Search This Blog

Friday, January 24, 2020

বাংলা সহিহ হাদিস সিরিজ-১৬- (সাজসজ্জা অধ্যায়) সুনানে আন-নাসায়ী-৩৩৯টি হাদিস


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
বাংলা সহিহ হাদিস সিরিজ-১৬
(পোশাক-সাজসজ্জা অধ্যায়)
হাদিস গ্রন্থ-সুনানে আন-নাসায়ী-IHadis
(১৫১৪- ১৮৫২টি মোট ৩৩৯টি হাদিস)

(সুনানে আন-নাসায়ী-সহিহ ও জাল-জইফ হাদিস চিহ্নিত/নির্নিত)

(সুনানে আন-নাসায়ী-হুবগু প্রকাশিত)
৪৭
সাজসজ্জা
( সুনানে আন-নাসায়ী -হাদিস নং  ৫০৪০ – ৫৩৭৮ পর্যন্ত)

পরিচ্ছেদঃ
স্বভাবসিদ্ধ সুন্নতসমুহ
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫০৪০
PMMRC হাদিস নং- ১৫১৪
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ দশটি কাজ স্বভাবগত১: মোচ কাঁটা, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ধৌত করা, দাড়ি লম্বা করা, মিসওয়াক করা, নাকে পানি দেওয়া, বগলের পশম উপড়ে ফেলা, নাভির নীচের পশম কামানো, পেশাবের পর পানি দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করা এবং শৌচকর্ম করা। মুসআব ইব্‌ন শায়বা (রাঃ) বলেনঃ আমি দশম কথাটি ভুলে গেছি, সম্ভবত তা হল কুল্লি করা।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫০৪১
PMMRC হাদিস নং-১৫১৫
তালক (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
দশটি কাজ জন্মগত নিয়মাধীনঃ মিসওয়াক করা, মোচ কাঁটা, নখ কাঁটা, আঙ্গুলের গাঁট ও চিপা ধৌত করা, নাভির নিচের পশম মুন্ডানো, নাকে পানি দেওয়া, রাবী বলেন, আমার সন্দেহ হয় যে, তিনি কুল্লি করার কথাও বলে থাকবেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ মাকতু
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫০৪২
PMMRC হাদিস নং-১৫১৬
তালক ইব্‌ন হাবীব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ মিসওয়াক করা, মোচ কাঁটা, কুল্লি করা, নাকে পানি দেওয়া, দাড়ি লম্বা করা, নখ কাঁটা, বগলের চুল উপড়ে ফেলা, খাৎনা করা, নাভির নীচের চুল কামানো, মলদ্বার ধৌত করা।
হাদিসের মানঃ সহিহ মাকতু
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫০৪৩
PMMRC হাদিস নং-১৫১৭
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ পাঁচটি কাজ ফিতরাতের অন্তর্গতঃ খাৎনা করা, নাভির নীচের চুল কাঁটা, বগলের নীচের চুল উপড়ে ফেলা, নখ কাঁটা, মোচ কাঁটা।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫০৪৪
PMMRC হাদিস নং-১৫১৮
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ পাঁচটি কাজ ফিতরাতের অন্তর্ভুক্তঃ নখ কাঁটা, মোচ কাঁটা, বগলের চুল উঠিয়ে ফেলা, নাভির নীচের চুল কামানো, খাৎনা করা।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
মোচ কাঁটা
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫০৪৫
PMMRC হাদিস নং-১৫১৯
ইব্‌ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা মোচ বিলোপ করবে এবং দাড়ি লম্বা করবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫০৪৬
PMMRC হাদিস নং-১৫২০
ইব্‌ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা দাড়ি লম্বা করবে এবং গোঁফ বিলোপ করবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫০৪৭
PMMRC হাদিস নং-১৫২১
যায়দ ইব্‌ন আকরাম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি মোচ কাটে না, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
মাথা মুড়ানোর অনুমতি
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫০৪৮
PMMRC হাদিস নং-১৫২২
ইব্‌ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি ছেলেকে দেখলেন যে, তার মাথার কিছু অংশ মুণ্ডিত আর কিছু অংশ অমুণ্ডিত। তিনি এইরূপ করতে নিষেধ করে বললেনঃ তোমরা হয় পূর্ণ মাথা মুড়াবে অথবা পূর্ণ মাথায় চুল রাখবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
নারীর মাথার চুল মুণ্ডন করা নিষেধ
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫০৪৯
PMMRC হাদিস নং-১৫২৩
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নারীদের মাথা মুণ্ডন করতে নিষেধ করেছেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
মাথার কিছু অংশ মুণ্ডন করে কিছু অংশে চুল রেখে দেয়া
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫০৫০
PMMRC হাদিস নং-১৫২৪
আবদুল্লাহ্‌ ইব্‌ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ্‌ তাআলা আমাকে কাযা’ করতে (অর্থাৎ মাথার কিছু অংশ মুণ্ডন করে কিছু অংশে চুল রাখতে নিষেধ করেছেন।
হাদিসের মানঃ মুনকার
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫০৫১
PMMRC হাদিস নং-১৫২৫
ইব্‌ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাযা’ করতে (মাথার কিছু অংশ মুণ্ডন করে কিছু অংশে চুল রাখতে) নিষেধ করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
গোঁফ কাঁটা
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫০৫২
PMMRC হাদিস নং-১৫২৬
ওয়ায়িল ইব্‌ন হুজর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি আমার মাথাভরা চুল নিয়ে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট আসলে তিনি বললেনঃ অশুভ! আমি মনে করলাম, তিনি আমাকে বলছেন। আমি সুতরাং চুল কেটে ফেললাম। তারপর আবার তাঁর নিকট গেলে তিনি বললেনঃ আমি তো তোমাকে চুল কেটে ফেলতে বলিনি। তবে এটা উত্তম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫০৫৩
PMMRC হাদিস নং-১৫২৭
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর চুল ছিল মধ্যম রকমের, অত্যধিক সোজাও না, আর অধিক কোঁকড়াও না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫০৫৪
PMMRC হাদিস নং-১৫২৮
হুমায়দ ইব্‌ন আবদুর রহমান হিমইয়ারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এমন এক ব্যক্তির সাথে, আমার সাক্ষাত হল, যিনি আবু হুরায়রা (রাঃ)-এর মত চার বছর রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সংসর্গ লাভ করেছিলেন। তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে রোজ চিরুনী করতে নিষেধ করেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
বিরতি দিয়ে চিরুনী করা
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫০৫৫
PMMRC হাদিস নং-১৫২৯
আবদুল্লাহ ইব্‌ন মুগাফফাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিরতি ছাড়া চিরুনী করতে নিষেধ করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫০৫৬
PMMRC হাদিস নং-১৫৩০
হাসান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিরতি না দিয়েচিরুনী করতে নিষেধ করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ লিগাইরিহি
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫০৫৭
PMMRC হাদিস নং-১৫৩১
তারা বলেনঃ চিরুনী করতে হবে বিরতি দিয়ে দিয়ে।
হাদিসের মানঃ সহিহ লিগাইরিহি
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫০৫৮
PMMRC হাদিস নং-১৫৩২
আবদুল্লাহ্‌ ইব্‌ন শাকীক (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর এক সাহাবী মিসরের শাসক ছিলেন। তাঁর এক সঙ্গী তাঁর নিকট এসে দেখলো যে, তাঁর চুল এলোমেলো রয়েছে। তিনি বললেনঃ আপনার চুল এলোমেলো কেন? অথচ আপনি একজন শাসক? তিনি বললেনঃ রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে ‘ইরফাহ’ করতে নিষেধ করেছেন। আমি জিজ্ঞাসা করলামঃ ‘ইরফাহ’ কী? তিনি বললেনঃ প্রতিদিন চিরুনী করা।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
ডান দিক হতে চিরুনী করা
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫০৫৯
PMMRC হাদিস নং-১৫৩৩
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ডানদিক হতে আরম্ভ করাকে পছন্দ করতেন। তিনি ডান হাতে গ্রহন করতেন, ডান হাতে দান করতেন, প্রত্যেক অবস্থায় তিনি ডান দিক হতে আরম্ভ করা পছন্দ করতেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
মাথায় লম্বা চুল রাখা
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫০৬০
PMMRC হাদিস নং-১৫৩৪
বারা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি একজোড়া লাল কাপড়ে রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে অধিক সুন্দর আর কাউকে দেখিনি। আর তাঁর মাথার চুল কাঁধ পর্যন্ত স্পর্শ করত।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫০৬১
PMMRC হাদিস নং-১৫৩৫
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মাথার চুল কানের অর্ধেক পর্যন্ত পড়তো।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫০৬২
PMMRC হাদিস নং-১৫৩৬
বারা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি একজোড়া কাপড়ে রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অপেক্ষা বেশি সুন্দর কাউকে দেখিনি, তাঁর চুল কাঁধের নিকটবর্তী থাকতো।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
চুলের ঝুঁটি
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫০৬৩
PMMRC হাদিস নং-১৫৩৭
হুবায়রাহ ইব্‌ন ইয়ারিম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আবদুল্লাহ্‌ ইব্‌ন মাসউদ (রাঃ) বলেনঃ তোমরা আমাকে কার মত করে কুরআন পড়তে বল, আমি রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট সত্তর-এরও অধিক সূরা পাঠ করেছি। আর যায়দ (রহঃ)-এর মাথায় দু’টি চুলের ঝুঁটি ছিল, আর সে ছেলেদের সাথে খেলাধুলা করত (তোমরা আমাকে সেই সেদিনের যায়দের মত করে পড়তে বলছ)?
হাদিসের মানঃ সহিহ লিগাইরিহি
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫০৬৪
PMMRC হাদিস নং-১৫৩৮
আবূ ওয়ায়ল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ইব্‌ন মাসউদ (রাঃ) আমাদের লক্ষ্য করে ভাষণ দিলেন। তাতে তিনি বললেনঃ তোমরা আমাকে যায়দ ইব্‌ন ছাবিত (রাঃ)-এর মত কুরআন পড়তে বলছ কি করে? অথচ আমি রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর মুখ থেকে শুনে সওরেরও অধিক সূরা পাঠ করেছি, অথচ যায়দ (রাঃ) তখন ছেলেদের সাথে চলাফেরা করতো এবং তার মাথায় ছিল দু’টি চুলের ঝুঁটি (অর্থাৎ সে তখন নিতান্তই শিশু)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫০৬৫
PMMRC হাদিস নং-১৫৩৯
হুসায়ন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ যখন তিনি রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর নিকট মদীনায় আগমন করলেন, তখন তিনি বললেনঃ তুমি আমার নিকটবর্তী হও। তিনি তার নিকটবর্তী হলে তিনি তাঁর মাথার চুল গুচ্ছে হাত বুলালেন এবং আল্লাহ্‌র নাম নিয়ে দু’আ করলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
চুল লম্বা করা
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫০৬৬
PMMRC হাদিস নং-১৫৪০
ওয়ায়ল ইব্‌ন হুজর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট উপস্থিত হলাম, তখন আমার মাথায় ছিল লম্বা চুল। তিনি বললেনঃ কুলক্ষণ। আমি মনে করলাম, তিনি আমাকে বলছেন। আমি গিয়ে চুল ছোট করেছিলাম। তিনি বললেনঃ আমি তো তোমাকে বলিনি, তবে এটা উত্তম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
দাড়িতে গিঁট লাগানো
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫০৬৭
PMMRC হাদিস নং-১৫৪১
রুয়ায়ফি ইব্‌ন সাবিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, হে রুয়ায়ফি, হয়তো তুমি আমার পর দীর্ঘ দিন বেঁচে থাকবে, তুমি লোকদেরকে বলে দিবেঃ যে ব্যক্তি দাড়িতে গিঁট দিবে বা ধনুকের ছিলা দ্বারা পশুর গলা বাঁধবে বা পশুর গোবর বা হাঁড় দ্বারা ইস্তিঞ্জা করবে, তাঁর সাথে মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কোন সম্পর্ক নেই।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
সাদা চুল উঠানো নিষেধ
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫০৬৮
PMMRC হাদিস নং-১৫৪২
আমর ইব্‌ন শু’আয়ব (রাঃ) তাঁর পিতার মাধ্যমে তিনি তাঁর দাদা থেকে থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাদা চুল উঠাতে নিষেধ করেছেন।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
পরিচ্ছেদঃ
খিযাব লাগানোর অনুমতি
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫০৬৯
PMMRC হাদিস নং-১৫৪৩
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ইয়াহূদী ও নাসারা খিযাব লাগায় না, অতএব তোমরা তাদের বিরোধীতা করবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫০৭০
PMMRC হাদিস নং-১৫৪৪
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবূ হুরায়রা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫০৭১
PMMRC হাদিস নং-১৫৪৫
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ইয়াহূদী ও নাসারা খিযাব লাগায় না, তোমরা তাদের বিরোধীতা করবে এবং খিজাব লাগাবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫০৭২
PMMRC হাদিস নং-১৫৪৬
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ইয়াহূদী ও নাসারা খিযাব লাগায় না, তোমরা তাদের বিরোধীতায় খিযাব লাগাবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫০৭৩
PMMRC হাদিস নং-১৫৪৭
ইব্‌ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ দাড়ি-চুলের শুভ্রতাকে পরিবর্তন কর, আর ইয়াহূদের অনুকরণ করো না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫০৭৪
PMMRC হাদিস নং-১৫৪৮
যুবায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা বার্ধক্যজনিত শুভ্রতাকে পরিবর্তন কর, এবং ইয়াহূদের অনুকরণ করো না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
কালো খিযাব লাগানো নিষেধ
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫০৭৫
PMMRC হাদিস নং-১৫৪৯
ইব্‌ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ শেষ যমানায় এমন কতক লোক হবে, যারা কবুতরের বুকের মত কালো খিযাব লাগাবে, তারা বেহেশ্‌তের গন্ধও পাবে না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫০৭৬
PMMRC হাদিস নং-১৫৫০
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ মক্কা বিজয়ের দিন আবূ কুহাফাকে আনা হলে তাঁর মাথা সাগামা (সাদা রঙের ফল বিশেষ)-এর মত সাদা ছিল। রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এই রঙকে কোন কিছু দ্বারা পরিবর্তিত করে দাও কিন্তু কালো রঙ দ্বারা নয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
মেহেদী ও কাতাম দ্বারা খিযাব লাগানো
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫০৭৭
PMMRC হাদিস নং-১৫৫১
আবূ যর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা যে সকল বস্তু দ্বারা বার্ধক্যজনিত শুভ্রতাকে পরিবর্তন করে থাক, এর মধ্যে উত্তম হলো মেহেদী এবং কাতাম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫০৭৮
PMMRC হাদিস নং-১৫৫২
আবূ যর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা যে সকল বস্তু দ্বারা বার্ধক্যের শুভ্রতাকে পরিবর্তন করে থাক তার মধ্যে মেহেদী এবং কাতাম সর্বোত্তম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫০৭৯
PMMRC হাদিস নং-১৫৫৩
আবূ যর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ তোমরা যা দিয়ে বার্ধক্যের শুভ্রতাকে পরিবর্তন করে থাক, এর মধ্যে মেহেদী এবং কাতাম উত্তম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫০৮০
PMMRC হাদিস নং-১৫৫৪
আবূ যর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা যত কিছু দ্বারা বার্ধক্যের শুভ্রতাকে পরিবর্তন করে থাক, তন্মধ্যে উত্তম হল মেহেদী এবং কাতাম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫০৮১
PMMRC হাদিস নং-১৫৫৫
আবদুল্লাহ ইব্‌ন বুরায়দা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা যে সকল বস্তু দ্বারা বার্ধক্যের শুভ্রতাকে পরিবর্তন করে থাক, তন্মধ্যে মেহেদী এবং কাতাম সর্বোত্তম।
হাদিসের মানঃ সহিহ লিগাইরিহি
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫০৮২
PMMRC হাদিস নং-১৫৫৬
আবদুল্লাহ ইব্‌ন বুরায়দা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তার নিকট সংবাদ পোঁছেছে যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যা দ্বারা তোমরা বার্ধক্যের শুভ্রতাকে পরিবর্তন করে থাক, তন্মধ্যে মেহেদী এবং কাতাম উত্তম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫০৮৩
PMMRC হাদিস নং-১৫৫৭
আবূ রিমসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি এবং আমার পিতা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এমন সময় আসলাম, যখন তিনি তাঁর দাড়িতে মেহেদী লাগিয়েছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫০৮৪
PMMRC হাদিস নং-১৫৫৮
আবূ রিমসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আগমন করে তাঁর দাড়ি হলুদ রঙে রঞ্জিত দেখলাম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
হলুদ রঙের খিযাব
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫০৮৫
PMMRC হাদিস নং-১৫৫৯
যায়দ ইব্‌ন আসলাম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি ইব্‌ন ওমর (রহঃ)-কে দেখলাম তিনি তাঁর দাড়ি খালূক১ নামক সুগন্ধি দ্বারা রঞ্জিত করেছেন। আমি জিজ্ঞাসা করলামঃ হে আবূ আবদুর রহমান! আপনি আপনার দাড়ি খালূক দ্বারা রঞ্জিত করেছেন? তিনি বললেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–কে এর দ্বারা তাঁর দাড়ি রঞ্জিত করতে দেখেছি। তাঁর নিকট এর চাইতে অধিক কোন রঙ পছন্দনীয় ছিল না। তিনি এর দ্বারা তাঁর সকল কাপড় রঙ করতেন, এমনকি তাঁর পাগড়ি।
[১] যাফরান ইত্যাদি দ্বারা প্রস্তুত একটি খোশবু দ্রব্য, এতে লাল ও হলুদ বর্ণের প্রাধান্য থাকে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫০৮৬
PMMRC হাদিস নং-১৫৬০
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
কাতাদা (রাঃ) তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি খিজাব লাগিয়েছিলেন? তিনি বললেনঃ না, তাঁর খিযাবের প্রয়োজনই হয়নি। তাঁর তো কেবল কান সংলগ্ন চুলেই কিছুটা পাক ধরেছিল।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫০৮৭
PMMRC হাদিস নং-১৫৬১
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খিযাব লাগাতেন না। তাঁর শুভ্রতা কিছু ছিল অধর-সংলগ্ন চুলে, কিছু কানের নিকটে আর কিছু মাথায়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫০৮৮
PMMRC হাদিস নং-১৫৬২
আবদুল্লাহ ইব্‌ন মাসুউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দশটি কাজ অপছন্দ করতেনঃ ১. খালূক ব্যাবহার করা; ২. বার্ধক্যের শুভ্রতাকে পরিবর্তন করা; ৩. লুঙ্গি মাটিতে টেনে হেঁচড়ে চলা; ৪. সোনার আংটি পরিধান করা; ৫. দাবা খেলা; ৬. বেগানা পুরুষের সামনে সৌন্দর্য প্রকাশ করা; ৭. মুআওবিযাত১ ব্যতীত অন্য কিছু দ্বারা ঝাড়-ফুঁক করা; ৮. তাবিজ ঝুলানো; ৯. অপাত্রে বীর্যপাত করা এবং ১০. শিশুর ক্ষতি করা (অর্থাৎ স্তন্যদানকারিনী স্ত্রী সাথে সহবাস করা। কেননা তখন গর্ভসঞ্চার হলে শিশু দুধ পাবে না)। তবে তিনি একে হারাম করেননি।
[১] সূরা ফালাক ও সূরা নাস।
হাদিসের মানঃ মুনকার
পরিচ্ছেদঃ
নারীদের জন্য খিযাব
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫০৮৯
PMMRC হাদিস নং-১৫৬৩
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক নারী একটা পত্র দেওয়ার জন্য রাসূলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দিকে হাত প্রসারিত করলে, তিনি তাঁর হাত সংকুচিত করলেন। ঐ নারী বললঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি আপনার দিকে পত্র এগিয়ে দিলাম আর আপনি তা গ্রহণ করলেন না! তিনি বললেনঃ এটা কি পুরুষের হাত, না নারীর হাত, তা আমি বুঝতে পারিনি। তিনি বললেনঃ যদি তুমি নারী হতে তা হলে তোমার হাতের নখসমূহ মেহেদী দ্বারা রাঙ্গাতে।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
মেহেদীর গন্ধ অপছন্দ
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫০৯০
PMMRC হাদিস নং-১৫৬৪
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট এক নারী মেহেদীর রঙ সম্মন্ধে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেনঃ এতে কোন ক্ষতি নেই। কিন্তু আমি অপছন্দ করি। কেননা আমার প্রিয়তম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর গন্ধ অপছন্দ করতেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
সাদা চুল উৎপাটন করা
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫০৯১
PMMRC হাদিস নং-১৫৬৫
আবূল হুসায়ন ইব্‌ন হায়সাম ইব্‌ন শুআয়ব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি এবং ইয়ামানের মাআফির নামক স্থানের বাসিন্দা আবূ আমির নামক আমার এক বন্ধু বায়তুল মুকাদ্দাসে সালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে বের হলাম। সেখানে উপদেশদাতা বা বক্তা ছিলেন সাহাবী আবূ রায়হানা, যিনি আযদ গোত্রের লোক। আবূ হুসায়ন বলেন, আমার সফরসঙ্গী আমার আগে মসজিদে গমন করলেন, আমি পরে গিয়ে তাঁকে পেলাম এবং তাঁর পাশেই বসলাম। তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেনঃ তুমি কি আবূ রায়হানার ওয়ায শুনতে পেয়েছ? আমি বললামঃ না। তিনি বললেনঃ আমি তাঁকে বলতে শুনেছি যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দশটি জিনিস নিষেধ করেছেনঃ (যুবতী সাজার জন্য) দাঁত ঘষে চিকন করা, শরীরে উল্কি আঁকা, সাদা চুল উৎপাটন করা, বিবস্ত্র অবস্থায় এক চাদরের নিচে এক পুরুষের সঙ্গে অন্য পুরুষের শয়ন করা, অনুরুপ কোন মহিলার অন্য মহিলার সঙ্গে এক চাদরের নিচে শয়ন করা, অনারবদের মত কোন ব্যক্তির পোশাকের নিচের দিকে রেশম ব্যবহার করা অথবা কাঁধে রেশম ব্যবহার করা, দৌড়ে বাজী ধরা, চিতা বাঘের চামড়া ব্যাবহার করা, ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ব্যাক্তি ব্যতীত অন্য কারো আংটি ব্যবহার করা।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
চুলে জোড়া লাগানো
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫০৯২
PMMRC হাদিস নং-১৫৬৬
মুয়াবিয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজ চুলে অন্যের চুল যোজনার মিথ্যাচার করা নিষেধ করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫০৯৩
PMMRC হাদিস নং-১৫৬৭
সাঈদ আল-মাকবুরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি মুয়াবিয়া ইব্‌ন আবূ সুফিয়ানকে মিম্বারের উপর দেখেছি, তখন তাঁর হাতে নারীদের চুলের একটি গোছা ছিল। তিনি বললেনঃ মুসলমান নারীদের উপর আফসোস! তারা এমন কাজ করে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ যে নারী অন্যের চুল দ্বারা নিজের মাথার চুল বাড়ায়, সে তাতে মিথ্যাকেই সংযোজিত করে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
চুলে যোজনাকারিনী
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫০৯৪
PMMRC হাদিস নং-১৫৬৮
আসমা বিনত আবূ বকর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চুল যোজনাকারিনী এবং যোজনা প্রার্থিনী নারীর প্রতি অভিসম্পাত করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
যে নারী চুল যোজনা করায়
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫০৯৫
PMMRC হাদিস নং-১৫৬৯
ইব্‌ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চুলে জোড়াদানকারিনী এবং যার চুলে জোড়াদান করা হয় এবং যে শরীরে উল্কি আঁকায় এবং যে উল্কি এঁকে দেয়, এদের সকলের উপর অভিসম্পাত করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫০৯৬
PMMRC হাদিস নং-১৫৭০
নাফে (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চুলে জোড়াদানকারিনী এবং যার চুলে জোড়াদান করা হয় এবং যে শরীরে উল্কি আঁকায় এবং যে উল্কি এঁকে দেয়, সকলের প্রতি লা’নত করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ লিগাইরিহি
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫০৯৭
PMMRC হাদিস নং-১৫৭১
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ্‌ তা’আলা চুলে জোড়াদানকারিনী এবং যার চুলে জোড়া দেওয়া হয় সকলকে লা’নত করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫০৯৮
PMMRC হাদিস নং-১৫৭২
মাসরুক (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক নারী আবদুল্লাহ ইব্‌ন মাসউদ (রাঃ)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললোঃ আমার মাথার চুল খুব অল্প। আমি কি আমার মাথার চুলে অন্যের চুল যোজনা করতে পারি? তিনি বলেনঃ না। ঐ নারী বললোঃ আপনি কি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে শুনেছেন? না এটা আল্লাহ্‌র কিতাবে রয়েছে? আবদুল্লাহ ইব্‌ন মাসউদ (রাঃ) বললেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকটও শুনেছি এবং আল্লাহ্‌র কিতাবেও আমি এরূপ পেয়েছি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
দাঁতে ফাঁক করা
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫০৯৯
PMMRC হাদিস নং-১৫৭৩
আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ যে নারী উল্কি আঁকায় এবং যে উল্কি এঁকে দেয়, যে নারী ভ্রু ইত্যাদির পশম উপড়ায়, যে নারী দাঁতে ফাঁক করে, এবং যে আল্লাহ্‌র সৃষ্টিকে পরিবর্তন করে, রাসূলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে লা’নত করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১০০
PMMRC হাদিস নং-১৫৭৪
ইব্‌রাহীম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেছেনঃ যে নারী দাঁতে ফাঁক করে, অতঃপর হাদীসের শেষ পর্যন্ত বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১০১
PMMRC হাদিস নং-১৫৭৫
আবান ইব্‌ন সুম’আ তাঁর মা হতে থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আয়েশা (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি যে নারী শরীরে উল্কি আঁকায়, যে উল্কি এঁকে দেয়, যে নারী অন্যের চুলে চুল যোজনা করে, যে নারী চুল যোজনা করায়, যে নারী ভ্রু ইত্যাদির পশম উপড়ায় এবং যে উপড়াতে বলে, রাসূলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের সকলকে (এসব করতে) নিষেধ করেছেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
যে চুলে অন্যের চুল যোজনা করে
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১০২
PMMRC হাদিস নং-১৫৭৬
আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ যে জেনে শুনে সুদ খায়, সুদ দেয়, সুদের চুক্তি লেখে, যে সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য নিজ চুলে অন্যের চুল যোজনা করে, যে অন্যকে যোজনা করে দেয়, যে সাদকা দিতে অস্বীকার করে, যে হিজরতের পর মুরতাদ হয়ে মরুতে বসবাস করে, এরা সকলে কিয়ামতের দিন মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর মুখে অভিশাপপ্রাপ্ত।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১০৩
PMMRC হাদিস নং-১৫৭৭
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সুদখোর, সুদদাতা, এর লেখক, সাদকা দানে অস্বীকারীর উপর অভিসম্পাত করেছেন। আর তিনি বিলাপ করে কাঁদতে নিষেধ করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১০৪
PMMRC হাদিস নং-১৫৭৮
হারিস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) লা’নত করেছেন সুদখোর, সুদদাতা, সুদের সাক্ষী, সুদের লেখক এবং যে শরীরে দাগ দেয়, যাকে দাগ দেওয়া হয়। এক ব্যক্তি বলল, রোগের জন্য ব্যতীত? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, আর যে অন্যের জন্য তার স্ত্রীকে হালাল করার উদ্দেশ্য বিবাহ করে, যার জন্য হালাল করা হয় এবং যে সাদকা দিতে অস্বীকার করে, তার উপর লা’নত করেছেন। আর তিনি মৃত ব্যক্তির জন্য বিলাপ নিষেধ করেছেন। তিনি বলেননি যে, লা’নত করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১০৫
PMMRC হাদিস নং-১৫৭৯
শা’বী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সুদখোর, সুদদাতা, এর সাক্ষী, এর লেখক এবং যে শরীরে দাগ দেয়, যাকে দাগ দেওয়া হয়, সকলের উপর লা’নত করেছেন। আর তিনি মৃতের উপর বিলাপ করতে নিষেধ করেছেন। এক্ষেত্রে বলেননি যে, লা’নত করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ লিগাইরিহি
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১০৬
PMMRC হাদিস নং-১৫৮০
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, উমর (রাঃ)-এর নিকট এক মহিলাকে আনা হলো, যে শরীরে দাগ লাগাতো। তখন তিনি বললেনঃ আমি তোমাদের আল্লাহ্‌র কসম দিয়ে বলছিঃ তোমরা কি এই ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে কিছু বলতে শুনেছ? তখন আবূ হুরায়রা (রাঃ) দাঁড়িয়ে বললেনঃ হে আমীরুল মুমিনীন! আমি শুনেছি। তিনি জিজ্ঞাসা করলেনঃ কি শুনেছ? আমি বললামঃ তিনি বলেছেনঃ তোমরা নিজেরাও এরূপ দাগ লাগাবেনা এবং অন্যের দ্বারা দাগ দেয়াবে না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
যে নারী দাঁত ফাঁক করায়
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১০৭
PMMRC হাদিস নং-১৫৮১
ইব্‌ন মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে যে সকল নারী ভ্রু ইত্যাদির পশম উপড়ায়ে ফেলে এবং দাঁতে ফাঁক করে, এবং যারা শরীরে দাগ লাগায়, যারা আল্লাহ্‌র সৃষ্টিকে বদলিয়ে দেয়, তাদের উপর লা’নত করতে শুনেছি।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১০৮
PMMRC হাদিস নং-১৫৮২
আবদুল্লাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে লা’নত করতে শুনেছি, ঐ সকল মহিলার উপর যারা চুল উপড়িয়ে ফেলে, দাঁতে ফাঁক সৃষ্টি করে এবং শরীরে দাগ লাগায়, তারা আল্লাহ্‌ র সৃষ্টি পরিবর্তন করে।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১০৯
PMMRC হাদিস নং-১৫৮৩
আবদুল্লাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, আল্লাহ্‌ লা’নত করেন ঐ সকল মহিলার উপর, যারা চুল উপড়ে ফেলে, দাঁতে ফাঁক করে এবং শরীরে দাগ লাগায়, এভাবে যারা আল্লাহ্‌ র সৃষ্টিকে পরিবর্তন করে।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
পরিচ্ছেদঃ
দাঁত ঘষে চিকন করার নিষিদ্ধতা
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১১০
PMMRC হাদিস নং-১৫৮৪
আবুল হুসায়ন হিমইয়ারী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি ও তার এক সাথী আবূ রায়হানার সাথে থাকতেন, তার নিকট হতে ভাল কথা শিখতেন। আবুল হুসায়ন (রহঃ) একদিন বলেন: আমার সাথী একদিন আমার নিকট উপস্থিত হয়ে বললো: সে আবূ রায়হানাকে বলতে শুনেছে যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাঁত ঘষে চিকন করা, শরীরে দাগ লাগানো এবং পশম উপড়ে ফেলাকে হারাম করেছেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১১১
PMMRC হাদিস নং-১৫৮৫
আবূ রায়হানা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমার নিকট সংবাদ পৌছেছে যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাঁত চিকন করা এবং শরীরে দাগ লাগানো নিষেধ করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১১২
PMMRC হাদিস নং-১৫৮৬
আবূ রায়হানা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমার নিকট সংবাদ পৌছেছে যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাঁত চিকন করা এবং শরীরে দাগ লাগানো নিষেধ করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
সুরমা লাগানো
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১১৩
PMMRC হাদিস নং-১৫৮৭
ইব্‌ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন : তোমাদের উত্তম সুরমা হলো ইসমিদ নামক সুরমা। কেননা তা দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে এবং চুল উৎপন্ন করে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
তেল লাগানো
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১১৪
PMMRC হাদিস নং-১৫৮৮
সিমাক (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন: আমি শুনেছি জাবির ইব্‌ন সামুরা (রাঃ)-কে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর চুল সাদা হওয়ার সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন: যখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তেল লাগাতেন তখন শুভ্রতা পরিলক্ষিত হতো না, আর যখন তেল লাগাতেন না, তখন তা দৃষ্টিগোচর হতো।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
যা’ফরান
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১১৫
PMMRC হাদিস নং-১৫৮৯
যায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ইব্‌ন উমর (রাঃ) নিজের কাপড় যা’ফরান দ্বারা রঙ করতেন। তাঁকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন: রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরূপ রঙ করতেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
আম্বর
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১১৬
PMMRC হাদিস নং-১৫৯০
মুহাম্মদ ইব্‌ন আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আয়েশা (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলাম: রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি সুগন্ধি লাগাতেন? তিনি বললেন: হ্যাঁ। তিনি পুরুষদের উপযোগী মিশক এবং আম্বর ব্যবহার করতেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
নর ও নারীর সুগন্ধির মধ্যে পার্থ্যক্য
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১১৭
PMMRC হাদিস নং-১৫৯১
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিন বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: পুরুষদের সুগন্ধি হলো যার সুগন্ধি স্পষ্ট কিন্তু রঙ চাপা, আর নারীদের সুগন্ধি হলো যার রঙ স্পষ্ট কিন্তু গন্ধ চাপা।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১১৮
PMMRC হাদিস নং-১৫৯২
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: পুরুষদের সুগন্ধি হলো যার গন্ধ স্পষ্ট, কিন্তু রঙ চাপা আর মহিলাদের সুগন্ধি হলো যার রঙ স্পষ্ট কিন্তু গন্ধ চাপা।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
উত্তম সুগন্ধি
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১১৯
PMMRC হাদিস নং-১৫৯৩
আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: বনী ইসরাঈল গোত্রের এক মহিলা একটি সোনার আংটি বানাল এবং তাতে কস্তুরী ভরে দিল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: এটা উত্তম সুগন্ধি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
যা’ফরান ও খালুক
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১২০
PMMRC হাদিস নং-১৫৯৪
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আসলো, আর তখন তার কাপড় খালূক১ মিশ্রিত ছিল। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃ যাও, তা ধুয়ে ফেল। সে তা ধুয়ে আসলো। তিনি আবার বললেন: যাও, ধুয়ে ফেল। সে আবার তা ধুয়ে আসল, তিনি বললেন: যাও ধুয়ে ফেল, আর লাগাবে না।
১] বিভিন্ন উপাদানে তৈরি সুগন্ধি, যার বেশি অংশই যা’ফরান।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১২১
PMMRC হাদিস নং-১৫৯৫
ইয়ালা ইব্‌ন মুররা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি একবার রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সামনে বের হন, যখন তার গায়ে খালূক লাগানো ছিল। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন: তোমার কি স্ত্রী আছে? আমি বললামঃ না। তিনি বললেন: যাও, তা ধুয়ে ফেল; আবারও ধুয়ে ফেল এবং আর কখনও লাগাবে না।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১২২
PMMRC হাদিস নং-১৫৯৬
ইয়ালা ইব্‌ন মুররা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একবার রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক ব্যক্তিকে দেখলেন যার কাপড়ে খালূকের চিহ্ন ছিল। তিনি তাকে বললেন: যাও, ধুয়ে ফেল, আবার ধুয়ে ফেল, আর কখনো লাগাবে না।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১২৩
PMMRC হাদিস নং-১৫৯৭
ইয়ালা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ইয়ালা (রাঃ) থেকে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত।
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১২৪
PMMRC হাদিস নং-১৫৯৮
ইয়ালা ইব্‌ন মুররা সাকাফী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে এমন অবস্থায় দেখলেন, যখন আমার গায়ে খালূকের চিহ্ন ছিল। তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন: হে ইয়ালা! তোমার কি স্ত্রী আছে? আমি বললাম, না, তিনি বললেন: এটা ধূয়ে ফেল, আর লাগাবে না; আবার ধুয়ে ফেল, আর লাগাবে না, আবার ধুয়ে ফেল, পুনরায় লাগাবে না। তিনি বলেন: আমি তা ধুয়ে ফেললাম, আর লাগালাম না। আবার ধুয়ে ফেললাম, আর লাগালাম না। আবার ধুয়ে ফেললাম, আর লাগালাম না।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১২৫
PMMRC হাদিস নং-১৫৯৯
ইয়ালা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট দিয়ে যাচ্ছিলাম, তখন আমার গায়ে ছিল খালূক। তখন তিনি আমাকে বললেন: হে ইয়ালা! তোমার কি স্ত্রী আছে? আমি বললাম, না। তিনি বললেন: যাও এটা ধুয়ে ফেল, আবার ধুয়ে ফেল, আবার ধুয়ে ফেল, আর লাগাবে না। ইয়ালা (রাঃ) বলেন : আমি ফিরে গিয়ে তা ধুয়ে ফেললাম, আবার ধুয়ে ফেললাম, আবার ধুলাম, এরপর আর তা লাগাই নি।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
নারীদের জন্য কোন সুগন্ধি ব্যবহার করা অনুচিত
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১২৬
PMMRC হাদিস নং-১৬০০
আবূ মুসা আশআরী থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: যে মহিলা সুগন্ধি লাগিয়ে এই উদ্দেশ্যে লোকের মধ্যে গমন করে যে, তারা তার সুগন্ধির ঘ্রাণ পাবে, সে ব্যভিচারিণী।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
মহিলাদের সুগন্ধি ধুয়ে ফেলা
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১২৭
PMMRC হাদিস নং--১৬০১
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: যখন কোন নারী মসজিদে যাওয়ার জন্য বের হয়, তখন যদি তার গায়ে সুগন্ধি লাগানো থাকে, তবে সে এমনভাবে তা ধুয়ে ফেলবে, যেন সে জানাবাতের গোসল করছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
নারী ধূপধুনায় সুবাসিত হয়ে জামাআতে আসবে না
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১২৮
PMMRC হাদিস নং--১৬০২
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: যে নারী ধূপধুনা ব্যবহার করেছে, সে যেন আমাদের সাথে ইশার জামাআতে উপস্থিত না হয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১২৯
PMMRC হাদিস নং--১৬০৩
আবদুল্লাহর স্ত্রী যায়নাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: তোমাদের মধ্যে যে মহিলা ইশার জামাআতে আসতে চায়, সে যেন সুগন্ধি না ছোঁয়।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৩০
PMMRC হাদিস নং--১৬০৪
আবদুল্লাহ ইব্‌ন মাসউদের স্ত্রী যায়নাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: তোমাদের মধ্যে যে মহিলা ইশার জামাআতে আসতে চায়, সে যেন সুগন্ধি না ছোঁয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৩১
PMMRC হাদিস নং--১৬০৫
যায়নাব সাকাফী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: তোমাদের মধ্যে যে মহিলা মসজিদে আসতে চায়, সে যেন সুগন্ধির নিকটে না যায়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৩২
PMMRC হাদিস নং--১৬০৬
আবদুল্লাহ ইব্‌ন মাসউদের স্ত্রী যায়নাব সাকাফী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে আদেশ দেন যে, যখন সে ইশার সালাতের জন্য বের হয়, তখন যেন সুগন্ধি স্পর্শ না করে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৩৩
PMMRC হাদিস নং--১৬০৭
যায়নাব সাকাফী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: যখন কোন নারী ইশার নামাযের জন্য বের হয়, তখন সে যেন সুগন্ধি স্পর্শ না করে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৩৪
PMMRC হাদিস নং--১৬০৮
যায়নাব সাকফিয়্যা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: তোমাদের কোন নারী যখন ইশার নামাযে আসে, তখন সে যেন সুগন্ধি স্পর্শ না করে।
হাদিসের মানঃ সহিহ লিগাইরিহি
পরিচ্ছেদঃ
ধোঁয়ার সুগন্ধি
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৩৫
PMMRC হাদিস নং--১৬০৯
নাফে’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ইব্‌ন উমর (রাঃ) যখন ধোঁয়া দ্বারা সুবাসিত হতে চাইতেন, তখন তিনি উলুওয়ার১ ধোঁয়া নিতেন যার সাথে অন্য কিছু মিশ্রিত করতেন না। আর তিনি কোন কোন সময় উলুওয়ার সাথে কর্পূর মিশ্রিত করতেন এবং বলতেন: রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরূপ সুগন্ধি ব্যবহার করতেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
মহিলাদের অলঙ্কার এবং স্বর্ণ পরিধান করে প্রকাশ করা নিন্দনীয়
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৩৬
PMMRC হাদিস নং--১৬১০
উকবা ইব্‌ন আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর ঘরের মহিলাদেরকে অলঙ্কার এবং রেশম পরিধান করতে নিষেধ করতেন। তিনি বলতেন: যদি তোমরা বেহেশতের অলঙ্কার এবং রেশম কামনা কর, তবে পৃথিবীতে তা পরিধান করো না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৩৭
PMMRC হাদিস নং-১৬১১
হুযায়ফা (রাঃ)-এর বোন থেকে থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে লক্ষ্য করে ভাষণ দিলেন। তাতে বললেন: হে নারী সমাজ! তোমরা কি রৌপ্য নির্মিত অলঙ্কার বানাতে পার না? দেখ, তোমাদের মধ্যে যে নারীই সোনার অলংকার পরিধান করে (পরপুরুষকে) দেখায়, তাকে এ কারণে অবশ্যই শাস্তি দেওয়া হবে।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৩৮
PMMRC হাদিস নং-১৬১২
হুযায়ফা (রাঃ)-এর বোন থেকে থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে লক্ষ্য করে ভাষণ দিলেন। তাতে বললেন: হে নারী সমাজ! তোমরা কি রৌপ্য নির্মিত অলঙ্কার বানাতে পার না? দেখ, তোমাদের মধ্যে যে নারীই স্বর্ণের অলংকার বানিয়ে তা (পরপুরুষকে) দেখায়, এজন্য তাকে অবশ্যই শাস্তি দেওয়া হবে।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৩৯
PMMRC হাদিস নং-১৬১৩
আসমা বিনতে ইয়াযীদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে নারি সোনার হার ব্যবহার করে, তাঁর গলায় কিয়ামতের দিন ঐরূপ আগুনের হার পরিয়ে দেয়া হবে। আর যে নারী কানে সোনার দুল পরে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ্‌ তাআলা তাঁকে ঐরূপ আগুনের রিং পরাবেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৪০
PMMRC হাদিস নং-১৬১৪
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মুক্ত ক্রীতদাস সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ফাতিমা বিনতে হুবায়রা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট উপস্থিত হলেন, তখন তার হাতে ছিল একটি বড় আংটি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার হাতে আঘাত করতে আরম্ভ করলেন। তিনি হযরত রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কন্যা ফাতিমার কাছে গেলেন এবং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার সাথে যে ব্যবহার করেন, তার উল্লেখ করলেন। তা শুনে হযরত ফাতিমা (রাঃ) তার গলা থেকে স্বর্ণের হার খুলে বললেনঃ আবুল হাসান (আলী) ইহা আমাকে হাদিয়া দিয়েছেন। এমতাবস্থায় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আসলেন। তখন ফাতিমা (রাঃ)-এর হার ছিল তাঁর হাতে। তিনি বললেনঃ ফাতিমা! তুমি কি পছন্দ কর যে, লোক বলাবলি করবে যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কন্যা, অথচ তাঁর হাতে আগুনের হার রয়েছে। অতঃপর তিনি বের হয়ে গেলেন, আর বসলেন না। ফাতিমা (রাঃ) তখনই হারখানা খুলে বাজারে পাঠিয়ে তা বিক্রি করালেন এবং তা দ্বারা একজন ক্রীতদাস ক্রয় করে আযাদ করে দিলেন। এ খবর শুনে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আল্লাহ্‌ র শোকর, যিনি ফাতিমাকে দোযখ হতে রক্ষা করলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৪১
PMMRC হাদিস নং-১৬১৫
সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, হুবায়রার কন্যা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট উপস্থিত হয়েছিলেন, তখন তাঁর হাতে ছিল একটি বড় আংটি বাকী অংশ পূর্ববৎ।
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৪২
PMMRC হাদিস নং-১৬১৬
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট উপবিষ্ট ছিলাম, এমন সময় এক মহিলা তাঁর নিকট এসে বললোঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ্! আমার নিকট দুইটি সোনার কাঁকন (রয়েছে)। তিনি বললেনঃ দুইটি আগুনের কাঁকন। সেই মহিলা বললেনঃ একটি সোনার হার (রয়েছে)। তিনি বললেনঃ আগুনের একটি হার। সেই মহিলা বললোঃ সোনার দুইটি দুল (রয়েছে)। তিনি বললেনঃ আগুনের দুইটি দুল। বর্ণনাকারী বলেনঃ ঐ মহিলার পরিধানে দুইটি কাঁকন ছিল। সে তা খুলে দূরে নিক্ষেপ করল এবং বললোঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ্! যদি মহিলারা নিজেদের স্বামীর সামনে নিজেকে সাজিয়ে না রাখে, তবে তাঁরা তাদের নিকট অপ্রিয় হয়ে পড়ে। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমাদের মহিলারা কি রূপার বালা বানাতে পারে না? যাকে পরে আম্বর অথবা যা’ফরান দ্বারা হলুদ বর্ণের করে নেয়।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৪৩
PMMRC হাদিস নং-১৬১৭
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে সোনার খাড়ু পায়ে পরা অবস্থায় দেখে বললেনঃ আমি তোমাকে এর চেয়ে উত্তম জিনিসের খবর দেব না? তুমি এটা খুলে ফেল এবং রূপার খাড়ু বানিয়ে নাও এবং যা’ফরান দ্বারা রঙ করে নাও, তা হলে ঐ দু’টি এ দু’টি অপেক্ষা উত্তম হবে। আল্লাহ্‌ সম্যক অবগত।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
পুরুষদের জন্য স্বর্ণ ব্যবহার করা হারাম
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৪৪
PMMRC হাদিস নং-১৬১৮
আলী ইব্‌ন আবূ তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কিছু রেশমী কাপড় ডান হাতে নিলেন এবং কিছু স্বর্ণ বাম হাতে নিলেন, এরপর বললেনঃ এই দুইটি আমার উম্মতের পুরুষদের জন্য হারাম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৪৫
PMMRC হাদিস নং-১৬১৯
আলী ইব্‌ন আবু তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর ডান হাতে কিছু রেশমী কাপড় এবং বাম হাতে স্বর্ণ নিয়ে বললেনঃ আমার উম্মতের পুরুষদের জন্য এই দু’টি বস্তু হারাম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৪৬
PMMRC হাদিস নং-১৬২০
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কিছু রেশমী কাপড় তাঁর ডান হাতে নিলেন এবং কিছু স্বর্ণ তাঁর বাম হাতে নিলেন। তারপর বললেনঃ আমার উম্মতের পুরুষদের জন্য এই দু’টি বস্তু হারাম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৪৭
PMMRC হাদিস নং-১৬২১
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদা রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর ডান হাতে স্বর্ণ এবং বাম হাতে রেশম নিয়ে বললেনঃ এ দু’টি আমার উম্মতের পুরুষদের জন্য হারাম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৪৮
PMMRC হাদিস নং-১৬২২
আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ স্বর্ণ এবং রেশম আমার উম্মতের নারীদের জন্য হালাল এবং পুরুষদের জন্য হারাম করা হয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৪৯
PMMRC হাদিস নং-১৬২৩
মুআবিয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রেশমী কাপড় এবং সোনা পরিধান করতে নিষেধ করেছেন। তবে সামান্য কিছু (দাঁতে) ব্যবহার করতে পারে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৫০
PMMRC হাদিস নং-১৬২৪
মু’আবিয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সোনা ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন, তবে (দাঁত ইত্যাদিতে) সামান্য পরিমান হলে ক্ষতি নেই এবং রেশমী গদীর উপর বসতে নিষেধ করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৫১
PMMRC হাদিস নং-১৬২৫
আবূ শায়খ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি মুআবিয়া (রাঃ)-কে মহানবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর একদল সাহাবী পরিবৃত অবস্থায় বলতে শুনেছেনঃ আপনারা কি জানেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সোনা পরতে নিষেধ করেছেন, তবে সামান্য পরিমান হলে ক্ষতি নেই? তাঁরা বললেনঃ হ্যাঁ নিশ্চয়ই।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৫২
PMMRC হাদিস নং-১৬২৬
আবূ শায়খ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মু’আবিয়া (রাঃ)-এর এক হজ্জের সময় আমরা তাঁর সাথে ছিলাম। তিনি একদল সাহাবীকে একত্রিত করলেন এবং তাদেরকে বললেনঃ আপনারা কি জানেননা যে, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সোনা অতি সামান্য পরিমান ব্যতীত পরতে নিষেধ করেছেন? তারা বললেনঃ হ্যাঁ নিশ্চয়ই।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৫৩
PMMRC হাদিস নং-১৬২৭
আবূ হিম্মান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যে বছর মুআবিয়া (রাঃ) হজ্জ করেন, তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কয়েকজন সাহাবীকে কা’বা শরীফে একত্রিত করেন, এবং তাঁদেরকে বললেনঃ আমি আপনাদেরকে আল্লাহ্‌র শপথ দিয়ে জিজ্ঞাসা করছিঃ রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি সোনা পরতে নিষেধ করেছেন? তাঁরা বললেনঃ হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ আমিও এ কথার সাক্ষ্য দিচ্ছি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৫৪
PMMRC হাদিস নং-১৬২৮
হিম্মান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যে বছর মুআবিয়া (রাঃ) হজ্জ করেন। তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কয়েকজন সাহাবীকে কা’বা শরীফে একত্র করেন, এবং তাঁদের বলেনঃ আমি আপনাদেরকে আল্লাহ্‌র শপথ দিয়ে জিজ্ঞাসা করছিঃ রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি সোনা পরতে নিষেধ করেছেন? তাঁরা বললেনঃ হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ আমিও একথার সাক্ষ্য দিচ্ছি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৫৫
PMMRC হাদিস নং-১৬২৯
হিম্মান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মুআবিয়া (রাঃ) একবার হজ্জে গমন করলেন, তিনি আনসারদের একদলকে কা’বায় একত্র করে বললেনঃ আমি আপনাদেরকে আল্লাহ্‌র শপথ দিয়ে বলছিঃ আপনারা কি শুনেন নি যে, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সোনা ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন। তাঁরা বললেনঃ হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ আমিও সাক্ষ্য দিচ্ছি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৫৬
PMMRC হাদিস নং-১৬৩০
হিম্মান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মুআবিয়া (রাঃ) হজ্জে গমন করে আনসারদের একদলকে কা’বায় ডাকলেন। তারপর বললেনঃ আমি আপনাদেরকে আল্লাহ্‌র শপথ দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি আপনারা কি শুনেছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সোনা ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন? তাঁরা বললেনঃ হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ আমিও সাক্ষ্য দিচ্ছি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৫৭
PMMRC হাদিস নং-১৬৩১
ইব্‌ন হিম্মান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মুআবিয়া (রাঃ) হজ্জ করতে গিয়ে আনসারদের একদলকে কা’বার ভেতরে ডাকলেন। তারপর বললেনঃ আপনারা কি শুনেছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সোনা ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন? তাঁরা বললেনঃ হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ আমিও সাক্ষ্য দিচ্ছি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৫৮
PMMRC হাদিস নং-১৬৩২
হিম্মান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
মুআবিয়া (রাঃ) হজ্জ করতে গিয়ে আনসারদের একদল তাকে কা’বার ভেতর ডাকলেন। তারপর বললেনঃ আপনারা কি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–কে স্বর্ণ ব্যবহার নিষেধ করতে শোনেন নি? তাঁরা বললেনঃ হ্যাঁ, নিশ্চয়ই। তিনি বললেনঃ আমিও সাক্ষ্য দিচ্ছি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৫৯
PMMRC হাদিস নং-১৬৩৩
আবুল শায়খ হুনায়ী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি মুআবিয়া (রাঃ)-কে তাঁর চারদিকে আনসার ও মুজাহির পরিবেষ্টিত অবস্থায় তাঁদেরকে বলতে শুনেছিঃ আপনারা কি জানেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রেশমী পরতে নিষেধ করেছেন? তাঁরা বললেনঃ হ্যাঁ, নিশ্চয়ই। তিনি বললেনঃ আর তিনি সোনা পরতেও নিষেধ করেছেন, তবে সামান্য পরিমাণ ব্যতীত? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৬০
PMMRC হাদিস নং-১৬৩৪
আবুশ শায়খ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ইব্‌ন উমরকে বলতে শুনেছিঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) স্বর্ণ পরতে নিষেধ করেছেন, তবে সামান্য পরিমাণ হলে ক্ষতি নেই।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
যার নাক যখম হয়েছে, সে সোনার নাক বানাতে পারে কি না
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৬১
PMMRC হাদিস নং-১৬৩৫
আরফাজাহ ইব্‌ন আসআদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
জাহিলী যুগে কুলাবের যুদ্ধে তাঁর নাক যখম হয়ে যায়। ফলে তিনি রুপার একটি নাক বানিয়ে নেন, কিন্তু তাতে নাকে পচন ধরে। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে সোনার নাক বানাতে আদেশ দেন।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৬২
PMMRC হাদিস নং-১৬৩৬
আরফাজাহ ইব্‌ন আসআদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
জাহিলী যুগে কুলাব যুদ্ধে তাঁর নাক যখম হয়ে যায়। তখন তিনি রুপার নাক বানিয়ে নেন। কিন্তু তাতে তাঁর নাকে পচন ধরে। ফলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে সোনার নাক বানিয়ে নিতে বলেন।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
পুরুষদের সোনার আংটি ব্যবহারের অনুমতি
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৬৩
PMMRC হাদিস নং-১৬৩৭
সাঈদ ইব্‌ন মুসাইয়্যাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উমার (রাঃ) সুহায়ব (রাঃ)–কে স্বর্ণের আংটি পরতে দেখে বললেনঃ কী ব্যাপার, আমি যে তোমার পরিধানে সোনার আংটি দেখছি? তিনি বললেনঃ আপনার চেয়ে উত্তম ব্যক্তি এটা দেখেছেন, কিন্তু তিনি কিছু বলেন নি। উমর (রাঃ) বললেনঃ তিনি কে? সুহায়ব (রাঃ) বললেনঃ তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)।১
[১] সম্ভবত সোনার আংটি ব্যবহার করা সকলের জন্য বৈধ ছিল। পরবর্তীতে তা মানসূখ বা বাতিল হয়েছে। (সম্পাদক)
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
সোনার আংটি
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৬৪
PMMRC হাদিস নং-১৬৩৮
ইব্‌ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি সোনার আংটি বানিয়ে পরলেন, পরে লোকেরাও সোনার আংটি বানালো। তিনি বললেনঃ আমি এই আংটি পরতাম কিন্তু আমি আর তা কখনও পরবো না। এই বলে তিনি সেটি ফেলে দিলেন। তখন লোক সকল তাদের (সোনার) আংটি ফেলে দিল।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৬৫
PMMRC হাদিস নং-১৬৩৯
হুবায়রা ইব্‌ন বারীম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আলী (রাঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে সোনার আংটি ও রেশমী কাপড় পরতে এবং লাল রেশমী গদিতে বসতে, আর যব এবং গমের শরাব পান করতে নিষেধ করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৬৬
PMMRC হাদিস নং-১৬৪০
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে সোনার আংটি পরতে, রেশমী কাপড় ব্যবহার করতে এবং লাল রেশমী গদিতে বসতে নিষেধ করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৬৭
PMMRC হাদিস নং-১৬৪১
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সোনার আংটি পরতে, রেশমি কাপড় পরতে, লাল রেশমী গদিতে বসতে এবং যব ও গমের শরাব পান করতে নিষেধ করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৬৮
PMMRC হাদিস নং-১৬৪২
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে সোনার আংটি পরতে ও রেশমি কাপড় পরতে, লাল রেশমী গদিতে বসতে, আর যব ও গমের শরাব পান করতে নিষেধ করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৬৯
PMMRC হাদিস নং-১৬৪৩
সা’সা’আ ইব্‌ন সুহান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আলী (রাঃ)–কে বললামঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপনাকে যা নিষেধ করেছেন, আপনি তা আমাদেরকে বলুন। তিনি বললেনঃ তিনি আমাকে দুব্বা১, হাস্তাম২, সোনার আংটি, রেশমী কাপড় এবং লালা রেশমী গদি ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন।
[১] দুব্বাঃ লাউয়ের খোল। [২] হাস্তাম/হানতামঃ সবুজ কলস।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৭০
PMMRC হাদিস নং-১৬৪৪
মালিক ইব্‌ন উমারর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন সা’সা’আ ইব্‌ন সুহান (রহঃ) আলী (রাঃ)–এর নিকট এসে বললেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপনাকে যে সকল বস্তু হতে নিষেধ করেছেন, আপনি আমাদেরকে সে সকল বস্তু হতে নিষেধ করুন। তিনি বললেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে নিষেধ করেছেন, দুব্বা, হাস্তাম ও নকীর১ নামক পাত্র ব্যবহার করতে, যব এবং গমের শরাব পান করতে এবং সোনার আংটি, রেশমি কাপড় এবং লাল গদী ব্যবহার করতে।
[১] নাকীরঃ কাঠের তৈরি পাত্রবিশেষ। জাহিলী যুগে এসব পাত্রে মদ তৈরি করা হতো বিধায় মদ হারাম করার সময় এগুলো ব্যাবহারও হারাম করা হয়েছিল। পরে অবশ্য এগুলো ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৭১
PMMRC হাদিস নং-১৬৪৫
মালিক ইব্‌ন উমায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, সা’সা’আ ইব্‌ন সুহান (রহঃ) আলী (রাঃ)–কে বললেনঃ হে আমীরুল মু’মিনীন! আপনি আমাদেরকে ঐ সকল বস্তু হতে নিষেধ করুন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপনাকে যা হতে নিষেধ করেছেন। তিনি বললেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে নিষেধ করেছেন দুব্বা ও হাস্তাম ব্যবহার করতে এবং যব ও গমের নাবীয পান করতে, সোনার আংটি, রেশমী কাপড় এবং লাল রেশমী গদি ব্যাবহার করতে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৭২
PMMRC হাদিস নং-১৬৪৬
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমার প্রিয় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে নিষেধ করেছেন, তিনটি বস্তু হতে; আমি এ বলি না যে, তিনি অন্যান্য লোকদেরকেও নিষেধ করেছেন। তিনি আমাকে নিষেধ করেছেনঃ সোনার আংটি, রেশমী কাপড় এবং লাল কুসুম রঙের পোশাক ব্যাবহার করতে। আর রুকু এবং সিজদা অবস্থায় কুরআন তিলাওয়াত করতে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৭৩
PMMRC হাদিস নং-১৬৪৭
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে নিষেধ করেছেন, আমি বলি না যে তিনি তোমাকেরদেকও নিষেধ করেছেন, সোনার আংটি বানাতে, রেশমী কাপড় পরতে, লাল কুসুম রঙের কাপড় করতে এবং রুকুতে কুরআন পরতে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৭৪
PMMRC হাদিস নং-১৬৪৮
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে নিষেধ করেছেন রুকু অবস্থায় কুরআন পাঠ করতে; সোনার আংটি ও কুসুম রঙের কাপড় পরতে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৭৫
PMMRC হাদিস নং-১৬৪৯
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে নিষেধ করেছেন, আমি বলি না যে, তিনি তোমাকেরদেকও নিষেধ করেছেন। তিনি আমাকে নিষেধ করেছেনঃ রুকু অবস্থায় কুরআন পাঠ করতে ও সোনার ও কুসুম রঙের কাপড় ব্যবহার করতে।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৭৬
PMMRC হাদিস নং-১৬৫০
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে নিষেধ করেছেন সোনার আংটি তৈরি করতে, কুসুম রঙের কাপড় পরতে, রেশমী কাপড় পরতে এবং রুকুতে কুরআন পড়তে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৭৭
PMMRC হাদিস নং-১৬৫১
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে রেশমী কাপড়, কুসুম রঙের কাপড় এবং সোনার আংটি ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৭৮
PMMRC হাদিস নং-১৬৫২
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে চার বস্তু থেকে–সোনার আংটি ব্যবহার করতে, রেশমী কাপড় পরতে, রুকু অবস্থায় কুরআন পরতে এবং কুসুম রঙের কাপড় পরতে নিষেধ করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৭৯
PMMRC হাদিস নং-১৬৫৩
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে কুসুম রঙের কাপড়, রেশমী কাপড় এবং সোনার আংটি ব্যবহার করতে, আর রুকু অবস্থায় কুরআন পড়তে নিষেধ করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
ইয়াহইয়া ইব্‌ন আবূ কাসীর বর্ণিত হাদীসে তাঁর থেকে বর্ণনাকারীদের মধ্যে পার্থক্য
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৮০
PMMRC হাদিস নং-১৬৫৪
হারব ইব্‌ন শাদ্দাদ ইয়াহইয়া থেকে বর্ণিতঃ
তিনি আমর ইব্‌ন সাঈদ ফাদাকী থেকে, তিনি নাফি‘ থেকে, তিনি ইব্‌ন হুনায়ন থেকে এবং তিনি হযরত আলী (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে কুসুম রঙের কাপড়, সোনার আংটি ও রেশমী কাপড় ব্যবহার করতে এবং রুকু অবস্থায় কুরআন পড়তে নিষেধ করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৮১
PMMRC হাদিস নং-১৬৫৫
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুসুম রঙের লাল কাপড়, রেশমী কাপড় এবং রুকু অবস্থায় কুরআন পড়তে নিষেধ করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৮২
PMMRC হাদিস নং-১৬৫৬
আবূ ‘আমর যাওয়া‘ঈ ইয়াহইয়া থেকে বর্ণিতঃ
তিনি আলী (রাঃ) থেকে। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে নিষেধ করেছেন এভাবে হাদীসের শেষ পর্যন্ত বর্ণিত হয়েছে।
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
পরিচ্ছেদঃ
উবায়দা (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদীস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৮৩
PMMRC হাদিস নং-১৬৫৭
উবায়দা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি আলী (রাঃ) থেকে তিনি বলেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে রেশমী কাপড়, সোনার আংটি ব্যবহার করতে এবং রুকু অবস্থায় কুরআন পড়তে নিষেধ করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৮৪
PMMRC হাদিস নং-১৬৫৮
উবায়দা (রহঃ) আলী (রাঃ) থেকে থেকে বর্ণিতঃ
তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) লাল রেশমী গদী ও রেশমী কাপড় পরিধান করতে এবং সোনার আংটি ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ মাওকুফ
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৮৫
PMMRC হাদিস নং-১৬৫৯
উবায়দা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) লাল রেশমী গদী ও সোনার আংটি ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ মাকতু
পরিচ্ছেদঃ
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদীসে কাতাদা (রহঃ) – এর বর্ণনাগত পার্থক্য
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৮৬
PMMRC হাদিস নং-১৬৬০
হাজ্জাজ ইব্‌ন হাজ্জাজ কাতাদা হতে তিনি আবদুল মালিক ইব্‌ন উবায়দ হতে, তিনি বাশীর ইব্‌ন নাহীক হতে এবং তিনি আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে সোনার আংটি পরতে নিষেধ করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৮৭
PMMRC হাদিস নং-১৬৬১
ইমরান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রেশমী কাপড় পরতে, সোনার আংটি ও হাস্তাম পাত্র ব্যাবহার করতে নিষেধ করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৮৮
PMMRC হাদিস নং-১৬৬২
আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাজরানের এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আসলো, তার হাতে ছিল সোনার আংটি। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন এবং বললেন: তুমি আমার নিকট এসেছ, অথচ তোমার হাতে রয়েছে আগুনের অঙ্গার।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৮৯
PMMRC হাদিস নং-১৬৬৩
বারা ইব্‌ন আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এক ব্যক্তি সোনার আংটি হাতে পরে বসে ছিল। আর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হাতে ছিল একটি ছড়ি। তিনি ঐ ছড়ি দিয়ে তার আঙ্গুলে আঘাত করলেন। তখন ঐ ব্যক্তি বললো: ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমি কি অপরাধ করেছি? তিনি বললেন: শোন, তোমার আঙ্গুল হতে ইহা খুলে ফেল। ঐ ব্যক্তি তা খুলে ফেলে দিল। পরে তিনি তাকে দেখে জিজ্ঞাসা করলেন: তোমার আংটি কোথায়? লোকটি বললো: আমি তা ফেলে দিয়েছি। তিনি বললেন: আমি তোমাকে তা ফেলে দিতে বলিনি। আমি বলেছিলাম, তুমি তা বিক্রী করে নিজের কাজে লাগাও।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৯০
PMMRC হাদিস নং-১৬৬৪
আবূ সালাবা খুশানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একবার তার হাতে সোনার আংটি দেখলেন। তখন তিনি তাঁর লাঠি দ্বারা তাতে আঘাত করতে লাগলেন। যখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অন্য মনস্ক হলেন, তখন তিনি তা ফেলে দিলেন। এরপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: আমি তোমাকে কষ্ট দিলাম এবং তোমার ক্ষতি করলাম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৯১
PMMRC হাদিস নং-১৬৬৫
আবূ ইদরিস খাওলানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবীদের একজন সোনার আংটি পরলেন-তারপর অনুরূপ বর্ণিত।
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৯২
PMMRC হাদিস নং-১৬৬৬
আবূ ইদরিস খাওলানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক ব্যক্তির হাতে সোনার আংটি দেখলেন। তারপর পূর্বের অনুরূপ।
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৯৩
PMMRC হাদিস নং-১৬৬৭
আবূ ইদরিস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক ব্যক্তির হাতে সোনার আংটি দেখে তাঁর হাতের লাঠি দিয়ে তার আঙ্গুলে আঘাত করলেন। ফলে সে তা খুলে ফেলে দিল।
হাদিসের মানঃ সহিহ লিগাইরিহি
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৯৪
PMMRC হাদিস নং-১৬৬৮
ইব্‌ন শিহাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম), অতঃপর তিনি পূর্বের অনুরূপ বর্ণনা করেন। তবে তাঁর বর্ণনা মুরসাল।
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
পরিচ্ছেদঃ
আংটিতে কি পরিমাণ রূপা ব্যবহার করা যাবে
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৯৫
PMMRC হাদিস নং-১৬৬৯
বুরায়দা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এমন এক ব্যক্তি আসলো, যার হাতে ছিল একটি লোহার আংটি। তিনি বললেন: তোমার হাতে দোযখীদের পোষাক দেখছি কেন? তখন সে ব্যক্তি তা খুলে ফেলে দিল। দ্বিতীয়বার যখন সে আসলো, তখন তার হাতে ছিল পিতলের আংটি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: আমি তোমার থেকে মূর্তির গন্ধ পাচ্ছি কেন? তখন সে তা ফেলে দিল এবং বললো: ইয়া রাসূলুল্লাহ! তা কি দিয়ে তৈরী করবো? তিনি বললেন: রূপা দিয়ে, আর তা এক মিসকাল পূর্ণ করবেনা (অর্থাৎ যেন সাড়ে চারি মাষা হতে কম হয়।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আংটির বিবরণ
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৯৬
PMMRC হাদিস নং-১৬৭০
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রূপার একটি আংটি তৈরী করান যার নগীনা ছিল হাবশী পাথরের, আর তাতে ‘মুহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ’ অঙ্কিত ছিল।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৯৭
PMMRC হাদিস নং-১৬৭১
আনাস ইব্‌ন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আংটি ছিল রৌপ্য নির্মিত। তিনি তা ডান হাতে পরতেন, এর নগীনা ছিল হাবশী পাথরের। তিনি তার নগীনা হাতের তালুর দিকে রাখতেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ লিগাইরিহি
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৯৮
PMMRC হাদিস নং-১৬৭২
আনাস ইব্‌ন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আংটি ছিল রূপার এবং তাঁর নগীনাও ছিল রূপার।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫১৯৯
PMMRC হাদিস নং-১৬৭৩
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আংটি ছিল রূপার নির্মিত এবং এর নগীনাও ছিল রূপার।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২০০
PMMRC হাদিস নং-১৬৭৪
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আংটি ছিল রূপার এবং নগীনাও ছিল রূপার।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২০১
PMMRC হাদিস নং-১৬৭৫
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রোমের বাদশাহর নিকট পত্র লিখতে মনস্থ করলেন, লোকেরা তাঁর নিকট বললেন: রোমের লোকেরা সিলমোহর ব্যতীত কোন পত্র পাঠ করে না। এরপর তিনি রূপার একটি আংটি বানিয়ে নেন। যেন আমি এখনও তার হাতে তাঁর শুভ্রতা দেখতে পাচ্ছি। তাতে ‘মুহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ’ অঙ্কিত ছিল।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২০২
PMMRC হাদিস নং-১৬৭৬
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইশার সালাতে অর্ধরাত্রি পর্যন্ত দেরী করলেন, পরে তিনি বের হয়ে আমাদের সাথে সালাত আদায় করলেন। আমি যেন এখনও তাঁর হাতে রৌপ্য নির্মিত আংটির শুভ্রতা অবলোকন করছি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
কোন হাতে আংটি পরবে
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২০৩
PMMRC হাদিস নং-১৬৭৭
আবূ সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর ডান হাতে আংটি পরতেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২০৪
PMMRC হাদিস নং-১৬৭৮
আবদুল্লাহ্‌ইব্‌ন জাফর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর ডান হাতে আংটি পরতেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
রূপা জড়ানো লোহার আংটি ব্যবহার
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২০৫
PMMRC হাদিস নং-১৬৭৯
মু’আয়কীব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আংটি ছিল লোহার, যাতে রূপা জড়ানো ছিল। তিনি বলেন: কোন সময় তা আমার হাতেও থাকতো। মু’আয়কীব (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আংটির রক্ষক ছিলেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
পিতলের আংটি
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২০৬
PMMRC হাদিস নং-১৬৮০
আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, বাহরায়ন থেকে এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট উপস্থিত হলো। সে সালাম করলে, তিনি তার সালামের জবাব দিলেন না। তার হাতে সোনার আংটি ছিল এবং পরনে ছিল রেশমী জুব্বা। সে উভয়টি খুলে ফেলল। তারপর এসে সালাম করল। এবার তিনি তার সালামের জবাব দিলেন। সে ব্যক্তি বললো: ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমি এই মাত্র আপনার নিকট উপস্থিত হয়েছিলাম, কিন্তু আপনি আমার প্রতি ভ্রুক্ষেপ করেননি। তিনি বললেন: তখন তোমার হাতে ছিল একটি অঙ্গার। সে বললো: এখন আমি অনেক অঙ্গার এনেছি। তিনি বললেন: তুমি যা এনেছ তা আমাদের নিকট হাররার পাথরখন্ড হতে উত্তম নয়। তবে হ্যাঁ, তা পার্থিব সম্পদ বটে। সে বললো: তবে আমি এ দিয়ে কি আংটি বানাব? তিনি বললেন: লোহা, রূপা বা পিতলের রিং বানিয়ে নেবে।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২০৭
PMMRC হাদিস নং-১৬৮১
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একবার বের হলে দেখা গেল, তাঁর হাতে একটি রূপার আংটি রয়েছে। তিনি বললেন: যার ইচ্ছা হয়, সে এইরূপ আংটি বানাতে পারে; কিন্তু এর উপর যে নকশা করা আছে, এরূপ নকশা যেন না করে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২০৮
PMMRC হাদিস নং-১৬৮২
আনাস ইব্‌ন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি আংটি তৈরী করান এবং তাতে কিছু নকশা করান। এরপর তিনি বললেন: আমি আংটি বানিয়ে তাতে নকশা করিয়েছি। তোমাদের কেউ যেন ঐরূপ নকশা না করায়। আনাস (রাঃ) বলেন, আমি যেন তাঁর হাতে তার শুভ্রতা এখনও দেখতে পাচ্ছি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নির্দেশ তোমরা আংটিতে আরবী নকশা করো না
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২০৯
PMMRC হাদিস নং-১৬৮৩
আনাস ইব্‌ন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: তোমরা মুশরিকদের আগুন হতে আলো গ্রহণ করবেনা আর তোমরা তোমাদের আংটিতে আরবী নকশা করবে না।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
তর্জনী আঙ্গুলে আংটি পরা নিষেধ
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২১০
PMMRC হাদিস নং-১৬৮৪
আবূ বুরদা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আলী (রাঃ) বলেছেন: আমাকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: আল্লাহ্‌ তা’আলার নিকট হিদায়ত এবং সঠিকভাবে কার্য নির্বাহের তওফীক কামনা কর। আর তিনি আমাকে নিষেধ করেছেন এই-এই আঙ্গুলে আংটি পরতে। এরপর তিনি ইঙ্গিত করলেন, তর্জনী ও মধ্যমা আঙ্গুলের দিকে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২১১
PMMRC হাদিস নং-১৬৮৫
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এই-এই আঙ্গুলে আংটি পরতে নিষেধ করেছেন। অর্থাৎ তর্জনী ও মধ্যমা আঙ্গুলে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২১২
PMMRC হাদিস নং-১৬৮৬
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বলেছেন: বল, হে আল্লাহ্‌! আমাকে হিদায়ত দান কর এবং আমাকে সঠিকভাবে কার্য নির্বাহের তওফিক দাও। আর তিনি আমাকে এই-এই আঙ্গুলে আংটি পরতে নিষেধ করেছেন। তিনি ইঙ্গিত করলেন, তর্জনী ও মধ্যমা আঙ্গুলের প্রতি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
পায়খানায় প্রবেশের সময় আংটি খুলে রাখা
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২১৩
PMMRC হাদিস নং-১৬৮৭
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন পায়খানায় প্রবেশ করতেন, তখন তাঁর আংটি খুলে রাখতেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২১৪
PMMRC হাদিস নং-১৬৮৮
ইব্‌ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সোনার আংটি বানালেন এবং তাঁর নগীনার দিক হাতের তালুর দিকে রাখলেন। পরে লোকেরাও সোনার আংটি বানালে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর আংটি খুলে ফেলে দিলেন এবং বললেন: আমি এটা আর কখনও পরবো না। তখন লোকজন তাদের আংটি খুলে ফেললো।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২১৫
PMMRC হাদিস নং-১৬৮৯
ইব্‌ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সোনার আংটি বানিয়ে এর নগীনা হাতের তালুর দিকে রাখলেন। লোকজনও এরূপ আংটি বানালো। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর আংটি খুলে ফেলে দিয়ে বললেন: আমি তা আর কখনও পরবো না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২১৬
PMMRC হাদিস নং-১৬৯০
ইব্‌ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সোনার আংটি বানিয়েছিলেন, পরে তা ফেলে দিয়ে রূপার আংটি পরলেন, যাতে তিনি “মুহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ” নকশা করিয়ে নেন। তিনি বলেন: আমার এই আংটিতে যে নকশা রয়েছে, এরূপ নকশা কারো জন্য করানো উচিত নয়। এরপর তিনি তার নগীনা তাঁর হাতের তালুর দিকে রাখতেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২১৭
PMMRC হাদিস নং-১৬৯১
ইব্‌ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তিন দিন ধরে একটি সোনার আংটি পরলেন, তাঁর সাহাবীগণ তা দেখে তাঁরাও সোনার আংটি বানানো আরম্ভ করলেন। এরপর তিনি তাঁর আংটি খুলে ফেলে দিলেন, পরে তার কি হয়েছে আমি জানি না। এরপর তিনি একটি রূপার আংটি বানাতে বললেন এবং তাতে “মুহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ” নকশা করতেও আদেশ দিলেন। এই আংটি তাঁর ইন্তেকাল পর্যন্ত হাতে ছিল। পরে আবূ বকর (রাঃ)-এর হাতে ছিল তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত। এরপর উমর (রাঃ)-এর হাতে ছিল তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত। পরে এই আংটি উসমান (রাঃ)-এর হাতে ছয় বৎসর পর্যন্ত ছিল। যখন তাঁর সময় বহু চিঠিপত্র লেখার প্রয়োজন হলো, তখন তিনি তা এক আনসার সাহাবীকে দেন যা দ্বারা সিলমোহর করা হতো। একদিন ঐ ব্যক্তি উসমান (রাঃ)-এর একটি কূপের নিকট গমন করলে তা কূপে পড়ে যায়; বহু তালাশের পরও তা পাওয়া যায়নি। পরে উসমান (রাঃ) অনুরূপ আর একটি আংটি তৈরীর আদেশ দেন, যাতে “মুহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ” অঙ্কিত ছিল।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২১৮
PMMRC হাদিস নং-১৬৯২
ইব্‌ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি সোনার আংটি পরলেন, আর এর নগীনা তাঁর হাতের তালুর দিকে রাখলেন। পরে অন্য লোকজন সোনার আংটি তৈরি করে পরতে লাগলো। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর আংটি ফেলে দিলেন। ফলে তারাও তাদের আংটি ফেলে দিল, পরে তিনি রূপার একটি আংটি বানিয়ে নেন এবং তা দিয়ে সিল মোহর করাতেন, তিনি তা পরতেন না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
ঘন্টা
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২১৯
PMMRC হাদিস নং-১৬৯৩
আবূ বকর ইব্‌ন আবূ শায়খ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি সালিম (রাঃ)-এর নিকট উপবিষ্ট ছিলাম, এমন সময় উম্মুল বনীনের কাফেলা আমাদের পাশ থেকে বের হলো। তাদের সাথে ছিল অনেক ঘন্টা। তখন সালিম (রাঃ) নাফের নিকট তার পিতার সূত্রে বর্ণনা করলেন যে, ফেরেশতা ঐ কাফেলার সাথে থাকেন না, যার সাথে ঘন্টা থাকে। আর এদের সাথে তো বহু ঘন্টা রয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২২০
PMMRC হাদিস নং-১৬৯৪
আবূ বকর ইব্‌ন মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি সালিম ইব্‌ন আবদুল্লাহ্‌র সাথে ছিলাম। তিনি তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণনা করেন, তিনি তাঁর পিতার সুত্রে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, যে কাফেলার সাথে ঘন্টা থাকে, ফেরেশতা তাদের সাথে থাকে না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২২১
PMMRC হাদিস নং-১৬৯৫
সালিম তাঁর পিতার মাধ্যমে বর্ণনা করেন থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যে কাফেলার সাথে ঘন্টা থাকে, ঐ কাফেলায় ফেরেশতা থাকে না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২২২
PMMRC হাদিস নং-১৬৯৬
উম্মুল মু’মিনীন উম্মে সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি: যে ঘরে জুলজুল বা ঘন্টা থাকে, ঐ ঘরে ফেরেশতা প্রবেশ করে না। আর ফেরেশতা ঐ সকল কাফেলার সাথেও থাকে না, যাদের মধ্যে ঘন্টা থাকে।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২২৩
PMMRC হাদিস নং-১৬৯৭
আবুল আহওয়াস (রহঃ) তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণনা করেন থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট বসা ছিলাম, তখন তিনি জরাজীর্ণ কাপড় দেখলেন। তিনি বললেন: তোমার কি ধন-সম্পদ আছে? আমি বললাম: হ্যাঁ। ইয়া রাসূলুল্লাহ! সব ধরনের মাল রয়েছে। তিনি বললেন: আল্লাহ্‌ যখন তোমাকে মাল দান করেছেন, তখন এর চিহ্ন তোমার মধ্যে থাকা উচিত।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২২৪
PMMRC হাদিস নং-১৬৯৮
আবুল আহওয়াস (রহঃ) তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণনা করেন থেকে বর্ণিতঃ
তিনি নিম্নমানের কাপড় পরে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট গেলে তিনি তাকে বললেন: তোমার ধন-সম্পদ আছে কী? তিনি বললেন, জ্বি হ্যাঁ, প্রত্যেক রকমের মালই আমার রয়েছে। জিজ্ঞেস করলেন কি মাল আছে? তিনি বলেন: আল্লাহ্‌ তাআলা আমাকে উট, বকরী, ঘোড়া এবং গোলাম দান করেছেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: যখন আল্লাহ্‌তোমাকে সম্পদ দান করেছেন, তখন আল্লাহ্‌র রহমত ও দানের চিহ্ন তোমার মধ্যে বাহ্যিকভাবেও প্রকাশ পাওয়া উচিত।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
ফিতরাত বা দ্বীনের সার্বজনীন বিধান
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২২৫
PMMRC হাদিস নং-১৬৯৯
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বলেছেন: পাঁচটি কাজ ফিতরাতের অন্তর্ভূক্ত। মোচ কর্তন করা, বগলের চুল উপড়ে ফেলা, নখ কাটা, নাভীর নীচের চুল কামানো এবং খতনা করা।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
গোঁফ কাটা, দাড়ি লম্বা করা
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২২৬
PMMRC হাদিস নং-১৭০০
ইব্‌ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমরা গোঁফ ছোট করবে এবং দাড়ি লম্বা করবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
শিশুদের মাথা মুড়ান
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২২৭
PMMRC হাদিস নং-১৭০১
আবদুল্লাহ ইব্‌ন জাফর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জাফর পরিবারকে শোক করার জন্য তিন দিনের সময় দিলেন। এরপর তিনি তাদের নিকট এসে বললেন: আমার ভাই-এর জন্য আজকের দিনের পর আর ক্রন্দন করো না। পরে তিনি বললেন: আমার ভ্রাতুষ্পুত্রদেরকে আমার নিকট ডাক। তখন আমাদেরকে আনা হলো। আমাদেরকে পক্ষীছানার মত মনে হচ্ছিল। তিনি বললেন: নাপিত ডেকে আন। তিনি আমাদের মাথা মুড়াবার জন্য বললেন। (সংক্ষিপ্ত)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
মাথার কিছু অংশ মুড়ান এবং কিছু রেখে দেওয়া নিষেধ
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২২৮
PMMRC হাদিস নং-১৭০২
ইব্‌ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাথায় কিছু চুল রেখে কিছু মুড়াতে নিষেধ করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২২৯
PMMRC হাদিস নং-১৭০৩
ইব্‌ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে মাথার কিছু চুল রেখে মাথা মুড়াতে নিষেধ করতে শুনেছি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৩০
PMMRC হাদিস নং-১৭০৪
ইব্‌ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাথায় কিছু চুল রেখে কিছু অংশ মুড়াতে নিষেধ করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৩১
PMMRC হাদিস নং-১৭০৫
ইব্‌ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাথায় কিছু চুল রেখে বাকী অংশ মুড়াতে নিষেধ করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
বাবরি রাখা
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৩২
PMMRC হাদিস নং-১৭০৬
বারা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অবয়ব ছিল মধ্যম ধরনের। তাঁর কাঁধের মধ্যবর্তী স্থান ছিল প্রশস্ত, তাঁর দাঁড়ি ছিল অতি ঘন, যার উপরিভাগে রক্তিমাভা বিরাজ করতো। তাঁর মাথার চুল কানের লতি পর্যন্ত ছিল। আমি তাঁকে লাল জোড়া কাপড় পরতে দেখেছি। আমি কাউকে তাঁর চাইতে সুশ্রী ও সুন্দর দেখিনি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৩৩
PMMRC হাদিস নং-১৭০৭
বারা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি কোন কেশ বিশিষ্ট, জোড়া-কাপড় পরিহিত ব্যক্তিকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে সুশ্রী ও সুন্দর দেখিনি। তাঁর মাথার চুল উভয় কাঁধ ছুঁতো।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৩৪
PMMRC হাদিস নং-১৭০৮
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মাথার চুল কানের অর্ধেক পর্যন্ত লম্বা ছিল।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৩৫
PMMRC হাদিস নং-১৭০৯
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মাথায় চুল উভয় কাঁধ ছুঁতো।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
চুল বিন্যস্ত রাখা
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৩৬
PMMRC হাদিস নং-১৭১০
জাবির ইব্‌ন আবদুল্লাহ্‌(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের নিকট আগমন করে এক ব্যাক্তিকে দেখলেন, তার মাথার চুল এলোমেলো। তিনি বললেন: এ ব্যাক্তি কি এমন কিছু পায় না, যা দিয়ে সে তার মাথার চুল বিন্যস্ত করে নেবে?
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৩৭
PMMRC হাদিস নং-১৭১১
আবূ কাতাদা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন: তাঁর মাথায় অধিক চুল ছিল। তিনি রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে, তিনি বলেন: কেশ বিন্যস্ত রাখবে এবং প্রত্যহ চিরুনি করবে।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
চুল সিঁথি কাটা
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৩৮
PMMRC হাদিস নং-১৭১২
ইব্‌ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর চুল আঁচড়িয়ে ছেড়ে দিতেন, আর মুশরিকরা তাদের চুলে সিঁথি কাটতো। যে সকল ব্যাপারে কোন আদেশ করা হয়নি, এমন ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আহলে কিতাবীর মত চলতে পছন্দ করতেন। পরবর্তীতে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চুলে সিঁথি কেটেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
চুল আঁচড়ানো
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৩৯
PMMRC হাদিস নং-১৭১৩
আবদুল্লাহ্‌ইব্‌ন বুরায়দা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উবায়দ নামক রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর একজন সাহাবী বলেছেন: রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিলাসিতা করতে নিষেধ করতেন। তিনি বলেন: চুল আঁচড়ানোও এর অন্তর্গত।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
ডানদিক থেকে চুল আঁচড়ানো
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৪০
PMMRC হাদিস নং-১৭১৪
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ওযু করতে, জুতা পরতে এবং চুল আঁচড়াতে যথাসম্ভব ডান দিক থেকে আরম্ভ করা পছন্দ করতেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
খিযাব লাগানোর আদেশ
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৪১
PMMRC হাদিস নং-১৭১৫
আবু সালামা এবং সুলায়মান ইব্‌ন ইয়াসার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তাঁরা উভয়ে আবু হুরায়রা (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: ইয়াহুদ-নাসারা চুল রঙ করে না, আতএব তোমরা তাদের বিরোধিতা করবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৪২
PMMRC হাদিস নং-১৭১৬
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আবু কুহাফাকে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট আনা হলে দেখা গেল তাঁর চুল-দাড়ি সবই সুগামা ঘাসের ন্যায় শুভ্র। তখন রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: একে পরিবর্তন করে দাও, অথবা খিযাব লাগিয়ে দাও।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
দাড়ি সোনালী রঙ করা
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৪৩
PMMRC হাদিস নং-১৭১৭
উবায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ইব্‌ন উমর (রাঃ)-কে দাড়িতে সোনালী রঙ করতে দেখলাম। তাঁকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন: আমি রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে এরূপ করতে দেখেছি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
যা'ফরান এবং ওয়ারস দ্বারা দাড়ি রঙ করা
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৪৪
PMMRC হাদিস নং-১৭১৮
ইব্‌ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চামড়ার জুতা পরতেন এবং ওয়ারস (ঘাস) ও যা’ফরান দ্বারা তাঁর দাড়ি রাঙাতেন। আর ইব্‌ন উমর (রাঃ)-ও এরূপ করতেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
চুলে পরচুলা লাগানো
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৪৫
PMMRC হাদিস নং-১৭১৯
হুমায়দ ইব্‌ন আবদুর রহমান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি মু'আবিয়া (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, তখন তিনি ছিলেন মদীনায় মিম্বরে। তিনি তাঁর আস্তিন হতে এক গুচ্ছ চুল বের করে বললেন: হে মদীনাবাসী! তোমাদের আলিমগণ কোথায়? আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে এরূপ করতে নিষেধ করতে শুনেছি তিনি বলেছেন: বনী ইসরাঈলের মহিলারা যখন এরূপ পরচুলা লাগানো আরম্ভ করেছিল, তখন তারা ধ্বংস হয়েছিল।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৪৬
PMMRC হাদিস নং-১৭২০
সাঈদ ইব্‌ন মুসায়্যিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মু'আবিয়া (রাঃ) মদীনায় এসে আমাদেরকে উদ্দেশ্য করে বক্তৃতা দিলেন। তখন তিনি হাতে একগুচ্ছ চুল নিয়ে বললেন: আমি ইয়াহুদীদের ব্যতীত আর কাউকে এরূপ করতে দেখিনি। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এ খবর পৌঁছলে তিনি একে মিথ্যা সাব্যস্ত করেছিলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
(বেশি দেখানোর ঊদ্দেশ্যে কালো) কাপড়ে চুল জড়ানো
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৪৭
PMMRC হাদিস নং-১৭২১
মু'আবিয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন: হে লোক সকল! রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তোমাদেরকে যুর বা মিথ্যা হতে নিষেধ করেছেন। এরপর তিনি কালো কাপড়ের এক টুকরা বের করে লোকদের সামনে রেখে বলেন, সেই ‘যুর’ বা মিথ্যা হলো এই। একে মহিলারা মাথার উপর রেখে এর উপর ওড়না পরে থাকে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৪৮
PMMRC হাদিস নং-১৭২২
মু'আবিয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুর বা মিথ্যা হতে নিষেধ করেছেন: সেই মিথ্যা এই যে, নিজের চুল অস্বাভাবিক লম্বা দেখানোর জন্য মাথায় পরচুলা ইত্যাদি কিছু লাগিয়ে নেয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
পরচুলা ব্যবহারকারিণীর উপর লা'নত
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৪৯
PMMRC হাদিস নং-১৭২৩
ইব্‌ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চুলে (পরচুলা) যোজনা করে এমন মহিলার উপর লা'নত করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
যে পরচুলা লাগিয়ে দেয় এবং যে লাগাতে বলে, তার উপর লা'নত
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৫০
PMMRC হাদিস নং-১৭২৪
আসমা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক মহিলা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে বললেন: ইয়া রাসুলুল্লাহ! আমার এক কন্যার বিবাহ হয়েছে। অসুস্থ হওয়ার পর তার মাথার চুল উঠে গেছে। এখন আমি যদি তার মাথায় পরচুলা জাতীয় কিছু লাগাই, তবে কি আমার গুনাহ হবে? তিনি বললেন: যে পরচুলা লাগিয়ে দেয় এবং যে লাগাতে বলে, আল্লাহ্‌ তার উপর লা'নত করেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
যে উল্কি আঁকায় এবং যে এঁকে দেয়, তার উপর লা'নত
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৫১
PMMRC হাদিস নং-১৭২৫
ইব্‌ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন: রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে নারী কাউকে পরচুলা লাগিয়ে দেয়, যে লাগাতে বলে, যে উল্কি আঁকায় এবং যে এঁকে দেয়, তাঁর প্রতি লা'নত করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
তার উপর লা'নত যে নারী (ভ্রু ইত্যাদির) লোম তুলে ফেলে এবং দাঁতে ফাঁক করে
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৫২
PMMRC হাদিস নং-১৭২৬
আবদুল্লাহ্‌(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যে নারী (ভ্রু-ইত্যাদির) পশম তুলে ফেলে এবং যে নারী দাঁতে ফাঁক সৃষ্টি করে, তাদের উপর আল্লাহ্‌লা'নত করেছেন। যাদের উপর রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) লা'নত করেছেন, আমিও তাদের উপর লা'নত করি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৫৩
PMMRC হাদিস নং-১৭২৭
আবদুল্লাহ্‌(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে নারী উল্কি আঁকে, দাঁতে ফাঁক সৃষ্টি করে এবং যে মুখের চুল তুলে ফেলে, আর এভাবে আল্লাহ্‌র সৃষ্টিকে পরিবর্তন করে, তাদের উপর লা'নত করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৫৪
PMMRC হাদিস নং-১৭২৮
আবদুল্লাহ্‌(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহ্‌তা'আলা চেহারার পশম উৎপাটনকারিণী, দাঁতে ফাঁক সৃষ্টিকারিণী এবং উল্কি অঙ্কনকারিণী, আল্লাহ্‌র সৃষ্টিকে পরিবর্তনকারিণীর উপর লা'নত করেছেন। এক নারী তাঁর নিকট এসে জিজ্ঞাসা করলো: আপনি কি এরূপ বলেছেন? তিনি বললেন: রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যা বলেছেন, আমি কি তা বলবো না?
হাদিসের মানঃ সহিহ লিগাইরিহি
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৫৫
PMMRC হাদিস নং-১৭২৯
তিনি বলেন: আবদুল্লাহ্‌ইব্‌ন মাসউদ (রাঃ) বলতেন: আল্লাহ্‌তা'আলা শরীরে দাগ সৃষ্টিকারিণী, চেহারার চুল উৎপাটনকারিণী এবং দাঁতে ফাঁক সৃষ্টিকারিণী রমণীর উপর লা'নত করেছেন। শুনে রাখ! রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যাদেরকে লা'নত করেছেন, আমি তাদের লা'নত করব না? রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: আল্লাহ্‌তা'আলা আমার উম্মতের মধ্যে নারীদের জন্য রেশম এবং স্বর্ণ হালাল করেছেন এবং তা পুরুষদের জন্য হারাম করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
যা’ আফরানী রঙ লাগানো
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৫৬
PMMRC হাদিস নং-১৭৩০
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পুরুষদেরকে যা’ফরানী রঙ লাগাতে নিষেধ করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৫৭
PMMRC হাদিস নং-১৭৩১
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পুরুষদেরকে তাদের শরীরে যা’ফরানী রঙ লাগাতে নিষেধ করেছেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
সুগন্ধি
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৫৮
PMMRC হাদিস নং-১৭৩২
আনাস ইব্‌ন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট সুগন্ধি পেশ করা হলে, তিনি তা ফেরত দিতেন না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৫৯
PMMRC হাদিস নং-১৭৩৩
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কারোর সামনে সুগন্ধি পেশ করা হলে, সে যেন তা ফেরত না দেয়। কেননা, তা ওজনে হালকা, অথচ ঘ্রাণে উত্তম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৬০
PMMRC হাদিস নং-১৭৩৪
আবদুল্লাহর স্ত্রী যয়নব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কোন মহিলা ইশার জামাআতে আসতে ইচ্ছা করলে, সে যেন সুগন্ধি স্পর্শ না করে।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৬১
PMMRC হাদিস নং-১৭৩৫
আবদুল্লাহর স্ত্রী যয়নব সাকাফিয়্যা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বলেছেনঃ যখন তুমি ইশার জামাআতের উদ্দেশ্যে বের হবে, তখন সুগন্ধি স্পর্শ করবে না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৬২
PMMRC হাদিস নং-১৭৩৬
যয়নব সাকাফিয়্যা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ মসজিদে গমনের ইচ্ছায় বের হলে সে যেন সুগন্ধি স্পর্শ না করে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৬৩
PMMRC হাদিস নং-১৭৩৭
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে নারী সুগন্ধি-ধোঁয়া নিয়েছে, সে যেন আমাদের সাথে ইশার জামাআতে শরীক না হয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
উত্তম সুগন্ধি সম্পর্কে
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৬৪
PMMRC হাদিস নং-১৭৩৮
আবূ সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক মহিলার কথা উল্লেখ করেন, যে তাঁর আংটিতে মৃগনাভি ভরে রেখেছিল। তিনি বলেনঃ এটা উত্তম সুগন্ধি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
স্বর্ণ পরিধান করা হারাম হওয়া
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৬৫
PMMRC হাদিস নং-১৭৩৯
আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ্‌তা’আলা আমার উম্মতের মধ্যে নারীদের জন্য রেশম এবং স্বর্ণ হালাল করেছেন এবং তা পুরুষদের জন্য হারাম করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
স্বর্ণের আংটি ব্যবহার করা নিষেধ
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৬৬
PMMRC হাদিস নং-১৭৪০
ইব্‌ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, লাল রঙ-এর কাপড় ও স্বর্ণের আংটি ব্যবহার করতে এবং রুকূতে কুরআন তিলাওয়াত করতে নিষেধ করা হয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৬৭
PMMRC হাদিস নং-১৭৪১
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে সোনার আংটি পরতে, রুকূ অবস্থায় কুরআন পড়তে, রেশমি কাপড় পরতে এবং কুসুম রঙ ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৬৮
PMMRC হাদিস নং-১৭৪২
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে সোনার আংটি, রেশমি কাপড় ও কুসুম রঙের কাপড় পরতে এবং রুকূ অবস্থায় কুরআন পড়তে নিষেধ করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৬৯
PMMRC হাদিস নং-১৭৪৩
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে রুকূ অবস্থায় কুরআন তিলাওয়াত করতে নিষেধ করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৭০
PMMRC হাদিস নং-১৭৪৪
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে কুসুম রঙের কাপড়, সোনার আংটি ও রেশমী কাপড় পরতে এবং রুকূতে কুরআন পড়তে নিষেধ করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৭১
PMMRC হাদিস নং-১৭৪৫
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে চারটি বস্তু অর্থাৎ কুসুম রঙের কাপড় পরতে, সোনার আংটি ব্যবহার করতে, রেশমী কাপড় পরিধান করতে এবং রুকূতে কুরআন পড়তে নিষেধ করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৭২
PMMRC হাদিস নং-১৭৪৬
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুসুম রঙের কাপড় ও রেশমী কাপড় পরিধান, রুকূতে কুরআন তিলাওয়াত এবং সোনার আংটি ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৭৩
PMMRC হাদিস নং-১৭৪৭
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সোনার আংটি পরতে নিষেধ করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৭৪
PMMRC হাদিস নং-১৭৪৮
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সোনার আংটি ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর আংটি ও এর নক্‌শা সম্পর্কে
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৭৫
PMMRC হাদিস নং-১৭৪৯
ইব্‌ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি সোনার আংটি তৈরি করিয়ে তা পরলেন। তখন লোকেরাও সোনার আংটি বানাল। তা দেখে রাস্যলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমি এই আংটিটি পরতাম, কিন্তু এখন হতে আমি আর কখনও পরবনা। এই বলে তিনি তা নিক্ষেপ করলেন। পরে অন্যান্য লোকেরাও তাদের আংটি ফেলে দিল।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৭৬
PMMRC হাদিস নং-১৭৫০
ইব্‌ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আংটির নক্‌শা ছিল-‘মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্‌’।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৭৭
PMMRC হাদিস নং-১৭৫১
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি রূপার আংটি তৈরি করান যার নগীনা ছিল হাবশী পাথরের এবং তাতে নকশা ছিল ‘মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্‌’।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৭৮
PMMRC হাদিস নং-১৭৫২
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রোমের বাদশাহ্‌কে লিখতে ইচ্ছা করলে লোকজন বললোঃ তারা সিল মোহর ব্যতীত কোন চিঠির পড়েনা। এরপর রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রূপার একটি আংটি তৈরি করান। আমি যেন তার শুভ্রতা তাঁর হাতে এখনও দেখছি। তাতে নকশা করা হয়েছিলঃ ’মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্‌’।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৭৯
PMMRC হাদিস নং-১৭৫৩
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি আংটি তৈরি করান। তার নগীনা ছিল হাবশী পাথরের।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৮০
PMMRC হাদিস নং-১৭৫৪
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আংটি ছিল রূপার এবং এর নগীনাও ছিল রূপার।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৮১
PMMRC হাদিস নং-১৭৫৫
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমি একটি আংটি তৈরি করিয়েছি এবং তাতে নক্‌শা করিয়েছি। অতএব এখন যেন কেউ সে রকম নক্‌শা না করায়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
আংটি পরার স্থান
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৮২
PMMRC হাদিস নং-১৭৫৬
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি আংটি তৈরি করালেন এবং বললেনঃ আমি একটি আংটি তৈরি করিয়েছি এবং তার উপর নকশাও করিয়েছি; অতএব কেউ যেন ঐরূপ নক্‌শা না করায়। আর আমি এখনও যেন ঐ আংটির ঔজ্জ্বল্য তাঁর কনিষ্ঠা আঙ্গুলে দেখছি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৮৩
PMMRC হাদিস নং-১৭৫৭
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর ডান হাতে আংটি পড়তেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৮৪
PMMRC হাদিস নং-১৭৫৮
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আংটির শুভ্রতা তাঁর বাম হাতের আঙ্গুলে যেন এখনও দেখছি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৮৫
PMMRC হাদিস নং-১৭৫৯
সাবিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
লোকেরা আনাস (রাঃ)-কে রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আংটির ব্যাপারে প্রশ্ন করলে, তিনি বললেনঃ আমি যেন এখনও তাঁর রূপার তৈরি আংটির উজ্জল্ল্য অবলোকন করছি। এই বলে তিনি তাঁর বাম হাতের কনিষ্ঠা অঙ্গুলী উঠালেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৮৬
PMMRC হাদিস নং-১৭৬০
আবূ বুরদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আলী (রাঃ)-কে বলতে শুনেছিঃ রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে মধ্যমা ও তর্জনী আঙ্গুলে আংটি পরতে নিষেধ করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৮৭
PMMRC হাদিস নং-১৭৬১
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে তর্জনী, মধ্যমা এবং এর নিকটবর্তী আঙ্গুলে আংটি পরতে নিষেধ করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
নগীনার স্থান
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৮৮
PMMRC হাদিস নং-১৭৬২
ইব্‌ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সোনার আংটি পরতেন। পরে তিনি ঐ আংটি ফেলে দিয়ে রূপার আংটি পরলেন এবং তাতে “মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্‌” নকশা করালেন। এরপর তিনি বললেনঃ কারো জন্য আমার আংটির নক্‌শার মত নকশা করা সমীচীন হবেনা। আর তিনি ঐ আংটির নগীনা হাতের তালুর দিকে রাখতেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
আংটি ফেলে দেয়া এবং এর ব্যবহার ত্যাগ করা
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৮৯
PMMRC হাদিস নং-১৭৬৩
ইব্‌ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি আংটি বানিয়ে তা হাতে দিয়ে বললেনঃ আজ থেকে আমি এই আংটির কারনে তোমাদের থেকে অন্য মনষ্ক হয়ে পড়ছিলাম। কখনো এর দিকেও আমার দৃষ্টি পড়ে আবার কখনো তোমাদের দিকে। পরে তিনি তা খুলে ফেলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৯০
PMMRC হাদিস নং-১৭৬৪
ইব্‌ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি সোনার আংটি তৈরি করিয়ে তিনি তা পরতেন। তিনি এর নগীনা হাতের তালুর দিকে রাখতেন। পরে অন্যান্য লোক তাঁর মত করতে লাগলো। তখন তিনি মিম্বরে আরোহন করে আংটিটি খুলে ফেললেন এবং বললেনঃ আমি এই আংটিটি পরতাম এবং এর নগীনা হাতের তালুর দিকে রাখতাম। পরে তিনি তা ফেলে দিয়ে বললেনঃ আল্লাহ্‌র শপথ! আমি তা আর কখনও পরবো না। পরে অন্য লোকেরাও তাদের আংটি ফেলে দিল।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৯১
PMMRC হাদিস নং-১৭৬৫
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হাতে একদিনই রূপার আংটি দেখেছেন। তা দেখে অন্য লোকেরাও তদ্রূপ আংটি তৈরি করল। পরে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা ফেলে দিলে লোকেরাও তাদের আংটি ফেলে দিল।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৯২
PMMRC হাদিস নং-১৭৬৬
ইব্‌ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি সোনার আংটি বানালেন। আর তিনি তার নগীনা রাখতেন হাতের তালুর দিকে। পরে অন্যান্য লোকও সোনার আংটি বানায়। তখন রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা খুলে ফেললেন। ফলে অন্যান্য লোকেরাও তাদের আংটি খুলে ফেলল। এরপর রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি রূপার আংটি বানান। তিনি তা দ্বারা সিলমোহর করতেন, পরতেন না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৯৩
PMMRC হাদিস নং-১৭৬৭
ইব্‌ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি সোনার আংটি বানান। তিনি তার নগীনা তাঁর হাতের তালুর দিকে রাখতেন। এরপর অন্য লোকও আংটি বানায়। পরে রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা খুলে ফেলেন এবং বললেনঃ আমি আর কখনও তা পরবো না। এরপর রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রৌপ্য নির্মিত আংটি পরেন। এই আংটি পরে আবূ বকর (রাঃ)-এর হাতে ছিল, পরে তা উমর (রাঃ)-এর হাতে ছিল, উমর (রাঃ)-এর পর তা উছমান (রাঃ)-এর হাতে ছিল; পরে তা আরীস নামক কূপে পড়ে হারিয়ে যায়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
কোন কাপড় পরিধান করা মুস্তাহাব, আর কোন্‌টি মাকরূহ
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৯৪
PMMRC হাদিস নং-১৭৬৮
আবুল আহ্‌ওয়াস (রহঃ) তাঁর পিতার মাধ্যমে থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি একবার রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট উপস্থিত হলাম। তিনি আমাকে (পুরাতন মলিন কাপড় পরিহিত) খারাপ অবস্থায় দেখে বললেনঃ তোমার কি কোন মাল-সম্পদ আছে? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। আল্লাহ্‌তা‘আলা আমাকে সর্বপ্রকার সম্পদই দান করেছেন। তখন তিনি বললেনঃ যখন তোমাকে আল্লাহ্‌মাল দান করেছেন, তখন এর চিহ্ন তোমার মধ্যে থাকা বাঞ্ছনীয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
সোনালী ডোরাবিশিষ্ট রেশমী কাপড় ব্যবহার নিষেধ
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৯৫
PMMRC হাদিস নং-১৭৬৯
উমর ইব্‌ন খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি মসজিদের দরজায় সোনালী ডোরাদার রেশমী চাদর বিক্রি হতে দেখলেন। তিনি বলেন, আমি বললামঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ্‌! যদি আপনি জুমুআর দিনের জন্য এবং আপনার নিকট কোন বিদেশী প্রতিনিধিদল আসলে পরার জন্য এরূপ একজোড়া খরিদ করতেন। তখন রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এতো ঐ ব্যক্তি পরিধান করবে, আখিরাতে যার কোন অংশ থাকবে না। পরবর্তীতে রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট ঐরকম কয়েক জোড়া কাপড় আসলে, তিনি তা হতে একজোড়া আমাকে দান করলেন। উমর (রাঃ) বললেনঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ্‌! আপনি আমাকে এটা দিচ্ছেন, অথচ আগে আপনি এব্যাপারে যা বলার বললেন? নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমি তা তোমাকে পরার জন্য দেইনি। আমি এজন্য দিয়েছি যে, তুমি এটা অন্য কাউকে পরতে দেবে বা বিক্রি করে অন্য কাজে লাগাবে। উমর (রাঃ) তা তাঁর এক বৈপিত্রেয় ভাইকে দান করেন, যে মুশরিক ছিল।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
ডোরাদার রেশমী কাপড় নারীদের ব্যবহারের অনুমতি
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৯৬
PMMRC হাদিস নং-১৭৭০
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কন্যা যয়নাবের পরিধানে ডোরাকাটা রেশমী কামিজ দেখেছি।
হাদিসের মানঃ শায
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৯৭
PMMRC হাদিস নং-১৭৭১
আনাস ইব্‌ন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কন্যা উম্মে কুলসুমের পরিধানে সোনালী ডোরাদার রেশমী চাদর দেখেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৯৮
PMMRC হাদিস নং-১৭৭২
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট একটি ডোরাকাটা রেশমী কাপড় পেশ করা হলে তিনি তা আমার নিকট পাঠিয়ে দেন। আমি তা পরিধান করলে, তাঁর চেহারায় বিরক্তির ভাব লক্ষ্য করলাম। তিনি বললেনঃ আমি তোমাকে পরতে দেইনি। এরপর তিনি আমাকে আদেশ করলে আমি তা আমাদের নারীদেরকে বণ্টন করে দিলাম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
ইস্‌তাব্‌রাক বা রেশমী কাপড় পরিধান করা নিষেধ
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫২৯৯
PMMRC হাদিস নং-১৭৭৩
ইব্‌ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উমর (রাঃ) একবার বের হয়ে দেখলেন, বাজারে ইস্‌তাব্‌রাক বা রেশমী জোড়া বিক্রি হচ্ছে। তিনি রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট হাজির হয়ে বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্‌! আপনি এটা ক্রয় করুণ এবং জুমুআর দিন এবং আপনার নিকট বিদেশী প্রতিনিধিদল আসলে পরিধান করুন। রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এটা ঐ ব্যক্তিই পরবে, যার আখিরাতে কোন অংশ নেই। পরে এরকম তিনজোড়া কাপড় রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট পেশ করা হলে তিনি এর একজোড়া উমর (রাঃ) -কে, একজোড়া আলী (রাঃ) -কে এবং একজোড়া উসামা (রাঃ) -কে দিলেন। তখন উমর (রাঃ) তাঁর নিকট এসে বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্‌! আপনি এর পূর্বে এ ব্যাপারে যা বলার তা বলেছিলেন, আর এখন এটা আমাকে দান করলেন? তিনি বললেনঃ তুমি তা বিক্রি করে নিজের প্রয়োজন পূর্ণ কর অথবা তা টুকরা করে তোমার মহিলাদের ওড়না বানিয়ে দাও।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
ইসতাব্‌রাকের বর্ণনা
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩০০
PMMRC হাদিস নং-১৭৭৪
ইয়াহ্‌ইয়া ইব্‌ন আবু ইসহাক (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, সালিম (রহঃ) বলেন, ইস্তাবাক কি? আমি বললামঃ রেশমী কাপড়ের মধ্যে যা শক্ত এবং মোটা হয়, তাই ইসতাব্‌রাক। সালিম বললেনঃ আমি আবদুল্লাহ্‌(রাঃ) -কে বলতে শুনেছিঃ উমর (রাঃ)-এক ব্যক্তির নিকট রেশমী কাপড়ের এক জোড়া দেখতে পেলেন এবং তা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট এনে বললেনঃ আপনি এটা খরিদ করুন, এরপর হাদিসের শেষ পর্যন্ত বর্ণনা করলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
দীবাজ নামক রেশমী কাপড় পরা নিষেধ
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩০১
PMMRC হাদিস নং-১৭৭৫
আবদুল্লাহ্‌ইব্‌ন উকায়ম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, হুযায়ফা (রাঃ) পানি চাইলে এক গ্রাম্য নেতা রৌপ্য নির্মিত পাত্রে পানি আনে। হুযায়ফা (রাঃ) সেটি ছুঁড়ে মারলেন। তারপর এ আচরনের জন্য তাদের কাছে কৈফিয়ত দিলেন এবং বললেনঃ আমার জন্য এর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আমি রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ তোমাদের কেউ যেন সোনা-রূপার পাত্রে পান না করে এবং দীবাজ ও রেশমী কাপড় পরিধান না করে। কেননা এটা পৃথিবীতে তাদের জন্য, আর আমাদের জন্য আখিরাতে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
সোনার কারুকার্য খচিত দীবাজ বা রেশমী বস্ত্র পরিধান
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩০২
PMMRC হাদিস নং-১৭৭৬
ওয়াকিদ ইব্‌ন আমর ইব্‌ন সা’দ ইব্‌ন মুআয (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আনাস ইব্‌ন মালিক (রাঃ) মদিনায় আগমন করলে আমি তাঁর নিকট উপস্থিত হলাম এবং তাঁকে সালাম করলাম। তিনি বললেনঃ তুমি কে? আমি বললামঃ আমি ওয়াকিদ ইব্‌ন আমর ইব্‌ন সা’দ ইব্‌ন মুআয। তিনি বললেনঃ সা’দ ইব্‌ন মুআয (রাঃ) তো বড় এবং লম্বাকৃতির লোক ছিলেন। এই বলে তিনি কাঁদলেন এবং বললেনঃ রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দুমার বাদশাহ্‌উকায়দারের নিকট এক বাহিনী প্রেরণ করেন। তিনি রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট রেশম এবং সোনার কারুকার্য খচিত একটি জুব্বা পাঠান। রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা পরিধান করে মিম্বরের উপর উঠে বসলেন। তারপর কোন কথা না বলে তিনি মেম্বর হতে অবতরণ করলেন। লোক তাঁর ঐ জুব্বা হাতে ধরে দেখতে লাগলো। তিনি বললেনঃ তোমরা এটা দেখে আশ্চর্য বোধ করছো! বেহেশতে সা’দ ইব্‌ন মুআযের রুমালও তোমরা এই যা দেখছো, এর চেয়ে উৎকৃষ্ট।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
পরিচ্ছেদঃ
উক্ত হাদীস রহিত হওয়ার বর্ণনা
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩০৩
PMMRC হাদিস নং-১৭৭৭
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, দীবাজ নামক রেশমী কাপড়ের একটি কাবা রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে হাদিয়া স্বরূপ দান করা হলে তিনি তা পরিধান করেন। কিছুক্ষণ পর তিনি তা খুলে ফেলে তা উমর (রাঃ) -এর নিকট পাঠিয়ে দেন। তখন অন্যান্য লোক জিজ্ঞাসা করলঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ্‌! আপনি হঠাৎ তা খুলে ফেললেন কেন? তিনি বললেনঃ আমাকে জিব্‌রাঈল (আঃ) তা পরতে নিষেধ করেছেন। একথা শুনে উমর (রাঃ) কাঁদতে কাঁদতে রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ্‌! আপনি যা অপছন্দ করেন তা আমাকে পরতে দিলেন? রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমি তো তোমাকে তা পরতে দেইনি; আমি তো তোমাকে দিয়েছি বিক্রি করার জন্য। এরপর উমর (রাঃ) দুই হাজার দিরহামে তা বিক্রি করে দেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
পৃথিবীতে রেশমী কাপড় পরার ব্যাপারে কঠোরতা; যে দুনিয়াতে তা পরবে, সে আখিরাতে তা পরতে পারবে না
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩০৪
PMMRC হাদিস নং-১৭৭৮
আব্দুল্লাহ্‌ইব্‌ন যুবায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি মিম্বরের উপর খুতবা দিতে গিয়ে বললেনঃ মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি পৃথিবীতে রেশমী কাপড় পরিধান করবে, আখিরাতে সে কখনো তা পরতে পারবে না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩০৫
PMMRC হাদিস নং-১৭৭৯
আব্দুল্লাহ্‌ইব্‌ন যুবায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, তোমরা নিজেদের নারীদেরকে রেশমী কাপড় পরতে দেবে না। আমি উমর ইব্‌ন খাত্তাব (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে তা পৃথিবীতে পরিধান করবে, সে আখিরাতে তা পরতে পারবেনা।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩০৬
PMMRC হাদিস নং-১৭৮০
ইমরান ইব্‌ন হিত্তান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি আবদুল্লাহ্‌ইব্‌ন আব্বাস (রাঃ)-কে রেশমী কাপড় পরিধান সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেনঃ তুমি এ ব্যাপারে আয়েশা (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা কর। আমি আয়েশা (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেনঃ আবদুল্লাহ্‌ইব্‌ন উমর (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা কর। আমি ইব্‌ন উমর (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলে–তিনি বললেনঃ আমার নিকট আবূ হাফ্‌সা (রাঃ) বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি পৃথিবীতে রেশমী কাপড় পরবে, আখিরাতে তার জন্য এর কোন অংশ থাকবে না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩০৭
PMMRC হাদিস নং-১৭৮১
ইব্‌ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ রেশমী কাপড় ঐ ব্যক্তিই পরিধান করবে, যার আখিরাতে কোন অংশ নেই।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩০৮
PMMRC হাদিস নং-১৭৮২
আলী আল-বাকেরী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক মহিলা আমার নিকট মাসাআলা জিজ্ঞাসা করার জন্য আসলে আমি তাকে বললামঃ ঐ যে আবদুল্লাহ্‌ইব্‌ন উমর (রাঃ)। তাঁর নিকট জিজ্ঞাসা করুন। ঐ মহিলা তাঁর নিকট জিজ্ঞাসা করার জন্য গেল, আর আমি তার পিছে পিছে গেলাম, তিনি কি বলেন শোনার জন্য। সেই নারী বললোঃ রেশমী কাপড় সম্বন্ধে আমাকে কিছু বলুন। তিনি বললেনঃ রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
রেশমী কাপড় পরার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩০৯
PMMRC হাদিস নং-১৭৮৩
বারা ইব্‌ন আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে সাতটি বিষয়ে আদেশ করেছেন এবং সাতটি বিষয়ে নিষেধ করেছেন। তিনি আমাদেরকে নিষেধ করেছেনঃ সোনার আংটি, রূপার পাত্র, মায়াসির১, কাসসী২, ইসতাব্‌রাক৩ এবং দীবাজ৪ ও হারীর৫ হতে।
১,২,৩,৪,৫ বিভিন্ন প্রকার রেশমী কাপড়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
রেশমী কাপড় পরার অনুমতি
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩১০
PMMRC হাদিস নং-১৭৮৪
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবদুর রহমান ইব্‌ন আউফ এবং যুবায়র ইব্‌নুল আওয়াম (রাঃ)-কে রেশমী জামা পরার অনুমুতি দান করেছিলেন; কেননা তাদের খুজলী রোগ হয়েছিল।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩১১
PMMRC হাদিস নং-১৭৮৫
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবদুর রহমান এবং যুবায়র (রাঃ)-কে রেশমী কাপড়ের জামা ব্যবহারের অনুমুতি দান করেন, তাঁদের খুজলীতে আক্রান্ত হওয়ার দরুন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩১২
PMMRC হাদিস নং-১৭৮৬
আবূ উসমান নাহদী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমরা উতবা ইব্‌ন ফারকাদ (রহঃ)-এর সাথে ছিলাম। এমন সময় উমর (রাঃ)-এর আদেশ পৌঁছলো, রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ রেশমী কাপড় শুধু ঐ ব্যক্তিই পরিধান করতে পারে, আখিরাতে যার কোন অংশ নেই; তবে এতটুকু পরিমান। আবূ উসমান (রহঃ) বলেনঃ তিনি বৃদ্ধাঙ্গুলির সংলগ্ন আঙ্গুলীদ্বয় দ্বারা ইঙ্গিত করলেন। আমার মনে হলো তা চাদরের প্রান্ত ভাগ হবে। অবশেষে আমি যখন চাদর দেখলাম, তখন নিশ্চিত হলাম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩১৩
PMMRC হাদিস নং-১৭৮৭
উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি রেশমী কাপড় চার আঙ্গুলের বেশি ব্যবহারের অনুমুতি দেননি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
জোড়া পোশাক পরিধান করা
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩১৪
PMMRC হাদিস নং-১৭৮৮
বারা ইব্‌ন আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জোড়া পোশাক পরিহিত, মাথার চুল সুবিন্যাস্ত অবস্থায় দেখেছি। আমি পূর্বে ও পরে কাউকে তাঁর চেয়ে সুন্দর কাউকে দেখিনি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
হিবারা (ইয়ামানী চাদর) পরিধান করা
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩১৫
PMMRC হাদিস নং-১৭৮৯
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, হিবারা ( ইয়ামানী চাদর-বিশেষ) ছিল রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট সর্বাধিক পছন্দনীয় কাপড়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
কুসুম রঙের কাপড় পরিধান করা নিষেধ
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩১৬
PMMRC হাদিস নং-১৭৯০
আবদুল্লাহ্‌ইব্‌ন আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে দু’টি কুসুম রঙের কাপড় পরিহিত অবস্থায় দেখে বললেনঃ এটা কাফিরদের পোশাক। অতএব, তুমি এটা পরিধান করোনা।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩১৭
PMMRC হাদিস নং-১৭৯১
আবদুল্লাহ্‌ইব্‌ন আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক সময় তিনি রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট দু’টি কুসুম রঙের কাপড় পরিহিত অবস্থায় আগমন করলে তিনি রাগান্বিত হয়ে বলেনঃ ফেলে দাও। তিনি বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! কোথায় ফেলব? তিনি বললেনঃ দোযখে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩১৮
PMMRC হাদিস নং-১৭৯২
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে সোনার আংটি, রেশমী কাপড় ও কুসুম রঙের কাপড় পরতে এবং রুকু অবস্থায় কুরআন পাঠ করতে নিষেধ করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
সবুজ কাপড় পরিধান করা
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩১৯
PMMRC হাদিস নং-১৭৯৩
আবূ রিম্‌সা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদা রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দুইখানা সবুজ কাপড় পরিহিত অবস্থায় আমাদের নিকট আগমন করেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
বুরদা (ডোরাকাটা চাদর) পরিধান করা
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩২০
PMMRC হাদিস নং-১৭৯৪
খাব্বাব ইব্‌ন আরত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট অভিযোগ করলাম, তখন তিনি কা’বা শরীফের ছায়ায় একখানা বুরদার উপর মাথা রেখে আরাম করছিলেন। আমি বললামঃ আপনি কি আমাদের জন্য সাহায্য প্রার্থনা করবেন না, আপনি কি আমাদের জন্য আল্লাহ্র  কাছে দু’আ করবেন না?
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩২১
PMMRC হাদিস নং-১৭৯৫
সাহ্‌ল ইব্‌ন সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একজন মহিলা একখানা বুরদা নিয়ে আসলে সাহ্‌ল (রাঃ) বলেনঃ তোমরা কি জান, বুরদা কি? উপস্থিত লোকজন বললঃ হ্যাঁ, এমন চাদর যার কিনারায় নকশা করা ছিল। মহিলা বললঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্‌! আমি এটা আপনাকে পরানোর জন্য নিজ হাতে তৈরি করেছি। রাসূলাল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এমনভাবে তা গ্রহণ করলেন যেন তাঁর সেটি প্রয়োজন, আর তিনি তা লুঙ্গিরূপে পরে আমাদের নিকট আসলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
সাদা কাপড় পরার আদেশ
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩২২
PMMRC হাদিস নং-১৭৯৬
সামূরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা সাদা কাপড় পরিধান করবে। কেননা এটা বেশি পবিত্র হয়ে ও বেশি পরিচ্ছন্ন১। আর তোমরা তোমাদের মৃতদেরকে সাদা কাপড় দিয়ে কাফন দেবে।
১] যেহেতু সামান্য ময়লা হলে বা সামান্য নাপাকী লাগলেই দেখা যায়, ফলে ধুয়ে ফেলা হয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩২৩
PMMRC হাদিস নং-১৭৯৭
সামূরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা সাদা কাপড় ব্যবহার করবে। জীবিতরা তা পরবে আর মৃতদেরকে তা দিয়ে কাফন দেবে। কেননা, এটাই উৎকৃষ্ট কাপড়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
কাবা২ পরিধান করা
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩২৪
PMMRC হাদিস নং-১৭৯৮
মিসওয়ার ইব্‌ন মাখ্‌রামা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদা রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাবা বণ্টন করলেন কিন্তু মাখ্‌রামা (রাঃ)-কে কিছু না দেওয়ায় তিনি বললেনঃ প্রিয়পুত্র! তুমি আমার সাথে চল; আমরা রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট যাব। আমি তাঁর সাথে রওয়ানা হলাম। তিনি আমাকে বললেনঃ তুমি ভেতরে প্রবেশ করে তাঁকে আমার নিকট ডেকে আনো, আমি তাঁকে ডাকলে তিনি ঐ কাবা পরিহিত অবস্থায় তার নিকট আগমন করলেন এবং বললেনঃ আমি এটা আপনার জন্য রেখে দিয়েছি, মাখরামা সেটি পরিধান করলেন।
২] ঢোলা জোব্বা, যা জামার উপর পরা হয়। আরব ও ইরানীরা পরে থাকে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
পায়জামা পরিধান করা
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩২৫
PMMRC হাদিস নং-১৭৯৯
ইব্‌ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে আরাফাতে বলতে শোনেন : যার লুঙ্গি না মিলে, সে যেন পায়জামা পরিধান করে এবং যার জুতা নেই সে যেন মোজা পরিধান করে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
লুঙ্গি ইত্যাদি পরে হেচড়িয়ে চলার উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩২৬
PMMRC হাদিস নং-১৮০০
আব্দুল্লাহ্‌ইব্‌ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ এক ব্যক্তি গর্বভরে স্বীয় পরিধেয় লুঙ্গি বা পায়জামা হেচড়িয়ে চলতো। সে কিয়ামত পর্যন্ত মাটির মধ্যে ধসতে থাকবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩২৭
PMMRC হাদিস নং-১৮০১
আবদুল্লাহ্‌(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: যে ব্যক্তি গর্বভরে নিজের কাপড় মাটিতে হেচড়িয়ে চলে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ্‌তার দিকে দৃষ্টিপাত করবেন না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩২৮
PMMRC হাদিস নং-১৮০২
ইব্‌ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: যে ব্যক্তি গর্বভরে নিজের কাপড় মাটিতে হেঁচড়িয়ে চলে আল্লাহ্‌পাক কিয়ামতের দিন তার প্রতি দৃষ্টিপাত করবেন না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
লুঙ্গি পরিধানের স্থান
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩২৯
PMMRC হাদিস নং-১৮০৩
হুযায়ফা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ লুঙ্গি ,পায়জামা ইত্যাদি পায়ে গোছার মধ্যবর্তী স্থান পর্যন্ত থাকা উচিত যেখানে মাংসপেশী অবস্থিত। যদি তা পছন্দ না হয়, তবে আরও কিছু নিচে পরতে পার। যদি আরও নিচু করতে ইচ্ছা কর, তবে পায়ের গোছার নিচে পরবে, কিন্তু গিরার নিম্নাংশের লুঙ্গি পরার কোন অধিকার নাই।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
লুঙ্গি,চাদর ইত্যাদির যে অংশ পায়ের গিরার নীচে থাকবে
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩৩০
PMMRC হাদিস নং-১৮০৪
আবু হুরায়রা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ লুঙ্গি ইত্যাদির যে অংশ গিরার নীচে থাকবে, তা দোজখে থাকবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩৩১
PMMRC হাদিস নং-১৮০৫
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেছেন: ইযার বা লুঙ্গির যে অংশ গোড়ালির উপরিস্থ গিরার নীচে থাকবে তা দোযখে অবস্থান করবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
ইযার বা লুঙ্গি টাখনুর নিচে ঝুলিয়ে পরা
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩৩২
PMMRC হাদিস নং-১৮০৬
ইব্‌ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ইযার বা লুঙ্গি ইত্যাদি যে ব্যক্তি নীচে ঝুলিয়ে পরিধান করে, তার প্রতি আল্লাহ্‌তা'আলা রহমতের দৃষ্টি নিক্ষেপ করবেন না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩৩৩
PMMRC হাদিস নং-১৮০৭
আবূ যর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: কিয়ামতের দিন তিন প্রকার ব্যক্তির সাথে আল্লাহ্‌তা’আলা কথা বলবেন না এবং তাদেরকে গুনাহ থেকে পবিত্র করবেন না, বরং তাদের জন্য থাকবে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। তাদের একজন ঐ ব্যক্তি, যে দান করে পরে খোঁটা দেয়; দ্বিতীয় ব্যক্তি, যে ইযার বা লুঙ্গি ইত্যাদি লটকিয়ে চলে; তৃতীয় ব্যক্তি যে মিথ্যা শপথ দ্বারা পণ্য চালায়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩৩৪
PMMRC হাদিস নং-১৮০৮
ইব্‌ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: ইযার, জামা, পাগড়ি ইত্যাদির যে কোন একটি যে ব্যক্তি অহংকারভরে ঝুলায়, তার প্রতি আল্লাহ্‌তা'আলা কিয়ামতের দিন দৃষ্টিপাত করবেন না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩৩৫
PMMRC হাদিস নং-১৮০৯
মালিক (রহঃ) তাঁর পিতা থেকে থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: যে ব্যক্তি গর্বভরে তার কাপড় ঝুলিয়ে পরবে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ্‌তা'আলা তাঁর প্রতি দৃষ্টিপাত করবেন না। তখন আবূ বকর (রাঃ) বললেন: ইয়া রাসূলুল্লাহ, অসতর্কতাবস্থায় আমার ইযারের একদিক লম্বা হয়ে যায়। কিন্তু সতর্ক হলে বোধহয় এরূপ হবে না। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: যারা গর্বভরে এরূপ করে, আপনি তাদের অন্তর্ভুক্ত নন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
নারীদের কাপড়ের নিন্মাংশ
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩৩৬
PMMRC হাদিস নং-১৮১০
ইব্‌ন উমর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: যে ব্যক্তি গর্বভরে নিজের কাপড় হেচড়িয়ে চলে, আল্লাহ্‌তা'আলা তার প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করবেন না। উম্মে সালামা (রাঃ) বললেনঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ্‌; নারীরা তাদের কাপড়ের নিম্নাংশ কিভাবে রাখবে? তিনি বললেনঃ তারা তা এক বিঘত লম্বা করে দিবে। বর্ণনাকারী বলেন, উম্মে সালামা (রাঃ) বললেন: তা হলে তো তাদের পা খোলা থাকবে। রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: তাহলে তারা তা এক হাত লম্বা করবে, এর উপর যেন তারা লম্বা না করে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩৩৭
PMMRC হাদিস নং-১৮১১
উম্মে সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে নারীদের আঁচল সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন: তারা তা অর্ধ হাত লম্বা করবে। উম্মে সালামা (রাঃ) বললেনঃ তবে তো পা খোলা থাকবে। তিনি বললেন: তা হলে একহাত লম্বা করবে, তার চেয়ে লম্বা করবে না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩৩৮
PMMRC হাদিস নং-১৮১২
উম্মে সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ইযার বা লুঙ্গি ইত্যাদি সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যা বলেছেনঃ তা বলার পর উম্মে সালামা জিজ্ঞাসা করলেন: নারীরা কী করবে? তিনি বললেন: তারা আধহাত লম্বা করবে। উম্মে সালামা (রাঃ) বললেন: তখনও তো তাদের পা প্রকাশিত হয়ে পড়বে। রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: তাহলে তারা একহাত ঝুলাবে, এর উপর বাড়াবে না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩৩৯
PMMRC হাদিস নং-১৮১৩
উম্মে সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞাসা করা হল নারীরা তাদের আঁচল কতটুকু নীচু করবে? তিনি বললেন: তারা আধহাত লম্বা করবে। উম্মে সালামা (রাঃ) বললেন: তখনও তো তাদের পা খোলা থাকবে। রাসূলুল্লাহ্‌বললেন: তাহলে তারা একহাত লম্বা করবে কিন্তু এর উপর বাড়াবে না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
এক কাপড়ে সর্বাঙ্গ জড়িয়ে তার একপার্শ্ব কাঁধের উপড় ফেলে রাখা নিষেধ
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩৪০
PMMRC হাদিস নং-১৮১৪
আবূ সাঈদ খুদ্‌রী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইশতিমালুস-সাম্মা অর্থাৎ এক কাপড়ে এমনভাবে শরীর জড়াতে নিষেধ করেছেন যে, তাঁর একদিক কাঁধের উপর ফেলে রাখা হবে এবং একই কাপড়ে পিঠ ও হাঁটু আবৃত করে এমনভাবে বসতে নিষেধ করেছেন, যাতে ঐ কাপড়ের কিছুমাত্র লজ্জাস্থানের উপর না থাকে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩৪১
PMMRC হাদিস নং-১৮১৫
আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইশতিমালুম-সাম্মা পদ্ধতিতে কাপড় পরতে এবং একই কাপড়ে পিঠ, হাঁঠু ইত্যাদি আবৃত করে এমনভাবে বসতে নিষেধ করেছেন, যাতে ঐ কাপড় কিছুমাত্র লজ্জাস্থানের উপর না থাকে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
এক কাপড়ে ইহতিবা (সর্বশরীর জড়িয়ে বসা) নিষেধ
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩৪২
PMMRC হাদিস নং-১৮১৬
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইশতিমালুম-সাম্মা পদ্ধতিতে কাপড় পরতে এবং একই কাপড়ে পিঠ, হাঁঠু জড়িয়ে বসতে নিষেধ করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
ছাইরঙ্গা পাগড়ি পরিধান করা
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩৪৩
PMMRC হাদিস নং-১৮১৭
আমর ইব্‌ন হুরায়স (রহঃ) তাঁর পিতা থেকে থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মাথায় ছাইরঙা পাগড়ি দেখেছি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
কালো পাগড়ি ব্যবহার করা
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩৪৪
PMMRC হাদিস নং-১৮১৮
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মক্কা বিজয়ের দিন ইহরাম ব্যতীত প্রবেশ করলেন, তখন তাঁর মাথায় কালো পাগড়ি শোভা পাচ্ছিল।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩৪৫
PMMRC হাদিস নং-১৮১৯
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মক্কা বিজয়ের দিন মক্কায় প্রবেশ করেন, তখন তাঁর মাথায় কালো পাগড়ি ছিল।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
পাগড়ির প্রান্ত দু'কাঁধের মাঝখানে লটকানো
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩৪৬
PMMRC হাদিস নং-১৮২০
জাফর ইব্‌ন আমর ইব্‌ন উমাইয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তার পিতা বলেছেন, আমি যেন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে কালো পাগড়ি পরিহিত অবস্থায় মিম্বরের উপর দেখেছি, যার প্রান্তদেশ তাঁর স্কন্ধদ্বয়ের উপর লটকানো রয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
ছবি
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩৪৭
PMMRC হাদিস নং-১৮২১
আবূ তাল্‌হা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ফেরেশ্‌তা ঐ ঘরে প্রবেশ করে না, যে ঘরে কুকুর অথবা ছবি থাকে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩৪৮
PMMRC হাদিস নং-১৮২২
আবূ তাল্‌হা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–কে বলতে শুনেছিঃ ফেরেশতা ঐ ঘরে প্রবেশ করে না, যে ঘরে কুকুর অথবা ভাস্কর্য থাকে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩৪৯
PMMRC হাদিস নং-১৮২৩
উবায়দুল্লাহ্‌ইব্‌ন আবদুল্লাহ্‌(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি আবূ তাল্‌হা আনসারী (রাঃ)–কে তাঁর রুগ্নাবস্থায় দেখতে গেলে তাঁর নিকট সাহ্‌ল ইব্‌ন হুনায়ফকে দেখতে পান। আবূ তাল্‌হা (রাঃ) এক ব্যক্তিকে তাঁর নিচ বিছানা বের করে ফেলতে আদেশ করলেন। তখন সাহ্‌ল (রাঃ) তাঁকে বললেনঃ কেন বের করবেন? তিনি বললেনঃ কেননা তাতে ছবি রয়েছে। এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যা বলেছেন, তা তো তুমি জান। সাহ্‌ল বললেনঃ তিনি কি বলেন নি যে, কাপড়ে নক্‌শারূপে থাকলে কোন ক্ষতি নেই? আবূ তাল্‌হা (রাঃ) উত্তর করলেনঃ হ্যাঁ, কিন্তু আমার মনের জন্য এটাই বেশি স্বস্তিকর।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩৫০
PMMRC হাদিস নং-১৮২৪
আবূ তাল্‌হা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ঘরে ছবি থাকে, সে ঘরে ফেরেশতা প্রবেশ করে না। হাদীস বর্ণনাকারী বুস্‌র (রাঃ) বলেন, যায়দ ইব্‌ন খালিদ অসুস্থ হলে, আমরা তাঁকে দেখতে গেলাম। আমরা তাঁর দরজায় একখানা পর্দা লটকানো দেখলাম, যাতে ছবি রয়েছে। আমি উবায়দুল্লাহ খাওলানীকে বললামঃ যায়দ (রাঃ)-কে আমাদের গতকাল ছবি সম্বন্ধে সংবাদ দেননি? উবায়দুল্লাহ্‌(রাঃ) বললেনঃ তুমি কি শোননি? তিনি এও বলেছেনঃ কাপড়ে নকশারূপে থাকলে কোন ক্ষতি নেই?
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩৫১
PMMRC হাদিস নং-১৮২৫
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি কিছু খাদ্য প্রস্তুত করে রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–কে দাওয়াত দিলাম। তিনি এসে ঘরে প্রবেশ করে একখানা এমন পর্দা দেখলেন, যাতে ছবি ছিল। তিনি বের হয়ে বললেনঃ ফেরেশ্‌তা ঐ ঘরে প্রবেশ করে না, যে ঘরে ছবি থাকে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩৫২
PMMRC হাদিস নং-১৮২৬
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদা রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বাইরে গেলেন। তারপর আবার প্রবেশ করলেন। আমি একটি পর্দা লটকিয়ে রেখেছিলাম, যাতে ডানাবিশিষ্ট ঘোড়ার ছবি ছিল। তিনি তা দেখে বললেনঃ তুমি তা খুলে ফেল।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩৫৩
PMMRC হাদিস নং-১৮২৭
উম্মুল মু‘মিনীন আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমার একখানা পর্দার কাপড় ছিল, যাতে ছিল পাখীর ছবি। কেউ ঘরে ঢোকার সময় তা তাঁর সামনে পড়তো। রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে আয়েশা! তুমি এটা উল্টিয়ে দাও। কেননা যখন আমি ঘরে প্রবেশ করি, তখন তা (মার্কা) দেখলে, দুনিয়া আমার স্মরণে এসে পড়ে। তিনি আর বলেনঃ আমাদের আর একখানা চাদর ছিল, যাতে পণ্যচিহ্ন অঙ্কিত ছিল, আমরা তা পরতাম, তাই তা কাটি নি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩৫৪
PMMRC হাদিস নং-১৮২৮
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমার ঘরে একখানা কাপড় ছিল, যাতে ছিল অনেক ছবি। আমি তা ঘরের চেরাগদানের উপর লটকিয়ে রেখেছিলাম। রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সে দিকে ফিরে নামায পড়তেন। তিনি বললেনঃ হে আয়েশা! তুমি তা আমার সামনে থেকে সরিয়ে ফেল। আমি তা সরিয়ে ফেলি এবং তা দিয়ে বালিশ বানাই।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩৫৫
PMMRC হাদিস নং-১৮২৯
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি একখানা পর্দা ঝুলিয়েছিলেন, যাতে ছবি ছিল। রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘরে প্রবেশ করে তা খুলে ফেললেন। তখন তা খণ্ডিত করে দুইটি বালিশ বানাই। ঐ মজলিসের রবীআ ইব্‌ন আতা নামক এক ব্যক্তি বলে উঠলোঃ আমি আবূ মুহাম্মদ অর্থাৎ কাসিমকে বলতে শুনেছি, আয়েশা (রাঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাতে হেলান দিতেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
কঠিনতম শাস্তি যার হবে
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩৫৬
PMMRC হাদিস নং-১৮৩০
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন এক সফর শেষে তশরীফ আনলেন। আমি চেরাগদানে একটি পর্দা ঝুলিয়েছিলাম। যাতে ছবি অঙ্কিত ছিল। তিনি সেটি খুলে ফেলে বললেনঃ কিয়ামতের দিন সর্বাধিক আযাব হবে তাদের, যারা আল্লাহ্‌র সৃষ্টবস্তুর ছবি অঙ্কন করে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩৫৭
PMMRC হাদিস নং-১৮৩১
উম্মুল মু‘মিনীন আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার নিকট আগমন করলেন। আমি ছবিযুক্ত একটি পর্দা ঝুলিয়ে রেখেছিলাম। তা দেখার পর তাঁর চেহারার রঙ পরিবর্তিত হলো। তিনি তা নিজ হতে ছিঁড়ে ফেললেন এবং বললেনঃ কিয়ামতের দিন সর্বাধিক আযাব ঐ ব্যক্তিদের হবে, যারা আল্লাহ্‌র সৃষ্টির অনুরূপ ছবি অঙ্কিত করে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
কিয়ামতের দিন ছবি অঙ্কনকারীদের যা করতে বলা হবে
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩৫৮
PMMRC হাদিস নং-১৮৩২
নাযর ইব্‌ন আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ইব্‌ন ‘আব্বাস (রাঃ)-এর নিকট উপবিষ্ট ছিলাম। এ সময় ইরাকের এক ব্যক্তি তাঁর নিকট এসে বললোঃ আমি এরূপ ছবি অঙ্কন করে থাকি, আপনি এ ব্যাপারে কি বলেন? তিনি বললেনঃ নিকটে এসো, নিকটে এসো। আমি মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি পৃথিবীতে কোন ছবি অঙ্কন করবে, কিয়ামতের দিন তাকে ঐ ছবিতে প্রাণ সঞ্চার করতে বলা হবে কিন্তু সে তাতে প্রাণ সঞ্চার করতে সক্ষম হবে না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩৫৯
PMMRC হাদিস নং-১৮৩৩
ইব্‌ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন ছবি অঙ্কন করবে, তাকে শাস্তি দেওয়া হবে, যতক্ষণ না সে তাতে প্রাণ সঞ্চার করবে; অথচ সে তাতে প্রাণ দিতে সক্ষম হবে না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩৬০
PMMRC হাদিস নং-১৮৩৪
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ছবি অঙ্কন করবে, তাকে শাস্তি দেওয়া হবে, যে পর্যন্ত না সে তাতে প্রাণ সঞ্চার করবে; অথচ সে তাতে প্রাণ দিতে সক্ষম হবে না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩৬১
PMMRC হাদিস নং-১৮৩৫
ইব্‌ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ছবি তৈরিকারী লোকদেরকে কিয়ামতের দিন শাস্তি দেওয়া হবে। তাদেরকে বলা হবে, তোমরা যা তৈরি করেছ, তাতে জীবন দান কর।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩৬২
PMMRC হাদিস নং-১৮৩৬
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর স্ত্রী আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ এ সকল ছবি অঙ্কনকারীকে কিয়ামতের দিন শাস্তি দেওয়া হবে। তাদেরকে বলা হবে, তোমরা যা তৈরি করেছ, তাতে প্রাণ দান কর।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩৬৩
PMMRC হাদিস নং-১৮৩৭
উম্মুল মু‘মিনীন আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
কিয়ামতের দিন সর্বাপেক্ষা অধিক শাস্তি ঐ লোকদের হবে, যারা সৃষ্টিকার্যে আল্লাহ্‌র অনুকরণ করে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
সর্বাপেক্ষা অধিক শাস্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তি
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩৬৪
PMMRC হাদিস নং-১৮৩৮
আবদুল্লাহ্‌(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন ছবি তৈরিকারীরা সর্বাধিক শাস্তিপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩৬৫
PMMRC হাদিস নং-১৮৩৯
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একবার জিব্‌রাঈল (আ) রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর নিকট প্রবেশের অনুমতি প্রার্থনা করলে, তিনি বললেনঃ আসুন! জিব্‌রাঈল (আঃ) বললেনঃ আমি কি করে প্রবেশ করবো, আপনার ঘরে এমন পর্দা লটকানো রয়েছে, যাতে ছবি রয়েছে। হয় আপনি তাদের মাথা কেটে ফেলুন, না হয় তা বিছানা বানান, যাতে তা পদদলিত হয়। কেননা, আমরা ফেরেশতাগণ এমন ঘরে প্রবেশ করি না, যাতে ছবি রয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
গায়ে দেওয়ার চাদর
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩৬৬
PMMRC হাদিস নং-১৮৪০
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের গায়ে দেওয়ার চাদরে নামায পড়তেন না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর জুতার বর্ণনা
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩৬৭
PMMRC হাদিস নং-১৮৪১
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জুতায় দুইটি ফিতা ছিল।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩৬৮
PMMRC হাদিস নং-১৮৪২
আমর ইব্‌ন আউস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জুতায় দুইটি ফিতা ছিল।
হাদিসের মানঃ সহিহ লিগাইরিহি
পরিচ্ছেদঃ
এক জুতা পরে চলা নিষেধ
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩৬৯
PMMRC হাদিস নং-১৮৪৩
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন তোমাদের কারো জুতার ফিতা ছিড়ে যায়, তখন সে যেন তা মেরামত না করা পর্যন্ত এক জুতা পায়ে দিয়ে না হাঁটে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩৭০
PMMRC হাদিস নং-১৮৪৪
আবূ রযীন (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি আবু হুরায়রা (রাঃ)-কে দেখেছি, তিনি তাঁর ললাটে হাত মেরে বলছেন, হে ইরাকের অধিবাসীবৃন্দ! তোমরা কি ধারনা কর যে, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সম্বন্ধে মিথ্যা কথা বলবো? আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ তোমাদের কারো জুতার ফিতা ছিঁড়ে গেলে সে তা মেরামত করা পর্যন্ত যেন এক জুতা পরে না চলে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
চামড়ার বিছানা
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩৭১
PMMRC হাদিস নং-১৮৪৫
আনাস ইব্‌ন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একখানা চামড়ায় শুলেন। তিনি ঘর্মাক্ত হলে উম্মে সুলায়ম গিয়ে তাঁর ঘাম মুছে একটি শিশিতে রাখলেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা দেখতে পেয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করলেনঃ হে উম্মে সুলায়ম? তুমি এটা কি করছ? তিনি বললেনঃ আমি আপনার এই ঘাম আমার সুগন্ধির সাথে মিশ্রিত করবো। তা শুনে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাসলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
খাদিম ও বাহন রাখা
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩৭২
PMMRC হাদিস নং-১৮৪৬
সামুরাহ ইব্‌ন সাহম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি আবু হাশিম ইব্‌ন উৎবা (রাঃ)-এর নিকট গেলাম, তখন তিনি প্লেগে আক্রান্ত ছিলেন। মু’আবিয়া (রাঃ) তাঁকে দেখতে আসলেন। তখন আবু হাশিম কাঁদতে লাগলেন। মু’আবিয়া (রাঃ) তাঁকে বললেনঃ তুমি কাঁদছো কেন? তোমার কি কোন ব্যথার যন্ত্রণা, না তুমি দুনিয়ার জন্য কাঁদছ? পার্থিব আনন্দের দিন তো তোমার কেটে গেছে। তিনি বললেনঃ এর কোনটাই নয়। কিন্তু রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে একটি উপদেশ দান করেছিলেন, আমি যদি তা পালন করতাম! তিনি বলেছিলেনঃ যখন তুমি গনীমতের মাল লোকদের মাঝে বণ্টন হতে দেখবে, তখন তা হতে তোমার জন্য একটি খাদিম এবং আল্লাহ্‌র রাস্তায় যাওয়ার একটি বাহনই যথেষ্ট মনে করবে। কিন্তু আমি মাল পেয়ে তা জমা করেছি।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
তলোয়ারের অলঙ্কার সম্পর্কে
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩৭৩
PMMRC হাদিস নং-১৮৪৭
আবূ উমামা ইব্‌ন সাহল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর তলোয়ার হাতলের প্রান্তদেশ ছিল রূপার।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩৭৪
PMMRC হাদিস নং-১৮৪৮
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর তলোয়ারের খাপের নিম্নাংশ ছিল রূপার, আর তাঁর তলোয়ারের হাতলের প্রান্তদেশ ছিল রূপার এবং তার মাঝখানে ছিল রূপার কড়া।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩৭৫
PMMRC হাদিস নং-১৮৪৯
সাঈদ ইব্‌ন আবুল হাসান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর তলোয়ারের হাতলের প্রান্তদেশ ছিল রূপার।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
লাল জীনপোশের উপর বসা নিষেধ
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩৭৬
PMMRC হাদিস নং-১৮৫০
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বলেছেনঃ বল, হে আল্লাহ্‌! আমাকে সঠিক পথে চালাও এবং আমাকে সরল পথ প্রদর্শন কর। আর তিনি আমাকে লাল মায়াসিরের উপর বসতে নিষেধ করেছেন। মায়াসির এক প্রকার রেশমী চাদর, যা নারীরা তাদের স্বামীদের জন্য তৈরী করতো, যেন তারা তা হাওদার উপর রেখে বসতে পারে, ডোরাদার লাল চাদরের ন্যায়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
চেয়ারে বসা
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩৭৭
PMMRC হাদিস নং-১৮৫১
হুমায়দ ইব্‌ন হিলাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবূ রিফাআ (রাঃ) বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট উপস্থিত হলাম। তখন তিনি খুতবা দিচ্ছিলেন। আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! একজন মুসাফির এসেছে এবং সে তার দ্বীন সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করছে। সে জানে না তার দ্বীন কি? তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খুতবা বন্ধ করে আমার দিকে এগিয়ে আসলেন। একখানা চেয়ার আনা হলো, আমার যতটুকু মনে পড়ে, তার পায়াসমূহ ছিল লোহার। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার উপর উপবেশন করলেন। তারপর তিনি আমাকে শিক্ষা দিতে লাগলেন, আল্লাহ্‌তা’য়ালা তাঁকে যা হতে শিক্ষা দেন তা হতে। এরপর তিনি খুতবায় ফিরে গেলেন এবং তা শেষ করলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ
লাল তাঁবু ব্যবহার করা
সুনানে আন-নাসায়ী  হাদিস নং-৫৩৭৮
PMMRC হাদিস নং-১৮৫২
আবূ জুহায়ফা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা বাতহা নামক স্থানে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে ছিলাম, তখন তিনি লালবর্ণের তাঁবুতে ছিলেন এবং তাঁর নিকট অল্পসংখ্যক লোকই ছিল। এসময় বেলাল (রাঃ) এসে আযান দিলেন। তিনি ডানে ও বামে তাঁর মুখ ফেরাচ্ছিলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

((সুনানে আন-নাসায়ী--সমাপ্ত)

(হাদিস গ্রন্থ  মুয়াত্তা ইমাম মালিক  হতে পোশাক সংক্রান্ত হাদিসসমূহ জানতে-  এখানে ক্লিক করুন)



প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে আপনি Facebook, Twitter, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Addressসহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন।
“তোমরাই শ্রেষ্ঠ উম্মত, মানুষের (কল্যাণের) জন্য তোমাদেরকে বের করা হয়েছে। তোমরা মানুষকে সৎ কাজের আদেশ করবে এবং অসৎকাজ থেকে নিষেধ করবে।” (সূরা আল-ইমরান, আয়াত-১১০)
“তার চেয়ে ভাল কথা আর কি হতে পারে, যে মানুযকে আল্লাহর দিকে ডাকে, নিজে নেক আমল করে আর বলে যে, আমি সাধারণ মুসলমানদের মধ্য হতে একজন। (সূরা হা মীম সিজদা আয়াত-৩৩)
নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন:     
 “যে হেদায়েতের প্রতি আহবান জানায়, তার জন্য তার অনুসারীদের সমপরিমাণ সওয়াব রয়েছে, তবে তা তাদের সওয়াব থেকে কোন কিছু হ্রাস করবে না। আর যে পথভ্রষ্টতার প্রতি আহবান জানায়, তার ওপর তার অনুসারীদের সমপরিমাণ পাপ আরোপিত, তবে তা তাদের পাপ থেকে কোন কিছু হ্রাস করবে না।” [মুসলিম (২৬৭৪)]
আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আ’স (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “আমার পক্ষ থেকে জনগণকে (আল্লাহর বিধান) পৌঁছে দাও, যদিও একটি আয়াত হয়। বনী-ইস্রাঈল থেকে (ঘটনা) বর্ণনা কর, তাতে কোন ক্ষতি নেই। আর যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে আমার প্রতি মিথ্যা (বা জাল হাদীস) আরোপ করল, সে যেন নিজ আশ্রয় জাহান্নামে বানিয়ে নিল।” 
(বুখারী ৩৪৬১,হাদিস  সম্ভার, হাদিস নং ১৫৪৮, রিয়াদুস সলেহিন, হাদিস নং ১৩৮৮।)
মো: ইজাবুল আলম-এম.এ, সি.ইন,এড (ইসলামিক স্টাডিজ-রংপুর কারমাইকেল ইউনিভার্সিটি  কলেজ, রংপুর), বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ, গবেষক ও লেখক।

ইসলামের অন্যান্য সকল বিষয় সহিহভাবে জানতে   এখানে ক্লিক করুনঃ



No comments:

Post a Comment

দান-ছাদাক্বা করার গুরুত্ব ও ফজিলত

    বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম দান-ছাদাক্বা করার গুরুত্ব ও ফজিলত   আল্লাহ তায়ালা বলেন, “যারা আল্লাহর পথে ব্যয় করে, তাদের উপমা একটি শস...