁর স্ত্রীদের নিকট যেতেন একই গোসলে। (অর্থাৎ মধ্যখানে শুধু ওযূ করতেন, গোসল
করতেন না)। [১]
[১] সহীহ : মুসলিম ৩০৯
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৪৫৬
PMMRC হাদিস নং-৩২৪৪
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) সবসময় আল্লাহর স্মরনে মগ্ন থাকতেন। [১] ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)- এর হাদীস, যা
মাসাবীহের সংকলক এখানে বর্ণনা করেছেন, আমি কিতাবুল আত্ব‘ইমাতে বর্ণনা করব ইনশা-আল্লা-হ।
[১] সহীহ : মুসলিম ৩৭৩।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছদঃ ৬.
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
মিশকাত হাদিস নং-৪৫৭
PMMRC হাদিস নং-৩২৪৫
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-এর কোন এক স্ত্রী (মায়মূনাহ্) একটি গামলাতে পানি নিয়ে গোসল করলেন। এ গামলার
পানি দিয়ে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উযূ করতে চাইলে পবিত্র স্ত্রী
বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আমি তো নাপাক ছিলাম (আমি তো এর থেকে পানি উঠিয়ে গোসল করেছি)।
তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, পানি তো নাপাক হয় না। দারিমীও এরূপই
বর্ণনা করেছেন। [১]
[১] সহীহ : আবূ দাঊদ ৬৮, তিরমিযী ৬৫, ইবনু
মাজাহ্ ৩৭০,দারিমী ৭৩৪।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৪৫৮
PMMRC হাদিস নং-৩২৪৬
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আর শারহে সুন্নাহতেও ইবনু ‘আব্বাস থেকে মায়মূনাহ্-এর
সূত্রে মাসাবীহ-এর শব্দে বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
মিশকাত হাদিস নং-৪৫৯
PMMRC হাদিস নং-৩২৪৭
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) নাপাকীর পর গোসল করতেন। অতঃপর আমার গোসল করার পূর্বে আমাকে জড়িয়ে ধরে
শরীরের গরম অনুভব করতেন। [১]
ইমাম তিরমিযীও এরূপই বর্ণনা করেছেন, আর শারহু
সুন্নাহতেও মাসাবীহর শব্দে বর্ণনা করা হয়েছে।
[১] য‘ঈফ : ইবনু মাজাহ্ ৫৮০। কারণ এর সানাদে
হুরায়স থেকে শরীক-এর বর্ণনা রয়েছে। আর শরীক ইবনু ‘আবদুল্লাহআল ক্বযী খারাপ স্মৃতিশক্তিজনিত
কারণে ত্রুটিপূর্ণ হলেও ওয়াকী‘ তার মুতাবায়াত করায় সে ত্রুটি দূরীভূত হয়েছে। কিন্তু
হুরায়স ইবনু আবূ মাত্বার দুর্বল রাবী যাকে ইমাম বুখারী ও ইমাম নাসায়ী পরিত্যাগ করেছেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৪৬০
PMMRC হাদিস নং-৩২৪৮
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) পায়খানা হতে বেরিয়ে (উযূ করার আগে) আমাদেরকে কুরআন মাজীদ পড়াতেন এবং আমাদের
সাথে গোশ্ত খেতেন। নাপাকী ব্যতীত কোন কিছু তাঁকে কুরআন তিলাওয়াত হতে ফিরিয়ে রাখতে
পারত না। [১] ইবনু মাজাহ অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
1] য‘ঈফ : আবূ দাঊদ ২২৯, নাসায়ী ২৬৫, ইবনু
মাজাহ ৫৯৪। কারণ এর সানাদে ‘আবদুল্লাহ বিন সালিমাহ্ নামে একজন মতভেদপূর্ণ রাবী রয়েছে।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৪৬১
PMMRC হাদিস নং-৩২৪৯
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ঋতুবতী স্ত্রীলোক ও নাপাক ব্যক্তি কুরআন মাজীদের কিয়দংশও পড়তে
পারবে না। [১]
[১] মুনকার : তিরমিযী ১৩১। কারণ ইসমা‘ঈল ইবনু
‘আইয়্যাশ এর ব্যাপারে ইমাম বুখারী (রহঃ) বলেছেন যে, সে হিজায ও ‘ইরাক্ববাসীদের থেকে
মুনকার হাদীস বর্ণনা করে। অর্থাৎ- তার তাদের থেকে বর্ণিত হাদীসগুলো মুনকার। এমনকি ইমাম
আহমাদ সেগুলোকে বাতিল বলেছেন।
হাদিসের মানঃ মুনকার
মিশকাত হাদিস নং-৪৬২
PMMRC হাদিস নং-৩২৫০
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেছেনঃ এসব ঘরের দরজা মাসজিদে নাবাবীর দিক হতে ফিরিয়ে দাও। আমি মাসজিদকে
ঋতুবতী মহিলা ও নাপাক ব্যক্তির জন্য জায়িয মনে করি না। [১]
[১] য‘ঈফ : আবূ দাঊদ ২৩২, য‘ঈফুল জামি‘ ৬১১৭।
কারণ এর সানাদে জামরাহ্ বিনতু দাজাজাহ্ নামে একজন দুর্বল রাবী রয়েছে।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৪৬৩
PMMRC হাদিস নং-৩২৫১
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ঘরে কোন ছবি বা কুকুর বা নাপাক ব্যক্তি থাকে সে ঘরে (রহমাতের)
মালাক প্রবেশ করেন না। [১]
[১] য‘ঈফ : আবূ দাঊদ ২২৭, নাসায়ী ২৬১, য‘ঈফুত্
তারগীব ১৩১। কারণ এর সানাদে গোলযোগ ও অপরিচিত রাবী রয়েছে। তবে لَا
جُنُبٌ
অংশটুকু ব্যতীত হাদীসটি সহীহ যা বুখারী মুসলিমে রয়েছে।
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
মিশকাত হাদিস নং-৪৬৪
PMMRC হাদিস নং-৩২৫২
আম্মার ইবনু ইয়াসির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ এমন তিন ব্যক্তি আছে, মালায়িকাহ্ যাদের ধারে কাছেও যান না-(১)
কাফিরের মৃতদেহ (২) খালূক্ব ব্যবহারকারী ও (৩) নাপাক ব্যক্তি, উযূ না করা পর্যন্ত।
[১]
[১] হাসান লিগয়রিহী : আবূ দাঊদ ৪১৮০, সহীহুত্
তারগীব ১৭৩।
হাদিসের মানঃ হাসান লিগাইরিহি
মিশকাত হাদিস নং-৪৬৫
PMMRC হাদিস নং-৩২৫৩
আবদুল্লাহ ইবনু আবূ বাকর ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু
‘আমর ইবনু হাযম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) ‘আম্র ইবনু হায্ম-এর কাছে যে চিঠি লিখেছেন তাতে এ কথাও লেখা ছিল যে,
পবিত্র লোক ছাড়া যেন কোন ব্যক্তি কুরআন স্পর্শ না করে। [১]
[১] সহীহ : মালিক ৪৬৮, দারাকুত্বনী, সহীহুল
জামি‘ ৭৭৮০।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৪৬৬
PMMRC হাদিস নং-৩২৫৪
নাফি‘ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ইবনু ‘উমার কোন কাজে গেলে আমিও
তার সাথে গেলাম। তিনি তাঁর কাজ শেষ করলেন। সেদিন তাঁর কথার মধ্যে এ কথাটি ছিল, তিনি
বললেন, এক ব্যক্তি কোন একটি গলি দিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) প্রস্রাব বা পায়খানা সেরে বের হলেন। ঐ লোকটির সাথে তাঁর (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দেখা হলে সে সালাম দিল। কিন্তু তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) তার সালামের উত্তর দিলেন না। লোকটি যখন অন্য গলির দিকে মোড় নিচ্ছিল, তিনি
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (তায়াম্মুম করার জন্য) দেওয়ালে দুই হাত মেরে মুখমণ্ডলে
মাসেহ করলেন। অতঃপর আবার দেওয়ালে হাত মেরে কনুইসহ দু’হাত মাসাহ করলেন (অর্থাৎ তায়াম্মুম
করলেন)। এরপর লোকটির সালামের উত্তর দিলেন এবং বললেন, তোমাকে সালামের উত্তর দিতে পারিনি।
কারণ আমি বে-উযূ ছিলাম, এটাই ছিল (তোমার সালামের উত্তর দিতে আমার) বাধা। [১]
[১] য‘ঈফ : আবূ দাঊদ ৩৩০। ইমাম আবূ দাঊদ বলেন,
মুহাম্মাদ ইবনু সাবিত তায়াম্মুম বিষয়ে দুর্বল হাদীস বর্ণনা করেছে। আর তিনি দুর্বল।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৪৬৭
PMMRC হাদিস নং-৩২৫৫
মুহাজির ইবনু কুনফুয (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এলেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তখন প্রস্রাব
করছিলেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে সালাম দিলেন। কিন্তু তিনি (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (প্রস্রাবের পর) যে পর্যন্ত না উযু করলেন তার সালামের কোন উত্তর
দিলেন না। এরপর তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ওজর পেশ করে বললেন, উযু না
করে আমি আল্লাহর নাম নেয়া পছন্দ করিনি (এ কারনেই তোমার সালামের উত্তর দেইনি)। [১]
ইমাম নাসায়ীও এ হাদিসটি বর্ণনা করেছেন, “যে
পর্যন্ত উযু না করলেন” বাক্য পর্যন্ত। ওজর পেশ করার কথা তিনি বলেননি। তার স্থানে বর্ণনা
করেছেন, যখন উযু করলেন, তার সালামের উত্তর দিলেন। [2]
[১] সহীহ : আবূ দাঊদ ১৭, সিলসিলাহ্ আস্ সহীহাহ্
৮৩৪।
[2] নাসায়ী ৩৮।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছদঃ ৬.
তৃতীয় অনুচ্ছেদ
মিশকাত হাদিস নং-৪৬৮
PMMRC হাদিস নং-৩২৫৬
উম্মুল মু’মিনীন উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) (আমার বিছানায়) নাপাক হয়ে যেতেন, অতঃপর ঘুমাতেন, আবার জাগতেন, আবার ঘুমাতেন।
[১]
[১] য‘ঈফ : আহমাদ ২৬০১২।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৪৬৯
PMMRC হাদিস নং-৩২৫৭
শু‘বাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) নাপাক হলে যখন
গোসল করতেন তখন প্রথমে ডান হাত দিয়ে বাম হাতের উপর সাতবার পানি ঢালতেন, তারপর স্বীয়
লজ্জাস্থান ধুতেন। একবার তিনি কতবার পানি ঢেলেছেন ভুলে গেলে আমাকে জিজ্ঞেস করলেন। আমি
বললাম, আমার স্মরণ নেই। তিনি বললেন, তোমার মায়ের মৃত্যু হোক। স্মরণ রাখতে কে তোমাকে
বাধা দিয়েছিল? তারপর তিনি সালাতের উযুর মত উযু করে নিজের সারা শরীরে পানি ঢাললেন এবং
বললেন, এভাবে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পবিত্রতা লাভ করতেন।
[১]
[১] য‘ঈফ : আবূ দাঊদ ২৪৬। কারণ শু‘বাহ্ সর্বসম্মতক্রমে
দুর্বল রাবী।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৪৭০
PMMRC হাদিস নং-৩২৫৮
আবূ রাফি‘ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সকল স্ত্রীর নিকট ঘুরে বেড়ালেন। তিনি এর নিকট একবার, তার
নিকট একবার গোসল করলেন। আবু রাফি’ (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রসুল! সবশেষে
একবারই মাত্র কেন গোসল করলেন না? তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, প্রত্যেকবার
গোসল করা হচ্ছে বেশী পবিত্রতা, বেশী আনন্দদায়ক ও বেশী পরিচ্ছন্নতা। [১]
[১] হাসান : আবূ দাঊদ ২১৯, আহমাদ ২৩৩৫০।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৪৭১
PMMRC হাদিস নং-৩২৫৯
হাকাম ইবনু ‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
মহিলাদের উযুর (গোসলের পর) অবশিষ্ট পানি দিয়ে উযু করতে পুরুষদেরকে নিষেধ করেছেন। [১]
তিরমিযী এ শব্দগুলো বেশি ব্যবহার করেছেন যে,
“তিনি নিষেধ করেছেন যে, মহিলাদের উযুর অবশিষ্ট পানি দিয়ে”। তিরমিযী আরও বলেছেন যে,
এ হাদীসটি হাসান ও সহীহ।
[১] সহীহ : আবূ দাঊদ ৮২, ইবনু মাজাহ্ ৩৭৩,
তিরমিযী ৬৪, ইরওয়া ১১।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৪৭২
PMMRC হাদিস নং-৩২৬০
হুমায়দ আল হিম্ইয়ারী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি এক ব্যক্তির সাক্ষাৎ পেলাম,
যিনি চার বছর পর্যন্ত রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাহচর্য লাভ
করেছিলেন, যেমন আবু হুরায়রাহ্ (রাঃ) তাঁর সাহচর্য লাভ করেছিলেন। তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিষেধ করেছেন পুরুষের অবশিষ্ট পানি দিয়ে স্ত্রীলোকদের
গোসল করতে এবং স্ত্রীলোকদের অবশিষ্ট পানি দিয়ে পুরুষের গোসল করতে। পরবর্তী রাবী মুসাদ্দাদ
এ কথা অতিরিক্ত বলেছেন, বরং উভয়েই যেন একই সাথে অঞ্জলি ভরে গোসল করে। [১]
ইমাম আহমাদ প্রথম দিকে এ কথা বৃদ্ধি করেছেন,
আমাদের প্রত্যেক দিন চুল আঁচড়াতে ও গোসলের জায়গায় প্রসাব করতে তিনি (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিষেধ করেছেন। [2]
[১] সহীহ : আবূ দাঊদ ৮১, নাসায়ী ২৩৮।
[2] সহীহ : আহমাদ ১৬৫৬৪, সহীহুত্ তারগীব ১৫৪।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৪৭৩
PMMRC হাদিস নং-৩২৬১
‘আব্দুল্লাহ ইবনু সারজিস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ইবনু মাজাহ্ এ হাদীস বর্ণনা করেছেন ‘আব্দুল্লাহ
ইবনু সারজিস (রাঃ) হতে।
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
পরিচ্ছদঃ ৭.
প্রথম অনুচ্ছেদ
মিশকাত হাদিস নং-৪৭৪
PMMRC হাদিস নং-৩২৬২
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমাদের কেউ যেন (বহমান নয় এমন) বদ্ধ পানিতে প্রসাব না করে। অতঃপর
এতে গোসল করে। [১]
মুসলিমের অপর বর্ণনায় আছে, রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমাদের কেউ যেন বদ্ধ পানিতে নাপাক অবস্থায় গোসল না করে।
লোকেরা জিজ্ঞেস করল, সে কিভাবে করবে, হে আবু হুরায়রাহ্? তিনি বললেন, সে তা থেকে পানি
উঠিয়ে নিয়ে গোসল করবে। [2]
[১] সহীহ : বুখারী ২৩৯, মুসলিম ২৮২।
[2] সহীহ : মুসলিম ২৮৩।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৪৭৫
PMMRC হাদিস নং-৩২৬৩
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বদ্ধ পানিতে প্রসাব করতে নিষেধ করেছেন। [১]
[১] সহীহ : মুসলিম ২৮১।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৪৭৬
PMMRC হাদিস নং-৩২৬৪
সায়িব ইবনু ইয়াযীদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমার খালা আমাকে নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে নিয়ে গেলেন এবং বললেন, হে আল্লাহর রসুল! আমার এ বোনপুত্র
অসুস্থ। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার মাথায় হাত বুলালেন এবং আমার
জন্য বারাকাতের দু’আ করলেন। তারপর তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উযু করলেন।
আমি তাঁর উযুর পানি (কিছু) পান করলাম। অতঃপর আমি তাঁর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
এর পিছনে দাড়িয়ে তাঁর দুই কাঁধের মধ্যে মশারীর বা পর্দার ঘণ্টির মতো ’মুহুরে নবুওয়াত’
দেখতে লাগলাম। [১]
[১] সহীহ : বুখারী ১৯০, মুসলিম ২৩৪৫।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছদঃ ৭.
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
মিশকাত হাদিস নং-৪৭৭
PMMRC হাদিস নং-৩২৬৫
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) -কে মাঠে-ময়দানের (জমে থাকা) পানি সম্পর্কে জিজ্ঞাস করা হল। সেখানে বিভিন্ন
জাতের জীব - জন্তু ও হিংস্র প্রানী এসে পানি পান করে থাকে (এসব পানি কি পাক-পবিত্র?)
তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, দুই কুল্লা পরিমান পানি হলে তা নাপাক
হয় না। [১]
আবূ দাউদ -এর এর এক বর্ণনার শব্দ হল, ''এ পানি
নাপাক হয় না।''
[১] সহীহ : আহমাদ ৪৯৪১, আবূ দাঊদ ৬৩, ৬৫, তিরমিযী
৬৭, নাসায়ী ৫২, ইবনু মাজাহ্ ৫১৭, ইরওয়া ২৩।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৪৭৮
PMMRC হাদিস নং-৩২৬৬
আবূ সা‘ঈদ আল্ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, (রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) -কে একদিন) জিজ্ঞেস করা হলঃ হে আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)! আমরা কি ''বুযা - আহ্'' কূপের পানি দিয়ে উযূ করতে পারি? কেননা এ কূপটিতে
হায়যের নেকড়া, মরা কুকুর ও বিভিন্ন ধরনের দুর্গন্ধময় আবর্জনা ফেলা হয়। উত্তরে রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, পানি পবিত্র। কোন জিনিসই সেটাকে নাপাক করতে
পারে না। [১]
[১] সহীহ : আহমাদ ২১০১, আবূ দাঊদ ৬৬, তিরমিযী
৬৬, নাসায়ী ৩২৬, ইরওয়া ১৪।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৪৭৯
PMMRC হাদিস নং-৩২৬৭
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)! আমরা সমুদ্র ভ্রমণে যাই এবং সাথে কিছু মিঠা পানি নিয়ে যাই। তাই এই পানি দিয়ে
ওযু করলে খাবার পানির অভাবে আমরা তৃষ্ণার্ত হয়ে পরি। এ অবস্থায় আমরা কি সমুদ্রের (লবানাক্ত)
পানী দিয়ে ওজু করতে পারি? তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উত্তর
দিলেন সমুদ্রের পানি পবিত্র এবং এর মৃত জীবও হালাল। [১]
[১] সহীহ : মালিক ৪৩, আবূ দাঊদ ৮৩, তিরমিযী
৬৯, নাসায়ী ৫৯, ইবনু মাজাহ্ ৩৮৬, দারিমী ৭২৮, সিলসিলাহ্ আস্ সহীহাহ্ ৪৮০।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৪৮০
PMMRC হাদিস নং-৩২৬৮
আবূ যায়দ (রহঃ) ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস্‘ঊদ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
‘জিনের রাতে’ তাকে জিঞ্জেস করলেন, তোমার ‘মশকে’ কি আছে? আমি বললাম, ‘নাবীয’। তিনি
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, খেজুর পাক পানিও পবিত্রকারী। আহমাদ ও তিরমিযী
শেষের দিকে বৃদ্ধি করে বলেছেন, এরপর তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা দিয়ে
উযু করলেন। [১] তিরমিযী বলেন, আবূ যায়দ একজন মাজহুল (অপরিচিত) লোক।
[১] য‘ঈফ : আবূ দাঊদ ৮৪, তিরমিযী ৮৮, ইবনু
মাজাহ্ ৩৮৪। কারণ এর সানাদে আবূ যায়দ নামে একজন মাজহূল বা অপরিচিত রাবী রয়েছে।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৪৮১
PMMRC হাদিস নং-৩২৬৯
সাহীহ সুত্রে ইব্নু মা্’উদ (রাঃ)–এর অপর
ছাত্র ‘আলকামাহ্ থেকে বর্ণিতঃ
‘আবদুল্লাহ ইব্নু মাস্’উদ (রাঃ) বর্ণনা করেন,
‘আমি জিনের রাতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর সাথে ছিলাম না।
[৫০৩] [১]
[১] সহীহ : মুসলিম ৪৫০।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৪৮২
PMMRC হাদিস নং-৩২৭০
কাবশাহ্ বিনতু কা‘ব ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি ছিলেন আবূ ক্বাতাদাহ্ (রাঃ) এর পুত্রবধূ।
আবূ ক্বাতাদাহ্ (রাঃ) তার নিকট ছিলেন। তিনি তাঁর জন্য উযুর পানি ঢাললেন। একটি বিড়াল
এলো এবং উযূর পাত্র হতে পানি পান করতে লাগল। আর তিনি পাত্রটি তার জন্য কাত করে ধরলেন
যে পর্যন্ত পান করা শেষ না হল। কাবশাহ বলেন, তিনি আমার দিকে তাকিয়ে দেখলেন, আমি তাঁর
দিকে চেয়ে আছি। তিনি আমাকে বললেন, আমার ভাতিজী! তোমার কাছে আশ্চর্য লাগছে? আমি বললাম,
হ্যাঁ। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, বিড়াল
নাপাক নয়। এটা তোমাদের আশে পাশে ঘন ঘন বিচরণকারী বা বিচরণকারিণী। [১]
[১] সহীহ : মালিক ৪৪, আহমাদ ২২০৭৪, আবূ দাঊদ
৭৫, তিরমিযী ৯২, নাসায়ী ৬৮, ইবনু মাজাহ্ ৩৬৭, দারিমী ৭৩৬, ইরওয়া ১৭৩।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৪৮৩
PMMRC হাদিস নং-৩২৭১
তাবি’ঈ দাউদ ইব্নু সা-লিহ ইব্নু দীনার (রহ:)
থেকে বর্ণিতঃ
তার (মায়ের) মুক্তিদানকারিণী মুনীব একবার তার
মাকে কিছু ‘হারিসাহ্’ নিয়ে ‘আয়িশাহ্’ (রাঃ)-এর নিকট পাঠালেন। তার মা বলেন, আমি গিয়ে
তাকে সালাতরত পেলাম। তিনি তখন আমাকে (হাত নিয়ে) ইশারা করলেন, ‘তা রেখে দাও’। তখন একটি
বিড়াল এলো এবং তা হতে কিছু খেল। এরপর ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) সালাত শেষ করে বিড়ালের খাওয়া
স্থান থেকেই খেলেন এবং বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
বিড়াল নাপাক নয়। ওটা তোমাদের আশেপাশে ঘন ঘন বিচরণকারী জীব। তিনি [আয়িশাহ্ (রাঃ)] আরো
বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–কে বিড়ালের উচ্ছিষ্ট (পানি)
দিয়ে উযু করতে দেখেছি। [১]
[১] সহীহ : আবূ দাঊদ ৭৬। যদিও এর সানাদে উম্মু
দাঊদ ইবনু সালিহ অপরিচিত রাবী রয়েছে কিন্তু তার শাহিদ রিওয়ায়াত থাকায় তা সহীহ স্তরে
পৌঁছেছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৪৮৪
PMMRC হাদিস নং-৩২৭২
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম)–কে জিঞ্জেস করা হল, আমরা কি গাধার উচ্ছিষ্ট পানি দিয়ে উযূ করতে পারি?
তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, হ্যাঁ, বরং সকল হিংস্র জানোয়ারের
উচ্ছিষ্ট পানি দিয়েও। [১]
[১] য‘ঈফ : শারহুস্ সুন্নাহ্, মুসনাদে শাফি‘ঈ
৮ পৃঃ, তামামুল সিন্নাহ্ ৪৭ পৃঃ, দারাকুত্বনী ২৩ পৃঃ, বায়হাক্বী ১/২৪৯। কারণ দাঊদ ও
তার পিতা হাসীন দু’জনই দুর্বল।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৪৮৫
PMMRC হাদিস নং-৩২৭৩
উম্মু হানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) ও উম্মুল মু’মিনীন মায়মূনাহ্ (রাঃ) একটি গামলার পানি দিয়ে গোসল করেছেন,
যাতে আটার খামীরের অবশিষ্ট ছিল। [১]
[১] সহীহ : নাসায়ী ২৪০, ইবনু মাজাহ্ ৩৭৮।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছদঃ ৭.
তৃতীয় অনুচ্ছেদ
মিশকাত হাদিস নং-৪৮৬
PMMRC হাদিস নং-৩২৭৪
ইয়াহ্ইয়া ইবনু ‘আবদুর রহমান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) এক কাফিলার
সাথে বের হলেন। এদের মধ্যে ‘আমর ইবনুল ‘আস (রাঃ)–ও ছিলেন। পথ চলতে চলতে তাঁরা একটি
হাওযের কাছে পৌঁছলেন। তখন ‘আমর ইবনুল আস (রাঃ) বললেন, হে হাওযের মালিক! তোমার হাওযে
হিংস্র জন্তরা ও কি পানি পান করতে আসে? ‘উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) বলেন, হে হাওযের
মালিক! আমাদেরকে এ সংবাদ দিও না। এ পানির ঘাটে কখনো আমরা আসি আর কখনো আসে জন্তু জানোয়ার।
(তাতে অসুবিধা কী?) [১]
[১] য‘ঈফ : মুয়াত্ত্বা মালিক ৪৫। কারণ ইয়াহ্ইয়া
ইবনু ‘আবদুর রহমান ‘উমার (রাঃ)-এর সাক্ষাৎ লাভ করেননি। বরং তিনি ‘আলী (রাঃ) ও ‘উসমান
(রাঃ)-এর সাক্ষাৎ লাভ করেছেন। ইবনু মা‘ঈন বলেনঃ কেউ কেউ বলেছেন যে সে (ইয়াহ্ইয়া) ‘উমার
(রাঃ)-এর কাছ থেকে শুনেছে কিন্তু এটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে তার পিতা ‘আবদুর রহমান
‘উমার (রাঃ)-এর কাছ থেকে শুনেছেন সে নয়।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৪৮৭
PMMRC হাদিস নং-৩২৭৫
ইমাম রযীন (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এ হাদীসটিকে আরো বৃদ্ধি করে বর্ণনা করে বলেছেনঃ
কোন কোন বর্ণনাকারী ‘উমারের কথার মধ্যে এ কথাও উল্লেখ করেছেন, ‘‘আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ তা থেকে জন্তু জানোয়ার পেটে যা নিয়েছে তা তাদের
জন্য, আর যা অবশিষ্ট আছে তা আমাদের জন্য পাক-পবিত্র ও পানীয়।
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
মিশকাত হাদিস নং-৪৮৮
PMMRC হাদিস নং-৩২৭৬
আবূ সা‘ঈদ আল্ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম-কে মক্কা ও মাদীনার মধ্যে অবস্থিত কূপগুলো সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলো যে,
এসব কূপে জন্তু-জানোয়ার, কুকুর ও গাধা পানি পান করতে আসে। এগুলোর পানি কি পবিত্র? তিনি
(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, জন্তু-জানোয়াররা পেটে যা গ্রহণ করেছে তা তাদের
জন্য, আর যা অবশিষ্ট আছে তা আমাদের জন্য পবিত্র। (ইবনু মাজাহ্)[১]
[১] খুবই দুর্বল : ইবনু মাজাহ্ ৫১৯, য‘ঈফুল
জামি‘ ৪৭৮৯। কারণ এর সানাদে ‘আবদুর রহমান ইবনু যায়দ ইবনু আসলাম রয়েছে যার সম্পর্কে
ইমাম হাকিম (রহঃ) বলেছেন যে, তার পিতা থেকে অনেক বানোয়াট হাদীস বর্ণনা করেছেন ইবনুল
ক্বইয়্যিম জাওযী (রহঃ) বলেছেনঃ মুহাদ্দিসগণ সকলেই তার দুর্বল হওয়ার ব্যাপারে একমত।
হাদিসের মানঃ খুবই দুর্বল
মিশকাত হাদিস নং-৪৮৯
PMMRC হাদিস নং-৩২৭৭
উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রোদে গরম করা পানি দিয়ে গোসল করো
না। কারণ এ পানি শ্বেত ও কুষ্ঠ রোগ সৃষ্টি করে। (দারাকুত্বনী)[১]
[১] য‘ঈফ : দারাকুত্বনী ১/৩৯, বায়হাক্বী ১/৬,
তালখীসুল হাবীর ৬, ৭ নং পৃঃ। কারণ এর সানাদে হায়সাম ইবনু আযহার আস্ সালাফী নামে একজন
দুর্বল রাবী রয়েছে যাকে ইবনু হিব্বান ছাড়া কেউ বিশ্বস্ত বলেননি। আর তার তাওসীক করণকে
অনেকেই সঠিক বলেননি। কারণ তিনি মাজহূল (অপরিচিত) রাবীদেরও বিশ্বস্ত বলে থাকেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
পরিচ্ছদঃ ৮.
প্রথম অনুচ্ছেদ
মিশকাত হাদিস নং-৪৯০
PMMRC হাদিস নং-৩২৭৮
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কারো পাত্রে যখন কুকুর পানি পান করে, তখন সে যেন তা সাতবার
ধুয়ে নেয়। [১] মুসলিমের অপর বর্ণনায় আছে, তিনি বলেছেন, তোমাদের কারো পাত্রে কুকুর মুখ
দিলে সে যেন তা সাতবার ধুয়ে নেয় এবং এর প্রথমবার মাটি দিয়ে। [2]
[১] সহীহ : বুখারী ১৭২, মুসলিম ২৭৯, নাসায়ী
৬৩, আহমাদ ৯৯২৯, সহীহ আল জামি‘ ৬২৭, ইবনু মাজাহ ৩৬৪।
[2] সহীহ : মুসলিম ২৭৯।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৪৯১
PMMRC হাদিস নং-৩২৭৯
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদিন জনৈক বেদুইন মাসজিদে দাঁড়িয়ে
প্রস্রাব করে দিল। লোকেরা তাকে ঘিরে ধরল। নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
তাদেরকে বললেন, তাকে ছেড়ে দাও এবং প্রস্রাবের উপর এক বালতি পানি ঢেলে দাও। তোমাদের
(মানুষের জন্য) সহজ পন্থা অবলম্বনকারী হিসেবে পাঠানো হয়েছে, কঠোরতা সৃষ্টিকারীরূপে
নয়। [১]
[১] সহীহ : বুখারী ২২০, নাসায়ী ৫৬, আহমাদ ৭৭৯৯,
সহীহ ইবনু হিব্বান ১৩৯৯, আবূ দাঊদ ৩৮০, ইবনু মাজাহ্ ৫২৯, সহীহ আত্ তারগীব ২৬৭৪।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৪৯২
PMMRC হাদিস নং-৩২৮০
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদিন আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে মাসজিদে (নাবাবীতে) ছিলাম। এমন সময় জনৈক বেদুইন এসে মাসজিদে
দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করতে লাগল। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সহাবীগণ
বলে উঠলেন, থাম, থাম। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তাকে
প্রস্রাব করতে বাধা দিও না, তাকে তার অবস্থায় ছেড়ে দাও। তাই সহাবীগণ তাকে ছেড়ে দিলেন।
সে প্রস্রাব করা শেষ করলে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে ডেকে
বললেন, এ মাসজিদসমূহে প্রস্রাব ও অপবিত্রকরণের কোন কাজ করা জায়িয নয়। বরং এটা শুধু
আল্লাহর যিক্র, সলাত ও কুরআন পাঠের জন্য। (রাবী বলেন) তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) ঠিক এ বাক্য বা অনুরূপ কিছু বলেছেন। অতঃপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাসজিদে উপস্থিত একজনকে নির্দেশ দিলেন সে এক বালতি পানি এনে
(প্রস্রাবের উপর) ঢেলে দিল। [১] [১] সহীহ : বুখারী ১২২১, মুসলিম ২৮৫, সুনানুল কুবরা
লিল বায়হাক্বী ৪১৪২, ইবনু মাজাহ্ ৫২৮; শব্দবিন্যাস মুসলিমের।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৪৯৩
PMMRC হাদিস নং-৩২৮১
আসমা বিনতু আবূ বাকর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদিন জনৈক মহিলা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রসূল! আমাদের মধ্যে কারও যদি কাপড়ে
হায়যের রক্ত লাগে, তখন সে কি করবে? রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বললেন, তোমাদের কারো কাপড়ে হায়যের রক্ত লেগে গেলে, সে আঙ্গুল দিয়ে তা খুঁটে ফেলবে।
অতঃপর পানি ঢেলে ধুয়ে নিবে। তারপর তাতে সলাত আদায় করবে। [১]
[১] সহীহ : বুখারী ৩০৭, মুসলিম ২৯১, আবূ দাঊদ
৩৬১, মালিক ৪৯/১৯৬, সহীহ আল জামি‘ ৩৫০।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৪৯৪
PMMRC হাদিস নং-৩২৮২
সুলায়মান ইবনু ইয়াসার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-কে কাপড়ে লেগে
থাকা মানী (বীর্য) সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি [আয়িশাহ্ (রাঃ)] বললেন, আমি রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাপড় থেকে মানী ধুয়ে দিতাম। তারপর তিনি সলাত
আদায়ের উদ্দেশে বের হতেন, অথচ তাঁর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর) কাপড়ে বীর্যের
‘আলামাত দেখা যেত। [১]
[১] সহীহ : বুখারী ২৩০, মুসলিম ২৮৯, সুনানুল
কুবরা লিল বায়হাক্বী ৪১৮০; শব্দবিন্যাস বুখারীর।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৪৯৫
PMMRC হাদিস নং-৩২৮৩
(তাবি’ঈদ্ব্য়) আসওয়াদ ও হাম্মাম (রহঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
উভয়ে বলেন, ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেন, আমি রসূলুল্লাহ
(সাঃ-এর কাপড় হতে বীর্য খুঁটে তুলে ফেলতাম। [১]
[১] সহীহ : মুসলিম ২৮৮, আবূ দাঊদ ৩৭২, আহমাদ
২৪৯৩৬, ইরওয়া ১৮০, ইবনু মাজাহ্ ৫৩৭।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৪৯৬
PMMRC হাদিস নং-৩২৮৪
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তবে তাতে আরো আছে, “অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সে কাপড় পড়ে সলাত আদায় করতেন। [১]
[১] সহীহ : মুসলিম ২৮৮।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৪৯৭
PMMRC হাদিস নং-৩২৮৫
উম্মু ক্বায়স বিনতু মিহসান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদিন তিনি তার একটি শিশু নিয়ে রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর খিদমাতে উপস্থিত হলেন। (পুত্র শিশুটি মায়ের
দুধের বিকল্প খাদ্য গ্রহণে অনুপযুক্ত ছিল)। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
তাকে আপন কোলে বসালেন। শিশুটি তাঁর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কোলে প্রস্রাব
করে দিল। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পানি আনালেন, প্রস্রাবের উপর পানি
ঢেলে দিলেন, ধুলেন না। [১]
[১] সহীহ : বুখারী ২২৩, মুসলিম ২৮৭, আবূ দাঊদ
৩৭৪, নাসায়ী ৩০২, ইবনু মাজাহ্ ৫২৪, ইরওয়া ১৬৯।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৪৯৮
PMMRC হাদিস নং-৩২৮৬
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
(কাঁচা) চামড়া যখন পাকা (প্রক্রিয়াজাত) করা হয়, তখন তা পাক হয়ে যায়। [১]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৪৯৯
PMMRC হাদিস নং-৩২৮৭
আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, (আমার খালা) মায়মূনাহ্ (রাঃ)-এর
এক মুক্তদাসীকে একটি বকরী দান করা হল। পরে সেটি মারা গেল। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার নিকট দিয়ে যাবার সময় বললেন, তোমারা বকরীর চামড়াটা খুলে নিয়ে
পাকা করলে না, অথচ এটা কাজে লাগাতে পারতে। তারা বলল, এটা যে মৃত! তিনি (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, এটা শুধু খাওয়াই হারাম করা হয়েছে। [১]
[১] সহীহ : বুখারী ১৪৯২, মুসলিম ৩৬৩; শব্দ
বিন্যাস মুসলিমের, আবূ দাঊদ ৪১২০, নাসায়ী ৪২৩৫, ইবনু মাজাহ্ ৩৬১০, আহমাদ ২৩৬৯, সহীহ
ইবনু হিব্বান ১২৮২।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৫০০
PMMRC হাদিস নং-৩২৮৮
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর
সহধর্মিণী সাওদাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমাদের একটি বকরী মারা গেলে আমরা
এর চামড়াটা পাকা করলাম। অতঃপর আমরা সব সময় এতে ‘নাবীয’ বানাতে থাকি, যা পরবর্তীতে একটা
পুরান মশকে পরিণত হল। [১]
[১] সহীহ : বুখারী ৬৬৮৬, আহমাদ ২৭৪১৮, সহীহ
ইবনু হিব্বান ৫৪১৪, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৫৪।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছদঃ ৮.
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
মিশকাত হাদিস নং-৫০১
PMMRC হাদিস নং-৩২৮৯
লুবাবাহ্ বিনতু হারিস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, হুসায়ন ইবনু ‘আলী (রাঃ) রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কোলে তাঁর কাপড়ে প্রস্রাব করে দিলেন। তখন আমি
বললাম, আপনি অন্য কাপড় পরে নিন এবং আমাকে আপনার কাপড়টি দিন, আমি তা ধুয়ে দেই। তিনি
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার উত্তরে বললেন, মেয়েদের প্রস্রাব ধুতে হয়। ছেলেদের
প্রস্রাবের উপর পানি ছিটিয়ে দিলেই হয়। [১]
[১] সহীহ : আবূ দাঊদ ৩৭৫, ইবনু মাজাহ্ ৫২২,
আহমাদ ৬/৩৩৯, হাকিম ১/১৬৬।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৫০২
PMMRC হাদিস নং-৩২৯০
আবুস্ সাম্হ থেকে বর্ণিতঃ
আবূ দাউদ ও নাসায়ীর এক বর্ণনায় আবুস্ সাম্হ
হতে এ শব্দগুলো অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
মেয়ে শিশুদের প্রস্রাব ধুতে হয়। আর ছেলে শিশুদের প্রস্রাবে পানি ছিটিয়ে দিলেই যথেষ্ট
হয়। [১]
[১] সহীহ : আবূ দাঊদ ৩৭৬, নাসায়ী ৩০৪, সহীহুল
জামি‘ ৮১১৭।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৫০৩
PMMRC হাদিস নং-৩২৯১
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন নিজের জুতা দিয়ে অপবিত্র জিনিস মাড়ায়, তখন মাটিই
এর জন্য পবিত্রকারী। [১] ইবনু মাজাহ্ও অনুরূপ অর্থবোধক হাদীস বর্ণনা করেছেন।
[১] সহীহ : আবূ দাঊদ ৩৮৫, ইবনু মাজাহ্ ৫৩২।
হাদীসটির সানাদটি মূলত দুর্বল, তবে ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) এবং আবূ সা‘ঈদ আল খুদরী (রাঃ) হতে
সহীহ সূত্রে দু’টি শাহিদ হাদীস বিদ্যমান থাকায় হাদীসটি সহীহের স্তরে পৌঁছেছে। কিন্তু
ইবনু মাজাহর সানাদটি অত্যধিক দুর্বল।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৫০৪
PMMRC হাদিস নং-৩২৯২
উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তাঁকে এক মহিলা এসে বলল, আমি আমার কাপড়ের আঁচল
নিচে লম্বা করে দেই, আর অপবিত্র জায়গায় চলি, (এখন আমি কী করব?) তিনি বললেন, রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ পরের পবিত্র জায়গার মাটি এটাকে পবিত্র
করে দেয়। [১]
আবূ দাউদ ও দারিমী বলেন, প্রশ্নকারী মহিলা
ছিলেন ইব্রাহীম ইবনু ‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আওফ-এর উম্মু ওয়ালাদ বা সন্তানের মা।
[১] সহীহ : আহমাদ ২৬১৪৬, আবূ দাঊদ ৩৮৩, তিরমিযী
১৪৩, ইবনু মাজাহ্ ৫৩১, মুয়াত্ত্বা মালিক ১/২৪/১৬, দারিমী ৭৬৯। হাদীসের সানাদটি মূলত
দুর্বল। তবে সহীহ সূত্রে বর্ণিত একটি শাহিদ হাদীস থাকায় তা সহীহ-এর স্তরে পৌঁছেছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
ব্যাখ্যা সরাসরি
মিশকাত হাদিস নং-৫০৫
PMMRC হাদিস নং-৩২৯৩
মিক্বদাম ইবনু মা‘দীকারীব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) হিংস্র জন্তুর চামড়া পরতে ও এর উপর আরোহণ করতে নিষেধ করেছেন। [১]
[১] সহীহ : নাসায়ী ৪২৫৫, সিলসিলাহ্ আস্ সহীহাহ্
১০১১।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৫০৬
PMMRC হাদিস নং-৩২৯৪
আবুল মালীহ ইবনু উসামাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হিংস্র
পশুর চামড়া ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন। [১] কিন্তু তিরমিযী ও দারিমীর বর্ণনায় আরো আছে,
এবং তা বিছাতে (বিছানা বা গদী হিসেবে ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন) [2]
[১] সহীহ : আবূ দাঊদ ৪১৩২, সহীহুল জামি‘ ২৯৫৩,
আহমাদ ২০৭০৬, হাকিম ১/১৪৪, তিরমিযী ১৭৭০, নাসায়ী ৪২৫৩, দারিমী ২০২৬। যদিও ইমাম তিরমিযী
হাদীসটি মুরসাল বলেছেন। তবে শায়খ আলবানী (রহঃ) বলেনঃ আমার মতে হাদীসটি বিশ্বস্ত রাবী
কর্তৃক মাওসূল সূত্রে বর্ণিত হওয়ায় মুরসাল নয় বরং মাওসূল।
[2] সহীহ : তিরমিযী ১৭৭১, (সহীহ সুনান আত্
তিরমিযী), দারিমী ১৯৮৩।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৫০৭
PMMRC হাদিস নং-৩২৯৫
আবুল মালীহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি হিংস্র জন্তুর চামড়ার মূল্য অপছন্দ করতেন।
[১]
[১] সহীহ : তিরমিযী ১৭৭১।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৫০৮
PMMRC হাদিস নং-৩২৯৬
আবদুল্লাহ ইবনু ‘উকায়ম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমাদের কাছে এ মর্মে রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পত্র এসেছে: তোমরা মৃত জীবজন্তুর চামড়া বা রগ
দ্বারা ফায়দা উঠাবে না। [১]
[১] সহীহ : আবূ দাঊদ ৪১২৭, তিরমিযী ১৭২৯, নাসায়ী
৪২৪৯, ইবনু মাজাহ্ ৩৬১৩, ইরওয়া ৩৮।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৫০৯
PMMRC হাদিস নং-৩২৯৭
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সা:) মৃত জীবের চামড়া
প্রক্রিয়াজাত করার পর এর থেকে উপকৃত হতে নির্দেশ দিয়েছেন।[১]
[১] য‘ঈফ : মালিক ১৮, আবূ দাঊদ ৪১২৪, নাসায়ী
৪২৫২।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৫১০
PMMRC হাদিস নং-৩২৯৮
মায়মূনাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, কুরায়শ গোত্রের কিছু লোক গাধার
মতো বড় একটি মৃত বকরীকে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছ দিয়ে টেনে
হেঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছিল। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে বললেন,
তোমরা যদি এর চামড়া ছিলে নিতে (তাহলে হয়তো তোমাদের কাজে লাগত)। তারা বলল, এটা তো মৃত(যাবাহ
করা নয়)। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, পানি এবং সলম গাছের
পাতা এক পবিত্র করে।[১]
[১] সহীহ : আবূ দাঊদ ৪১২৬, সিলসিলাহ্ আস্ সহীহাহ্
২১৬৩, নাসায়ী ৪২৪৮, আহমাদ ২৬৮৩৩।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৫১১
PMMRC হাদিস নং-৩২৯৯
সালামাহ্ ইবনুল মুহাব্বিক্ব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, তাবূকের যুদ্ধের সময় রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি পরিবারের নিকট গেলেন। সেখানে তিনি একটি মশক
লটকানো দেখতে পেলেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (তাত্থেকে) পানি চাইলেন।
লোকেরা বলল, হে আল্লাহর রসূল! এটা তো মরা (জন্তুর পাকা করা) চামড়া। তিনি (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, এটাকে দাবাগত করাই হল এর পবিত্রতা। [১]
[১] সহীহ : আবূ দাঊদ ৪১২৫, আহমাদ ১৫৯০৯।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছদঃ ৮.
তৃতীয় অনুচ্ছেদ
মিশকাত হাদিস নং-৫১২
PMMRC হাদিস নং-৩৩০০
‘আবদুল আশহাল বংশের জনৈকা রমণী থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! মাসজিদের
দিকে আমাদের (চলাচলের পথে) একটি অতি গন্ধময় রাস্তা আছে। সেখানে বৃষ্টি হবার পর আমরা
কীভাবে সতর্কতা অবলম্বন করব? তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বললেন: মাসজিদের দিকে যাওয়ার জন্য পূর্বের চেয়ে আর কোন ভাল পবিত্র পথ পড়বে না? আমি
বললাম, হ্যাঁ আছে। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, এটাই হল ওটার বদলা
(অর্থাৎ-পরবর্তী রাস্তার পবিত্র মাটি দিয়ে লেগে থাকা নাপাকী পবিত্র হয়ে যাবে)। [১]
[১] সহীহ : আবূ দাঊদ ৩৮৪।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৫১৩
PMMRC হাদিস নং-৩৩০১
আবদুল্লাহ ইবনু মাস্‘ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে সলাত আদায় করতাম। অথচ (পবিত্র মাটির) রাস্তায় চলার কারণে
উযূ করতাম না। [১]
[১] সহীহ : আবূ দাঊদ ২০৪, সিলসিলাহ্ আস্ সহীহাহ্
১৯৯। হাদীসটি ইমাম তিরমিযী সানাদবিহীন অবস্থায় নিয়ে এসেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৫১৪
PMMRC হাদিস নং-৩৩০২
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম)-এর যুগে মাসজিদে (নাবাবীতে) কুকুর চলাচল করত। অথচ সাহাবীগণ (কুকুর হাঁটার
জায়গায়) কোন পানি ছিটাতেন না (ধুইতেন না)। [১]
[১] সহীহ : বুখারী ১৭৪, আবূ দাঊদ ৩৮২, সহীহ
ইবনু হিব্বান ১৬৫৬।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৫১৫
PMMRC হাদিস নং-৩৩০৩
বারা (ইবনু ‘আযিব) (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: যার গোশত খাওয়া হয় তার প্রস্রাব গায়ে লাগলে ক্ষতি নেই। [১]
[১] খুবই দুর্বল : দারাকুত্বনী ১/১২৮, সিলসিলাহ্
আয্ য‘ঈফাহ্ ৪৮৫০। কারণ এর সানাদে তিনজন রাবী- ‘আমর ইবনুল হুসায়ন এবং ইয়াহ্ইয়া ইবনুল
আ‘লা দুর্বল আর সাও্ওয়ার ইবনু মুস্‘আব মাতরুক। ইবনু হাযম তার ‘‘আল মুহাল্লা’’ গ্রন্থে
একে মাওযূ‘ বলেছেন আর ইবনুল জাওযী হাদীসটি ‘‘মাওযু‘আত’’-এর অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
হাদিসের মানঃ খুবই দুর্বল
মিশকাত হাদিস নং-৫১৬
PMMRC হাদিস নং-৩৩০৪
জাবির (ইবনু ‘আবদুল্লাহ) (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যে জীব-জন্তুর গোশত খাওয়া হয় তার
প্রস্রাবে দোষ নেই। [১]
[১] য‘ঈফ : দারাকুত্বনী ১/১২৮।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
পরিচ্ছদঃ ৯.
প্রথম অনুচ্ছেদ
মিশকাত হাদিস নং-৫১৭
PMMRC হাদিস নং-৩৩০৫
(তাবি’ঈ) শুরায়াহ্ ইবনু হানী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘আলী ইবনু আবু তালিব (রাঃ) কে মোজার
উপর মাসাহ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি ‘আলী (রাঃ) উত্তরে বললেন, রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুসাফিরের জন্য তিনদিন তিনরাত এবং মুকিমের জন্য একদিন একরাত নির্ধারণ
করে দিয়েছেন। [১]
[১] সহীহ : মুসলিম ২৭৬, নাসায়ী ১২৯, ইবনু মাজাহ্
৫৫২, আহমাদ ৭৮০।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৫১৮
PMMRC হাদিস নং-৩৩০৬
মুগীরাহ্ ইবনু শু‘বাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) এর সাথে তাবুক যুদ্ধে শরীক হয়েছিলেন। মুগিরাহ্ বলেন, একদিন ফজরের সলাতের আগে
রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পায়খানার উদ্দেশ্যে বের হলেন। আর আমি
তাঁর পিছনে একটি পানির পাত্র বহন করে গেলাম। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বেরিয়ে আসার পর আমি তাঁর দুই হাতের কব্জির উপর পানি ঢালতে লাগলাম। তিনি (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর দুই হাত ও চেহারা ধুলেন। তখন তাঁর গায়ে একটি পশমের জুব্বাহ্
ছিল। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর (জুব্বার আস্তিন গুটিয়ে) হাত দুটি
খুলতে চাইলেন। কিন্তু জুব্বার আস্তিন খুব চিকন ছিল। তাই জুব্বার ভিতর দিক দিয়েই তাঁর
হাত দুটি বের করে নিজের দুই কাঁধের উপর রেখে দিলেন এবং হাত দুটি (কনুই পর্যন্ত) ধুলেন।
অতঃপর মাথার সামনের দিক (কপাল) ও পাগড়ীর উপর মাসাহ করলেন। তারপর আমি তাঁর মোজাগুলো
খুলতে চাইলাম। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, এগুলো এভাবে থাকতে দাও,
আমি এগুলো পবিত্রাবস্থায় (অর্থাৎ উযু করে) পরেছি। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
এগুলোর উপর মাসাহ্ করলেন। অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সওয়ারীর উপর
আরোহণ করলেন, আমিও আরোহণ করলাম এবং আমরা একটা দলের কাছে পৌঁছে গেলাম। তখন তারা সলাতে
দাড়িয়ে গিয়েছিলেন, আর আব্দুর রহমান ইবন আওফ (রাঃ) তাদের সলাতের ইমামতি করছিলেন এবং
তাদের নিয়ে এক রাক’আত সলাত আদায়ও করে ফেলেছিলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
এর আগমন বুঝতে পেরে তিনি পিছনে সরে আসতে চাইলেন। কিন্তু নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) তাকে তার স্থানে (স্থির থাকতে) ইশারা করলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) তার সাথে দুই রাক’আতের মধ্যে এক রাক’আত সলাত পেলেন। তিনি সালাম ফিরালে
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাঁড়িয়ে গেলেন এবং আমিও তাঁর সাথে দাঁড়িয়ে
গেলাম। আর এক রাক’আত ছুটে যাওয়া সলাত আমরা আদায় করলাম। [১]
[১] সহীহ : মুসলিম ২৭৪, নাসায়ী ১০৮, সুনানুল
কুবরা লিল বায়হাক্বী ৫১৪৩, ইবনু মাজাহ্ ১২৩৬।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছদঃ ৯.
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
মিশকাত হাদিস নং-৫১৯
PMMRC হাদিস নং-৩৩০৭
আবূ বাকরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুসাফিরের
জন্য তিনদিন তিনরাত এবং মুকীমের জন্য এক দিন ও এক রাত উযু করে মোজা পরার পর এর উপর
মাসাহ করার অনুমতি দিয়েছেন। আসরাম তার সুনানে এবং ইবনু খুজায়মাহ্ ও দারাকুত্বনী এ হাদীস
টি বর্ণনা করেছেন। [১] ইমাম খাত্তাবি বলেছেন, হাদিসটির সনদ সহীহ। আল মুনতাকা কিতাবেও
এরূপ উল্লেখ রয়েছে।
[১] হাসান : ইবনু খুযায়মাহ্ ১৯২, দারাকুত্বনী
১/২০৪, বায়হাক্বী ১/২৮১, তালখীস ৫৮ পৃঃ।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৫২০
PMMRC হাদিস নং-৩৩০৮
সফ্ওয়ান ইবনু ‘আস্সাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) এর সাথে সফর অবস্থায় কোথাও রওয়ানা হলে আমাদেরকে তিনদিন তিনরাত পর্যন্ত
পবিত্রতার গোসল ছাড়া, এমনকি প্রসাব–পায়খানা ও ঘুমানোর পর মোজা না খুলে উযুর করার আদেশ
করতেন। [১]
[১] হাসান : তিরমিযী ৯৬, নাসায়ী ১২৭, ইরওয়া
১০৬।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৫২১
PMMRC হাদিস নং-৩৩০৯
মুগীরাহ্ ইবনু শু‘বাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি তাবুক যুদ্ধে নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর উযুর পানির ব্যবস্থা করলাম। তিনি মোজার উপর দিক ও তার নীচের
দিক মাসাহ করেছিলেন।৫৩৬ ইমাম তিরমিযী বলেছেন, এ হাদীসটি ত্রুতিযুক্ত। আমি আবু যুর’আহ
ও ইমাম বুখারীকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তারা বলেছেন, হাদীসটির সনদ সহীহ নয়। এভাবে
ইমাম আবু দাউদও হাদীসটিকে য’ঈফ বলেছেন (অর্থাৎ এর সনদ মুগিরাহ পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে
নেই, মধ্যখানে রাবী ছুটে গেছে।[১]
[১] য‘ঈফ : আবূ দাঊদ ১৬৫, তিরমিযী ৯৭, ইবনু
মাজাহ্ ৫৫০। কারণ সানাদে বিচ্ছিন্নতা রয়েছে যেমনটি শায়খ আলবানী (রহঃ) বলেছেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৫২২
PMMRC হাদিস নং-৩৩১০
মুগীরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) কে দেখেছি তিনি তাঁর দুটো মোজার উপর দিকে মাসাহ করেছেন। [১]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৫২৩
PMMRC হাদিস নং-৩৩১১
মুগীরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) উযু করলেন এবং জুতার সাথে ‘জাওয়াব’ ও ‘পা’ দুটোর উপরের দিকও মাসাহ করেলেন।
[১]
[১] সহীহ : আবূ দাঊদ ১৫৯, তিরমিযী ৯৯, ইবনু
মাজাহ্ ৫৫৯, ইরওয়া ১০১।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছদঃ ৯.
তৃতীয় অনুচ্ছেদ
মিশকাত হাদিস নং-৫২৪
PMMRC হাদিস নং-৩৩১২
মুগীরাহ্ ইবনু শু‘বাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) মোজার উপর মাসাহ করলেন। আমি বললাম, হে আল্লাহর রসুল! আপনি কি (পা ধুতে)
ভুলে গেছেন? উত্তরে তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, না বরং তুমিই ভুল
বুঝেছ। এভাবে করার জন্যই আমার রব আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন, যিনি মহান ও প্রতাপশালী।
[১]
[১] য‘ঈফ : আবূ দাঊদ ১৫৬, আহমাদ ১৮২/২০। কারণ
এর সানাদ বুকায়র ইবনু ‘আমির আল্ বাজালী দুর্বল রাবী।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৫২৫
PMMRC হাদিস নং-৩৩১৩
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, দ্বীন যদি (মানুষের বুদ্ধি) অনুসারেই
হত, তাহলে মোজার উপরের চেয়ে নীচের দিকে মাসাহ করাই উত্তম হত। আমি রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে দেখেছি, তিনি মোজার উপরের দিকে মাসাহ করেছেন। [১]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছদঃ ১০.
প্রথম অনুচ্ছেদ
মিশকাত হাদিস নং-৫২৬
PMMRC হাদিস নং-৩৩১৪
হুযায়ফাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সকল মানুষের উপর তিনটি বিষয়ে আমাদের শ্রেষ্ঠত্ব দেয়া হয়েছে।
(১) আমাদের (সলাতের) কাতারকে মালায়িকার সারির মত মর্যাদা দেয়া হয়েছে। (২) সমস্ত পৃথিবীকে
বানানো হয়েছে আমাদের সলাতের স্থান এবং (৩) মাটিকে করা হয়েছে আমাদের জন্য পবিত্রকারী,
যখন আমরা পানি পাবো না। [১]
[১] সহীহ : মুসলিম ৫২২, সহীহ আল জামি‘ ৪২২৩,
ইরওয়া ২৮৫, সহীহ ইবনু খুযাইমাহ্ ২৬৪, সহীহ ইবনু হিব্বান ১৬৯৭।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৫২৭
PMMRC হাদিস নং-৩৩১৫
ইমরান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) -এর সাথে সফরে ছিলাম। তিনি আমাদেরকে সালাত আদায় করালেন। সালাত শেষ করার
পর তিনি দ্বখলেন এক ব্যাক্তি পৃথক হয়ে বসে আছে, অথচ সে মানুষের সাথে জামা'আতে সালাত
আদায় করেনি। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিজ্ঞেস করলেন, হে অমুক! মানুষের
সাথে জামা'আতে সালাত আদায় করতে তোমাকে কিসে বাধা দিয়েছে? লোকটি বলল, আমি নাপাক ছিলাম,
অথচ তখন পানি পাচ্ছিলাম না। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তোমার
মাটি (তায়াম্মুম মাধ্যমে) ব্যবহার করা উচিত ছিল। আর (পবিত্রতা অর্জনে) এটাই তোমার জন্য
যথেষ্ট ছিল। [১]
[১] সহীহ : বুখারী ৩৪৪, মুসলিম ৬৮২, নাসায়ী
৩২১, আহমাদ ১৯৮৯৮, দারেমী ৭৭০, সহীহ ইবনু হিব্বান ১৩০১, ইরওয়া ১৫৬, সহীহ আল জামি‘ ৪০৪৩।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৫২৮
PMMRC হাদিস নং-৩৩১৬
‘আম্মার (ইবনু ইয়াসির) (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘উমার ইবনুল খাত্তাব- এর নিকট এক
ব্যাক্তি এসে বলল, আমি নাপাক হয়েছি, পানি পেলাম না। ‘আম্মার (রাঃ) উমারকে বললেন, আপনার
কি মনে নেই যে, এক সময় আমি ও আপনি উভয়ে (নাপাক) ছিলাম? আপনি (পানি না পাওয়ায়) সালাত
আদায় করলেন না, আর আমি মাটিতে গড়াগড়ি দিয়ে সালাত আদায় করলাম। এরপর ব্যাপারটি নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বললাম। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, এটাই
তোমার জন্য যথেষ্ট ছিল। এ কথা বলার পর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর
দুই হাত তালু মাটিতে মারলেন এবং দু'হাত (উঠিয়ে) ফুঁ দিলেন।তারপর উভয় হাত দিয়ে নিজের
মুখমণ্ডল ও দুই হাত কব্জি পর্যন্ত মাসাহ করলেন। এভাবে ইমাম মুসলিমও বর্ণনা করেছেন,
যার শেষে শব্দ গুলি হল (নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের জন্য
এটাই যথেস্ট, যে তোমরা হাত মাটিতে মারবে, তারপর হাতে ফুঁ দিবে, অতঃপর মুখমণ্ডল ও হাতের
কব্জি পর্যন্ত মাসাহ করবে। [১]
[১] সহীহ : বুখারী ৩৩৮, মুসলিম ৩৬৮, আবূ দাঊদ
৩২২, নাসায়ী ৩১২, ইবনু মাজাহ্ ৫৬৯, আহমাদ ১৮৩৩২, সহীহ ইবনু হিব্বান ১৩০৬, সহীহ ইবনু
খুযাইমাহ্ ২৬৮।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৫২৯
PMMRC হাদিস নং-৩৩১৭
আবূ জুহায়ম ইবনুল হারিস ইবনুস্ সিম্মাহ্ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন , আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) এর কাছ দিয়ে যাচ্ছিলাম। তখন তিনি প্রসাব করছিলেন। আমি তাঁকে সালাম দিলাম,
কিন্তু তিনি আমার সালামের উত্তর দিলেন না। পরে তিনি একটি দেয়ালের নিকট গিয়ে দাঁড়ালেন
এবং তাকে নিজের লাঠি দিয়ে খোঁচা মাড়লেন। এর পর দেয়ালের উপর হাত মেরে নিজের চেহারা ও
দু হাত মাসাহ করলেন। অতঃপর আমার সালামের উত্তর নিলেন। মিশকাত সংকলন বলেন, আমি এই হাদিস
বুখারি , মুসলিমে এবং হুমায়দীর গ্রন্থেও পাইনি। তবে তিনি এটি শারহুস সুন্নাহ্ গ্রন্থে
উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন, এ হাদিসটি হাসান। [১]
[১] আমি (মুহাক্কিক্ব) এ শব্দে হাদীসটি পাইনি,
এর মূলটি রয়েছে বুখারী (৩৩৭), মুসলিম (৩৬৯)।
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
পরিচ্ছদঃ ১০.
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
মিশকাত হাদিস নং-৫৩০
PMMRC হাদিস নং-৩৩১৮
আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ পাক-পবিত্র মাটি মুসলমানকে পবিত্রতার বন্ধনে আবদ্ধ করে, যদি দশ
বছরও সে পানি না পায়। পানি যখন পাবে তখন সে যেন তাঁর গায়ে পানি লাগায়। এটাই তার জন্য
উত্তম। [১] নাসায়ীতে '' যদি দশ বছরও যদি পানি না পায় '' পর্যন্ত উনুরুপ বর্ণনা করেছেন।
[১] সহীহ : আবূ দাঊদ ৩৩২, তিরমিযী ১২৪, ইরওয়া
১৫৩।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৫৩১
PMMRC হাদিস নং-৩৩১৯
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একবার আমরা (কিছু লোক) সফরে যাচ্ছিলাম।
হঠাৎ আমাদের একজন (মাথায়) পাথরের আঘাত পেল এবং তার মাথায় ক্ষত হল। তারপর তার স্বপ্নদোষ
হলে সে তার সাথী ভাইদেরকে জিজ্ঞাস করল, এ অবস্থায় কি আমার জন্য তায়াম্মুম করার সুযোগ
আছে? তারা বললেন, এ অবস্থায় (যেহেতু পানি ব্যবিহার করতে পারছ) তোমার তায়াম্মুম ব্যবহার
করার কোন সুযোগ আছে বলে মনে করি না। অতঃপর সে গোসল করল, আর আতে সে মারা গেলো। আমরা
সফর হতে ফিরে এসে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট গেলাম। তাঁর নিকট
সব ঘটনা বলা হল। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, লোকেরা তাকে মেরে
ফেলেছে, আল্লাহ্ তাদের কে হত্যা করূন। তারা যখন জানে না তখন অন্যদের কেন জিজ্ঞাস করল
না ? কারণ, না জানার চিকিৎসাই হল জানতে চাওয়া। অথচ তার জন্য তায়াম্মুম করা এবং আহত
স্থানে ব্যান্ডেজ বেঁধে তার উপর মাসাহ করাই যথেষ্ট ছিল। অতঃপর নিজের সমস্ত শরীর ধুয়ে
নিতে পারতো। [১]
[১] হাসান : اِنَّمَا
كَانَ
يَكْفِيْهِ
অংশটুকু ব্যতীত। আবূ দাঊদ ৩৩৬।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৫৩২
PMMRC হাদিস নং-৩৩২০
ইবনু 'আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ইবনু মাজাহ এ বর্ণনাটিকে 'আতা ইবনু আবী রাবাহ
হতে, তিনি ইবনু 'আব্বাস (রা) হতে বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
মিশকাত হাদিস নং-৫৩৩
PMMRC হাদিস নং-৩৩২১
আবূ সা‘ঈদ আল্ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, দুই লোক সফরে বের হল। পথিমধ্যে
সালাতের সময় হল, অথচ তাদের পানি ছিল না । তাই তারা দুজনেই পাক মাটিতে তায়ম্মুম করে
সালাত আদায় করে নিল। অতঃপর সালাতের সময়ের মধ্যেই তারা পানি পেয়ে গেল। তাই তাদের একজন
উযু করে আবার সালাত আদায় করা নিল এবং দ্বিতীয়জন তা করল না। এরপর তারা ফিরে এসে রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে তা বর্ণনা করল। যে ব্যক্তি সালাত আদায়
করেনি তাকে তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন তুমি সুন্নতের উপরেই ছিলে।
এ সালাতই তোমার জন্য যথেষ্ট। আর যে ব্যক্তি উযূ করে পুনরায় সালাত আদায় করেছে তাকে বললেন,
তোমার জন্য দিগুন সাওয়ব রয়েছে। [৫৪৭] আবূ দাউদ ও দারিমী, আর নাসায়ীও অনুরূপ বর্ণনা
করেছেন।[১]
[১] সহীহ : আবূ দাঊদ ৩৩৮, দারিমী ৭৭১, নাসায়ী
৪৩৩।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৫৩৪
PMMRC হাদিস নং-৩৩২২
ইমাম নাসায়ী ও ইমাম আবূ দাঊদ থেকে বর্ণিতঃ
আবূ দাউদ ও ইমাম নাসায়ী এ হাদীস 'আতা ' ইবনু
ইবনু ইয়াসার (রহঃ) হতে মুরসাল হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
পরিচ্ছদঃ ১০.
তৃতীয় অনুচ্ছেদ
মিশকাত হাদিস নং-৫৩৫
PMMRC হাদিস নং-৩৩২৩
আবুল জুহায়ম ইবনুল হারিস ইবনুস্ সিম্মাহ্
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একবার নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) জামাল নামক কুয়ার দিক হতে আসলেন, তখন জনৈক লোক তাঁর সাথে দেখা করে তাঁকে
সালাম দিল। কিন্তু নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার সালামের উত্তর দিলেন
না। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এগিয়ে একটি দেয়ালের কাছে এসে চেহারা ও
হাত মাসাহ করলেন, তারপর লোকটার সালামের জবাব দিলেন। [১]
[১] সহীহ : বুখারী ৩৩৭, মুসলিম ৩৬৯, নাসায়ী
৩১১, সহীহ ইবনু খুযাইমাহ্ ২৭৪, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৯৯০, সহীহ ইবনু হিব্বান
৮০৫।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৫৩৬
PMMRC হাদিস নং-৩৩২৪
আম্মার ইবনু ইয়াসির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একবার তারা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাথে অবস্থানকালে পানি না থাকার কারণে ফাজরের সালাতের জন্য
মাটি দিয়ে মাসাহ করেন । তারা তাদের হাতকে মাটিতে মারলেন, তারপর একবার তাদের চেহারা
মাসাহ করলেন। আবার মাটিতে হাত মারলেন এবং সম্পূর্ণ হাত বাহুমুল পর্যন্ত এবং হাতের ভিতর
দিকে বগল পর্যন্ত মাসাহ করলেন। [১]
[১] সহীহ : আবূ দাঊদ ৩১৮। যদিও মুনযিরী হাদীসটি
মুনক্বাতি‘ বলেছেন। কিন্তু নাসায়ী, আবূ দাঊদ হাদীসটি মাওসূল সূত্রে বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছদঃ ১১.
প্রথম অনুচ্ছেদ
মিশকাত হাদিস নং-৫৩৭
PMMRC হাদিস নং-৩৩২৫
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ জুমু‘আর সলাত আদায় করতে চাইলে (এর আগে) সে যেন গোসল
করে। [১]
[১] সহীহ : বুখারী ৮৭৭, মুসলিম ৮৪৪, নাসায়ী
১৩৭৬, মালিক ১০৩/৩৩৮, আহমাদ ৫৩১২, দারেমী ১৫৭৭, সহীহ আল জামি‘ ৪৫৮।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৫৩৮
PMMRC হাদিস নং-৩৩২৬
আবূ সা‘ঈদ আল্ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির উপর জুমু‘আর দিন গোসল করা ওয়াজিব।
[১]
[১] সহীহ : বুখারী ৮৫৮, মুসলিম ৮৪৬, আবূ দাঊদ
৩৪১, নাসায়ী ১৩৭৭, ইবনু মাজাহ্ ১০৮৯, আহমাদ ১১৫৭৮, দারেমী ১৫৭৮, সহীহ ইবনু হিব্বান
১২২৮।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৫৩৯
PMMRC হাদিস নং-৩৩২৭
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মুসলিম মাত্রই সবার জন্য সাতদিনের মধ্যে কমপক্ষে একদিন গোসল করা
ওয়াজিব (অত্যাবশ্যক)। এতে তার মাথা ও শরীর ধুয়ে নিবে। [১]
[১] সহীহ : বুখারী ৮৯৮, মুসলিম ৮৪৯, সহীহ আল
জামি‘ ৩১৫৪, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১৪২০।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছদঃ ১১.
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
মিশকাত হাদিস নং-৫৪০
PMMRC হাদিস নং-৩৩২৮
সামুরাহ্ ইবনু জুনদুব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক জুমু‘আর দিন শুধু উযূ করে ফার্য (কাজ) আদায় করেছে, আর
এটা তার জন্য যথেষ্ট। আর যে লোক (জুমু‘আর দিন) গোসল করেছে এ গোসল তার জন্য খুবই কল্যাণকর।
[১]
[১] হাসান : আহমাদ ২০১৭৪, আবূ দাঊদ ৩৫৪, তিরমিযী
৪৯৭, নাসায়ী ১৩৮০, দারিমী ১৫৮১। এ হাদীসের বর্ণনাকারী সকলেই বিশ্বস্ত। তবে সামুরাহ্
থেকে হাসান বসরীর বর্ণনাটি তাদলীসের পর্যায়ভুক্ত এবং সামুরাহ্ থেকে শ্রবণের বিষয়টি
তিনি স্পষ্ট করেননি। তারপরেও এর অনেকগুলো শাহিদ বর্ণনা থাকায় তা হাসান স্তরে উন্নীত
হয়েছে।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৫৪১
PMMRC হাদিস নং-৩৩২৯
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মৃত ব্যক্তিকে যে লোক গোসল দেয় সে নিজেও যেন গোসল করে। [১]
[১] সহীহ : আবূ দাঊদ ৩১৬১, তিরমিযী ৯৯৩, ইবনু
মাজাহ্ ১৪৬৩, ইরওয়া ১৪৪, আহমাদ ৯৮৬২।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৫৪২
PMMRC হাদিস নং-৩৩৩০
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চারটি
কারণে গোসল করতেনঃ (১) অপবিত্রতা, (২) জুমু‘আহ্, (৩) রক্তমোক্ষণের (শিঙ্গা লাগানোর)
পর (অর্থাৎ-শরীর থেকে রক্ত বের হলে) এবং (৪) মৃত ব্যক্তির গোসল দেবার পর। [১]
[১] য‘ঈফ : আবূ দাঊদ ৩৪৮। কারণ এর সানাদে মুস্‘আব
ইবনু শায়বাহ্ সর্বসম্মতিক্রমে দুর্বল।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৫৪৩
PMMRC হাদিস নং-৩৩৩১
ক্বায়স ইবনু ‘আসিম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি যখন ইসলাম গ্রহণ করেন তখন নাবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বরই পাতা মিশ্রিত পানি দিয়ে গোসল করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
[১]
[১] সহীহ : আবূ দাঊদ ৩৩৫, তিরমিযী ৬০৫, নাসায়ী
১৮৮।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছদঃ ১১.
তৃতীয় অনুচ্ছেদ
মিশকাত হাদিস নং-৫৪৪
PMMRC হাদিস নং-৩৩৩২
ইকরিমাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘ইরাকের কিছু লোক এসে জিজ্ঞেস করল,
হে ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস! জুমু‘আর দিনের গোসলকে আপনি কি ওয়াজিব মনে করেন? তিনি বললেন,
না। কিন্তু যে ব্যক্তি তা করবে তার জন্য খুবই উত্তম ও পবিত্রতম। আর যে ব্যক্তি তা করল
না তার জন্য ফার্য নয়। কিভাবে জুমু‘আর গোসল শুরু হল তা আমি তোমাদেরকে বলছি। লোকেরা
গরীব ছিল। পশমের মোটা কাপড় পরত। পিঠে ভারবাহীর মতো কঠিন পরিশ্রম করতো। তাদের মাসজিদ
ছিল ছোট ও নীচু চালার খেজুর ডালের চাপরা। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
এমনি এক গরমের দিনে মাসজিদের দিকে গেলেন। মানুষ পশমের কাপড় পড়ে ঘামে ভিজেছিল। তাদের
শরীর থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। এতে একে অপরের দুর্গন্ধে কষ্ট পাচ্ছিল। রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-ও গন্ধ পাচ্ছিলেন। তিনি বললেন, হে লোক সকল! তোমরা
এ দিনে গোসল করে মাসজিদে আসবে। তোমাদের প্রত্যেকেই যেন আপন আপন সামর্থ্যনুযায়ী ভাল
ভাল তৈল ও সুগন্ধী ব্যবহার করে। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা তাদের
সম্পদ দান করলেন। তারা পশম ছাড়া অন্য কাপড়-চোপড় পরতে থাকেন। তাদের পরিশ্রম ও দিন মজুরীর
অবসান ঘটে। তাদের মাসজিদও প্রশস্ত হল। তাদের একে অপরকে কষ্ট দেবার মতো দুর্গন্ধ ঘামও
দূর হয়ে গেল। [১] [১] সহীহ : আবূ দাঊদ ৩৫৩।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৫৪৫
PMMRC হাদিস নং-৩৩৩৩
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ইয়াহূদীদের কোন স্ত্রীলোকের হায়য
হলে তারা শুধু তাদের সাথে একত্রে খাওয়াই বন্ধ করে দিত না, বরং তাদেরকে একত্রে এক ঘরেও
রাখত না। নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সহাবীগণ তাঁকে (এ বিষয়ে) জিজ্ঞেস
করলেন। আল্লাহ তা‘আলা তখন এ আয়াত অবতীর্ণ করলেন, “আর তারা আপনাকে হায়য সম্পর্কে জিজ্ঞেস
করে........”- (সূরাহ্ আল বাক্বারাহ ২:২২২) আয়াতের শেষ পর্যন্ত। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তাদের সাথে যৌনসঙ্গম ব্যতীত আর সব কিছু করতে পার। এ সংবাদ
ইয়াহূদীদের কাছে পৌঁছালে তারা বলল, এ ব্যক্তি আমাদের সব কিছুতেই বিরোধীতা না করে ছাড়তে
চায় না। অতঃপর উসায়দ ইবনু হুযায়র এবং ‘আব্বাদ ইবনু বিশ্র (রাঃ) আসলেন। তারা বললেন,
হে আল্লাহর রসূল! ইয়াহূদীরা এসব কথা বলে বেড়ায়। আমরা কি আমাদের স্ত্রীদের সাথে যৌনসঙ্গম
করার অনুমতি পেতে পারি? এ কথা শুনে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর
চেহারা বিবর্ণ হয়ে গেল। তাতে আমাদের ধারণা হল, তিনি তাদের উপর রাগ করেছেন। তারপর তারা
বের হয়ে গেলেন। এমন সময় তাদের সামনেই নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জন্য
কিছু দুধ হাদিয়া আসল। অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পেছনে পেছনে লোক
পাঠিয়ে তাদেরকে ডেকে এনে দুধ খেতে দিলেন। এতে তারা বুঝলেন যে, তিনি (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের সাথে রাগ করেননি। [১]
[১] সহীহ : মুসলিম ৩০২, দারেমী ১০৯৩, আবূ দাঊদ
২৫৮, তিরমিযী ২৯৭৭, ইবনু মাজাহ্ ৬৪৪, আহমাদ ১২৩৫৪।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৫৪৬
PMMRC হাদিস নং-৩৩৩৪
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাপাক অবস্থায় আমি ও নাবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একই পাত্রে হতে গোসল করতাম। তিনি আমাকে হুকুম করতেন, আমি শক্ত
করে লুঙ্গি বেধে দিতাম, আর তিনি আমার গায়ে গা লাগাতেন অথচ তখন আমি হায়য অবস্থায় ছিলাম।
তিনি ই‘তিক্বাফ অবস্থায় তাঁর মাথা মাসজিদ থেকে বের করে দিতেন, আমি ঋতুবতী অবস্থায় পানি
দিয়ে তাঁর মাথা ধুয়ে দিতাম। [১]
[১] সহীহ : বুখারী ৩০১, মুসলিম ২৯৩; শব্দবিন্যাস
বুখারীর।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৫৪৭
PMMRC হাদিস নং-৩৩৩৫
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি হায়য অবস্থায় পানি পান করতাম।
এরপর নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে তা দিতাম। তিনি আমার মুখের জায়গায়
মুখ রেখেই পানি পান করতেন। আমি কখনও হায়য অবস্থায় হাড়ের গোশ্ত খেতাম। অতঃপর আমি এ হাড়
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দিতাম। আর তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) আমার মুখের জায়গায় মুখ রেখে তা খেতেন। [১]
[১] সহীহ : মুসলিম ৩০০, নাসায়ী ২৮২, সহীহ ইবনু
হিব্বান ১৩৬০, আহমাদ ২৫৫৯৪, ইবনু মাজাহ্ ৬৪৩, আবূ দাঊদ ২৫৯, ইরওয়া ১৯৭২।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৫৪৮
PMMRC হাদিস নং-৩৩৩৬
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি হায়য অবস্থায় থাকতে নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার কোলে হেলান দিয়ে কুরআন মাজীদ তিলাওয়াত করতেন। [১]
[১] সহীহ : বুখারী ২৯৭, মুসলিম ৩০১, মুসান্নাফ
‘আবদুর রায্যাক ১২৫২, সহীহ ইবনু হিব্বান ৭৯৮, আহমাদ ২৪৮৬২।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৫৪৯
PMMRC হাদিস নং-৩৩৩৭
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) আমাকে বললেন, মাসজিদ হতে আমাকে চাটাই এনে দাও। আমি বললাম, আমি তো ঋতুবতী।
তিনি বললেন, তোমার হায়য তো তোমার হাতে নয়। [১]
[১] সহীহ : মুসলিম ২৯৮, আবূ দাঊদ ২৬১, তিরমিযী
১৩৪, আহমাদ ২৪১৮৪, সহীহ আল জামি‘ ২০৬১।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৫৫০
PMMRC হাদিস নং-৩৩৩৮
মায়মূনাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) একটি চাদরে সালাত আদায় করতেন। যার একটি অংশ আমার শরীরের উপর থাকত আর অন্য
অংশ তার শরীরের উপর থাকত। অথচ তখন আমি ঋতুবতী। [১]
[১] সহীহ : মুসলিম ৫১৪, নাসায়ী ৭৬৮। সহীহায়নে
হাদীসটি মায়মূনার বর্ণনা থেকে পাওয়া যায় না। এটি মুসলিমে ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর বর্ণনা
থেকে রয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছদঃ ১২.
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
মিশকাত হাদিস নং-৫৫১
PMMRC হাদিস নং-৩৩৩৯
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক ঋতুবতী অবস্থায় যৌনসঙ্গম করেছে অথবা কোন স্ত্রীলোকের মলদ্বার
দিয়ে যৌনসঙ্গম করেছে আথবা কোন গণকের কাছে গিয়েছে, সে লোক মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উপর যা অবতীর্ণ হয়েছে তার প্রতি অবিশ্বাস করেছে। কিন্তু শেষের
দু'জন ইবনু মাজাহ ও দারিমীর বর্ণনায় রয়েছে, যে ব্যক্তি গণকের কাছে গিয়েছে, সে যা বলেছে
তা সত্য বলে বিশ্বাস করেছে, সে কুফ্রী করেছে (অর্থাৎ-কাফির হয়ে গেছে)। তিরমিযী এ সানাদের
সমালোচনা করে বলেছেনঃ হাদীসটি আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে আবূ তামীমাহ্, তাঁর থেকে হাকীম
আস্রাম ব্যতীত অন্য কোন সূত্রে বর্ণিত হয়েছে বলে আমি জানি না। (তবে আবূ তামীমার বিশ্বস্ততা
সম্পর্কে কোন কোন মুহাদ্দিস সন্দেহ প্রকাশ করেছেন)। [১]
[১] সহীহ : তিরমিযী ১৩৫, ইবনু মাজাহ্ ৬৩৯,
সহীহুল জামি‘ ৫৯৪২।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৫৫২
PMMRC হাদিস নং-৩৩৪০
মু‘আয ইবনু জাবাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! হায়য অবস্থায় আমার স্ত্রীর
সাথে আমার কী কী করা হালাল? তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, সালোয়ারের
উপরিভাগে (নাভীর উপরের অংশে যা করতে চাও কর, তা হালাল)। তবে এটুকু থেকে বিরত থাকাই
উত্তম। [১] ইমাম মুহ্য়িয়ুস্ সুন্নাহ বলেন, এ হাদীসের সানাদ তেমন শক্তিশালী নয়।
[১] য‘ঈফ : আবূ দাঊদ ২১৩, য‘ঈফুল জামি‘ ৫১১৫।
হাদীসটি তিনটি কারণে দুর্বল। প্রথমত বাক্বিয়্যাহ্ মুদাল্লিস রাবী, দ্বিতীয়ত সা‘দ আল্
আগত্বস দুর্বল রাবী, তৃতীয়ত ইবনু আয়িয এবং মু‘আয-এর মধ্যে বিচ্ছিন্নতা রয়েছে।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৫৫৩
PMMRC হাদিস নং-৩৩৪১
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কেউ যদি তার স্ত্রীর সাথে ঋতুবতী অবস্থায় যৌনসঙ্গম করে, তাহলে
সে যেন অর্ধেক দীনার দান করে দেয়। [১]
[১] সহীহ : আবূ দাঊদ ২৬৬, তিরমিযী ১৩৬, ইবনু
মাজাহ্ ৬৪০, নাসায়ী ২৮৯, দারিমী ১১৪৫, ১১৪৯, ১১৫১।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৫৫৪
PMMRC হাদিস নং-৩৩৪২
আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
(যৌনসঙ্গমকালে হায়যের রক্ত) লাল থাকলে এক দীনার ও পীতবর্ণ দেখা দিলে অর্ধেক দীনার সদাক্বাহ
আদায় করতে হবে। [১]
[১] য‘ঈফুল ইসনাদ : তিরমিযী ১৩৭। কারণ এর সানাদে
‘আবদুল কারীম ইবনু আবুল মুখারিক রয়েছে যার দুর্বল হওয়ার ব্যাপারে সকলেই একমত। যদিও
হাদীসের শব্দ সহীহ।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
পরিচ্ছদঃ ১২.
তৃতীয় অনুচ্ছেদ
মিশকাত হাদিস নং-৫৫৫
PMMRC হাদিস নং-৩৩৪৩
যায়দ ইবনু আসলাম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, জনৈক লোক রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করলেন, আমার স্ত্রীর হায়য অবস্থায় তার সাথে কী কী
করা (যৌনতৃপ্তি মেটানো) হালাল? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন,
তার পরনের পায়জামা শক্তভাবে বাঁধবে। তারপর এর উপরের দিকে যা ইচ্ছা করবে। [১]
[১] সহীহ : মালিক ১২৬, দারিমী ১০৩২।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৫৫৬
PMMRC হাদিস নং-৩৩৪৪
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যখন আমি ঋতুবতী হতাম, বিছানা হতে
সরে চাটাইতে নেমে আসতাম। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের
কাছে আসতেন না এবং আমরাও (বিবিগনও) পাক-পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত তাঁর কছে যেতাম না
(মেলামেশা করতাম না)। [১]
[১] মুনকার : আবূ দাঊদ ২৭১।
হাদিসের মানঃ মুনকার
পরিচ্ছদঃ ১৩.
প্রথম অনুচ্ছেদ
মিশকাত হাদিস নং-৫৫৭
PMMRC হাদিস নং-৩৩৪৫
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ফাত্বিমাহ্ বিন্তে আবূ হুবায়শ
(রাঃ) নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে বললেন, হে আল্লাহ্র রাসূল!
আমি একজন এমন স্ত্রীলোক যে, সব সময় ইস্তিহাযাহ্ রোগে ভূগি। কোন সময়ই পাক হই না। তাই
আমি কি সালাত ছেড়ে দিব? তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, না। এটা একটি
শিরাজনিত রোগ, হায়যের রক্ত নয়। যখন তোমার হায়যের সময় হবে সালাত ছেড়ে দিবে। আর যখন হায়যের
নির্দিষ্ট সময় শেষ হয়ে যাবে, তখন তোমার শরীর হতে তুমি হায়যের রক্ত ধুয়ে ফেলবে (অর্থাৎ-
গোসল করবে)। অতঃপর সালাত আদায় করতে থাকবে। [১]
[১] সহীহ : বুখারী ২২৮, মুসলিম ৩৩৩, আবূ দাঊদ
২৮২, নাসায়ী ২১২, তিরমিযী ১২৫, ইবনু মাজাহ্ ৬২১, দারেমী ৮০৬।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছদঃ ১৩.
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
মিশকাত হাদিস নং-৫৫৮
PMMRC হাদিস নং-৩৩৪৬
তাবি’ঈ ‘উরওয়াহ্ ইব্নু যুবায়র (রঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি ফাত্বিমাহ্ বিন্তে আবূ হুবায়শ (রাঃ)
হতে বর্ণনা করেছেন যে, ফাত্বিমাহ্ সব সময় ইস্তিহাযাহ্ রোগে ভুগতেন। তাই নাবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে বলে দিয়েছেন, যখন হায়যের রক্ত আসবে তখন তা কালো হয়, যা
সহজে চিনা যায়। এ রক্ত দেখলে সালাত আদায় করবে না। আর (হায়যের রং) ভিন্ন রকম হলে উযু
করে সালাত আদায় করবে। কারণ এটা রগবিশেষের রক্ত। [১]
[১] সহীহ : আবূ দাঊদ ২৮৬, নাসায়ী ২১৫, সহীহুল
জামি‘ ৭৬৫।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৫৫৯
PMMRC হাদিস নং-৩৩৪৭
উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) -এর সময়ে জনৈক নারীর ঋতুস্রাব হতে লাগল। উম্মু সালামাহ তাঁর ব্যাপারটি
সম্পর্কে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–কে জিঞ্জেস করলেন। উত্তরে তিনি
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, এ অবস্থায় তার দেখতে হবে গতমাসে যে কয়দিন
তার হায়য থাকত,সে কয়দিন সালাত হতে বিরত থাকবে। যখন সে পরিমাণ দিন শেষ হয়ে যাবে, সে
গোসল করবে। এরপর কাপড়ের টুকরো দিয়ে নেংটি বেধে সালাত আদায় করবে। [১]
[১] সহীহ : মালিক ১৩৮, আবূ দাঊদ ২৭৪, দারিমী
৭৮০, নাসায়ী, সহীহুল জামি‘ ৫০৭৬।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৫৬০
PMMRC হাদিস নং-৩৩৪৮
আদী ইবনু সাবিত (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি তার পিতার মাধ্যমে তার দাদা হতে, ইয়াহইয়া
ইব্নু মা’ঈন বলেন, ‘আদী (রাঃ)–এর দাদার নাম দীনার, তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুস্তাহাযাহ্
স্ত্রীলোক সম্পর্কে বলেছেন, সে হায়যগ্রস্ত অবস্থা থাকাকালীন সালাত পরিত্যাগ করবে। অতঃপর
মেয়াদ শেষে গোসল করবে এবং প্রত্যেক সালাতের সময় উযূ করবে। আর সিয়াম (রোযা) পালন করবে
ও সালাত আদায় করবে। [১]
[১] সহীহ : আবূ দাঊদ ২৯৭, তিরমিযী ১২৬, সহীহুল
জামি‘ ৬৬৯৮। যদিও হাদীসের সানাদটি দুর্বল কিন্তু তার শাহিদমূলক বর্ণনা থাকায় তা সহীহ-এর
স্তরে উন্নীত হয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৫৬১
PMMRC হাদিস নং-৩৩৪৯
হামনাহ্ বিনতু জাহশ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি গুরুতরভাবে ইস্তিহাযায় আক্রান্ত
হয়ে পড়ি। নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর নিকট এ অবস্থার কথা বলতে ও এর
মাসআলা জানতে আসলাম । আমি তাঁকে আমার বোন যায়নাব বিন্তে যাহাশ (রাঃ)–এর ঘরে পেলাম
এবং বললাম, হে আল্লাহ্র রাসূল! আমি ইস্তিহাযার গুরুতর রোগে ভুগছি। এ ব্যাপারে আপনি
আমাকে কি নির্দেশ দেন? এ কারণে আমি সালাত- সিয়াম ঠিকমত করতে পারছি না। উত্তরে তিনি
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আমি তোমাকে সেখানে পট্টি দিতে উপদেশ দিচ্ছি।
তা রক্ত রোধ করবে। হামনাহ্ (রাঃ) বললেন, তা তো এ দিয়ে থামবে না। নাবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তবে তুমি তার উপর কাপড় দিয়ে পট্টি বেধে নিবে। তিনি বলেন,
তা এর চেয়েও অধিক। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তাহলে তুমি পট্টির
নীচে কাপড়ের লেঙ্গট বেধে নিবে। তিনি বললেন, হে আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম)! এটা আরও বেশী গুরুতর। আমার পানির স্রোতের ন্যায় রক্তক্ষরণ হয়। তিনি
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তাহলে তোমাকে আমি দু’টি নির্দেশ দিচ্ছি।
এর যে কোন একটিই তোমার জন্য যথেষ্ট হবে। আর যদি তুমি দুটোই করতে পার তাহলে তুমিই অধিক
বুঝবে। তারপর তিনি তাঁকে বললেন, (চিন্তা করবে না, এটা শয়ত্বানের অনিষ্ট সাধনের চেষ্টার
একটি অনিষ্ট সাধন ছাড়া আর কিছুই নয়।
প্রথম নির্দেশ- তুমি তোমার এ সময়ের ছয়দিন অথবা
সাতদিন হায়য হিসেবে ধরবে। প্রকৃত বিষয় আল্লাহ্ জানা আছে। অতঃপর গোসল করবে। শেষে যখন
তুমি মনে করবে, তুমি পাক ও পবিত্র হয়ে গেছ, মাসের বাকী তেইশ রাত-দিন অথবা চব্বিশ রাত-দিন
সালাত আদায় করতে থাকবে এবং সিয়ামও পালন করবে। এটাই তোমার জন্য যথেষ্ট। আর এভাবে প্রতি
মাসে তুমি হিসাব করে চলবে যেভাবে অন্যান্য স্ত্রীলোকেরা তাদের হায়যের সময়কে ‘হায়য’
ও তুহুর-এর সময়কে গণ্য করে ।
দ্বিতীয় নির্দেশ- আর তুমি যদি সক্ষম হও, যুহরকে
পিছিয়ে দিতে ও ‘আসরকে এগিয়ে আনতে তাহলে এক গোসলে যুহর ও আসরকে একত্রে আদায় করবে। এভাবে
মাগরিবকে পিছিয়ে নিবে ও ‘ইশাকে এগিয়ে আনবে, তারপর একই গোসলের মাধ্যমে উভয় সালাতকে একসাতে
আদায় করবে। আর ফজরের জন্য ও গোসল করে সালাত পূর্ণ করবে এবং সওম ও রাখবে। সার কথা পাঁচ
ওয়াক্ত সালাত তিন গোসলে আদায় করবে। তারপর দু’ ওয়াক্ত সালাতকে একত্রে আদায় করবে। তুমি
যদি এ নিয়মে করতে পারো তাহলে তা-ই করবে। হামনাহ্ বলেন, এরপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আর শেষ নির্দেশটা আমার নিকট তোমার জন্য বেশী পছন্দনীয়।
[১] [১] হাসান : আবূ দাঊদ ২৮৭, তিরমিযী ১২৮,
ইরওয়া ২০৫, আহমাদ ২৭৪৭৪।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
পরিচ্ছদঃ ১৩.
তৃতীয় অনুচ্ছেদ
মিশকাত হাদিস নং-৫৬২
PMMRC হাদিস নং-৩৩৫০
আসমা বিনতু ‘উমায়স (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি [রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে] বললাম, হে আল্লাহ্র রাসূল! ফাত্বিমাহ্ বিন্তে আবূ হুবায়শ
(রাঃ) এর এত দিন ধরে ইস্তিহাযাহ্ হচ্ছে এবং সে (এটাকে হায়য মনে করে) সালাত আদায় করছে
না। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সুব্হা-নাল্লা-হ’ পড়ে আশ্চর্যান্বিত
হয়ে বললেন, সালাত আদায় না করা তো শয়ত্বানের প্ররোচনা। সে যেন একটি গামলায় পানি ভরে
ওতে বসে যায়, তারপর যখন পানি পীত রং দেখে, তখন (অন্য পানি দ্বারা) গোসল করে যুহর ও
‘আসরের সালাত আদায় করে। মাগরিব ও ইশার সালাতের জন্য এভাবে একবার গোসল করবে। আর ফজরের
জন্য পৃথক একবার গোসল করবে। এর মাঝখানে উযু করে নিবে। [১]
[১] সহীহ : আবূ দাঊদ ২৯৬, আস্ সামারুল মুস্তাত্বব
৩৫ নং পৃঃ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
মিশকাত হাদিস নং-৫৬৩
PMMRC হাদিস নং-৩৩৫১
বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ
মুজাহিদ (রহঃ) ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণনা
করেছেন। ফাত্বিমাহ্ (রাঃ)–এর প্রত্যেক সালাতের জন্য গোসল করা কঠিন হয়ে পড়লে তিনি
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক গোসলে দুই সালাত একত্রে আদায় করতে নির্দেশ দিলেন।
[১]
[১] মাওকূফ। সহীহ হাদীসের অভ্যন্তরে রয়েছে।
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
(সমাপ্ত)
প্রথম পর্ব দেখতে এখানে ক্লিক করুন
মো: ইজাবুল আলম-এম.এ,
সি.ইন,এড (ইসলামিক স্টাডিজ-রংপুর কারমাইকেল ইউনিভার্সিটি কলেজ, রংপুর),
বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ, গবেষক ও লেখক।
(মহাপরিচালক-পিএমএমআরসি,
এমএসএইসআরসি, গুলশান-২, ঢাকা, বাংলাদেশ।
সরকারি মাদ্রাসা-ই আলিয়া, ঢাকা, বাংলাদেশ।
আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক
প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে আপনি Facebook,
Twitter, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Addressসহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে
শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন।
“তোমরাই শ্রেষ্ঠ উম্মত, মানুষের (কল্যাণের) জন্য তোমাদেরকে বের করা
হয়েছে। তোমরা মানুষকে সৎ কাজের আদেশ করবে এবং অসৎকাজ থেকে নিষেধ করবে।” (সূরা
আল-ইমরান, আয়াত-১১০)
“তার চেয়ে ভাল কথা আর কি হতে পারে, যে মানুযকে আল্লাহর দিকে ডাকে,
নিজে নেক আমল করে আর বলে যে, আমি সাধারণ মুসলমানদের মধ্য হতে একজন। (সূরা হা মীম
সিজদা আয়াত-৩৩)
নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন:
“যে হেদায়েতের প্রতি আহবান জানায়, তার জন্য তার অনুসারীদের
সমপরিমাণ সওয়াব রয়েছে, তবে তা তাদের সওয়াব থেকে কোন কিছু হ্রাস করবে না। আর যে
পথভ্রষ্টতার প্রতি আহবান জানায়, তার ওপর তার অনুসারীদের সমপরিমাণ পাপ আরোপিত, তবে
তা তাদের পাপ থেকে কোন কিছু হ্রাস করবে না।” [মুসলিম (২৬৭৪)]
আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আ’স (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “আমার পক্ষ থেকে
জনগণকে (আল্লাহর বিধান) পৌঁছে দাও, যদিও একটি আয়াত হয়। বনী-ইস্রাঈল থেকে (ঘটনা)
বর্ণনা কর, তাতে কোন ক্ষতি নেই। আর যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে আমার প্রতি মিথ্যা (বা
জাল হাদীস) আরোপ করল, সে যেন নিজ আশ্রয় জাহান্নামে বানিয়ে নিল।” (বুখারী ৩৪৬১,হাদিস সম্ভার, হাদিস নং ১৫৪৮,
রিয়াদুস সলেহিন, হাদিস নং ১৩৮৮।)
মো: ইজাবুল আলম-এম.এ,
সি.ইন,এড (ইসলামিক স্টাডিজ-রংপুর কারমাইকেল ইউনিভার্সিটি কলেজ, রংপুর),
বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ, গবেষক ও লেখক।
(মহাপরিচালক-পিএমএমআরসি,
এমএসএইসআরসি, গুলশান-২, ঢাকা, বাংলাদেশ।
সরকারি মাদ্রাসা-ই আলিয়া, ঢাকা, বাংলাদেশ।
ইসলামি সকল পর্ব এক সাথে দেখতে চাইলে এর উপর ক্লিক
করুন-
Please Share On
No comments:
Post a Comment