বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
বাংলা সহিহ হাদিস
সিরিজ-১০
(পোশাক-পরিচ্ছদ ও অন্যান্য
অধ্যায়)
হাদিস গ্রন্থ-সহিহ বুখারী-তাওহীদ প্রকাশনী
(৯৫২-১১৩৭টি মোট ১৮৬টি হাদিস)
পোশাক-পরিচ্ছদ
ও অন্যান্য- অধ্যায়
(সহিহ বুখারী-সহিহ ও জাল-জইফ হাদিস চিহ্নিত/নির্নিত)
(সহিহ বুখারী-সহিহ ও জাল-জইফ হাদিস চিহ্নিত/নির্নিত)
৭৭
|
পোশাক-পরিচ্ছদ
|
৫৭৮৩ - ৫৯৬৯
|
৭৭/১. অধ্যায়ঃ
মহান আল্লাহ্র বাণীঃ “বল, ‘যে সব সৌন্দর্য- শোভামন্ডিত বস্তু ও পবিত্র
জীবিকা তিনি তাঁর বান্দাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন কে তা হারাম করল’?” (সূরাহ আল-আ’রাফ
৭: ৩২)
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা খাও, পান কর, পরিধান
কর এবং দান কর, কোন অপচয় ও অহঙ্কার না করে।
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেছেন, যা খাও, যা পরিধান কর, যতক্ষণ না দু’টো জিনিস
তোমাকে বিভ্রান্ত করে- অপচয় ও অহঙ্কার।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৭৮৩
পিএমএমআরসি হাদিস নং-৯৫২
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যে, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ সে
লোকের দিকে (দয়ার দৃষ্টিতে) দেখবেন না, যে অহঙ্কারের সাথে তার (পরিধেয়) পোশাক টেনে
চলে। [৩৬৬৫; মুসলিম ৩৭/৮, হাঃ ২০৮৫, আহমাদ ৫৩৭৭] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩৫৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন-
৫২৫৪)
সূরা আ‘রাফের ২৬নং আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা ঘোষণা করেছেন-
‘‘হে বানী আদম! আমি তোমাদের জন্য পোশাক অবতীর্ণ করেছি যা তোমাদের লজ্জাস্থান
আবৃত করে এবং অবতীর্ণ করেছি সাজ সজ্জার বস্ত্র এবং তাকওয়ার পোশাক, এটি সর্বোত্তম। এটি
আল্লাহর অন্যতম নিদর্শন যাতে তারা চিন্তা ভাবনা করে।’’
এ আয়াতে শুধু মুসলমানদেরকে সম্বোধন করা হয়নি, সমগ্র বানী- আদমকে সম্বোধন
করা হয়েছে। এতে ইঙ্গিত রয়েছে যে, গুপ্তাঙ্গ আচ্ছাদন ও পোশাক মানব জাতির একটি সহজাত
প্রবৃত্তি ও প্রয়োজন। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সবাই এ নিয়ম পালন করে। অতঃপর এর বিশদ বিবরণে
তিন প্রকার পোশাকের উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রথম لِبَاسًا يُوَارِي سَوْآتِكُمْ - এখানে يُوَارِي শব্দটি مواراة থেকে উদ্ভুত। এর অর্থ আবৃত করা سوات শব্দটি سوءة এর বহুবচন। এর অর্থ মানুষের ঐসব অঙ্গ, যেগুলো খোলা রাখাকে মানুষ স্বভাবতই
খারাপ ও লজ্জাকর মনে করে। উদ্দেশ্য এই যে, আমি তোমাদের মঙ্গলার্থে এমন পোশাক সৃষ্টি
করেছি, যদ্দ্বারা তোমরা গুপ্তাঙ্গ আবৃত করতে পার।
এরপর বলা হয়েছেঃ وَرِيشًا সাজ-সজ্জার জন্যে মানুষ যে পোশক পরিধান করে, তাকে ريش বলা হয়। অর্থ এই যে,
গুপ্তাঙ্গ আবৃত করার জন্যে তো সংক্ষিপ্ত পোশাকই যথেষ্ট হয়; কিন্তু আমি তোমাদেরকে আরও
পোশাক দিয়েছি, যাতে তোমরা তদ্দ্বারা সাজ-সজ্জা করে বাহ্যিক দেহাবয়বকে সুশোভিত করতে
পার।
পোশাকের বিবিধ উপকারিতাঃ আয়াতে পোশাকের দু’টি উপকারিতা বর্ণিত হয়েছে।
এক)- গুপ্তাঙ্গ আচ্ছাদিত করা এবং, দুই) শীত-গ্রীষ্ম থেকে আত্মরক্ষা এবং অঙ্গ-সজ্জা।
প্রথম উপকারিতাটি অগ্রে বর্ণনা করে ইঙ্গিত করা হয়েছে যে, গুপ্তাঙ্গ আবৃত করা পোশাকের
আসল লক্ষ্য। এটাই সাধারণ জন্তু-জানোয়ার থেকে মানুষের স্বতন্ত্রতা। জন্তু-জানোয়ারের
পোশাক সৃষ্টিগতভাবে তাদের দেহের অঙ্গ। আর তাদের গুপ্তাঙ্গ আচ্ছাদনেও পোশাকের তেমন কোন
ভূমিকা নেই। তবে তাদের দেহে গুপ্তাঙ্গ এমনভাবে স্থাপিত হয়েছে, যাতে সম্পূর্ণ খোলা না
থাকে। কোথাও লেজ দ্বারা আবৃত করা হয়েছে এবং কোথাও অন্যভাবে।
আদম, হাওয়া এবং তাঁদের সাথে শয়তানী প্ররোচনার ঘটনা বর্ণনা করার পর পোশাকের
কথা উল্লেখ করায় এদিকে ইঙ্গিত রয়েছে যে, উলঙ্গ হওয়া এবং গুপ্তাঙ্গ অপরের সামনে খোলা
চূড়ান্ত হীনতা ও নির্লজ্জতার লক্ষণ এবং নানা প্রকার অনিষ্টের ভূমিকা বিশেষ।
মানুষের উপর শয়তানের প্রথম হামলাঃ মানুষের বিরুদ্ধে শয়তানের সর্বপ্রথম
আক্রমণের [কুমন্ত্রণার] ফলে তার পোশাক খসে পড়েছিল। আজও শয়তান তার শিষ্যবর্গের মাধ্যমে
মানুষকে পথভ্রষ্ট করার ইচ্ছায় সভ্যতার নামে সর্বপ্রথম তাকে উলঙ্গ বা অর্ধ-উলঙ্গ করে
পথে নামিয়ে দেয়ার চেষ্টায় রত। শয়তানের তথাকথিত প্রগতি নারীকে লজ্জা-শরম থেকে বঞ্চিত
করে সাধারণ্যে অর্ধ-উলঙ্গ অবস্থায় নিয়ে আসা ছাড়া অর্জিতই হয় না।
ঈমানের পর সর্বপ্রথম ফরয গুপ্তাঙ্গ আবৃত করাঃ শয়তান মানুষের এ দুর্বলতা
আঁচ করে সর্বপ্রথম হামলা গুপ্তাঙ্গ আচ্ছাদনের উপর করেছে। তাই মানুষের সর্বপ্রকার মঙ্গল
বিধানকারী শারী‘য়াত গুপ্তাঙ্গ আচ্ছাদনের প্রতি এত গুরুত্ব আরোপ করছে যে, ঈমানের পর
সর্বপ্রথম ফরয গুপ্তাঙ্গ আবৃত করাকেই স্থির করেছে। সলাত, সওম ইত্যাদি সবই এরপর।
তৃতীয় প্রকার পোশাকঃ গুপ্ত-অঙ্গ আবৃতকরণ এবং আরাম ও সাজ-সজ্জার জন্যে
দু’প্রকার পোশাক বর্ণনা করার পর কুরআন তৃতীয় এক প্রকার পোশাকের কথা উল্লেখ করে বলেছেঃ
وَلِبَاسُ التَّقْوى ذلِكَ خَيْرٌ কোন কোন কিরাআতে যবর
দিয়ে وَلِبَاسُ التَّقْوى পড়া হয়েছে। এমতাবস্থায়
انزلنا এর مفعول হয়ে অর্থ হবে এই যে,
আমি একটি তৃতীয় পোশাক অর্থাৎ, তাকওয়ার পোশাক অবতীর্ণ করেছি। প্রসিদ্ধ কিরাআত অনুযায়ী
অর্থ এই যে, দু’প্রকার পোশাক তো সবাই জানে। তৃতীয় একটি পোশাক হচ্ছে তাকওয়ার পোশাক।
এটি সর্বোত্তম পোশাক। ইবনে আববাস ও ওরওয়া ইবনে যুবায়র এর তাফসীর অনুযায়ী তাকওয়ার পোশাক
বলে সৎকর্ম ও খোদাভীতিকে বোঝানো হয়েছে। রুহুল-মা‘আনী)
উদ্দেশ্য এই যে, বাহ্যিক পোশাক যেমন মানুষের গুপ্ত অঙ্গের জন্যে আবরণ এবং শীত-গ্রীষ্ম থেকে আত্মরক্ষা ও সাজ-সজ্জার উপায় হয়, তেমনি সৎকর্ম ও আল্লাহভীতিও একটি আধ্যাত্মিক পোশাক। এটি মানুষের চারিত্রিক দোষ ও দুর্বলতার আবরণ এবং স্থায়ী কষ্ট ও বিপদাপদ থেকে মুক্তিলাভের উপায়। এ কারণেই এটি সর্বোত্তম পোশাক।
উদ্দেশ্য এই যে, বাহ্যিক পোশাক যেমন মানুষের গুপ্ত অঙ্গের জন্যে আবরণ এবং শীত-গ্রীষ্ম থেকে আত্মরক্ষা ও সাজ-সজ্জার উপায় হয়, তেমনি সৎকর্ম ও আল্লাহভীতিও একটি আধ্যাত্মিক পোশাক। এটি মানুষের চারিত্রিক দোষ ও দুর্বলতার আবরণ এবং স্থায়ী কষ্ট ও বিপদাপদ থেকে মুক্তিলাভের উপায়। এ কারণেই এটি সর্বোত্তম পোশাক।
বাহ্যিক পোশাকের আসল উদ্দেশ্য তাকওয়াঅর্জন করাঃ
وَلِبَاسُ التَّقْوىশব্দ থেকে এদিকেও ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, বাহ্যিক পোশাক দ্বারা গুপ্ত-অঙ্গ
আবৃত করা ও সাজ-সজ্জা করার আসল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত যেন গুপ্তাঙ্গসমূহ পুরোপুরি আবৃত
হয়। পোশাক শরীরে এমন অাঁটসাটও না হওয়া চাই, যাতে এসব অঙ্গ উলঙ্গের মত দৃষ্টিগোচর হয়।
পোশাকে অহঙ্কার ও গর্বের ভঙ্গিও না থাকা চাই, বরং নম্রতার চিহ্ন পরিদৃষ্ট হওয়া চাই। প্রয়োজনাতিরিক্ত অপব্যয় না হওয়া চাই, মহিলাদের
জন্যে পুরুষদের এবং পুরুষদের জন্যে মহিলাদের পোশাক না হওয়া চাই, যা আল্লাহ তা‘আলার
অপছন্দনীয়। অধিকন্তু পোশাকে বিজাতির অনুকরণও না হওয়া চাই, যা স্বজাতির প্রতি বিশ্বাসঘাতকতার
পরিচায়ক।
এতদসঙ্গে পোশাকের আসল উদ্দেশ্য চরিত্র ও কর্মের সংশোধনও হওয়া চাই। আয়াতের
শেষে বলা হয়েছেঃ ذَٰلِكَ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ لَعَلَّهُمْ يَذَّكَّرُونَঅর্থাৎ, মানুষকে এ তিন প্রকার পোশাক দান করা আল্লাহ তা‘আলার শক্তির
নিদর্শনসমূহের অন্যতম-যাতে মানুষ এ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে।
হাদিসের মানঃ সহিহ
হাদিস
৭৭/২. অধ্যায়ঃ
যে ব্যক্তি অহঙ্কার ব্যতীত তার লুঙ্গি ঝুলিয়ে চলাফেরা করে।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৭৮৪
পিএমএমআরসি হাদিস নং-৯৫৩
আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি অহঙ্কার বশতঃ
নিজের পোশাক ঝুলিয়ে চলবে, আল্লাহ তার প্রতি কিয়ামাতের দিন (দয়ার) দৃষ্টি দিবেন না।
তখন আবূ বকর (রাঃ) বললেনঃ হে আল্লাহ্র রসূল! আমার লুঙ্গির এক পাশ ঝুলে থাকে, আমি তাতে
গিরা না দিলে। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ যারা অহঙ্কার বশতঃ এমন
করে তুমি তাদের অন্তর্ভুক্ত নও।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩৫৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৫৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ
হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৭৮৫
পিএমএমআরসি হাদিস নং-৯৫৪
আবূ বাক্রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট ছিলাম,
এমন সময় সূর্যগ্রহণ শুরু হল। তখন তিনি ব্যস্ত হয়ে দাঁড়ালেন এবং কাপড় টেনে টেনে মাসজিদে
পৌঁছলেন। লোকজন একত্রিত হল। তিনি দু’রাক’আত সলাত আদায় করলেন। তখন সূর্য আলোকিত হয়ে
গেল। এরপর আমাদের দিকে ফিরে বললেনঃ চন্দ্র ও সূর্য আল্লাহ্র নিদর্শনগুলোর দু’টি নিদর্শন,
যখন তোমরা তাতে কোন কিছু হতে দেখবে, তখন সলাত আদায় করবে এবং আল্লাহ্র নিকট দু’আ করতে
থাকবে, যতক্ষণ না তা উজ্জ্বল হয়ে যায়।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩৬০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৫৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ
হাদিস
৭৭/৩. অধ্যায়ঃ
কাপড়ে আবৃত থাকা।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৭৮৬
পিএমএমআরসি হাদিস নং-৯৫৫
আবূ জুহাইফাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি বিলাল (রাঃ) -কে দেখলাম, তিনি একটি বর্শা নিয়ে এলেন এবং
তা মাটিতে পুঁতে দিলেন। তারপর সলাতের ইকামাত দিলেন। তখন রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে দেখলাম, একটি (হুল্লা’র) দু’টি চাদরে নিজেকে আবৃত করে বেরিয়ে
আসলেন এবং বর্শার দিকে ফিরে দু’রাকআত সলাত আদায় করলেন। আর লোকজন ও পশুকে দেখলাম, তারা
তাঁর সম্মুখ দিয়ে এবং বর্শার পিছন দিয়ে চলাফেরা করছে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩৬১, ইসলামিক
ফাউন্ডেশন- ৫২৫৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ
হাদিস
৭৭/৪. অধ্যায়ঃ
পায়ের গোড়ালির নিচে যা থাকবে তা যাবে জাহান্নামে।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৭৮৭
পিএমএমআরসি হাদিস নং-৯৫৬
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ইযারের বা
পরিধেয় বস্ত্রের যে অংশ পায়ের গোড়ালির নীচে থাকবে, সে অংশ জাহান্নামে যাবে।(আধুনিক
প্রকাশনী- ৫৩৬২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৫৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ
হাদিস
৭৭/৫. অধ্যায়ঃ
যে ব্যক্তি অহংকারের সাথে কাপড় ঝুলিয়ে পরিধান করে।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৭৮৮
পিএমএমআরসি হাদিস নং-৯৫৭
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ ক্বিয়ামাত
দিবসে সে ব্যক্তির দিকে (দয়ার) দৃষ্টি দিবেন না, যে ব্যক্তি অহংকার বশতঃ ইযার বা পরিধেয়
বস্ত্র ঝুলিয়ে পরিধান করে। [মুসলিম ৩৭/৩৯, হাঃ ২০৮৭, আহমাদ ৯০১৪] আধুনিক প্রকাশনী-
৫৩৬৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৫৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ
হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৭৮৯
পিএমএমআরসি হাদিস নং-৯৫৮
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ অথবা আবুল
কাসিম বলেছেনঃ এক ব্যক্তি আকর্ষণীয় জোড়া কাপড় পরিধান করতঃ চুল আচঁড়াতে আচঁড়াতে পথ
চলছিল; হঠাৎ আল্লাহ তাকে মাটির নীচে ধ্বসিয়ে দেন। ক্বিয়ামত অবধি সে এভাবে ধ্বসে যেতে
থাকবে। [মুসলিম ৩৭/১০, হাঃ ২০৮৮, আহমাদ ১০০৪০] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩৬৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন-
৫২৬০)
হাদিসের মানঃ সহিহ
হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৭৯০
পিএমএমআরসি হাদিস নং-৯৫৯
আবদুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ এক লোক তার লুঙ্গি
পায়ের গোড়ালির নীচে ঝুলিয়ে পথ অতিক্রম করছিল। এমন সময় তাকে মাটির নীচে ধ্বসিয়ে দেওয়া
হল। ক্বিয়ামত অবধি সে মাটির নীচে ধ্বসে যেতে থাকবে। ইউনুস, যুহরী থেকে এ হাদীস এভাবেই
বর্ণনা করেছেন। কিন্তু ‘শুআয়ব একে মারফূ’ হিসাবে যুহরী থেকে বর্ণনা করেননি। (আ.প্র.
৫৩৬৫, ই.ফা. ৫২৬১)
জাবীর ইবনু যায়দ (রাহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি সালিম ইবনু ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু ‘উমারের সঙ্গে তাঁর ঘরের দরজায় ছিলাম, তখন তিনি বলেন, আমি আবূ হুরায়রা (রাঃ) -কে বলতে শুনেছি যে, তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে এ রকমই বলতে শুনেছেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩৬৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৬২)
জাবীর ইবনু যায়দ (রাহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি সালিম ইবনু ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু ‘উমারের সঙ্গে তাঁর ঘরের দরজায় ছিলাম, তখন তিনি বলেন, আমি আবূ হুরায়রা (রাঃ) -কে বলতে শুনেছি যে, তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে এ রকমই বলতে শুনেছেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩৬৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৬২)
হাদিসের মানঃ সহিহ
হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৭৯১
পিএমএমআরসি হাদিস নং-৯৬০
শু’বাহ (রহ:) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি মুহারিব ইবনু দিসারের সাথে ঘোড়ার পিঠে থাকা অবস্থায় দেখা
করলাম। তখন তিনি বিচারালয়ের দিকে যাচ্ছিলেন, আমি তাঁকে এ হাদীসটির ব্যাপারে জিজ্ঞেস
করলে তিনি আমাকে বললেন, আমি ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি অহঙ্কারবশতঃ কাপড় ঝুলিয়ে পরবে,
তার দিকে আল্লাহ ক্বিয়ামাত দিবসে তাকাবেন না। আমি বললামঃ ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার কি
ইযারের উল্লেখ করেছেন? তিনি বললেনঃ তিনি ইযার বা কামিস কোনটিই নির্দিষ্টভাবে বলেননি।
জাবালাহ ইবনু সুহায়ম, যায়দ ইবনু আসলাম ও যায়দ ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমারের
সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এ রকমই বর্ণনা করেছেন।
আর লায়স, মূসা ইবনু ‘উকবাহ ও ‘উমার ইবনু মুহাম্মাদ, নাফি‘ (রহ.)-এর সূত্রে
বর্ণনা করেছেন এবং কুদামাহ ইবনু মূসা সালিম (রহ.)-এর সূত্রে ইবনু ‘উমার থেকে এবং তিনি
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে جَرَّ ثَوْبَه” বর্ণনা করেছেন। আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩৬৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৬৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ
হাদিস
৭৭/৬. অধ্যায়ঃ
ঝালরযুক্ত ইযার।
যুহরী, আবূ বক্র ইবনু মুহাম্মাদ, হামযাহ ইবনু আবূ উসায়দ ও মু’আবিয়াহ
ইবনু ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু জা’ফর (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, তাঁরা ঝালরযুক্ত পোশাক পরেছেন।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৭৯২
পিএমএমআরসি হাদিস নং-৯৬১
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর স্ত্রী ‘আয়িশা (রাঃ) থেকে
বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রিফা’আ কুরাযির স্ত্রী রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট আসলো। এ সময় আমি উপবিষ্ট ছিলাম এবং আবূ বাকর (রাঃ) তাঁর কাছে
ছিলেন। স্ত্রীলোকটি বললঃ হে আল্লাহ্র রাসূল! আমি রিফা’আর অধীনে (বিবাহিতা) ছিলাম।
তিনি আমাকে ত্বালাক দেন এবং ত্বালাক চূড়ান্তভাবে দেন, এরপর আমি ‘আব্দুর রহমান ইবনু
যুবায়রকে বিয়ে করি। কিন্তু আল্লাহ্র কসম, হে আল্লাহ্র রসূল! তার সাথে কাপড়ের ঝালরের
মত ব্যতীত কিছুই নেই। এ কথা বলার সময় স্ত্রী লোকটি তার চাদরের আঁচল ধরে দেখায়। খালিদ
ইব্ন সা’ঈদ যাকে (ভিতরে যেতে) অনুমতি দেয়া হয়নি, দরজার কাছে থেকে স্ত্রী লোকটির কথা
শোনেন। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, তখন খালিদ বললঃ হে আবূ বাকর! এ মহিলাটি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সামনে জোরে জোরে যে কথা বলছে, তাথেকে কেন আপনি তাকে বাঁধা
দিচ্ছেন না? আল্লাহ্র কসম! রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কেবল
মুচকি হাসলেন। এরপর রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) স্ত্রী লোকটিকে
বললেনঃ মনে হয় তুমি রিফা’আর কাছে ফিরে যেতে চাও। তা হবে না, যতক্ষণ না সে তোমার মধুর
স্বাদ গ্রহণ করবে এবং তুমি তার মধুর স্বাদ গ্রহণ করবে। অতঃপর এটাই বিধান হয়ে যায়।(আধুনিক
প্রকাশনী- ৫৩৬৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৬৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ
হাদিস
৭৭/৭. অধ্যায়ঃ
চাদর পরিধান করা।
আনাস (রাঃ) বলেন, এক বেদুঈন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
-এর চাদর ধরে টেনেছিল।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৭৯৩
পিএমএমআরসি হাদিস নং-৯৬২
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আলী (রাঃ) বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর চাদর আনতে
বললেন। তিনি তা পরলেন, অতঃপর হেঁটে চললেন। আমি ও যায়দ ইবনু হারিসা তাঁর পশ্চাতে চললাম।
শেষ পর্যন্ত তিনি একটি ঘরের কাছে আসেন, যে ঘরে হামযাহ (রাঃ) ছিলেন। তিনি অনুমতি চাইলেন
তাঁরা তাঁদের অনুমতি প্রদান করলেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩৬৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৬৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ
হাদিস
৭৭/৮. অধ্যায়ঃ
জামা পরিধান করা।
মহান আল্লাহ্র বাণীঃ ইউসুফ (আঃ) -এর ঘটনাঃ “তোমরা আমার এ জামাটি নিয়ে
যাও আর তা আমার পিতার মুখমন্ডলে রাখ, তিনি দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন হয়ে উঠবেন।” (সূরাহ ইউসুফ
১২ : ৯৩)
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৭৯৪
পিএমএমআরসি হাদিস নং-৯৬৩
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলোঃ হে আল্লাহ্র রসূল! মুহ্রিম কি কাপড় পরবে?
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ মুহ্রিম জামা, পায়জামা, টুপি এবং মোজা
পরবে না। তবে যদি সে জুতা না পায়, তা হলে পায়ের গোড়ালির নীচে পর্যন্ত (মোজা) পরতে পারবে।
(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩৭০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৬৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ
হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৭৯৫
পিএমএমআরসি হাদিস নং-৯৬৪
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু উবাইকে কবরে রাখার পর নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সেখানে এলেন। তিনি তার লাশ কবর থেকে উঠানোর নির্দেশ দিলেন। তখন
লাশ কবর থেকে উঠান হল এবং তাঁর দু’হাঁটুর উপর রাখা হল। তিনি তার উপর থুথু প্রদান করলেন
এবং তাকে নিজের জামা পরিয়ে দিলেন। আল্লাহই বেশী জানেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩৭১, ইসলামিক
ফাউন্ডেশন- ৫২৬৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ
হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৭৯৬
পিএমএমআরসি হাদিস নং-৯৬৫
আবদুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ যখন ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু উবাই মারা গেল, তখন তার ছেলে রসূলুল্লাহ্
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট আসল। সে বললঃ হে আল্লাহ্র রসূল! আপনার
জামাটি আমাকে দিন। আমি এটা দিয়ে তাকে কাফন দিব। আর তার জানাযাহর সলাত আপনি আদায় করবেন
এবং তার জন্য ইস্তিগফার করবেন। তিনি নিজের জামাটি তাকে দিয়ে দেন এবং বলেন যে, তুমি
(কাফন পরানো) শেষ করে আমাকে খবর দিবে। তারপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
তার জানাযাহ্র সলাত আদায় করতে এলেন। ‘উমার (রাঃ) তাঁকে টেনে ধরে বললেনঃ আল্লাহ কি
আপনাকে মুনাফিকদের (জানাযাহ্র) সলাত আদায় করতে নিষেধ করেননি? তিনি এ আয়াতটি পড়লেনঃ
“তুমি তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর বা না কর (উভয়ই সমান), তুমি তাদের জন্য সত্তর
বার ক্ষমা প্রার্থনা করলেও আল্লাহ কক্ষনো তাদেরকে ক্ষমা করবেন না।” – (সূরাহ আত-তাওবাহ
৯/৮০)। তখন অবতীর্ণ হয়ঃ “তাদের কেউ মারা গেলে তুমি কক্ষনো তাদের জন্য (জানাযার) সলাত
পড়বে না, আর তাদের কবরের পাশে দণ্ডায়মান হবে না।” - (সূরাহ আত-তাওবাহ ৯/৮৪)। এরপর থেকে
তিনি তাদের জানাযার সলাত আদায় করা বর্জন করেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩৭২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন-
৫২৬৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ
হাদিস
৭৭/৯. অধ্যায়ঃ
মাথা বের করার জন্য জামা ও অন্য পোশাকে বুকের অংশ ফাঁক রাখা প্রসঙ্গে।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৭৯৭
পিএমএমআরসি হাদিস নং-৯৬৬
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার কৃপণ ও
দানশীল ব্যক্তিকে এমন দু’ব্যক্তির সাথে তুলনা করেন, যাদের পরনে লোহার দু’টি বর্ম আছে।
তাদের দু’ হাতই বুক ও ঘাড় পর্যন্ত পৌঁছে আছে। দানশীল ব্যক্তি যখন দান করে তখন তার বর্মটি
এমনভাবে প্রশস্ত হয় যে, তার পায়ের আঙ্গুলের মাথা পর্যন্ত ঢেকে ফেলে এবং প্রলম্বিত বর্মটি)
পদচিহ্ন মুছে ফেলে। আর কৃপণ লোক যখন দান করতে ইচ্ছে করে, তখন তার বর্মটি শক্ত হয়ে যায়
ও এক অংশ অন্য অংশের সাথে মিশে থাকে এবং প্রতিটি অংশ আপন স্থানে থেকে যায়। আবূ হুরাইরাহ
বলেনঃ আমি দেখলাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কেতাঁর আঙ্গুল এভাবে
বুকের দিক দিয়ে খোলা অংশের মধ্যে রেখে বলতে দেখেছি, তুমি যদি তা দেখতে যে, তিনি তা
প্রশস্ত করতে চাইলেন কিন্তু প্রশস্ত হল না। [১৪৪৩]
ইবনু তাউস তার পিতা থেকে এবং আবূ যিনাদ, আ’রাজ থেকে এভাবে جُبَّتَيْنِ বর্ণনা করেন। আর জা‘ফর
আ‘রাজ এর সূত্রে جُبَّتَانِ বর্ণনা করেছেন। হানযালা (রহ.) বলেনঃ আমি তাউসকে আবূ হুরাইরাহ থেকে جُبَّتَانِ বলতে শুনেছি। আধুনিক প্রকাশনী-
৫৩৭৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৬৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ
হাদিস
৭৭/১০. অধ্যায়ঃ
যিনি সফরে সরু হাতওয়ালা জুববা পরেন।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৭৯৮
পিএমএমআরসি হাদিস নং-৯৬৭
মুগীরাহ ইবনু শু’বাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রাকৃতিক প্রয়োজনে
বাইরে যান এবং তারপর ফিরে আসেন। আমি তাঁর নিকট পানি নিয়ে পৌঁছি। তিনি অযূ করেন। তখন
তাঁর পরনে শাম দেশীয় জুব্বা ছিল। তিনি কুলি করেন, নাক পরিষ্কার করেন এবং তাঁর মুখমণ্ডল
ধৌত করেন। এরপর তিনি আস্তিন থেকে দু’হাত বের করতে থাকেন, কিন্তু আস্তিন দু’টি ছিল সরু,
তাই তিনি হাত দু’টি জামার নিচ দিয়ে বের করে দু’ হাত ধৌত করেন। এরপর মাথা মাসেহ করেন
এবং মোজার উপর মাসেহ করেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩৭৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৭০)
হাদিসের মানঃ সহিহ
হাদিস
৭৭/১১. অধ্যায়ঃ
যুদ্ধকালে পশমী জামা পরিধান প্রসঙ্গে।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৭৯৯
পিএমএমআরসি হাদিস নং-৯৬৮
মুগীরাহ ইবনু শু’বাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি সফরে এক রাত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
-এর সঙ্গে ছিলাম। তিনি বললেনঃ তোমার সঙ্গে পানি আছে কি? আমি বললামঃ হাঁ। তখন তিনি বাহন
থেকে নামলেন এবং হেঁটে যেতে লাগলেন। তিনি এতদূর গেলেন যে, রাতের অন্ধকারে আমার নিকট
থেকে অদৃশ্য হয়ে পড়লেন। তারপর তিনি ফিরে এলেন। আমি পাত্র থেকে তাঁর (উযূর) পানি ঢালতে
লাগলাম। তিনি মুখমণ্ডল ও দু’হাত ধুলেন। তিনি পশমের জামা পরিহিত অবস্থায় ছিলন। তিনি
তাথেকে হাত বের করতে পারলেন না, তাই জামার নীচ দিয়ে বের করে দু’হাত ধুলেন। তারপর মাথা
মাস্হ করলেন। তারপর আমি তাঁর মোজা দু’টি খুলতে ইচ্ছে করলাম। তিনি বললেনঃ ছেড়ে দাও।
কেননা, আমি পবিত্র অবস্থায় ও দু’টি পরেছি। তারপর ও দু’টির উপর মাসহ করলেন।(আধুনিক প্রকাশনী-
৫৩৭৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৭১)
হাদিসের মানঃ সহিহ
হাদিস
৭৭/১২. অধ্যায়ঃ
কাবা ও রেশমী ফার্রূজ, আর তাকেও এক প্রকার কাবাই বলা হয়, যে জামার পশ্চাতে
ফাঁক থাকে।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮০০
পিএমএমআরসি হাদিস নং-৯৬৯
মিসওয়ার ইবনু মাখরামা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একবার রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কয়েকটি
কাবা বন্টন করেন, কিন্তু মাখরামাহ্কে কিছুই দিলেন না। মাখরামাহ বললঃ হে আমার প্রিয়
পুত্র! আমার সঙ্গে রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে চল। আমি
তাঁর সঙ্গে গেলাম। তিনি বললেনঃ ভিতরে যাও এবং আমার জন্যে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে আবেদন জানাও। মিসওয়ার বলেনঃ আমি তাঁর জন্য আবেদন জানালে তিনি
মাখরামাহর উদ্দেশ্যে বের হয়ে আসলেন। তখন তাঁর পরনে ছিল রেশমী কাবা। তিনি বললেনঃ তোমার
জন্য এটি আমি লুকিয়ে রেখেছিলাম। মিসওয়ার বলেনঃ এরপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) তার দিকে থাকালেন এবং বললেনঃ মাখরামাহ খুশি হয়ে গেছে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩৭৬,
ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৭২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮০১
পিএমএমআরসি হাদিস নং-৯৭০
উকবা ইবনু ‘আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একবার রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে
একটি রেশমী কাবা হাদিয়া দেয়া হল। তিনি তা পরেন এবং তা পরে সালাত আদায় করেন। সালাত শেষে
তিনি তা খুব জোরে খুলে ফেললেন, যেন এটি তিনি অপছন্দ করছেন। এরপর বললেনঃ মুত্তাকীদের
জন্য এটা সাজে না।
‘আবদুল্লাহ্ ইবনু ইউসুফ, লায়স থেকে এ রকমই বর্ণনা করেছেন। অন্যেরা বলেছেনঃ ‘ফাররূজ হারীর’ হল ‘রেশমী কাপড়’। [৩৭৫; মুসলিম ১/৯৪, হাঃ ২১৬, আহমাদ ৮০২২, ৮৬২২] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩৭৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৭৩)
‘আবদুল্লাহ্ ইবনু ইউসুফ, লায়স থেকে এ রকমই বর্ণনা করেছেন। অন্যেরা বলেছেনঃ ‘ফাররূজ হারীর’ হল ‘রেশমী কাপড়’। [৩৭৫; মুসলিম ১/৯৪, হাঃ ২১৬, আহমাদ ৮০২২, ৮৬২২] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩৭৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৭৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ
হাদিস
৭৭/১৩. অধ্যায়ঃ
টুপি
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮০২
পিএমএমআরসি হাদিস নং-৯৭১
মুসাদ্দাদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
মুসাদ্দাদ (রহঃ) আমাকে বলেছেন যে, মু’তামির বলেন, আমি আমার পিতাকে বলতে
শুনেছি যে, তিনি আনাস (রাঃ) এর (মাথার) উপর হলুদ রেশমী টুপি দেখেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮০৩
পিএমএমআরসি হাদিস নং-৯৭২
আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যে, এক ব্যক্তি বললঃ হে আল্লাহ্র রসূল! মুহরিম কী কী পোশাক পরবে? রসূলুল্লাহ্
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা জামা, পাগড়ী, পায়জামা, টুপি ও মোজা
পরবে না। তবে যার জুতা নেই, সে শুধু মোজা পরতে পারবে, কিন্তু মোজা দু’টি পায়ের গোড়ালির
নীচ থেকে কেটে ফেলবে। আর যা’ফরান ও ওয়ার্স রং লেগেছে, এমন কাপড় পরবে না।(আধুনিক প্রকাশনী-
৫৩৭৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৭৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ
হাদিস
৭৭/১৪. অধ্যায়ঃ
পায়জামা প্রসঙ্গে
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮০৪
পিএমএমআরসি হাদিস নং-৯৭৩
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোকের ইযার নেই, সে
যেন পায়জামা পরে; আর যার জুতা নেই, সে যেন মোজা পরে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩৭৯, ইসলামিক
ফাউন্ডেশন- ৫২৭৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ
হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮০৫
পিএমএমআরসি হাদিস নং-৯৭৪
আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বললঃ হে আল্লাহ্র রসূল! আমরা যখন ইহরাম
বাঁধি, তখন কী পোশাক পরতে আমাদের নির্দেশ দেন? তিনি বললেনঃ তোমরা জামা, পায়জামা, টুপি
ও মোজা পরবে না। তবে যার জুতা নেই, সে পায়ের গোড়ালির নীচে পর্যন্ত মোজা পরবে। আর তোমরা
এমন কোন কাপড়ই পরবে না, যাতে যা’ফরান বা ওয়ার্স রং লেগেছে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩৮০,
ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৭৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ
হাদিস
৭৭/১৫. অধ্যায়ঃ
পাগড়ী প্রসঙ্গে
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮০৬
পিএমএমআরসি হাদিস নং-৯৭৫
সালিমের পিতা থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মুহ্রিম জামা, পাগড়ী,
পায়জামা ও টুপি পরতে পারবে না। যা’ফরান ও ওয়ারস রঞ্জিত কাপড়ও নয় এবং মোজাও নয়। তবে
সে ব্যক্তি ছাড়া, যার জুতা নেই। যদি সে জুতা না পায় তাহলে দু’ মোজার পায়ের গোড়ালির
নীচে থেকে কেটে নিবে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩৮১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৭৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ
হাদিস
৭৭/১৬. অধ্যায়ঃ
চাদর বা অন্য কিছু দ্বারা মাথা ও মুখের অধিকাংশ অঙ্গ ঢেকে রাখা।
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদা
বাইরে আসলেন, তখন তাঁর (মাথার) উপর কালো রুমাল ছিল। আনাস (রাঃ) বলেছেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজ মাথা চাদরের এক পার্শ্ব দিয়ে বেঁধে রেখেছিলেন।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮০৭
পিএমএমআরসি হাদিস নং-৯৭৬
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, কতক মুসলিম হাবশায় হিজরাত করেন। এ সময় আবূ বাকর (রাঃ) হিজরাত
করার প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি একটু
অপেক্ষা কর; কেননা মনে হয় আমাকেও (হিজরাতের) হুকুম দেওয়া হবে। আবূ বাকর (রাঃ) বললেনঃ
আমার পিতা আপনার উপর কুরবান হোক, আপনিও কি এ আশা পোষণ করেন? তিনি বললেনঃ হাঁ। আবূ বাকর
(রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সঙ্গ লাভের আশায় নিজেকে সংবরণ করে
রাখেন এবং তাঁর অধীনস্হ দু’টি সাওয়ারীকে চার মাস যাবৎ সামূর গাছের পাতা খাওয়ান। ‘উরওয়াহ
(রাহ.) বর্ণনা করেন, ‘আয়িশা (রাঃ) বলেছেন যে, একদিন ঠিক দুপুরের সময় আমরা আমাদের ঘরে
বসে আছি। এ সময় এক লোক আবূ বাকর (রাঃ) -কে বলল, এই যে রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুখমণ্ডল ঢেকে এগিয়ে আসছেন। এমন সময় তিনি এসেছেন, যে সময় তিনি
সাধারণতঃ আমাদের কাছে আসেন না। আবূ বাকর (রাঃ) বললেনঃ আমার মা-বাপ তাঁর উপর কুরবান
হোক, আল্লাহ্র কসম! এমন সময় তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়েই এসে থাকবেন। নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আসলেন। তিনি অনুমতি চাইলেন। তাঁকে অনুমতি দেয়া হল। তিনি প্রবেশ
করলেন। প্রবেশের সময় আবূ বাকর (রাঃ) -কে বললেনঃ তোমার কাছে যারা আছে তাদের হটিয়ে দাও।
তিনি বললেনঃ আমার পিতা আপনার উপর কুরবান হোক, হে আল্লাহ্র রসূল! এরা তো আপনারই পরিবারস্থ
লোক। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমাকে মাক্কাহ থেকে বের হওয়ার
অনুমতি দেয়া হয়েছে। আবু বাকর (রাঃ) বললেনঃ তাহলে আমি কি আপনার সঙ্গী হব? হে আল্লাহ্র
রসূল! আমার পিতা-মাতা আপনার উপর কুরবান হোক। তিনি বললেনঃ হাঁ। আবূ বাকর (রাঃ) বললেনঃ
হে আল্লাহ্র রসূল! আপনি আমার এ দু’টি সাওয়ারীর একটি গ্রহণ করুন। নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ মূল্যের বিনিময়ে (নিব)। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেনঃ তাদের উভয়ের
জন্যে সফরের জিনিসপত্র প্রস্তুত করলাম এবং সফরকালের নাস্তা তৈরী করে একটি চামড়ার থলের
মধ্যে রাখলাম। আবূ বাকর (রাঃ) -এর কন্যা আসমা তাঁর উড়নার এক অংশ ছিঁড়ে থলের মুখ বেঁধে
দিল। এ কারণে তাকে যাতুন্ নিতাক (উড়না ওয়ালী) নামে ডাকা হত। এরপর নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও আবূ বাকর (রাঃ) ‘সাওর’ নামক পর্বত গুহায় পৌছেন। সেখানে তিনি
রাত কাটান। আবূ বাকর (রাঃ) -এর পুত্র ‘আবদুল্লাহ তাঁদের সঙ্গে রাত্রি কাটাতেন। তিনি
ছিলেন সুচতুর বুদ্ধিসম্পন্ন যুবক। তিনি তাঁদের নিকট হতে রাতের শেষ ভাগে চলে আসতেন এবং
ভোর বেলা কুরাইশদের সাথে মিশে যেতেন, যেন তাদের মধ্যেই তিনি রাত কাটিয়েছেন। তিনি কারও
থেকে পার্শ্ববর্তী স্থানে কিছু শুনলে তা মনে রাখতেন এবং রাতের আঁধার ছড়িয়ে পড়লে দিনের
সব খবর নিয়ে তিনি তাঁদের দু’জনের কাছে পৌঁছে দিতেন। আবূ বাকর (রাঃ) -এর দাস ‘আমির ইবনু
ফুহাইরা তাঁদের আশে পাশে দুধওয়ালা বকরী চরাতেন, রাতের এক ঘন্টা পার হলে সে তাঁদের নিকট
ছাগল নিয়ে যেত (দুধ পান করাবার জন্যে)। তাঁরা দু’জনে (‘আমির ও ‘আবদুল্লাহ) গুহাতেই
রাত কাটাতেন। ভোরে আঁধার থাকতেই ‘আমির ইবনু ফুহাইরা ছাগল নিয়ে চলে আসতেন। ঐ তিন রাতের
প্রতি রাতেই তিনি এমন করতেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩৮২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৭৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ
হাদিস
৭৭/১৭. অধ্যায়ঃ
লৌহ শিরস্ত্রাণ প্রসঙ্গে
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮০৮
পিএমএমআরসি হাদিস নং-৯৭৭
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাক্কাহ বিজয়ের বছর যখন মক্কায়
প্রবেশ করেন, তখন তাঁর মাথার উপর লৌহ শিরস্ত্রাণ ছিল।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩৮৩, ইসলামিক
ফাউন্ডেশন- ৫২৭৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ
হাদিস
৭৭/১৮. অধ্যায়ঃ
ডোরাওয়ালা চাদর, কারুকার্যময় ইয়ামনী চাদর ও চাদরের আঁচলের বিবরণ।
খাব্বাব (রাঃ) বলেন, আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর
নিকট অভিযোগ করছিলাম, তখন তিনি ডোরাওয়ালা চাদরে হেলান দিয়ে বসেছিলেন।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮০৯
পিএমএমআরসি হাদিস নং-৯৭৮
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর
সঙ্গে চলছিলাম। এ সময় তাঁর পরনে চওড়া পাড়ওয়ালা একটি নাজরানী ডোরাদার চাদর ছিল। একজন
বেদুঈন তাঁর কাছে এলো। সে তাঁর চাদর ধরে খুব জোরে টান দিল। এমন কি আমি দেখতে পেলাম
রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাঁধে চাদরের পাড়ের দাগ পড়ে গেছে।
তারপর সে বললঃ হে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আপনার নিকট আল্লাহ্র
যে সম্পদ আছে, তা থেকে আমাকে কিছু দিতে বলুন। রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) তার দিকে ফিরে তাকিয়ে হাসলেন এবং তাকে কিছু দান করার নির্দেশ দিলেন।(আধুনিক
প্রকাশনী- ৫৩৮৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৮০)
হাদিসের মানঃ সহিহ
হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮১০
পিএমএমআরসি হাদিস নং-৯৭৯
সাহল ইবনু সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একজন স্ত্রী লোক একটি বুরদাহ নিয়ে এলো। সাহল (রাঃ) বললেনঃ
তোমরা জান বুরদাহ কী? একজন উত্তর দিলঃ হাঁ, বুরদাহ হল এমন চাদর যার পাড় কারুকার্যময়।
স্ত্রী লোকটি বললঃ হে আল্লাহ্র রসূল! আমি এটি আমার নিজের হাতে বুনেছি আপনাকে পরানোর
জন্য। রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা গ্রহণ করলেন। তখন তাঁর এটার
প্রয়োজনও ছিল। এরপর তিনি আমাদের কাছে বেরিয়ে আসলেনঃ তখন সে চাদরটি ইযার হিসেবে তাঁর
পরিধানে ছিল। দলের এক ব্যক্তি হাত দিয়ে চাদরটি স্পর্শ করল এবং বললঃ হে আল্লাহ্র রসূল!
আমাকে এটি পরতে দিন। তিনি বললেনঃ হাঁ। এরপর রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) মজলিসে বসলেন, যতক্ষণ আল্লাহ্র ইচ্ছে ছিল, তারপর উঠে গেলেন এবং চাদরটি ভাঁজ
করে এ ব্যক্তির কাছে পাঠিয়ে দিলেন। উপস্থিত লোকেরা বললঃ রসূলুল্লাহ্র (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাছে এটি চেয়ে তুমি ভাল করনি। তুমি তো জান যে, কোন প্রার্থীকে
তিনি বঞ্চিত করেন না। লোকটি বললঃ আল্লাহ্র কসম! আমি কেবল এজন্যই চেয়েছি যে, যেদিন
আমার মৃত্যু হবে, সে দিন যেন এ চাদরটি আমার কাফন হয়। সাহল (রাঃ) বলেনঃ এটি তাঁর কাফনই
হয়েছিল।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩৮৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৮১)
হাদিসের মানঃ সহিহ
হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮১১
পিএমএমআরসি হাদিস নং-৯৮০
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে
বলতে শুনেছিঃ আমার উম্মাতের মধ্য থেকে সত্তর হাজারের একটি দল (বিনা হিসেবে) জান্নাতে
প্রবেশ করবে। তখন তাদের মুখমণ্ডল চাঁদের ন্যায় উজ্জ্বল হবে। ‘উকাশাহ ইবনু মিহ্সান
তাঁর পরিহিত রঙ্গিন ডোরাওয়ালা চাদর উপরে তুলে ধরলেনঃ হে আল্লাহ্র রসূল! আপনি আল্লাহ্র
নিকট আমার জন্য দু’আ করুন, যেন তিনি আমাকে তাঁদের অন্তর্ভুক্ত করেন। তিনি দু’আ করলেনঃ
হে আল্লাহ্! একে তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন। তারপর আনসারদের মধ্য থেকে এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে
বললঃ হে আল্লাহ্র রসূল! আপনি আল্লাহ্র নিকট দু’আ করুন, যেন তিনি আমাকে তাঁদের অন্তর্ভুক্ত
করেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ‘উকাশাহ তোমার অগ্রগামী হয়েছে।
[৬৫৪২; মুসলিম ১/৯৪, হাঃ ২১৬, আহমাদ ৮০২২, ৮৬২২] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩৮৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন-
৫২৮১)
হাদিসের মানঃ সহিহ
হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮১২
পিএমএমআরসি হাদিস নং-৯৮১
ক্বাতাদা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আনাস (রাঃ) -কে জিজ্ঞেস করলামঃ কোন্ ধরণের কাপড় রসূলুল্লাহ্
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট অধিক প্রিয় ছিল? তিনি বললেনঃ হিবারা-ইয়ামনী
চাদর। [৫৮১৩; মুসলিম ৩৭/৫, হাঃ ২০৭৯, আহমাদ ১৪১১০] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩৮৭, ইসলামিক
ফাউন্ডেশন- ৫২৮৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮১৩
পিএমএমআরসি হাদিস নং-৯৮২
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘হিবারা’
(ইয়ামনী চাদর) পরতে অধিক পছন্দ করতেন। [৫৮১২; মুসলিম ৩৭/৫, হাঃ ২০৭৯, আহমাদ ১৪১১০]
আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩৮৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৮৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮১৪
পিএমএমআরসি হাদিস নং-৯৮৩
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন মারা
যান, তখন (ইয়ামনী চাদর) দ্বারা তাঁকে ঢেকে রাখা হয়।[মুসলিম ১১/১৪, হাঃ ৯৪২, আহমাদ ২৬৩৭৮]
আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩৮৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৮৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ
হাদিস
৭৭/১৯. অধ্যায়ঃ
কম্বল ও কারুকার্যপূর্ণ চাদর পরিধান প্রসঙ্গে।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮১৫
পিএমএমআরসি হাদিস নং-৯৮৪
আয়িশা ও ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তাঁরা উভয়ে বলেনঃ রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন
মৃত্যু শয্যায় শায়িত, তখন তিনি তাঁর কারুকার্যপূর্ণ চাদর দ্বারা মুখ ঢেকে রাখেন। যখন
তাঁর শ্বাসরোধ হয়ে আসত তখন তাঁর মুখ থেকে তা সরিয়ে নিতেন। এ অবস্থায় তিনি বলতেনঃ ইয়াহূদী
ও নাসারাদের উপর আল্লাহ্র লা’নাত, তারা তাদের নবীদের কবরগুলোকে মাসজিদ বানিয়ে নিয়েছে।
তাদের কাজের কথা উল্লেখ করে তিনি সতর্ক করছিলেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩৯০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন-
৫২৮৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ
হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮১৬
পিএমএমআরসি হাদিস নং-৯৮৫
আয়িশা ও ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তাঁরা উভয়ে বলেনঃ রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন
মৃত্যু শয্যায় শায়িত, তখন তিনি তাঁর কারুকার্যপূর্ণ চাদর দ্বারা মুখ ঢেকে রাখেন। যখন
তাঁর শ্বাসরোধ হয়ে আসত তখন তাঁর মুখ থেকে তা সরিয়ে নিতেন। এ অবস্থায় তিনি বলতেনঃ ইয়াহূদী
ও নাসারাদের উপর আল্লাহ্র লা’নাত, তারা তাদের নবীদের কবরগুলোকে মাসজিদ বানিয়ে নিয়েছে।
তাদের কাজের কথা উল্লেখ করে তিনি সতর্ক করছিলেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩৯০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন-
৫২৮৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ
হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮১৭
পিএমএমআরসি হাদিস নং-৯৮৬
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর চাদর
গায়ে দিয়ে সলাত আদায় করলেন। চাদরটি ছিল কারুকার্যপূর্ণ। তিনি কারুকার্যের দিকে এক দৃষ্টিতে
তাকালেন, তারপর সালাম ফিরিয়ে বললেনঃ এ চাদরটি আবূ জাহমের কাছে নিয়ে যাও। কারণ, এখনই
তা আমাকে সলাত থেকে অন্যমনস্ক করে দিয়েছে। আর আবূ জাহম ইবনু হুযাইফার ‘আনবিজানিয়্যা’
(কারুকার্যবিহীন চাদর) -টি আমার জন্যে নিয়ে এসো। সে হচ্ছে আদী ইবনু কা’ব গোত্রের লোক।(আধুনিক
প্রকাশনী- ৫৩৯২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৮৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ
হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮১৮
পিএমএমআরসি হাদিস নং-৯৮৭
আবূ বুরদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘আয়িশা (রাঃ) একবার একখানি কম্বল ও মোটা ইযার নিয়ে আমাদের
কাছে আসেন এবং তিনি বললেনঃ এ দু’টি পরা অবস্থায় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
-এর রূহ কবয করা হয়।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩৯১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৮৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ
হাদিস
৭৭/২০. অধ্যায়ঃ
কাপড় মুড়ি দিয়ে বসা প্রসঙ্গে।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮১৯
পিএমএমআরসি হাদিস নং-৯৮৮
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘মুলামাসাহ’ ও ‘মুনাবাযাহ’
থেকে নিষেধ করেছেন এবং দু’সময়ে সলাত আদায় করা থেকেও অর্থাৎ ফাজরের (সলাতের) পর সূর্য
উপরে উঠা পর্যন্ত এবং আসরের (সলাতের) পর সূর্যাস্ত পর্যন্ত। আরও নিষেধ করেছেন একটি
মাত্র কাপড় এমনভাবে পরতে, যাতে লজ্জাস্থানের উপরে তার ও আকাশের মধ্যস্থলে আর কিছুই
থাকে না। আর তিনি কাপড় মুড়ি দিয়ে বসতে নিষেধ করেছেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩৯৩, ইসলামিক
ফাউন্ডেশন- ৫২৮৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ
হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮২০
পিএমএমআরসি হাদিস নং-৯৮৯
আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দু’প্রকার
কাপড় পরিধান করতে ও দু’প্রকার ক্রয়-বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন। ক্রয়-বিক্রয়ে তিনি ‘মুলামাসা’
ও ‘মুনাবাযা’ থেকে নিষেধ করেছেন। মুলামাসা হল রাতে বা দিনে একজন অপর জনের কাপড় হাত
দিয়ে স্পর্শ করা। এটুকু বাদে তা আর উলট-পালট করে দেখে না। আর মুনাবাযা হল- এক লোক অন্য
লোকের প্রতি তার কাপড় নিক্ষেপ করা। আর দ্বিতীয় ব্যক্তিও তার কাপড় নিক্ষেপ করা এবং এর
দ্বারাই তাদের ক্রয়-বিক্রয় সম্পন্ন হওয়া, দেখা ও পারস্পরিক সম্মতি ব্যতিরেকেই। আর দু’প্রকার
পোশাক পরিধানের (এর এক প্রকার) হল- ইশ্তিমালুস-সাম্মা’। সাম্মা হল এক কাঁধের উপর কাপড়
এমনভাবে রাখা যাতে অন্য কাঁধ খালি থাকে, কোন কাপড় থাকে না। পোশাক পরার অন্য ধরণ হচ্ছে-
উপবিষ্ট অবস্থায় নিজের কাপড় দ্বারা নিজেকে এমনভাবে ঘিরে রাখা, যাতে লজ্জাস্থানের উপর
কাপড়ের কোন অংশ না থাকে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩৯৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৯০)
হাদিসের মানঃ সহিহ
হাদিস
৭৭/২১. অধ্যায়ঃ
এক কাপড়ে পেঁচিয়ে বসা প্রসঙ্গে।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮২১
পিএমএমআরসি হাদিস নং-৯৯০
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দু’ধরণের
কাপড় পরতে নিষেধ করেছেন। একটি কাপড়ে পুরুষের এমনভাবে পেঁচিয়ে থাকা যে, তার লজ্জাস্থানের
উপর সে কাপড়ের কোন অংশই থাকে না। আর একটি কাপড় এমনভাবে পেঁচিয়ে পরা যে, শরীরের এক অংশ
খোলা থাকে। আর ‘মুলামাসাহ’ ও ‘মুনাবাযাহ’ থেকেও (তিনি নিষেধ করেছেন)।(আধুনিক প্রকাশনী-
৫৩৯৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৯১)
হাদিসের মানঃ সহিহ
হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮২২
পিএমএমআরসি হাদিস নং-৯৯১
আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিষেধ করেছেন শরীরের এক পাশ খোলা
রেখে অন্য পাশ ঢেকে পরতে। আর এক কাপড়ে পুরুষকে এমনভাবে ঢেকে বসতে, যাতে তার লজ্জাস্থানের
উপর ঐ কাপড়ের কোন অংশ না থাকে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩৯৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৯২)
হাদিসের মানঃ সহিহ
হাদিস
৭৭/২২. অধ্যায়ঃ
নকশাওয়ালা কালো চাদর প্রসঙ্গে।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮২৩
পিএমএমআরসি হাদিস নং-৯৯২
উম্মু খালিদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট কিছু কাপড়
নিয়ে আসা হয়। তার মধ্যে কিছু কালো নকশীদান ছোট চাদর ছিল। তিনি বললেনঃ আমরা এগুলো পরব,
তোমাদের মত কী? উপস্থিত সকলে চুপ থাকল। তারপর তিনি বললেনঃ উম্মু খালিদকে আমার কাছে
নিয়ে এসো। তাকে বহন করে আনা হল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের
হাতে একটি চাদর নিলেন এবং তাকে পরিয়ে দিলেন। এরপর বললেনঃ এটি) তুমি পুরাতন কর ও ছিঁড়ে
ফেল অর্থাৎ তুমি বহুদিন বাঁচ)। ঐ চাদরে সবুজ অথবা হলুদ রঙের নকশী ছিল। তিনি বললেনঃ
হে খালিদের মা!هٰذَا سَنَاهْঅর্থাৎ এটি কত সুন্দর! হাবশী ভাষায় সানাহ্ অর্থ সুন্দর। [৩০৭১] আধুনিক
প্রকাশনী- ৫৩৯৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৯৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ
হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮২৪
পিএমএমআরসি হাদিস নং-৯৯৩
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ উম্মু সুলাইম (রাঃ) যখন একটি সন্তান প্রসব করলেন তখন আমাকে
জানালেন, হে আনাস! শিশুটিকে দেখ, যেন সে কিছু না খায়, যতক্ষন না তুমি একে নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট নিয়ে যাও, তিনি এর তাহনীক করবেন। আমি তাকে নিয়ে গেলাম।
দেখলাম, তিনি একটি বাগানে আছেন, আর তাঁর পরনে হুরাইসিয়া নামের চাদর আছে। তিনি যে উটে
করে মাক্কাহ বিজয়ের দিনে অভিযানে গিয়েছিলেন তার পিঠে ছিলেন। [১৫০২; মুসলিম ৩৭/৩০, হাঃ
২১১৯] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩৯৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৯৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ
হাদিস
৭৭/২৩. অধ্যায়ঃ
সবুজ পোশাক প্রসঙ্গে
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮২৫
পিএমএমআরসি হাদিস নং-৯৯৪
ইকরামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রিফা’আ তার স্ত্রীকে তালাক দেয়। পরে আবদুর রহমান কুরাযী তাকে বিবাহ করে।
‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, তার গায়ে একটি সবুজ রঙের উড়না ছিল। সে ‘আয়িশা (রাঃ) -এর নিকট অভিযোগ
করল এবং (স্বামীর প্রহারজনিত) স্বীয় গাত্রের চামড়ার সবুজ বর্ণ দেখালো। রসূলুল্লাহ্
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন এলেন, আর স্ত্রীগণ একে অন্যের সহযোগিতা করে
থাকে, তখন ‘আয়িশা (রাঃ) বললেনঃ কোন মু’মিন মহিলাকে এমনভাবে প্রহার করতে আমি কখনও দেখিনি।
মহিলাটির চামড়া তার কাপড়ের চেয়ে বেশি সবুজ হয়ে গেছে। বর্ণনাকারী বলেনঃ ‘আবদুর রহমান
শুনতে পেল যে, তার স্ত্রী রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে
এসেছে। সুতরাং সেও তার অন্য স্ত্রীর দু’টি ছেলে সাথে করে এলো। স্ত্রী লোকটি বললঃ আল্লাহ্র
কসম! তার উপর আমার এ ব্যতীত আর কোন অভিযোগ নেই যে, তার কাছে যা আছে তা আমাকে এ জিনিসের
চেয়ে অধিক তৃপ্তি দেয় না। এ বলে তার কাপড়ের আঁচল ধরে দেখাল। ‘আবদুর রহমান বললঃ হে আল্লাহ্র
রসূল! সে মিথ্যা বলছে, আমি তাকে ধোলাই করি চামড়া ধোলাই করার ন্যায় (দীর্ঘস্থায়ী সঙ্গম
করি)। কিন্তু সে অবাধ্য স্ত্রী, রিফা’আর কাছে ফিরে যেতে চায়। রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ব্যাপার যদি তাই হয় তাহলে রিফা’আ তোমার জন্য হালাল হবে
না, অথবা তুমি তার যোগ্য হতে পার না, যতক্ষণ না ‘আবদুর রহমান তোমার সুধা আস্বাদন করবে।
বর্ণনাকারী বলেনঃ রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আবদুর রহমানের
সাথে তার পুত্রদ্বয়কে দেখে বললেন, এরা কি তোমার পুত্র? সে বললঃ হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ
এই আসল ঘটনা, যে জন্য স্ত্রী লোকটি এমন করেছে। আল্লাহ্র কসম! কাকের সাথে কাকের যেমন
মিল থাকে, তার চেয়েও বেশি মিল আছে ওদের সাথে এর (অর্থাৎ ‘আবদুর রহমানের সাথে তাঁর পুত্রদের)।
(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩৯৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৯৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ
হাদিস
৭৭/২৪. অধ্যায়ঃ
সাদা পোশাক প্রসঙ্গে
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮২৬
পিএমএমআরসি হাদিস নং-৯৯৫
সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ উহুদের দিন আমি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
-এর ডানে ও বামে দু’জন পুরুষ লোককে দেখলাম। তাদের পরনে সাদা পোষাক ছিল। তাদের এর আগেও
দেখিনি, আর পরেও দেখিনি।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪০০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৯৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ
হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮২৭
পিএমএমআরসি হাদিস নং-৯৯৬
আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট আসলাম।
তাঁর পরনে তখন সাদা পোশাক ছিল। তখন তিনি ছিলেন নিদ্রিত। কিছুক্ষণ পর আবার এলাম, তখন
তিনি জেগে গেছেন। তিনি বললেনঃ যে কোন বান্দা ‘লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ’ বলবে এবং এ অবস্থার
উপরে মারা যাবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আমি বললামঃ সে যদি যিনা করে, সে যদি চুরি
করে? তিনি বললেনঃ যদি সে যিনা করে, যদি সে চুরি করে তবুও। আমি জিজ্ঞেস করলামঃ সে যদি
যিনা করে, সে যদি চুরি করে তবুও? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, সে যদি যিনা করে, সে যদি চুরি
করে তবুও। আমি বললামঃ যদি সে যিনা করে, যদি সে চুরি করে তবুও? তিনি যদি সে যিনা করে,
যদি সে চুরি করে তবুও। আবূ যারের নাক ধূলি ধুসরিত হলেও। আবূ যার (রাঃ) যখনই এ হাদীস
বর্ণনা করতেন তখন আবূ যারের নাসিকা ধূলাচ্ছন্ন হলেও বাক্যটি বলতেন। আবূ ‘আবদুল্লাহ
(ইমাম বুখারী) বলেনঃ এ কথা প্রযোজ্য হয় মৃত্যুর সময় বা তার পূর্বে যখন সে তাওবাহ করে
ও লজ্জিত হয় এবং বলে ‘লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ’, তখন তার পূর্বের গুনাহ মাফ করে দেয়া
হয়।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪০১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৯৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ
হাদিস
৭৭/২৫. অধ্যায়ঃ
পুরুষের জন্য রেশমী পোশাক পরা, রেশমী চাদর বিছানো এবং কী পরিমাণ রেশমী
কাপড় ব্যবহার জায়িয।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮২৮
পিএমএমআরসি হাদিস নং-৯৯৭
ক্বাতাদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আবূ ‘উসমান নাহদী (রাঃ) -এর থেকে শুনেছি, তিনি বলেছেনঃ
আমাদের কাছে ‘উমার (রাঃ) -এর পক্ষ থেকে এক পত্র আসে, এ সময় আমরা ‘উত্বাহ ইবনু ফারকাদের
সঙ্গে আযারবাইজানে অবস্থান করছিলাম। (পত্রে লেখা ছিলঃ) রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রেশম ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন, তবে এটুকু এবং ইঙ্গিত দিলেন
বুড়ো আঙ্গুলের সাথে মিলিত দু’আঙ্গুল দ্বারা (বর্ণনাকারী বলেনঃ ) আমরা বুঝতে পারলাম
যে (কতটুকু জায়িয তা) জানিয়ে তিনি পাড় ইত্যাদি বুঝাতে চেয়েছেন।[৫৮২৯, ৫৮৩০, ৫৮৩৪, ৫৮৩৫;
মুসলিম পর্ব ৩৭/হাঃ ২০৬৯, আহমাদ ৩৬৫] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪০২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৯৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ
হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮২৯
পিএমএমআরসি হাদিস নং-৯৯৮
আবূ ‘উসমান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা আযারবাইজানে অবস্থান করছিলাম। এ সময় ‘উমার (রাঃ) আমাদের
কাছে লিখে পাঠান যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রেশমী কাপড় পরতে নিষেধ
করেছেন; কিন্তু এটুকু এবং নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর দু’আঙ্গুল দিয়ে
এর পরিমাণ আমাদের বলে দিয়েছেন। যুহাইর মধ্যমা ও শাহাদাত আঙ্গুল তুলে দেখিয়েছেন।(আধুনিক
প্রকাশনী- ৫৪০৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৯৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ
হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৩০
পিএমএমআরসি হাদিস নং-৯৯৯
আবূ ‘উসমান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যে, আমরা উত্বাহ্র সাথে ছিলাম। ‘উমার (রাঃ) তার কাছে লিখে পাঠান যে,
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যাকে আখিরাতে রেশম পরানো হবে না, সে
ব্যতীত অন্য কেউ দুনিয়ায় রেশম পরবে না।
আবূ ‘উসমান (রহঃ) তার দু’আঙ্গুল অর্থাৎ শাহাদাত ও মধ্যমা দ্বারা ইশারা
করলেন। [৫৮২৮; মুসলিম পর্ব ৩৭/হাঃ ২০৬৯, আহমাদ ৩৬৫]] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪০৪, ইসলামিক
ফাউন্ডেশন- ৫৩০০)
হাদিসের মানঃ সহিহ
হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৩১
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০০০
ইবনু আবূ লাইলা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, হুযাইফাহ (রাঃ) মাদাইনে অবস্থান করেছিলেন। তিনি পানি পান করতে
চাইলেন। এক গ্রাম্য লোক একটি রৌপ্য পাত্রে কিছু পানি নিয়ে আসল। হুযাইফা (রাঃ) তা ছুঁড়ে
ফেললেন এবং বললেনঃ আমি ছুঁড়ে ফেলতাম না; কিন্তু আমি তাকে নিষেধ করেছি, সে নিবৃত হয়নি।
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ স্বর্ণ, রৌপ্য, পাতলা ও মোটা
রেশম তাদের (অর্থাৎ কাফিরদের জন্য) দুনিয়ায় এবং তোমাদের (মুসলিমদের) জন্য আখিরাতে।
[১](আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪০৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩০২ [১])
[১] ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ৫৩০১ ক্রমিক ছুটে গেছে যদিও হাদীসের ধারাবাহিকতা
ঠিক আছে সেজন্য একটি নম্বর বাদ পড়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ
হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৩২
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০০১
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
শু’বাহ (রহঃ) বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলামঃ এ কথা কি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত? তিনি জোর দিয়ে বললেনঃ হ্যাঁ। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) হতে বর্ণিত। যে ব্যক্তি দুনিয়ায় রেশমী কাপড় পরবে, সে আখিরাতে তা কখনও পরতে
পারবে না। [মুসলিম পর্ব ৩৭/হাঃ ৬০৭৩, আহমাদ ১১৯৮৫] আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৪৬, ইসলামিক
ফাউন্ডেশন- ৫৩০৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ
হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৩৩
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০০২
খালীফাহ ইবনু কা’ব থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ‘আবদুল্লাহ ইবনু যুবাইরকে খুতবায় বলতে শুনেছি। তিনি বলেনঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক দুনিয়ায় রেশমী কাপড় পরবে, আখিরাতে
সে তা পরতে পারবে না।(আধুনিক প্রকাশনী- নাই, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- নাই)
হাদিসের মানঃ সহিহ
হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৩৪
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০০৩
উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক দুনিয়ায় রেশমী
কাপড় পরবে, আখিরাতে সে তা পরতে পারবে না। (আ. প্র. ৫৪০৮, ই. ফা. ৫৩০৪)
আবূ মা’মার আমাদের বলেছেন .................. ‘উমার (রাঃ) নবী হতে অনুরূপ
বর্ণনা করেছেন।(আধুনিক প্রকাশনী- নাই, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- নাই)
হাদিসের মানঃ সহিহ
হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৩৫
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০০৪
ইমরান ইবনু হিত্তান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ‘আয়িশা (রাঃ) -এর নিকট রেশম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি
বললেনঃ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) -এর নিকট যাও এবং তাকে জিজ্ঞেস কর। আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলামঃ
তিনি বললেন, ইবনু ‘উমারের নিকট জিজ্ঞেস কর। ইবনু ‘উমারকে জিজ্ঞেস করলাম; তিনি বললেন,
আবূ হাফস অর্থাৎ ‘উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ) বলেছেন যে, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ দুনিয়ায় যে ব্যক্তিই রেশমী কাপড় পরবে, তার আখিরাতে কোন
অংশ নেই। আমি বললামঃ তিনি সত্য বলেছেন। আবূ হাফ্স রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) -এর উপর মিথ্যারোপ করেননি।
‘ইমরানের সূত্রে ঐ রকমই হাদীস বর্ণনা করেছেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪০৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩০৫)
‘ইমরানের সূত্রে ঐ রকমই হাদীস বর্ণনা করেছেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪০৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩০৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ
হাদিস
৭৭/২৬. অধ্যায়ঃ
পরিধান না করে রেশমী কাপড় স্পর্শ করা।
এ সম্পর্কে যুবাইদীর সূত্রে আনাস (রাঃ) থেকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) -এর হাদীস বর্ণিত আছে।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৩৬
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০০৫
বারা’আ’ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একবার নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর জন্যে একখানা
রেশমী বস্ত্র উপহার পাঠানো হয়। আমরা তা স্পর্শ করলাম এবং বিস্ময় প্রকাশ করলাম। নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা এতে বিস্ময় প্রকাশ করছো? আমরা বললামঃ
হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ জান্নাতে সা’দ ইবনু মু’আযের রুমাল এর চেয়ে উৎকৃষ্ট হবে।(আধুনিক
প্রকাশনী- ৫৪১০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩০৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/২৭. অধ্যায়ঃ
রেশমী কাপড় বিছানো।
‘আবীদাহ বলেন, এটা পরিধানের মতই ।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৩৭
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০০৬
হুযাইফা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের স্বর্ণ ও রৌপ্যের
পাত্রে পানাহার করতে নিষেধ করেছেন এবং তিনি মোটা ও চিকন রেশমী বস্ত্র পরিধান করতে ও
তাতে উপবেশন করতে নিষেধ করেছেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪১১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩০৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/২৮. অধ্যায়ঃ
কাসসী পরিধান করা।
আসিম (রাঃ) আবূ বুরদাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ‘আলী (রাঃ)
-কে জিজ্ঞেস করলাম, ‘কাসসী’ কী? তিনি বললেন, এক প্রকার কাপড়- যা শাম (সিরিয়া) অথবা
মিসর থেকে আমাদের দেশে আমদানী হয়ে থাকে। চওড়া দিক থেকে নক্শী করা হয়, তাতে রেশম থাকে
এবং উৎরুনজের মত তা কারুকার্যখচিত হয়। আর মীসারা এমন বস্ত্র, যা স্ত্রী লোকেরা তাদের
স্বামীদের জন্যে প্রস্তুত করে, মখমলের চাদরের মত তা হলুদ বর্ণের হয়ে থাকে। জারীর ইয়াযীদ
থেকে বর্ণনা করেন, তাঁর বর্ণনায় আছে- কাসসী হচ্ছে নক্শী বস্ত্র যা মিসর থেকে আমদানী
হয়, তাতে রেশম থাকে। আর মীসারা হলো হিংস্র জন্তুর চামড়া।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৩৮
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০০৭
বারা’আ ইবনু ‘আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের লাল বর্ণের
মীসারা ও কাসসী পরিধান করতে নিষেধ করেছেন। (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪১২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন-
৫৩০৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/২৯. অধ্যায়ঃ
চর্মরোগের কারণে পুরুষের জন্য রেশমী কাপড়ের অনুমতি প্রসঙ্গে।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৩৯
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০০৮
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুবায়র ও ‘আবদুর রহমান
–কে তাদের চর্মরোগের কারণে রেশমী কাপড় পরিধান করার অনুমতি প্রদান করেছিলেন।(আধুনিক
প্রকাশনী- ৫৪১৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩০৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৩০. অধ্যায়ঃ
স্ত্রীলোকের রেশমী কাপড় পরিধান করা।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৪০
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০০৯
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে একটি রেশমী
হুল্লা পরতে দেন। আমি তা পরে বের হই। কিন্তু তাঁর [নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)]
মুখমন্ডলে গোস্বার ভাব আমি লক্ষ্য করি। কাজেই আমি তা টুকরো করে আমার পরিবারের মহিলাদের
মধ্যে বেঁটে দেই।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪১৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩১০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৪১
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০১০
আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
‘আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। ‘উমার (রাঃ) একটি রেশমী হুল্লা বিক্রি হতে
দেখে বললেনঃ হে আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আপনি যদি এটি কিনতেন,
তাহলে কোন প্রতিনিধি দল আপনার কাছে আসলে এবং জুমু‘আর দিনে পরিধান করতে পারতেন। তিনি
বললেনঃ এটা সে ব্যক্তিই পরতে পারে যার আখিরাতে কোন হিস্যা নেই। পরবর্তী সময়ে নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘উমার (রাঃ) -এর নিকট ডোরাকাটা রেশমী হুল্লা পাঠান। তিনি কেবল
তাঁকেই পরতে দেন। ‘উমার (রাঃ) বললেনঃ আপনি আমাকে পরিধান করতে দিয়েছেন, অথচ এ ব্যাপারে
যা বলার তা আমি আপনাকে বলতে শুনেছি। তিনি বললেনঃ আমি তোমার কাছে এজন্য পাঠিয়েছি যে,
তুমি এটি বিক্রি করে দিবে অথবা কাউকে পরতে দিবে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪১৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন-
৫৩১১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৪২
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০১১
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কন্যা উম্মে
কুলসূমের পরনে হালকা নক্শা করা রেশমী চাদর দেখেছেন। (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪১৬, ইসলামিক
ফাউন্ডেশন- ৫৩১২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৩১. অধ্যায়ঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কী ধরনের পোশাক ও বিছানা গ্রহণ
করতেন।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৪৩
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০১১
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি এক বছর যাবৎ অপেক্ষায় ছিলাম যে ‘উমার (রাঃ) -এর কাছে সে
দু’টি মহিলা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবো যারা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর
বিরুদ্ধে জোট বদ্ধ হয়েছিল। কিন্তু আমি তাঁকে খুব ভয় করে চলতাম। একদিন তিনি কোন এক স্থানে
নামলেন এবং (প্রাকৃতিক প্রয়োজনে) আরাক গাছের নিকটে গেলেন। যখন তিনি বেরিয়ে এলেন, আমি
তাকে (সে সম্পর্কে) জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেনঃ (তাঁরা হলেন) ‘আয়িশা ও হাফ্সাহ। এরপর
তিনি বললেনঃ জাহিলী যুগে আমরা নারীদের কোন কিছু বলে গণ্যই করতাম না। যখন ইসলাম আবির্ভূত
হলো এবং (কুরআনে) আল্লাহ তাদের (মর্যাদার কথা) উল্লেখ করলেন, তাতে আমরা দেখলাম যে,
আমাদের উপর তাদের হক আছে এবং এতে আমাদের হস্তক্ষেপ করা চলবে না। একদা আমার স্ত্রী ও
আমার মধ্যে কিছু কথাবার্তা হচ্ছিল। সে আমার উপর শক্ত ভাষা ব্যবহার করলো। আমি তাকে বললামঃ
তুমি তো সে স্থানেই। স্ত্রী বললেনঃ তুমি আমাকে এমন বলছ, অথচ তোমার কন্যা নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে কষ্ট দিচ্ছে। এরপর আমি হাফসাহ্র কাছে এলাম এবং বললামঃ আল্লাহ
ও আল্লাহ্র রসূলের নাফরমানী করা থেকে আমি তোমাকে সতর্ক করে দিচ্ছি। নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে কষ্ট দেয়ায় আমি হাফসার কাছেই প্রথমে আসি। এরপর আমি উম্মু
সালমাহ (রাঃ) -এর কাছে এলাম এবং তাঁকেও তেমনি বললাম। তিনি বললেনঃ তোমার প্রতি আমার
বিস্ময় হে উমার! তুমি আমার সকল ব্যাপারেই হস্তক্ষেপ করছ, কিছুই বাকী রাখনি, এমনকি রসূলুল্লাহ্
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর স্ত্রীদের ব্যাপারেও হস্তক্ষেপ করছ। এ কথা
বলে তিনি (আমাকে) প্রত্যাখ্যান করলেন। এক লোক ছিলেন আনসারী। তিনি যখন রসূলুল্লাহ্
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর মজলিস থেকে দূরে থাকতেন এবং আমি উপস্থিত থাকতাম,
যা কিছু হতো সে সব আমি তাঁকে জানাতাম। আর আমি যখন রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) -এর মজলিস থেকে অনুপস্থিত থাকতাম, আর তখন তিনি উপস্থিত থাকতেন, তখন রসূলুল্লাহ্
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর এখানে যা কিছু ঘটতো তা এসে আমাকে জানাতেন।
রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর চারপাশে যারা (রাজা-সম্রাট) ছিল
তাঁদের উপর রসুলের কর্তৃত্ব কায়িম হয়েছিল। কেবল বাকী ছিল শামের (সিরিয়ার) গাস্সান
শাসক। তার আক্রমনের আমরা আশঙ্কা করতাম। হঠাৎ আনসারী যখন বললঃ এক বড় ঘটনা ঘটে গেছে।
আমি তাকে বললামঃ কী সে ঘটনা! গাস্সানী কি এসে পড়েছে? তিনি বললেনঃ এর চেয়েও ভয়াবহ।
রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সকল স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন।
আমি সেখানে গেলাম। দেখলাম সকল কক্ষ থেকে কান্নার শব্দ আসছে। রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর কক্ষের কুঠুরিতে অবস্থান করছেন। প্রবেশ দ্বারে অল্প বয়স্ক
একজন খাদিম বসে আছেন। আমি তার কাছে গেলাম এবং বললামঃ আমার জন্যে অনুমতি চাও। অনুমতি
পেয়ে আমি ভিতরে ঢুকলাম। দেখলাম নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি চাটাইয়ের
উপর শুয়ে আছেন, যাতে তাঁর পার্শ্বদেশে দাগ পড়ে গেছে। তাঁর মাথার নীচে চামড়ার একটি বালিশ,
তার ভেতরে রয়েছে খেজুর গাছের ছাল। কয়েকটি চামড়া ঝুলানো রয়েছে এবং বিশেষ গাছের পাতা।
এরপর হাফসাহ ও উম্মু সালামাকে আমি যা বলেছিলাম এবং উম্মু সালামাহ আমাকে যা বলে প্রত্যাখ্যান
করেছিলেন, সে সব আমি তাঁর কাছে ব্যক্ত করলাম। রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) হাসলেন। তিনি ঊনত্রিশ রাত সেখানে থাকার পর নামলেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪১৭,
ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩১৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৪৪
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০১২
উম্মু সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক রাতে রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
ঘুম থেকে জাগ্রত হলেন। তখন তিনি বলছিলেনঃ আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই, কত যে ফিত্না
এ রাতে অবতীর্ণ হয়েছে। আরও কত যে ফিত্না অবতীর্ণ হয়েছে, কে আছে এমন যে, এ কক্ষবাসীগণকে
ঘুম থেকে জাগ্রত করবে। পৃথিবীতে এমন অনেক পোশাক পরিহিতা মহিলাও আছে যারা কিয়ামতের দিন
বিবস্ত্র থাকবে। যুহরী (রহঃ) বলেন, হিন্দ বিন্ত হারিস-এর জামার আস্তিনদ্বয়ের বুতাম
লাগানো ছিল।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪১৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩১৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৩২. অধ্যায়ঃ
নতুন বস্ত্র পরিধানকারীর জন্য কী দু‘আ করা হবে?
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৪৫
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০১৩
খালিদের কন্যা উম্মু খালিদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট
কিছু কাপড় আনা হয়। তাতে একটি নক্শাওয়ালা কালো চাদর ছিল। তিনি বললেনঃ আমি এ চাদরটি
কাকে পরাব এ সম্পর্কে তোমাদের অভিমত কী? সবাই চুপ থাকল। তিনি বললেনঃ উম্মু খালিদকে
আমার কাছে নিয়ে এসো। সুতরাং তাঁকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে
নিয়ে আসা হলো। তিনি নিজ হাতে তাঁকে ঐ চাদর পরিয়ে দিয়ে বললেনঃ পুরাতন কর ও দীর্ঘদিন
ব্যবহার কর। তারপর তিনি চাদরের নক্শার দিকে তাকাতে লাগলেন এবং হাতের দ্বারা আমাকে
ইশারা করে বলতে থাকলেনঃ হে উম্মু খালিদ! এ সানা। হাবশী ভাষায় ‘সানা’ অর্থ সুন্দর।
ইসহাক (রহঃ) বলেনঃ আমার পরিবারের এক স্ত্রীলোক আমাকে বলেছে, সে ঐ চাদর
উম্মু খালিদের পরনে দেখেছে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪১৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩১৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৩৩. অধ্যায়ঃ
পুরুষের জন্য জাফরানী রং-এর বস্ত্র পরিধান প্রসঙ্গে।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৪৬
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০১৪
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পুরুষদের জাফরানী
রং-এর কাপড় পরতে নিষেধ করেছেন। [মুসলিম ৩৭/২৩, হাঃ ২১০১, আহমাদ ১২৯৪১] আধুনিক প্রকাশনী-
৫৪২০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩১৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৩৪. অধ্যায়ঃ
জাফরানী রং-এর রঙিন বস্ত্র।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৪৭
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০১৫
ইব্নু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিষেধ করেছেন,
মুহ্রিম যেন ওয়ারস্ ঘাসের কিংবা জাফরানের রং দ্বারা রঙানো কাপড় না পরে। [১৩৪](আধুনিক
প্রকাশনী- ৫৪২১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩১৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৩৫. অধ্যায়ঃ
লাল কাপড় প্রসঙ্গে।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৪৮
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০১৬
বারা’আ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ছিলেন মাঝারি আকৃতির।
আমি তাঁকে লাল হুল্লা পরা অবস্থায় দেখেছি। তাঁর চেয়ে অধিক সুন্দর আর কিছু আমি দেখিনি।(আধুনিক
প্রকাশনী- ৫৪২২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩১৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৩৬. অধ্যায়ঃ
লাল ‘মীসারা’ প্রসঙ্গে।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৪৯
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০১৭
বারা’আ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের সাতটি বিষয়ের
নির্দেশ দিয়েছেনঃ রোগীর শুশ্রুষা, জানাযায় শরীক হওয়া এবং হাঁচিদাতার জবাব দান। [৪]
আর তিনি আমাদের সাতটি হতে নিষেধ করেছেনঃ রেশমী বস্ত্র, মিহিন রেশমী বস্ত্র, রেশম মিশ্রিত
কাতান বস্ত্র, মোটা বস্ত্র এবং লাল ‘মীসারা’ বস্ত্র পরিধান করতে।(আধুনিক প্রকাশনী-
৫৪২৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩১৯)
[৪] অর্থাৎ হাঁচিদাতা ‘আলহামদু লিল্লাহ’ বললে জবাবে ‘ইয়ারহামু কাল্লাহ’
বলা। এখানে তিনটির উল্লেখ আছে, অন্য হাদীস থেকে জানা যায় বাকী চারটি হলঃ দা’ওয়াত গ্রহণ
করা, সালামের জবাব দেয়া, অত্যাচারিত ব্যক্তিকে সাহায্য করা ও কসমকারীকে মুক্ত করা।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৩৭. অধ্যায়ঃ
পশমহীন চামড়ার জুতা ও অন্যান্য জুতা।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৫০
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০১৮
আবূ মাসলামা সা‘ঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আনাস (রাঃ) -কে জিজ্ঞেস করেছি, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) ‘না‘লাই’ [৫] পায়ে রেখে সালাত আদায় করেছেন কি? তিনি বলেছেনঃ হ্যাঁ।(আধুনিক
প্রকাশনী- ৫৪২৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩২০)
[৫] বিশেষ এক ধরনের সেন্ডেল
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৫১
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০১৯
‘উবায়দ ইবনু জুরাইজ (রহঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার –কে বলেনঃ আমি আপনাকে এমন চারটি কাজ করতে
দেখেছি, যা আপনার সঙ্গীদের মধ্যে কাউকে করতে দেখিনি। তিনি বললেনঃ সেগুলো কী, হে ইবনু
জুরাইজ? তিনি বললেনঃ আমি দেখেছি আপনি তাওয়াফ করার সময় (কা‘বার) রু’কুনগুলোর মধ্য হতে
ইয়ামানী দু’টো রুকন ব্যতীত অন্যগুলোকে স্পর্শ করেন না। আমি দেখেছি, আপনি পশমহীন চামড়ার
জুতা পরিধান করেন। আমি দেখেছি আপনি হলুদ রঙের কাপড় পরেন এবং যখন আপনি মক্কায় ছিলেন
তখন দেখেছি, অন্য লোকেরা (যিলহাজ্জের) চাঁদ দেখেই ইহরাম বাঁধতো, আর আপনি তালবিয়ার দিন
(অর্থাৎ আট তারিখ) না আসা পর্যন্ত ইহ্রাম বাঁধতেন না। ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ)
তাঁকে বললেনঃ আরকান সম্পর্কে কথা এই যে, আমি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) -কে ইয়ামানী দু’টি রুকন ছাড়া অন্য কোনটি স্পর্শ করতে দেখিনি। আর পশমহীন চামড়ার
জুতার ব্যাপার হলো, আমি দেখেছি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এমন
জুতা পরতেন, যাতে কোন পশম থাকতো না এবং তিনি জুতা পরা অবস্থাতেই অযূ করতেন (অর্থাৎ
পা ধুতেন)। তাই আমি সে রকম জুতা পরতেই পছন্দ করি। আর হলুদ বর্ণের কথা হলো, আমি রসূলুল্লাহ্
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে এ রং দিয়ে রঙিণ করতে দেখেছি। সুতরাং আমিও এর
দ্বারাই রং করতে ভালবাসি। আর ইহ্রাম সম্পর্কে কথা এই যে, আমি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে তাঁর বাহনে হাজ্জের কাজ আরম্ভ করার জন্য উঠার আগে ইহ্রাম
বাঁধতে দেখিনি।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪২৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩২১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৫২
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০২০
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিষেধ করেছেন,
ইহ্রাম বাঁধা ব্যক্তি যেন জাফরান কিংবা ওয়ার্স ঘাস দ্বারা রং করা কাপড় না পরে। তিনি
বলেছেনঃ যার জুতা নেই, সে যেন মোজা পরে এবং পায়ের গোড়ালির নীচ থেকে (মোজার উপরের অংশ)
কেটে ফেলে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪২৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩২২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৫৩
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০২১
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ (মুহরিম অবস্থায়)
যে লোকের ইযার নেই, সে যেন পায়জামা পরে, আর যার জুতা নেই, সে যেন মোজা পরে। (আধুনিক
প্রকাশনী- ৫৪২৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩২৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৩৮. অধ্যায়ঃ
ডান দিক থেকে জুতা পরা আরম্ভ করা।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৫৪
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০২২
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পবিত্রতা লাভ করতে, মাথা
আঁচড়াতে ও জুতা পায়ে দিতে ডান দিক থেকে আরম্ভ করা পছন্দ করতেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪২৮,
ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩২৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৩৯. অধ্যায়ঃ
বাঁ পায়ের জুতা খোলা প্রসঙ্গে।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৫৫
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০২৩
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যে, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন তোমাদের
কেউ জুতা পরে তখন সে যেন ডান দিক থেকে শুরু করে, আর যখন খোলে তখন সে যেন বাম দিকে শুরু
করে, যাতে পরার সময় উভয় পায়ের মধ্যে ডান পা প্রথমে হয় এবং খোলার সময় শেষে হয়।[মুসলিম
৩৭/১৯, হাঃ ২০৯৭, আহমাদ ৭১৮২] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪২৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩২৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৪০. অধ্যায়ঃ
এক পায়ে জুতা পরে হাঁটবে না।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৫৬
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০২৪
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যে, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের
কেউ যেন এক পায়ে জুতা পরে না হাঁটে। হয় দু’পা-ই খোলা রাখবে অথবা দু’ পায়ে পরবে। [মুসলিম
৩৭/১৯, হাঃ ২০৯৭] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৩০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩২৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৪১. অধ্যায়ঃ
এক চপ্পলে দু’ ফিতা লাগান, কারও মতে এক ফিতা লাগানও বৈধ।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৫৭
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০২৫
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর চপ্পলে দু’টো করে ফিতা
ছিল।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৩১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩২৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৫৮
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০২৬
ঈসা ইবনু তাহমান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একবার আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) এমন দু’টো চপ্পল আমাদের কাছে আনলেন যার দু’টো
করে ফিতা ছিল। তখন সাবিত বুনানী বললেনঃ এটি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
-এর চপ্পল ছিল।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৩২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩২৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৪২. অধ্যায়ঃ
লাল রঙের চামড়ার তাঁবু।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৫৯
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০২৭
আওনের পিতা (ওয়াহ্ব ইবনু ‘আবদুল্লাহ) (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে এলাম।
তখন তিনি একটি লাল রঙের চামড়ার তাঁবুতে ছিলেন। আর বিলালকে দেখলাম তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর অযুর পানি উঠিয়ে দিচ্ছেন এবং লোকজন অযুর পানি নেয়ার জন্য
দৌড়াদৌড়ি করছে। যে তাথেকে কিছু পায়, সে তা মেখে নেয়। আর যে সেখান হতে কিছু পায় না,
সে তার সাথীর ভিজা হাত হতে কিছু গ্রহণ করে। (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৩৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন-
৫৩২৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৬০
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০২৮
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আনসারদের নিকট সংবাদ
প্রেরণ করেন এবং তাদের চামড়ার একটি তাঁবুতে জমায়েত করেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৩৪, ইসলামিক
ফাউন্ডেশন- ৫৩৩০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৪৩. অধ্যায়ঃ
চাটাই বা তদ্রূপ কোন জিনিসের উপর বসা।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৬১
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০২৯
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতের বেলা চাটাই দিয়ে ঘেরাও
দিয়ে সলাত আদায় করতেন। আর দিনের বেলা তা বিছিয়ে তার উপর বসতেন। লোকজন নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট একত্রিত হয়ে তাঁর সঙ্গে সলাত আদায় করতে লাগল। এমনকি
বহু লোক একত্রিত হল। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের উদ্দেশ্যে বললেনঃ
হে লোক সকল! তোমরা ‘আমল করতে থাক তোমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী। কারণ, আল্লাহ তা’আলা ক্লান্ত
হন না, বরং তোমরাই ক্লান্ত হয়ে পড়বে। আর আল্লাহ্র নিকট ঐ ‘আমাল সবচেয়ে প্রিয়, যা সর্বদা
করা হয়, তা কম হলেও।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৩৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৩১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৪৪. অধ্যায়ঃ
স্বর্ণখচিত গুটি
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৬২
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৩০
মিসওয়ার ইবনু মাখরামা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যে, তার পিতা মাখরামা (একদা) তাকে বললেনঃ হে প্রিয় বৎস! আমার কাছে খবর
এসেছে যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট কিছু কাবা এসেছে। তিনি
সেগুলো বণ্টন করেছেন। চলো, আমরা তাঁর কাছে যাই। আমরা গেলাম এবং নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে তাঁর বাসগৃহে পেলাম। আমাকে (আমার পিতা) বললেনঃ বৎস! নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে আমার কাছে ডাক। আমার নিকট কাজটি অতি কঠিন বলে
মনে হল। আমি বললামঃ আপনার কাছে রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে
ডাকবো? তিনি বললেনঃ বৎস, তিনি তো কঠোর স্বভাবের লোক নন। যা হোক, আমি তাঁকে ডাকলাম।
তিনি বেরিয়ে এলেন। তাঁর গায়ে তখন স্বর্ণের বোতাম লাগান মিহি রেশমী কাপড়ের কাবা ছিল।
তিনি বললেনঃ হে মাখরামা! এটা আমি তোমার জন্যে সংরক্ষণ করেছিলাম। এরপর তিনি ওটা তাকে
দিয়ে দিলেন। [৬](আধুনিক প্রকাশনী- অনুচ্ছেদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- অনুচ্ছেদ)
[৬] সম্ভবতঃ এটি পুরুষের জন্য রেশম হারাম হওয়ার পূর্বের ঘটনা।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৪৫. অধ্যায়ঃ
স্বর্ণের আংটি
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৬৩
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৩১
বারা’আ ইবনু ‘আযিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের সাতটি জিনিস
থেকে নিষেধ করেছেনঃ স্বর্ণের আংটি বা তিনি বলেছেন, স্বর্ণের বলয়, মিহি রেশম, মোটা রেশম
ও রেশম মিশ্রিত কাপড়, রেশম এর তৈরী লাল রঙের হাওদা, রেশম মিশ্রিত কিস্সী কাপড় ও রৌপ্য
পাত্র। আর তিনি আমাদের সাতটি কাজের নির্দেশ দিয়েছেনঃ রোগীর শুশ্রূষা, জানাযার অনুসরণ
করা, হাঁচির উত্তর দেয়া, সালামের জবাব দেয়া, দা’ওয়াত গ্রহণ করা, শপথকারীর শপথ পূরণে
সাহায্য করা এবং মাযলূম ব্যক্তির সাহায্য করা।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪২৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন-
৫৩৩২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৬৪
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৩২
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে
বর্ণিত। তিনি স্বর্ণের আংটি ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন।
‘আম্র (রহঃ) বাশীর (রহঃ) -কে রকমই বর্ণনা করতে শুনেছেন। [মুসলিম ৩৭/১১,
হাঃ ২০৮৯] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪২৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৩৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৬৫
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৩৩
আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) স্বর্ণের একটি আংটি
ব্যবহার করেন। আংটির মোহর হাতের তালুর দিকে ঘুরিয়ে রাখেন। লোকেরা ঐ রকমই (আংটি) ব্যবহার
করা শুরু করল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) স্বর্ণের আংটিটি ফেলে দিয়ে রৌপ্যের
আংটি বানিয়ে নিলেন। [৫৮৬৬, ৫৮৬৭, ৫৮৭৩, ৫৮৭৬, ৬৬৫১, ৭২৯৮; মুসলিম ৩৭/১১, হাঃ ২০৯১,
আহমাদ ৫৮৫৫] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৩৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৩৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৪৬. অধ্যায়ঃ
রূপার আংটি প্রসঙ্গে।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৬৬
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৩৪
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বর্ণের একটি আংটি পরেন।
আংটিটির মোহর হাতের তালুর ভিতরের দিকে ঘুরিয়ে রাখেন। তাতে তিনি مُحَمَّدٌ رَسُوْلُ اللهِ খোদাই করেছিলেন। লোকেরাও এ রকম আংটি ব্যবহার করতে শুরু করেন। যখন তিনি
দেখলেন যে, তারাও ঐ রকম আংটি ব্যবহার করছে, তখন তিনি তা ছুঁড়ে ফেলে দেন এবং বলেনঃ আমি
আর কখনও এটা ব্যবহার করব না। এরপর তিনি একটি রূপার আংটি ব্যবহার করেন। লোকেরাও রূপার
আংটি পরা শুরু করে। ইবনু ‘উমার বলেনঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর পরে
আবূ বাকর , তারপর ‘উমার ও তারপর ‘উসমান তা ব্যবহার করেছেন। শেষে ‘উসমান -এর হাত) থেকে
আংটিটি ‘আরীস’ নামক কূপের মধ্যে পড়ে যায়। [৫৮৬৫] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৩৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন-
৫৩৩৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৪৭. অধ্যায়ঃ
আংটি খুলে ফেলা
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৬৭
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৩৫
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) স্বর্ণের একটি আংটি
ব্যবহার করতেন। এরপর তা বাদ দেন এবং বলেনঃ আমি আর কখনো সেটা ব্যবহার করব না। লোকেরাও
তাদের আংটি খুলে ফেলে দেয়।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৪০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৩৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৬৮
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৩৬
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যে, তিনি একদিন রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর
হাতে রৌপ্যের একটি আংটি দেখেছেন। তারপর লোকেরাও রৌপ্যের আংটি তৈরি করে এবং ব্যবহার
করে। রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পরে তাঁর আংটি বর্জন করেন। লোকেরাও
তাদের আংটি বর্জন করেন।
যুহরীর সূত্রে ইবরাহীম ইবনু সা’দ, যিয়াদ ও শু’আয়ব (রহঃ) -ও এ রকম বর্ণনা করেছেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৪১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৩৭)
যুহরীর সূত্রে ইবরাহীম ইবনু সা’দ, যিয়াদ ও শু’আয়ব (রহঃ) -ও এ রকম বর্ণনা করেছেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৪১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৩৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৪৮. অধ্যায়ঃ
আংটির মোহর প্রসঙ্গে।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৬৯
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৩৭
হুমাইদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আনাস (রাঃ) -এর নিকট জিজ্ঞেস করা হয় যে, নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আংটি পরেছেন কিনা? তিনি বললেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) এক রাতে এশার সলাত আদায় করতে অর্ধরাত পর্যন্ত দেরী করেন। এরপর তিনি আমাদের
মাঝে আসলেন। আমি যেন তাঁর আংটির ঔজ্জ্বল্য দেখতে লাগলাম। তিনি বললেনঃ লোকজন সলাত আদায়
করে শুয়ে গেছে। আর যতক্ষণ থেকে তোমরা সলাতের জন্য অপেক্ষারত আছ; ততক্ষণ তোমরা সলাতের
ভিতরেই আছ। [৫৭২; মুসলিম ৫/৩৯, হাঃ ৬৪০, আহমাদ ১৩৮২০] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৪২, ইসলামিক
ফাউন্ডেশন- ৫৩৩৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৭০
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৩৮
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যে, আল্লাহ্র নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর আংটি ছিল রৌপ্যের।
আর তাঁর নাগিনাটিও ছিল রৌপ্যের।
ইয়াহ্ইয়া ইবনু আইউব, হুমায়দ, আনাস (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) থেকেও বর্ণনা করেছেন। [৬৫; মুসলিম ৩৭/১১, হাঃ ২০৯২] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৪৩,
ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৩৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৪৯. অধ্যায়ঃ
লোহার আংটি প্রসঙ্গে।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৭১
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৩৯
সাহ্ল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক মহিলা রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
-এর নিকট এসে বললঃ আমি নিজেকে হিবা করে দেয়ার জন্য এসেছি। এ কথা বলে সে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে
থাকল। তিনি তাকালেন ও মাথা নীচু করে রাখলেন। মহিলাটির দাঁড়িয়ে থাকা দীর্ঘ হলে এক ব্যক্তি
বললঃ আপনার যদি প্রয়োজন না থাকে, তবে একে আমার সঙ্গে বিয়ে দিন। তিনি বললেনঃ তোমার কাছে
মাহর দেয়ার মত কিছু আছে কি? সে বললঃ না। তিনি বললেনঃ খুঁজে দেখ। সে চলে গেল। কিছু সময়
পর ফিরে এসে বললঃ আল্লাহ্র কসম! আমি কিছুই পেলাম না। তিনি বললেনঃ আবার যাও এবং খোঁজ
করো, একটি লোহার আংটি হলেও (আন)। সে চলে গেল। কিছুক্ষণ পর ফিরে এসে বললঃ কসম আল্লাহ্র!
কিছুই পেলাম না, একটি লোহার আংটিও না। তার পরনে ছিল একটি মাত্র লুঙ্গি, তার উপর চাদর
ছিল না। সে আরয করলঃ আমি এ লুঙ্গিটি তাকে দান করে দেব। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বললেনঃ তোমার লুঙ্গি যদি সে পরে তবে তোমার পরনে কিছু থাকে না। আর যদি তুমি
পর, তবে তার গায়ে এর কিছুই থাকে না। এরপর লোকটি একটু দূরে সরে গিয়ে বসে পড়ল। এরপর নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দেখলেন যে, সে পিঠ ফিরিয়ে চলে যাচ্ছে। তখন তিনি
তাকে ডাকার জন্যে হুকুম দিলেন। তাকে ডেকে আনা হল। তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ তোমার কি কুরআনের
কিছু মুখস্থ আছে? সে বললঃ অমুক অমুক সূরা। সে সূরাগুলোকে গণনা করে শুনাল। তিনি বললেনঃ
তোমার কাছে কুরআনের যা কিছু মুখস্থ আছে, তার পরিবর্তে মেয়ে লোকটিকে তোমার অধীনে দিয়ে
দিলাম।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৪৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৪০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৫০. অধ্যায়ঃ
আংটিতে নক্শা অঙ্কণ করা।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৭২
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৪০
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আল্লাহর নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) অনারব একটি দলের কাছে
বা কিছু লোকের কাছে পত্র লিখতে চাইলেন। তখন তাঁকে বলা হল যে, তারা এমন পত্র গ্রহণ করে
না যার উপর মোহরাঙ্কিত থাকে না। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রৌপ্যের একটি
আংটি তৈরী করেন। তাতে অঙ্কিত ছিল مُحَمَّدٌ رَسُوْلُ اللهِ [বর্ণনাকারী আনাস বলেনঃ] আমি যেন এখনও (নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
-এর আঙ্গুলে বা তাঁর হাতে সে আংটির ঔজ্জ্বল্য প্রত্যক্ষ করছি। [৬৫] আধুনিক প্রকাশনী-
৫৪৪৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৪১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৭৩
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৪১
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রৌপ্যের একটি
আংটি তৈরী করেন। সেটি তাঁর হাতে ছিল। এরপর তা আবূ বাকর -এর হাতে আসে। অতঃপর তা ‘উমার
-এর হাতে আসে। অতঃপর তা ‘উসমান -এর হাতে আসে। শেষ পর্যন্ত তা ‘আরীস নামক এক কূপের মধ্যে
পড়ে যায়। তাতে অঙ্কিত ছিল محَمَّدٌ رَسُوْل اللهِ। [৫৮৬৫] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৪৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৪২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৫১. অধ্যায়ঃ
কনিষ্ঠ আঙ্গুলে আংটি পরিধান।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৭৪
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৪২
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি আংটি তৈরী করেন।
তারপর তিনি বলেনঃ আমি একটি আংটি তৈরী করেছি এবং তাতে একটি নকশা করেছি। সুতরাং কেউ যেন
নিজের আংটিতে নকশা না করে। তিনি (আনাস) বলেনঃ আমি যেন তাঁর কনিষ্ঠ আঙ্গুলে আংটিটির
ঔজ্জ্বল্য প্রত্যক্ষ করছি।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৪৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৪৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৫২. অধ্যায়ঃ
কোন কিছুর উপর সীলমোহর করার উদ্দেশ্য অথবা আহলে কিতাব বা অন্য কারও নিকট
পত্র লেখার উদ্দেশে আংটি তৈরী করা।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৭৫
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৪৩
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন রোম সম্রাটের নিকট
পত্র লিখতে মনস্থ করেন, তখন তাঁকে বলা হল, আপনার পত্র যদি মোহরাঙ্কিত না হয়, তবে তারা
তা পাঠ করে না। এরপর তিনি রৌপ্যের একটি আংটি বানান এবং তাতে محَمَّدٌ رَسُوْل اللهِ খোদাই করা ছিল। [আনাস
বলেন] আমি যেন এখনও) তাঁর হাতে সে আংটির শুভ্রতা প্রত্যক্ষ করছি। [৬৫] আধুনিক প্রকাশনী-
৫৪৪৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৪৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৫৩. অধ্যায়ঃ
যে লোক আংটির নাগিনা হাতের তালুর দিকে রাখে।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৭৬
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৪৪
আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) স্বর্ণের একটি আংটি
তৈরী করেন। যখন তিনি তা পরিধান করতেন, তখন তার নাগিনা হাতের তালুর দিকে রাখতেন। লোকেরাও
স্বর্ণের আংটি তৈরী শুরু করল। এরপর তিনি মিম্বরে আরোহণ করেন। আল্লাহ্র প্রশংসা ও গুণাবলী
প্রকাশ করার পর বলেনঃ আমি এ আংটি তৈরী করেছিলাম। কিন্তু তা আর পরিধান করব না। এরপর
তিনি তা ছুঁড়ে ফেলেন। লোকেরাও (তাদের আংটি) ছুঁড়ে ফেলল।
জুওয়ায়রিয়াহ (রহঃ) বলেনঃ ‘আমার ধারণা যে, বর্ণনাকারী (নাফি’) এ কথাও বলেছেন
যে, আংটিটি তাঁর ডান হাতে ছিল।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৪৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৪৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৫৪. অধ্যায়ঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর বাণীঃ তাঁর আংটির নক্শার
মত কেউ নক্শা বানাতে পারবে না।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৭৭
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৪৫
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রৌপ্যের একটি আংটি তৈরী করেন।
তাতে محَمَّدٌ رَسُوْل اللهِ এর নকশা অঙ্কন করেন। এরপর
তিনি বলেনঃ আমি একটি রৌপ্যের আংটি বানিয়েছি এবং তাতে محَمَّدٌ رَسُوْل اللهِ এর নকশা অঙ্কন করেছি।
সুতরাং কেউ যেন তার আংটিতে এ নকশা অঙ্কণ না করে। [৬৫] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৫০, ইসলামিক
ফাউন্ডেশন- ৫৩৪৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৫৫. অধ্যায়ঃ
আংটির নক্শা কি তিন লাইনে অঙ্কণ করা যায়?
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৭৮
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৪৬
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবূ বাকর যখন খলীফা নির্বাচিত হন, তখন তিনি তাঁর [আনাস -এর] কাছে যাকাতের
পরিমাণ সম্পর্কে) একটি পত্র লেখেন। আংটিটির নক্শা তিন লাইনে ছিল। এক লাইনে ছিল مُحَمَّدُ এক লাইনে ছিল,رَسُوْلআর এক লাইনে ছিল اللهِ। [১৪৪৮] আধুনিক প্রকাশনী-
৫৪৫১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৪৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৭৯
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৪৭
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবূ ‘আবদুল্লাহ্ (ইমাম বুখারী) বলেনঃ আহ্মাদের সূত্রে আনাস (রাঃ) থেকে
এ কথা অতিরিক্ত বর্ণিত আছে। তিনি বলেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর
আংটি (তাঁর জীবদ্দশায়) তাঁর হাতেই ছিল। তাঁর (মৃত্যুর) পরে তা আবূ বকর (রাঃ) -এর হাতে
থাকে। আবূ বকর (রাঃ) -এর (ইন্তিকালের) পরে তা ‘উমর (রাঃ) -এর হাতে থাকে। যখন ‘উসমান
(রাঃ) -এর কাল আসল, তখন (একবার) তিনি ঐ আংটি হাতে নিয়ে ‘আরীস’ নামক কূপের উপর বসেন।
আংটিটি বের করে নাড়াচাড়া করছিলেন। হঠাৎ তা (কূপের মধ্যে) পড়ে যায়। আনাস (রাঃ) বলেন,
আমরা তিনদিন যাবৎ ‘উসমান (রাঃ) -এর সাথে তালাশ করলাম, কূপের পানি ফেলে দেয়া হলো, কিন্তু
আংটিটি আর পেলাম না।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৫১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৪৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৫৬. অধ্যায়ঃ
মহিলাদের আংটি পরিধান করা।
‘আয়িশা (রাঃ) -এর স্বর্ণের কয়েকটি আংটি ছিল।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৮০
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৪৮
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সঙ্গে এক
ঈদে হাজির ছিলাম। তিনি খুতবার আগেই সলাত আদায় করলেন।
আবূ ‘আবদুল্লাহ্ (ইমাম বুখারী) বলেনঃ ইবনু ওয়াহ্ব, ইবনু জুরায়জ থেকে
এতটুকু অধিক বর্ণনা করেছেন যে, এরপর তিনি স্ত্রীলোকদের নিকট আসেন। তাঁরা (সদাকাহ হিসেবে)
বিলাল (রাঃ) –এর কাপড়ে মালা ও আংটি ফেলতে লাগল।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৫২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন-
৫৩৪৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৫৭. অধ্যায়ঃ
মহিলাদের হার পরিধান করা, সুগন্ধি ব্যবহার ও ফুলের মালা পরিধান করা।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৮১
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৪৯
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঈদের দিনে বের হলেন
এবং (ঈদের) দু’রাকাত সলাত আদায় করলেন। তার পূর্বে এবং পরে আর কোন নফল সলাত আদায় করেননি।
তারপর তিনি মহিলাদের নিকট আসেন এবং তাদের সদাকাহ করার জন্যে নির্দেশ দেন। মহিলারা তাদের
হার ও মালা সদাকাহ করতে থাকল।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৫৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৪৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৫৮. অধ্যায়ঃ
হার ধার নেয়া প্রসঙ্গে।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৮২
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৫০
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, (একবার কোন এক সফরে) আসমার একটি হার (আমার নিকট থেকে) হারিয়ে
যায়। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কয়েকজন পুরুষ লোককে তার খোঁজে পাঠান।
এমন সময় সলাতের সময় উপস্থিত হয়। তাদের কারও অযু ছিল না এবং তারা পানিও পেল না। কাজেই
অযু ছাড়াই তাঁরা সলাত আদায় করে নিলেন। (ফিরে এসে) তাঁরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট বিষয়টি উল্লেখ করলেন। তখন আল্লাহ তা’আলা তায়াম্মুমের আয়াত অবতীর্ণ
করলেন। [৩৩৪]
ইবনু নুমায়র হিশামের সূত্রে এ কথা অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে, ঐ হার ‘আয়িশা (রাঃ) আসমা (রাঃ) থেকে ধার নিয়েছিলেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৫৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৫০)
ইবনু নুমায়র হিশামের সূত্রে এ কথা অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে, ঐ হার ‘আয়িশা (রাঃ) আসমা (রাঃ) থেকে ধার নিয়েছিলেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৫৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৫০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৫৯. অধ্যায়ঃ
মহিলাদের কানের দুল।
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (একবার)
মহিলাদের সদাকাহ করার নির্দেশ দেন। তখন আমি দেখলাম, তারা তাদের নিজ নিজ কান ও গলার
দিকে হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৮৩
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৫১
ইবনু ‘আবাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (একবার) ঈদের দিনে দু’রাকআত
সলাত আদায় করেন। না এর আগে তিনি কোন সলাত আদায় করেন, না এর পরে। অতঃপর তিনি মহিলাদের
কাছে আসেন, তখন তাঁর সাথে ছিলেন বিলাল (রাঃ) তিনি মহিলাদেরকে সদাকাহ করার নির্দেশ প্রদান
করেন। তারা নিজেদের কানের দুল নিক্ষেপ করতে লাগল। (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৫৫, ইসলামিক
ফাউন্ডেশন- ৫৩৫১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৬০. অধ্যায়ঃ
শিশুদের মালা পরিধান করানো।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৮৪
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৫২
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন আমি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সঙ্গে
মাদীনাহর কোন এক বাজারে ছিলাম। তিনি (বাজার থেকে) ফিরলেন। আমিও ফিরলাম। তিনি বললেনঃ
ছোট শিশুটি কোথায়? এ কথা তিনবার বললেন। হাসান ইবনু ‘আলীকে ডাক। দেখা গেল হাসান ইবনু
‘আলী হেঁটে চলেছে। তাঁর গলায় ছিল মালা। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এভাবে
তাঁর হাত উঠালেন। হাসানও এভাবে নিজের হাত উঠালো। তারপর তিনি তাঁকে জড়িয়ে ধরলেন এবং
বললেন, হে আল্লাহ! আমি একে ভালবাসি, আপনিও তাকে ভালবাসুন এবং যে ব্যক্তি তাকে ভালবাসে,
তাকেও আপনি ভালবাসুন। আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেনঃ রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) -এর এ কথা বলার পর থেকে হাসান ইবনু ‘আলীর চেয়ে অন্য কেউ আমার কাছে অধিকতর
প্রিয় হয়নি।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৫৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৫২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৬১. অধ্যায়ঃ
পুরুষের নারীর বেশ ধারণ এবং নারীর পুরুষের বেশ ধারণ প্রসঙ্গে।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৮৫
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৫৩
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঐ সব পুরুষকে লা’নত
করেছেন যারা নারীর বেশ ধরে এবং ঐসব নারীকে যারা পুরুষের বেশ ধরে। (আ.প্র. ৫৪৫৭, ই.ফা.
৫৩৫৩)
‘আমরও এরকমই বর্ণনা করেছেন। আমাদের কাছে শু‘য়বা এ সংবাদ দিয়েছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৬২. অধ্যায়ঃ
নারীর বেশধারী পুরুষদের ঘর থেকে বের করে দেয়া প্রসঙ্গে
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৮৬
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৫৪
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পুরুষ হিজড়াদের উপর
এবং পুরুষের বেশধারী মহিলাদের উপর লা’নত করেছেন। তিনি বলেছেনঃ ওদেরকে ঘর থেকে বের করে
দাও। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেছেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অমুককে বের
করেছেন এবং ‘উমার (রাঃ) অমুককে বের করে দিয়েছেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৫৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন-
৫৩৫৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৮৭
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৫৫
উম্মু সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদা তাঁর ঘরে ছিলেন।
তখন ঐ ঘরে এক হিজড়া ছিল। সে উম্মু সালামাহ্র ভাই ‘আবদুল্লাহ্কে বললঃ হে ‘আবদুল্লাহ!
আগামীকাল তায়েফের উপর যদি তোমরা জয়ী হও, তবে আমি তোমাকে বিন্ত গাইলানকে দেখাব। সে
সামনের দিকে আসলে, (তার পেটে) চার ভাঁজ দেখা যায়। আর যখন সে পিছনের দিকে যায়, তখন
(তার পিঠে) আট ভাঁজ দেখা যায়। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ওরা যেন
তোমাদের কাছে কক্ষনো না আসে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৫৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৫৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৬৩. অধ্যায়ঃ
গোঁফ ছাটা।
ইবনু ‘উমার (রাঃ) গোঁফ এত ছোট করতেন যে, চামড়ার শুভ্রতা দেখা যেত এবং
তিনি গোঁফ ও দাড়ির মাঝের পশমও কেটে ফেলতেন।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৮৮
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৫৬
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ইবনু ‘উমার (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে
বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ গোঁফ কেটে ফেলা ফিতরাত (স্বভাবের) অন্তর্ভুক্ত।(আধুনিক প্রকাশনী-
৫৪৬০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৫৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৮৯
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৫৭
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেছেনঃ ফিতরাত (অর্থাৎ মানুষের জন্মগত স্বভাব) পাঁচটিঃ খাত্না
করা, ক্ষুর ব্যবহার করা (নাভীর নিম্নে), বগলের পশম উপড়ে ফেলা, নখ কাটা ও গোঁফ খাটো
করা। [৭] [৫৮৯১, ২৬৯৭; মুসলিম ২/১৬, হাঃ ২৫৭, আহমাদ ৭১৪২] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৬১, ইসলামিক
ফাউন্ডেশন- ৫৩৫৭)
[৭] গোঁফ ছোট করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে এগুলো মুখের ভিতর এসে না
পড়ে। গোঁফ বেশী দীর্ঘ হলে নাকের এবং বাইরের ময়লা মিশে মুখের ভিতরে ঢোকে। পানি পান করার
সময় এবং আহারের সময় গোঁফে আটকানো নাকের ও বাইরের রোগজীবানু ও ময়লাগুলো মুখের ভিতরে
প্রবেশ করে নানাবিধ রোগ সৃষ্টি করতে পারে। তাই ইসলামে গোঁফ লম্বা করে রাখা নিষিদ্ধ।
কেননা এটা স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতার বিরোধীও বটে। যথাসময়ে গোঁফ কাটা, গুপ্তস্থানের
ক্ষৌরকার্য্য করা, বগলের চুল ছেঁড়া ও নখ কাটা উচিত। ৪০ রাত বা দিন যেন অতিক্রম না করে
সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দেয়াও উচিত। কারণ রসূল এগুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার নির্ধারণ
করতে গিয়ে বলেছেনঃ ৪০ রাত বা দিন যেন অতিক্রান্ত না হয় (মুসলিম, তিরমিযী, নাসাঈ, আবূ
দাঊদ, ইবনু মাজাহ্ ও আহমাদ)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৬৪. অধ্যায়ঃ
নখ কাটা
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৯০
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৫৮
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ নাভীর নীচের
পশম কামানো, নখ কাটা ও গোঁফ ছোট করা মানুষের স্বভাব। [৮](আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৬২, ইসলামিক
ফাউন্ডেশন- ৫৩৫৮)
[৮] পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ। ইসলামের মহানবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে খুবই তাগিদ দিয়েছেন। কোন ঈমানদার
ব্যক্তি এমন হতে পারে না যে, গোসল না করার কারণে তার শরীর থেকে গন্ধ বের হবে যাতে সকলেই
তাকে ঘৃণা করবে। মুখ পরিষ্কার না করার কারণে মুখ থেকে গন্ধ আসবে, মাথার চুলে জট দেখা
দিবে, বড় বড় গোঁফে মুখ ঢেকে যাবে, নখগুলো হবে হিংস্র জন্তুর মত, সারা দেহে ময়লার স্তুপ
জমবে- কোন ঈমানদার ব্যক্তি কক্ষনো এরকম হতে পারে না। সে হতে পারে না জটাজটধারী গাঁজার
কলকিওয়ালা দুর্গন্ধে ভরপুর ইসলামের আদর্শ বিবর্জিত আশ্রমবাসীর মত।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৯১
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৫৯
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছি-
ফিত্রাত পাঁচটিঃ খাত্না করা, (নাভীর নীচে) ক্ষুর ব্যবহার করা, গোঁফ ছোট করা, নখ কাটা
ও বগলের পশম উপড়ে ফেলা।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৬৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৫৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৯২
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৬০
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ইবনু ‘উমার (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে
বর্ণিত। তিনি বলেছেন, তোমরা মুশরিকদের উল্টো করবেঃ দাড়ি লম্বা রাখবে, গোঁফ ছোট করবে।
ইবনু ‘উমার (রাঃ) যখন হাজ্জ বা ‘উমরাহ করতেন, তখন তিনি তাঁর দাড়ি মুষ্টি
করে ধরতেন এবং মুষ্টির বাইরে যতটুকু বেশী থাকত, তা কেটে ফেলতেন। [৫৮৯৩; মুসলিম ২/১৬,
হাঃ ২৫৯, আহমাদ ৪৬৫৪] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৬৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৬০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৬৫. অধ্যায়ঃ
দাড়ি বড় রাখা প্রসঙ্গে।
‘আফাও’ অর্থ বর্ধিত করা। তাদের মাল বর্ধিত হয়েছে।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৯৩
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৬১
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
তোমরা গোঁফ অধিক ছোট করবে এবং দাড়ি ছেড়ে দিবে (বড় রাখবে)।(আধুনিক প্রকাশনী- ,৫৪৬৫ ইসলামিক
ফাউন্ডেশন- ৫৩৬১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৬৬. অধ্যায়ঃ
বার্ধক্যকালের (খিযাব লাগান সম্পর্কিত) বর্ণনা।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৯৪
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৬২
মুহাম্মাদ ইবনু সীরীন (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আনাস (রাঃ) -কে জিজ্ঞেস করলাম যে, নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি খিযাব লাগিয়েছেন? তিনি বললেনঃ বার্ধক্য তাঁকে অতি অল্পই পেয়েছিল।(আধুনিক
প্রকাশনী- ৫৪৬৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৬২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৯৫
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৬৩
সাবিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আনাস (রাঃ) -কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর খিযাব
লাগানোর ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হল। তিনি বললেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
খিযাব লাগানোর অবস্থা পর্যন্ত পৌঁছেননি। আমি তাঁর সাদা দাড়িগুলো গুনতে চাইলে, সহজেই
গুনতে পারতাম। (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৬৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৬৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৯৬
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৬৪
আবদুল্লাহ ইবনু মাওহাব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমাকে আমার পরিবারের লোকেরা এক পেয়ালা পানিসহ উম্মু সালামাহ্র
কাছে পাঠাল। (উম্মু সালামাহ্র কাছে রক্ষিত) একটি পানির পাত্র হতে (আনাসের পুত্র) ইসরাঈল
তিনিটি আঙ্গুল দিয়ে কিছু পানি তুলে নিল। ঐ পাত্রের মধ্যে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) -এর কয়েকটি চুল ছিল। কারো চোখ লাগলে কিংবা কোন রোগ দেখা দিলে, উম্মু সালামাহ্র
নিকট হতে পানি আনার জন্য একটি পাত্র পাঠিয়ে দিত। আমি সে পাত্রের মধ্যে একবার তাকালাম,
দেখলাম লাল রং-এর কয়েকটি চুল।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৬৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৬৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৯৭
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৬৫
আবদুল্লাহ ইবনু মাওহাব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, (একবার) আমি উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) -এর নিকট গেলাম। তখন তিনি
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কয়েকটি চুল বের করলেন, যাতে খিযাব লাগানো
ছিল।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৬৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৬৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৯৮
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৬৬
আবূ নু’আয়ম ............. ইবনু মাওহাবের থেকে বর্ণিতঃ
আবূ নু’আয়ম ............. ইবনু মাওহাবের সূত্রে বর্ণনা করেছেন যে, উম্মু
সালামা (রাঃ) তাকে (ইবনু মাওহাবকে) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর লাল
রং এর চুল দেখিয়েছেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৬৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৬৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৬৭. অধ্যায়ঃ
খিযাব
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৮৯৯
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৬৭
আবূ হুয়াইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ইয়াহূদ ও নাসারারা (চুল
ও দাড়িতে) রং লাগায় না। কাজেই তোমরা তাদের উল্টো কর।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৭০, ইসলামিক
ফাউন্ডেশন- ৫৩৬৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৬৮. অধ্যায়ঃ
কোঁকড়ানো চুল প্রসঙ্গে।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯০০
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৬৮
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) না অতিরিক্ত
লম্বা ছিলেন, না বেটে ছিলেন; না ধবধবে সাদা ছিলেন, আর না ফ্যাকাশে ছিলেন; চুল অতিশয়
কোঁকড়ানোও ছিল না, আর সম্পূর্ণ সোজাও ছিল না। চল্লিশ বছর বয়সে আল্লাহ তাঁকে নবুওত দান
করেন। এরপর মক্কায় দশ বছর এবং মদিনায় দশ বছর অবস্থান করেন। ষাট বছর বয়সকালে আল্লাহ
তাঁকে মৃত্যু দান করেন। এ সময় তাঁর মাথায় ও দাড়িতে বিশটি চুলও সাদা হয়নি। [৯](আধুনিক
প্রকাশনী- ৫৪৭১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৬৭)
[৯] নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর জন্মের বছর, হিজরাতের
বছর ও মৃত্যুর বছরসমূহকে যারা পূর্ণ বছর গননা করেছেন তাদের মতানুযায়ী ৬৩ বছর। এবং যারা
পূর্ণ ১২ মাসের বছর না হবার কারণে উক্ত বছরগুলো ছেড়ে দিয়েছেন তাদের মতানুসারে ৬০ বছর।
মূলতঃ ৬৩ বছর বয়স পাওয়ার হাদীসের সাথে এ হাদীসের কোন দন্দ্ব নেই।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯০১
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৬৯
বারা’আ’ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, লাল জোড়া কাপড় পরিহিত অবস্থায় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) থেকে অন্য কাউকে আমি অধিক সুন্দর দেখিনি। (ইমাম বুখারী বলেন) আমার জনৈক সঙ্গী
মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর মাথার
চুল প্রায় তাঁর কাঁধ পর্যন্ত পৌঁছাত। আবূ ইসহাক (রহঃ) বলেনঃ আমি বারা’আ’ (রাঃ) -কে
কয়েকবার এ হাদীস বর্ণনা করতে শুনেছি। যখনই তিনি এ হাদীস বর্ণনা করতেন, তখনই হাসতেন।
শু’বাহ বলেছেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর চুল তাঁর উভয় কানের লতি
পর্যন্ত পৌঁছতো।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৭২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৬৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯০২
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৭০
আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আমি এক রাত্রিতে
স্বপ্নে কা’বা ঘরের সন্নিকটে এক গেরুয়া রঙের পুরুষ লোক দেখতে পেলাম। এমন সুন্দর গেরুয়া
লোক তুমি কখনও দেখনি। তাঁর মাথার চুল ছিল কাঁধ পর্যন্ত। কাঁধ পর্যন্ত লম্বা এমন সুন্দর
চুল তুমি কখনও দেখনি। লোকটি চুল আঁচড়িয়েছে, আর তাথেকে ফোঁটা ফোঁটা পানি ঝরছে। সে দু’জন
লোকের উপর ভর দিয়ে কিংবা দু’জন লোকের স্কন্ধে ভর করে কা’বা ঘর প্রদিক্ষণ করছে। আমি
জিজ্ঞেস করলামঃ এ লোকটি কে? জবাব দেওয়া হলঃ ইনি মারিয়ামের পুত্র (‘ঈসা) মাসীহ্! অন্য
আরেকজন লোক দেখলাম, যার চুল ছিল খুবই কোঁকড়ান, ডান চোখ টেরা, ফুলে উঠা আঙ্গুর যেন।
আমি জিজ্ঞেস করলামঃ এ লোকটি কে? বলা হলঃ ইনি মাসীহ্ দাজ্জাল।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৭৩,
ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৬৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯০৩
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৭১
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর মাথার চুল (কখনও) কাঁধ পর্যন্ত
লম্বা হতো। [৫৯০৪; মুসলিম ৪৩/২৬, হাঃ ২৩৩৮, আহমাদ ১৩৫৬৫] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৭৪, ইসলামিক
ফাউন্ডেশন- ৫৩৭০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯০৪ .
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৭২
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর চুল (কখনও) কাঁধ পর্যন্ত
লম্বা হতো।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৭৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৭১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯০৫
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৭৩
ক্বাতাদাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) -কে রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর চুল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেনঃ রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর চুল মধ্যম ধরনের ছিল- না একেবারে সোজা, না বেশী কোঁকড়ানো।
আর তা ছিল দু’কান ও দু’কাঁধের মাঝ পর্যন্ত।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৭৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন-
৫৩৭২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯০৬
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৭৪
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর হাত গোশ্তে পূর্ণ
ছিল। তাঁর পরে আমি কোন লোককে এমন দেখিনি। আর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
-এর চুল ছিল মাঝারি রকমের, অধিক কোঁকড়ানোও না, অধিক সোজাও না।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৭৭,
ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৭৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯০৭
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৭৫
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর মাথা ও দু’পা
ছিল মাংসপূর্ণ। তাঁর আগে ও তাঁর পরে আমি তাঁর মত অপর (কাউকে এত অধিক সুন্দর) দেখিনি।
তাঁর হাতের তালু ছিল চওড়া।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৭৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৭৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯০৮
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৭৬
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর দু’ পা ছিল মাংসপূর্ণ। চেহারা
ছিল সুন্দর। আমি তাঁর পরে তাঁর মত কাউকে দেখিনি।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৭৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন-
৫৩৭৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯০৯
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৭৭
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর দু’ পা ছিল মাংসপূর্ণ। চেহারা
ছিল সুন্দর। আমি তাঁর পরে তাঁর মত কাউকে দেখিনি।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৭৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন-
৫৩৭৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯১০
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৭৮
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেছেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর দু’ পা ও
হাতের দু’ কব্জা গোশ্তবহুল ছিল।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৭৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৭৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯১১
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৭৯
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর দু’টি কব্জি ও দু’টি পা গোশতপূর্ণ
ছিল। আমি তাঁর পরে তাঁর মত কাউকে দেখিনি(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৭৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন-
৫৩৭৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯১২
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৮০
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর দু’টি কব্জি ও দু’টি পা গোশতপূর্ণ
ছিল। আমি তাঁর পরে তাঁর মত কাউকে দেখিনি(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৭৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন-
৫৩৭৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯১৩
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৮১
মুজাহিদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা একবার ইবনু আব্বাসের কাছে ছিলাম। তখন লোকজন দাজ্জালের
কথা আলোচনা করল। একজন বললঃ তার দু’চোখের মাঝে লেখা থাকবে ‘কাফির’।
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বললেনঃ আমি এমন কথা রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনিনি। তবে তিনি বলেছেনঃ তোমরা যদি ইব্রাহিম (আঃ)-কে দেখতে চাও, তা হলে তোমাদের সঙ্গী নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর দিকে তাকাও। আর মূসা (আঃ) হচ্ছেন শ্যাম রঙের মানুষ, কোঁকড়ানো চুলের অধিকারী, নাকে লাগাম পরান লাল বর্ণের উষ্ট্রে আরোহণকারী। আমি যেন তাকেঁ লক্ষ্য করছি তিনি তালবিয়া (লাববাইকা.............) পাঠরত অবস্থায় (মাক্কাহ) উপত্যকায়
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বললেনঃ আমি এমন কথা রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনিনি। তবে তিনি বলেছেনঃ তোমরা যদি ইব্রাহিম (আঃ)-কে দেখতে চাও, তা হলে তোমাদের সঙ্গী নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর দিকে তাকাও। আর মূসা (আঃ) হচ্ছেন শ্যাম রঙের মানুষ, কোঁকড়ানো চুলের অধিকারী, নাকে লাগাম পরান লাল বর্ণের উষ্ট্রে আরোহণকারী। আমি যেন তাকেঁ লক্ষ্য করছি তিনি তালবিয়া (লাববাইকা.............) পাঠরত অবস্থায় (মাক্কাহ) উপত্যকায়
নামছেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৮০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৭৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৬৯. অধ্যায়ঃ
মাথার চুলে জট করা।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯১৪
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৮২
আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি ‘উমার (রাঃ) -কে বলতে শুনেছি- যে লোক চুলে জট পাকায়, সে
যেন তা মুড়ে ফেলে। আর তোমরা মাথার চুলে তালবীদকারীদের মত চুলে জট পাকিও না। ইবনু ‘উমার
(রাঃ) বলতেনঃ আমি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে চুল তালবীদ করা
অবস্থায় দেখেছি। [১০](আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৮১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৭৬)
[১০] ‘তালবীদ’ এর অর্থ মাথার চুল কোন আঠাল জিনিস দিয়ে জমিয়ে রাখা, জট
করা । বাবরী চুলওয়ালাদের জন্যে ইহরাম অবস্থায় এরূপ করা মুস্তাহাব। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে বছর হাজ্জ করেছিলেন সে বছর তাঁর মাথার বাবরি ছিল। সে বছর তিনি
যাতে চুল বিক্ষিপ্ত না হয় ও উকুন না জন্মে সে জন্য তা করেছিলেন। এতদ্ব্যতীত ইসলামে
তালবীদ বা জট পাকাতে নিষেধ করা হয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯১৫
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৮৩
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে চুল
জট করা অবস্থায় মুহরিম হয়ে উচ্চৈঃস্বরে তালবিয়া পাঠ করতে শুনেছি। তিনি বলেছেনঃ লাব্বাইকা
আমি হাযির, হে আল্লাহ! আমি হাযির, আমি হাযির, আপনার কোন শরীক নেই। আমি হাযির, নিশ্চয়ই
প্রশংসা এবং দয়া কেবল আপনারই, আর রাজত্বও। এতে আপনার কোন শরীক নেই। এ শব্দগুলো থেকে
বাড়িয়ে তিনি অতিরিক্ত কিছু বলেননি।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৮২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৭৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯১৬
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৮৪
হাফসাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর স্ত্রী হাফসাহ (রাঃ) হতে
বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি জিজ্ঞেস করলামঃ হে আল্লাহ্র রাসূল! লোকদের কী হলো, তারা তাদের
‘উমরাহ্র ইহ্রাম খুলে ফেলেছে, অথচ আপনি এখন্ও আপনার ইহরাম খুলেননি। তিনি বললেনঃ আমি
আমার মাথার চুল জড়ো করে রেখেছি এবং আমার সঙ্গী (অর্থাৎ কুরবানীর পশু)-কে কিলাদাহ [১১]
পরিয়েছি। তাই তা যব্হ করার আগে আমি ইহ্রাম খুলব না।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৮৩, ইসলামিক
ফাউন্ডেশন- ৫৩৭৮)
[১১] কুরবানীর পশুর গলায় ঝুলানোর জন্য বিশেষ ধরনের মালা ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৭০. অধ্যায়ঃ
মাথার চুল মাথার মাঝখানে দু’ভাগে ভাগ করা।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯১৭
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৮৫
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সে সব বিষয়ে আহলে
কিতাবের সঙ্গে সামঞ্জস্য করে চলা পছন্দ করতেন, যে সব বিষয়ে তাঁকে (কুরআনে) কোন সুস্পষ্ট
নির্দেশ দেয়া হয়নি। আর আহলে কিতাবরা তাদের চুল ঝুলিয়ে রাখত এবং মুশরিকরা তাদের মাথার
চুলে সিঁথি কাটতো। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর চুল ঝুলিয়েও রাখতেন,
সিঁথিও কাটতেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৮৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৭৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯১৮
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৮৬
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুহরিম অবস্থায় সিঁথিতে
যে খুশবু ব্যবহার করতেন, আমি যেন তাঁর ঔজ্জ্বল্য এখনও দেখতে পাচ্ছি।
‘আবদুল্লাহ বলেছেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সিঁথিতে অর্থাৎ
‘মাফারিক’ শব্দের পরিবর্তে তিনি ‘মাফরাক’ শব্দ বলেছেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৮৫, ইসলামিক
ফাউন্ডেশন- ৫৩৮০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৭১. অধ্যায়ঃ
চুলের ঝুটি প্রসঙ্গে।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯১৯
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৮৭
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ একবার আমি আমার খালা মাইমূনাহ বিন্ত হারিসের নিকট রাত কাটাচ্ছিলাম।
ঐ রাতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -ও তাঁর কাছে ছিলেন। ইবনু ‘আববাস
বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উঠে রাতের সালাত আদায় করতে লাগলেন।
আমি তাঁর বাম পার্শ্বে গিয়ে দাঁড়ালাম। তখন তিনি আমার চুলের ঝুটি ধরে আমাকে তাঁর ডান
পাশে নিয়ে দাঁড় করালেন। আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৮৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৮১)
আবূ বিশর (রহ.) থেকেبِذُؤَابَتِيঅথবা بِرَأْسِي বলে বর্ণনা করেছেন। [১১৭] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৮৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন-
৫৩৮২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৭২. অধ্যায়ঃ
‘কাযা’ অর্থাৎ মাথার কিছু চুল মুড়ানো ও কিছু অংশে চুল রেখে দেয়া।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯২০
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৮৮
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে
‘কাযা’ থেকে নিষেধ করতে শুনেছি। রাবী ‘উবাইদুল্লাহ বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলামঃ ‘কাযা’
কী? তখন ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) আমাদের ইঙ্গিতে দেখিয়ে বললেনঃ শিশুদের যখন চুল কামানো হয়,
তখন এখানে ওখানে চুল রেখে দেয়। এ কথা বলার সময় ‘উবাইদুল্লাহ তাঁর কপাল ও মাথার দু’পাশে
দেখালেন। ‘উবাইদুল্লাহকে আবার জিজ্ঞেস করা হলঃ বালক ও বালিকার জন্য কি একই নির্দেশ?
তিনি বললেনঃ আমি জানি না। এভাবে তিনি বালকের কথা বলেছেন। ‘উবাইদুল্লাহ বলেনঃ আমি এ
কথা আবার জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেনঃ পুরুষ শিশুর মাথার সামনের ও পিছনের দিকের চুল
কামানো দূষণীয় নয়। আর (অন্য এক ব্যাখ্যা মতে) ‘কাযা’ বলা হয়- কপালের উপরে কিছু চুল
রেখে বাকী মাথার কোথাও চুল না রাখা। তেমনিভাবে মাথার চুল একপাশ থেকে অথবা অপর পাশ থেকে
কাটা। [৫৯২১; মুসলিম ৩৭/১৩, হাঃ ২১২০, আহমাদ ৪৪৭৩] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৮৮, ইসলামিক
ফাউন্ডেশন- ৫৩৮৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯২১
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৮৯
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘কাযা’ থেকে নিষেধ করেছেন।
[৫৯২০; মুসলিম ৩৭/৩১, হাঃ ২১২০, আহমাদ ৪৪৭৩] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৮৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন-
৫৩৮৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৭৩. অধ্যায়ঃ
স্ত্রী কর্তৃক নিজ হাতে স্বামীকে খুশবু লাগানো।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯২২
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৯০
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে তাঁর মুহ্রিম
অবস্থায় নিজ হাতে খুশবু লাগিয়ে দিয়েছি এবং মিনাতেও সেখান থেকে রওনা হবার আগে তাঁকে
আমি খুশবু
লাগিয়েছি।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৯০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৮৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৭৪. অধ্যায়ঃ
মাথায় ও দাড়িতে খুশবু লাগানো প্রসঙ্গে।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯২৩
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৯১
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি যত উৎকৃষ্ট খুশবু পেতাম, তা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) -কে লাগিয়ে দিতাম। এমন কি সে খুশবুর ঔজ্জ্বল্য তাঁর মাথায় ও দাড়িতে দেখতে
পেতাম।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৯১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৮৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৭৫. অধ্যায়ঃ
চিরুনি করা প্রসঙ্গে।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯২৪
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৯২
সাহ্ল ইবনু সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যে, একলোক একটি ছিদ্র দিয়ে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর
ঘরে উঁকি মারে। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তখন চিরুনী দিয়ে মাথা আঁচড়াচ্ছিলেন।
তিনি বললেনঃ আমি যদি জানতাম যে, তুমি ছিদ্র দিয়ে তাকিয়ে দেখছ, তা হলে এ (চিরুনী) দিয়ে
আমি তোমার চোখ বিঁধিয়ে দিতাম। দৃষ্টি থেকে বাঁচার জন্যই তো অনুমতি গ্রহণ করার বিধি
রাখা হয়েছে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৯২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৮৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৭৬. অধ্যায়ঃ
হারাম অবস্থায় স্বামীর মাথা আঁচড়ে দেয়া।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯২৫
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৯৩
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি হায়িয অবস্থায় রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) -এর মাথা আঁচড়ে দিয়েছি। [২৯৫] (আ.প্র. ৫৪৯৩, ই.ফা. ৫৩৮৮)
হিশাম তার পিতার সূত্রে ‘আয়িশা থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৭৭. অধ্যায়ঃ
চিরুনী দ্বারা মাথা আঁচড়ানো।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯২৬
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৯৪
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
বর্ণিত যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চিরুনী দিয়ে আঁচড়াতে
ও অযু করতে যথাসাধ্য ডান দিক থেকে শুরু করতে পছন্দ করতেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৯৪, ইসলামিক
ফাউন্ডেশন- ৫৩৮৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৭৮. অধ্যায়ঃ
মিস্কের বর্ণনা।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯২৭
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৯৫
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে
বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহ্ তা’আলা বলেছেনঃ বানী আদমের প্রতিটি কাজ তার নিজের জন্যেই-
সওম ব্যতীত। তা আমার জন্য, আমি নিজেই তার পুরস্কার দেব। আর সাওম পালনকারীদের মুখের
গন্ধ আল্লাহ্র নিকট মিস্কের ঘ্রাণের চেয়ে অধিক সুগন্ধযুক্ত।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৯৫,
ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৯০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৭৯. অধ্যায়ঃ
খুশবু লাগান মুস্তাহাব।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯২৮
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৯৬
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি যে সব সুগন্ধি পেতাম, তার মধ্যে সর্বাপেক্ষা উৎকৃষ্ট সুগন্ধটি
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে তাঁর মুহ্রিম অবস্থায় লাগিয়ে দিতাম।
[১৫৩৯; মুসলিম ৩৭/৩৩, হাঃ ২১২৪, আহমাদ ৪৭২৪] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৯৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন-
৫৩৯১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৮০. অধ্যায়ঃ
খুশবু প্রত্যাখ্যান না করা।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯২৯
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৯৭
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যে, (কেউ তাঁকে খুশবু হাদিয়া দিলে) তিনি (সে) খুশবু ফিরিয়ে দিতেন না এবং
বলতেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খুশবু প্রত্যাখ্যান করতেন না।(আধুনিক
প্রকাশনী- ৫৪৯৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৯২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৮১. অধ্যায়ঃ
যারীরা নামের সুগন্ধি দ্রব্য।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯৩০
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৯৮
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি বিদায় হাজ্জে রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) -কে নিজ হাতে যারীরা নামের সুগন্ধি লাগিয়ে দিয়েছি, হালাল অবস্থাতেও এবং ইহ্রাম
অবস্থাতেও।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৯৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৯৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৮২. অধ্যায়ঃ
সৌন্দর্য লাভের উদ্দেশে সম্মুখের দাঁত কেটে সরু করা ও দাঁতের মধ্যে ফাঁক
করা।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯৩১
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১০৯৯
আবদুল্লাহ (ইবনু মাস’উদ) (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আল্লাহ্র অভিশাপ বর্ষিত হোক সে সব নারীদের উপর যারা শরীরে উল্কি অঙ্কণ
করে এবং যারা অঙ্কণ করায়, আর সে সব নারীদের উপর যারা চুল, ভ্রু তুলে ফেলে এবং সে সব
নারীদের উপর যারা সৌন্দর্যের জন্যে সম্মুখের দাঁত কেটে সরু করে, দাঁতের মধ্যে ফাঁক
তৈরি করে, যা আল্লাহ্র সৃষ্টির মধ্যে পরিবর্তন আনে। রাবী বলেনঃ আমি কেন তার উপর অভিশাপ
করব না, যাকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অভিশাপ করেছেন? আর আল্লাহ্র
কিতাবে আছেঃ “রসূল তোমাদেরকে যা দেয় তা গ্রহণ কর।” (সূরাহ আল-হাশর ৫৯ : ৭) (আধুনিক
প্রকাশনী- ৫৪৯৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৯৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৮৩. অধ্যায়ঃ
পরচুলা লাগানো প্রসঙ্গে।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯৩২
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১০০
হুমায়দ ইবনু ‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আওফ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি হাজ্জ করার সময় মু’আবিয়াহ ইবনু সুফইয়ান (রাঃ) -কে মিম্বরে দাঁড়িয়ে
বলতে শুনেছেন। ঐ সময় তিনি এক দেহরক্ষীর হাত থেকে এক গুচ্ছ চুল নিজ হাতে নিয়ে বলেনঃ
তোমাদের আলিমগণ কোথায়? আমি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে এ
রকম করা থেকে নিষেধ করতে শুনেছি। তিনি বলতেনঃ বানী ইসরাঈল তখনই ধ্বংস হয়েছে, যখন তাদের
নারীরা এরূপ করা আরম্ভ করে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫০০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৯৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯৩৩
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১০১
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ইবনু আবূ শাইবাহ (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত। আল্লাহ্ তা’আলা লা’নত করেন সে সব নারীদেরকে যারা নিজে পরচুলা
লাগায় এবং যারা অন্যদেরকে তা লাগিয়ে দেয়, যারা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে উলকি আঁকে এবং অন্যকে
করিয়ে দেয়।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫০০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৯৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯৩৪
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১০২
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক আনসারী নারী বিয়ে করে। এরপর সে রোগে আক্রান্ত হয়। ফলে তার সব চুল পড়ে
যায়। লোকজন তাকে পরচুলা লাগিয়ে দিতে ইচ্ছা করে। আর তারা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করল। তিনি বললেনঃ আল্লাহ্ লা’নত করেছেন
ঐসব নারীকে যারা নিজেরা পরচুলা লাগায় এবং যারা অন্যদেরকে তা লাগিয়ে দেয়।(আধুনিক প্রকাশনী-
৫৫০১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৯৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯৩৫
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১০৩
আসমা বিনত আবূ বকর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক মহিলা রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট এসে
বললঃ আমি আমার একটি মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি। এরপর সে রোগাক্রান্ত হয়, ফলে তার মাথার চুল
পড়ে যায়। তার স্বামী এর কারণে আমাকে তিরস্কার করে। আমি কি তার মাথায় পরচুলা লাগিয়ে
দিব? তখন রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে পরচুলা লাগায় এবং যে
তা অন্যকে লাগিয়ে দেয়, তাদের নিন্দা করলেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫০২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন-
৫৩৯৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯৩৬
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১০৪
আসমা বিনতু আবূ বকর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যে মহিলা পরচুলা লাগায়, আর যে অপরকে পরচুলা লাগিয়ে দেয়, নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের উপর লা’নত করেছেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫০৩,
ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৯৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯৩৭
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১০৫
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ ঐ নারীর উপর লা’নত
করেন, যে পরচুলা লাগায়, আর অপরকে পরচুলা লাগিয়ে দেয়। আর সে নারী উল্কি অঙ্কণ করে এবং
যে তা করায়। নাফি’ বলেনঃ উল্কি অঙ্কণ হয় উঁচু মাংসের উপরে। [৫৯৪০, ৫৯৪২, ৫৯৪৭; মুসলিম
৩৭/৩৩, হাঃ ২১২৪, আহমাদ ৪৭২৪] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫০৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৯৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯৩৮
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১০৬
সা’ঈদ ইবনু মুসায়্যাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ মু’আবীয়াহ (রাঃ) শেষবারের মত যখন মাদীনায় আসেন, তখন তিনি আমাদের
সামনে খুৎবাহ দেন। তিনি এক গোছা চুল বের করে বললেনঃ আমি ইয়াহূদী ছাড়া অন্য কাউকে এ
জিনিস ব্যবহার করতে দেখিনি। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একে অর্থাৎ পরচুলা
ব্যবহারকারী নারীকে প্রতারক বলেছেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫০৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪০০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৮৪. অধ্যায়ঃ
ভ্রু উপড়ে ফেলা।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯৩৯
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১০৭
আলক্বামাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ সৌন্দর্যের উদ্দেশে যে সব নারী অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে উল্কি আঁকে,
যে সব নারী ভ্রূ উপড়ে ফেলে এবং যেসব নারী দাঁত সরু করে দাঁতের মাঝে ফাঁক করে- যা আল্লাহর
সৃষ্টিকে বদলে দেয়, তাদের উপর ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদ) লা‘নত করেছেন। উম্মু ইয়াকূব
বললঃ এ কেমন কথা? ‘আবদুল্লাহ বললেনঃ আমি কেন তাকে লা‘নত করব না, যাকে আল্লাহর রাসূল
লা‘নত করেছেন এবং আল্লাহর কিতাবও। উম্মু ইয়াকূব বললঃ আল্লাহর কসম! আমি পূর্ণ কুরআন
পাঠ করেছি, কিন্তু এ কথা তো কোথাও পাইনি। তিনি বললেনঃ আল্লাহর কসম! তুমি যদি তা পড়তে,
তবে অবশ্যই পেতেঃ {وَمَا آتَاكُمُ الرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانْتَهُوا} ‘‘রাসূল তোমাদেরকে যা
দেয় তা গ্রহণ কর, আর তোমাদেরকে যাথেকে নিষেধ করে তাথেকে বিরত থাক’’- সূরাহ হাশর ৫৯/৭)।
[৪৮৮৬] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫০৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪০১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৮৫. অধ্যায়ঃ
পরচুলা লাগানো সম্পর্কিত।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯৪০
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১০৮
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ পরচুলা লাগানোর পেশাধারী নারী, যে নিজের মাথায় পরচুলা লাগায়,
উল্কি অঙ্কণকারী নারী এবং যে অঙ্কণ করে, আল্লাহ্র নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) তাদের লা’নত করেছেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫০৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪০২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯৪১
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১০৯
আসমা (বিন্ত আবূ বকর) (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক মহিলা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে জিজ্ঞেস করলঃ হে
আল্লাহ্র রসূল! আমার এক মেয়ের বসন্ত রোগ হয়ে মাথার চুল পড়ে গেছে। আমি তাকে বিয়ে দিয়েছি।
তার মাথায় কি পরচুলা লাগাব? তিনি বললেনঃ পরচুলা লাগিয়ে দেয় ও পরচুলা লাগিয়ে নেয় এমন
নারীকে আল্লাহ্ অভিশাপ দিয়েছেন। [৫৯৩৫; মুসলিম ৩৭/৩৩, হাঃ ২১২২, আহমাদ ২৪৮৫৮] আধুনিক
প্রকাশনী- ৫৫০৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪০৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯৪২
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১১০
আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে শুনেছি অথবা
বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ উল্কি অঙ্কনকারী এবং পেশাধারী
নারী এবং পরচুলা ব্যবহারকারী পরচুলা লাগানোর পেশাধারী নারীকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) লা’নত করেছেন। (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫০৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪০৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯৪৩
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১১১
আবদুল্লাহ ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, সৌন্দর্যের জন্যে উল্কি অঙ্কনকারী ও উল্কি গ্রহণকারী, ভ্রু
উত্তোলনকারী নারী এবং দাঁত সরু করে মাঝে ফাঁক সৃষ্টিকারী নারী, যা আল্লাহ্র সৃষ্টিকে
বদলে দেয়, তাদের উপর আল্লাহ্র অভিশাপ বর্ষিত হোক। (রাবী বলেন) আমি কেন তাকে অভিশাপ
করব না, যাকে আল্লাহ্র রসূল অভিশাপ করেছেন এবং তা আল্লাহ্র কিতাবে বিদ্যমান রয়েছে।(আধুনিক
প্রকাশনী- ৫৫১০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪০৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৮৬. অধ্যায়ঃ
উল্কি অঙ্কনকারী নারী
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯৪৪
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১১২
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
নযরলাগা প্রকৃত সত্য এবং তিনি উল্কি অঙ্কণ করা থেকে নিষেধ করেছেন। [৫৭৪০] (আ.প্র.
৫৫১১, ই.ফা. ৫৪০৬)
সুফ্ইয়ান (সাওরী) (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ‘আবদুর রহমান ইবনু
আবিসের নিকট মানসূর কর্তৃক বর্ণিত ‘আবদুল্লাহ (ইবনু মাস’ঊদ)-এর হাদীস উল্লেখ করি। তখন
‘আবদুর রহমান ইবনু আবিস বলেন, আমি উম্মু ইয়াকূবের মাধ্যমে ‘আবদুল্লাহ থেকে মানসূর বর্ণিত
হাদীসের মতই হাদীস শুনেছি। (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫১২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪০৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯৪৫
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১১৩
আওন ইবনু আবূ জুহাইফাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আমার পিতাকে বলতে শুনেছি- নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) রক্তের মূল্য ও কুকুরের মূল্য নিতে নিষেধ করেছেন। আর তিনি সুদ গ্রহীতা, সুদ
দাতা, উল্কি অঙ্কনকারী উল্কি গ্রহণকারী নারীদের উপর লা’নত করেছেন।(আধুনিক প্রকাশনী-
৫৫১৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪০৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৮৭. অধ্যায়ঃ
যে নারী অঙ্গ–প্রত্যঙ্গে উল্কি আঁকিয়ে নেয়।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯৪৬
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১১৪
আবূ হুরাইয়াহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘উমার (রাঃ) -এর নিকট এক মহিলাকে আনা হয়। সে অঙ্গ–প্রত্যঙ্গে
উল্কি আঁকতো। তিনি দাঁড়ালেন এবং বললেন, আমি তোমাদের আল্লাহ্র কসম দিয়ে বলছি (তোমাদের
মধ্যে) এমন কে আছে যে উল্কি আঁকার ব্যাপারে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
থেকে কিছু শুনেছে? আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন, আমি দাঁড়িয়ে বললাম, হে আমীরুল মু’মিনীন!
আমি শুনেছি। তিনি বললেন, কী শুনেছ? আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছি, মহিলারা যেন উল্কি না আঁকে এবং উল্কি না আঁকিয়ে
নেয়।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫১৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪০৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯৪৭
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১১৫
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পরচুলা ব্যবহারকারী
এবং এ পেশাধারী এবং উল্কি অঙ্কনকারী এবং তা গ্রহণকারী নারীদের অভিশাপ দিয়েছেন।(আধুনিক
প্রকাশনী- ৫৫১৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪১০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯৪৮
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১১৬
আবদুল্লাহ (ইবনু মাস’ঊদ) (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য যে নারী উল্কি আঁকে ও আঁকায়, যে নারী
ভ্রূ উপড়ে ফেলে এবং যে নারী দাঁত কেটে চিকন করে দাঁতের মাঝখানে ফাঁক করে- যে কাজগুলো
দ্বারা আল্লাহ্র সৃষ্টির মধ্যে রূপান্তর ঘটে, এদের উপর আল্লাহ্ অভিশাপ বর্ষণ করুন।
আমি কেন তার উপর অভিশাপ করব না, যাদের উপর আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) অভিশাপ করেছেন এবং মহান আল্লাহ্র কিতাবেই তা বিদ্যমান আছে। (আধুনিক প্রকাশনী-
৫৫১৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪১১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৮৮. অধ্যায়ঃ
ছবি সম্পর্কিত।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯৪৯
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১১৭
আবূ ত্বালহা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ফেরেশতা ঐ
ঘরে প্রবেশ করে না, যে ঘরে কুকুর থাকে এবং ঐ ঘরেও না, যে ঘরে ছবি থাকে।
লায়স (রহঃ) আবূ ত্বালহা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে (এ বিষয়ে) শুনেছি।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫১৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন-
৫৪১২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৮৯. অধ্যায়ঃ
ক্বিয়ামাতের দিন ছবি নির্মাতাদের শাস্তি প্রসঙ্গে।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯৫০
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১১৮
মুসলিম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা (একবার) মাসরূকের সাথে ইয়াসার ইবনু নুমাইরের ঘরে ছিলাম।
মাসরূক ইয়াসারের ঘরের আঙিনায় কতগুলো মূর্তি দেখতে পেয়ে বললেনঃ আমি ‘আবদুল্লাহ ইবনু
মাস্’ঊদ (রাঃ) থেকে শুনেছি এবং তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে
শুনেছেন যে, (ক্বিয়ামাতের দিন) মানুষের মধ্যে সব থেকে শক্ত শাস্তি হবে তাদের, যারা
ছবি তৈরি করে। [১২][মুসলিম ৩৭/২৬, হাঃ ২১০৯, আহমাদ ৩৫৫৮] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫১৮, ইসলামিক
ফাউন্ডেশন- ৫৪১৩)
[১২] প্রাণীর ছবি আঁকা নিষিদ্ধ। প্রাকৃতিক দৃশ্য বা জড় বস্তু এর অন্তর্ভুক্ত
নয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯৫১
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১১৯
আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
যারা এ জাতীয় (প্রাণীর) ছবি তৈরি করে, ক্বিয়ামাতের দিন তাদের শাস্তি দেয়া হবে। তাদের
বলা হবেঃ তোমরা যা বানিয়েছিলে তাতে জীবন দাও।[৭৫৫৮; মুসলিম ৩৭/২৬, হাঃ ২১০৮] আধুনিক
প্রকাশনী- ৫৫১৯, ইসলামিক
ফাউন্ডেশন- ৫৪১৪)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৯০. অধ্যায়ঃ
ছবি ভেঙ্গে ফেলা সম্পর্কিত।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯৫২
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১২০
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজের ঘরের এমন কিছুই
না ভেঙ্গে ছাড়তেন না, যাতে কোন (প্রাণীর) ছবি থাকত।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫২০, ইসলামিক
ফাউন্ডেশন- ৫৪১৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯৫৩
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১২১
আবূ যুর’আ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আবূ হুরায়রা (রাঃ) -এর সাথে মাদীনাহর এক ঘরে প্রবেশ করি।
ঘরের উপরে এক ছবি নির্মাতাকে তিনি ছবি তৈরি করতে দেখলেন। তিনি বললেনঃ আমি রসূলুল্লাহ্
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছি- (আল্লাহ্ বলেছেন) ঐ ব্যক্তির
চেয়ে বেশি অত্যাচারী আর কে, যে আমার সৃষ্টি সদৃশ কোন কিছু সৃষ্টি করতে যায়? তাহলে তারা
একটি দানা সৃষ্টি করুক অথবা একটি অণু পরিমাণ কণা সৃষ্টি করুক! তারপর তিনি একটি পানির
পাত্র চেয়ে আনলেন এবং (‘উযূ করতে গিয়ে) বগল পর্যন্ত দু’হাত ধুলেন। আমি জিজ্ঞেস করলামঃ
হে আবূ হুরায়রা! আপনি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে (এ ব্যাপারে)
কিছু শুনেছেন কি? তিনি বললেনঃ (হাঁ) অলঙ্কার পরার শেষ প্রান্ত পর্যন্ত (ধোয়া উত্তম)।[৭৫৫৯;
মুসলিম ৩৭/২৬, হাঃ ২১১১, আহমাদ ৯০৮৮] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫২১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪১৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৯১. অধ্যায়ঃ
ছবিওয়ালা কাপড় দিয়ে বসার আসন তৈরী করা।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯৫৪
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১২২
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (তাবূক যুদ্ধের)
সফর থেকে ফিরে আসলেন। আমি আমার কক্ষে পাতলা কাপড়ের পর্দা টাঙিয়েছিলাম। তাতে ছিল (প্রাণীর)
অনেকগুলো ছবি। রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন এটা দেখলেন, তখন
তা ছিঁড়ে ফেললেন এবং বললেনঃ ক্বিয়ামাতের দিন সে সব লোকের সব থেকে শক্ত আযাব হবে, যারা
আল্লাহ্র সৃষ্টির (প্রাণীর) সদৃশ তৈরি করবে। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেনঃ এরপর আমরা ওটা দিয়ে
একটি বা দু’টি বসার আসন তৈরী করি।[২৪৭৯; মুসলিম ৩৭/২৬, হাঃ ২১০৭, আহমাদ ২৪১৩৬] আধুনিক
প্রকাশনী- ৫৫২২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪১৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯৫৫
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১২৩
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক সফর থেকে ফিরে
আসলেন। সে সময় আমি নক্শাওয়ালা (প্রাণীর) ছবিযুক্ত কাপড় দিয়ে পর্দা লটকিয়ে ছিলাম। আমাকে
তিনি তা খুলে ফেলার নির্দেশ দিলেন। তখন আমি খুলে ফেললাম।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫২৩, ইসলামিক
ফাউন্ডেশন- ৫৪১৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯৫৬
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১২৪
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আর আমি ও নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একই পাত্র থেকে (পানি
নিয়ে) গোসল করতাম।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫২৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪১৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৯২. অধ্যায়ঃ
ছবির উপর বসা অপছন্দনীয়।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯৫৭
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১২৫
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি একবার ছবিওয়ালা গদি ক্রয় করেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
(তা দেখে) দরজার কাছে দাঁড়িয়ে থাকলেন, প্রবেশ করলেন না। আমি বললাম, যে পাপ আমি করেছি
তা থেকে আল্লাহ্র কাছে তাওবাহ করছি। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিজ্ঞেস
করলেনঃ এ গদি কিসের জন্যে? আমি বললামঃ আপনি এতে বসবেন ও টেক লাগাবেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এসব ছবি প্রস্ততকারীদের ক্বিয়ামাতের দিন ‘আযাব দেয়া হবে।
তাদের বলা হবে, যা তোমরা তৈরী করেছিলে সেগুলোকে জীবিত কর। আর যে ঘরে ছবি থাকে সে ঘরে
ফেরেশতা প্রবেশ করেনা।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫২৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪১৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯৫৮
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১২৬
আবূ ত্বলহা থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথী আবূ ত্বলহা
হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে
ঘরে ছবি থাকে সে ঘরে ফেরেশতা প্রবেশ করে না। এ হাদীসের (এক রাবী) বুস্র বলেনঃ যায়দ
একবার অসুস্থ হয়ে পড়ল। আমরা তার সেবা শুশ্রূষার জন্যে গেলাম। তখন তার ঘরের দরজাতে ছবিওয়ালা
পর্দা দেখতে পেলাম। আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সহধর্মিণী মাইমূনাহ
(রাঃ) –এর পালিত ‘উবাইদুল্লাহর কাছে জিজ্ঞেস করলাম, ছবির ব্যাপারে প্রথম দিনই যায়দ
আমাদের কি জানায়নি? তখন ‘উবাইদুল্লাহ বললেন, তিনি যখন বলেছিলেন, তখন কি তুমি শোননি
যে, কারুকাজ করা কাপড় বাদে?
ইবনু ওয়াহ্ব অন্য সূত্রে আবূ ত্বলহা (রাঃ) থেকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) হতে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫২৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন-
৫৪২০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৯৩. অধ্যায়ঃ
ছবিওয়ালা কাপড়ে সলাত আদায় করা অপছন্দনীয়।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯৫৯
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১২৭
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘আয়িশা (রাঃ) –এর নিকট কিছু পর্দার কাপড় ছিল, তা দিয়ে তিনি
ঘরের এক দিকে পর্দা করেন। রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে বললেনঃ
আমার থেকে এটা সরিয়ে নাও, কেননা এর ছবিগুলো সলাতের মধ্যে আমাকে বাধা দেয়।(আধুনিক প্রকাশনী-
৫৫২৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪২১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৯৪. অধ্যায়ঃ
যে ঘরে ছবি থাকে সে ঘরে (রাহমাতের) ফেরেশতা প্রবেশ করেন না।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯৬০
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১২৮
সালিমের পিতা (‘আবদুল্লাহ্ ইব্নু ‘উমার) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ জিব্রীল (আঃ) (একবার) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
এর নিকট (আগমনের) ওয়াদা করেন। কিন্তু তিনি আসতে দেরী করেন। এতে নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর খুবই কষ্ট হচ্ছিল। এরপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বের হয়ে পড়লেন। তখন জিব্রীলের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাত ঘটল। তিনি যে মনোকষ্ট পেয়েছিলেন
সে বিষয়ে তাঁর কাছে বর্ণনা করলেন। তখন জিব্রীল (আঃ) বললেনঃ যে ঘরে ছবি বা কুকুর থাকে
সে ঘরে আমরা কক্ষনো প্রবেশ করিনা।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫২৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪২২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৯৫. অধ্যায়ঃ
ছবি আছে এমন ঘরে যিনি প্রবেশ করেন না।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯৬১
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১২৯
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সহধর্মিণী ‘আয়িশা (রাঃ) হতে বর্ণিত।
তিনি বলেন যে, (একবার) তিনি ছবিওয়ালা গদি খরিদ করেন। রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) যখন তা দেখতে পেলেন, তখন দরজার উপর দাঁড়িয়ে গেলেন। প্রবেশ করলেন না।
[‘আয়িশা (রাঃ)] নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর চেহারার অসন্তুষ্টি বুঝতে
পারলেন। তখন তিনি বললেনঃ হে আল্লাহ্র রসূল! আল্লাহ্র নিকট ও তাঁর রসূলের নিকট এ গুনাহ
থেকে তাওবাহ করছি। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এ গদি কোথা থেকে
আসল? ‘আয়িশা (রাঃ) বললেনঃ আপনার উপবেশন ও হেলান দেয়ার জন্যে আমি এটি ক্রয় করেছি। রসূলুল্লাহ্
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তখন বললেনঃ এসব ছবি নির্মাতাদের ক্বিয়ামাতের দিন
আযাব দেয়া হবে এবং তাদেরকে বলা হবে তোমরা যা বানিয়েছিলে তা জীবিত কর। তিনি (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরো বললেনঃ যে ঘরে (প্রাণীর) ছবি থাকে, সে ঘরে (রাহমাতের) ফেরেশতা
প্রবেশ করে না। (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫২৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪২৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৯৬. অধ্যায়ঃ
ছবি নির্মাতাকে যিনি অভিশাপ করেছেন।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯৬২
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৩০
আবূ জুহাইফাহ হতে (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রক্তের মূল্য, কুকুরের মূল্য
ও যিনাকারীর উপার্জন গ্রহণ করতে নিষেধ করেছেন। আর তিনি সুদ গ্রহীতা, সুদদাতা, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে
উল্কি অঙ্কণকারী আর যে তা করায় এবং ছবি নির্মাতাকে অভিশাপ করেছেন।(আধুনিক প্রকাশনী-
৫৫২৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪২৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৯৭. অধ্যায়ঃ
যে ব্যক্তি ছবি বানায় তাকে ক্বিয়ামাতের দিন তাতে জীবন দানের জন্যে হুকুম
করা হবে, কিন্তু সে অপারগ হবে।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯৬৩
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৩১
ক্বাতাদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ইব্নু ‘আব্বাস (রাঃ)–এর নিকট ছিলাম। আর লোকজন তাঁর কাছে
নানান কথা জিজ্ঞেস করছিল। কিন্তু জবাবে তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
–এর (হাদীস) উল্লেখ করছিলেন না। অবশেষে তাঁকে ছবির ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলো, তিনি
বললেনঃ আমি মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি
দুনিয়ায় কোন প্রাণীর ছবি তৈরি করে, ক্বিয়ামাতের দিন তাকে কঠোরভাবে হুকুম দেয়া হবে ঐ
ছবির মধ্যে জীবন দান করার জন্যে। কিন্তু সে জীবন দান করতে পারবে না।(আধুনিক প্রকাশনী-
৫৫৩০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪২৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৯৮. অধ্যায়ঃ
সাওয়ারীর উপর কারও পেছনে বসা।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯৬৪
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৩২
উসামাহ ইব্নু যায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যে, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (একবার) গাধার পিঠে
চড়েন। পিঠের উপরে ফাদাকের তৈরী মোটা গদি ছিল। উসামাহকে তিনি তাঁর পশ্চাতে উপবিষ্ট করেন।(আধুনিক
প্রকাশনী- ৫৫৩১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪২৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/৯৯. অধ্যায়ঃ
এক সাওয়ারীর উপর তিনজন বসা।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯৬৫
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৩৩
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন মক্কায় আসেন, তখন ‘আবদুল
মুত্তালিব গোত্রের তরুণরা তাঁকে অভ্যর্থনা জানায়। তাদের একজনকে তিনি তাঁর সম্মুখে এবং
অন্য একজনকে তাঁর পশ্চাতে উঠিয়ে নেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৩২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪২৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/১০০. অধ্যায়ঃ
সওয়ারীর মালিক অন্যকে সামনে বসাতে পারে কি না?
কেউ কেউ বলেছেন সওয়ারীর মালিক সামনে বসার অধিক হকদার, তবে যদি কাউকে সে
অনুমতি দেয়।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯৬৬
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৩৪
আইউব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, খারাপ তিন লোকের কথা ইকরামার কাছে উল্লেখ করা হয়। তিনি বলেন,
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেছেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন মক্কায়
আসেন তখন তিনি কুসামকে (তাঁর সওয়ারীর) সম্মুখে ও ফায্লকে পশ্চাতে উপবিষ্ট করেন। অথবা
কুসামকে পশ্চাতে ও ফায্লকে সম্মুখে উপবিষ্ট করেন। তবে কে তাদের মধ্যে মন্দ অথবা কে
তাদের মধ্যে ভাল?(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৩৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪২৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/১০১. অধ্যায়ঃ
জন্তুযানে পুরুষের পেছনে পুরুষের বসা।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯৬৭
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৩৫
মু’আয ইবনু জাবাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর পশ্চাতে
উপবিষ্ট ছিলাম। আমার ও তাঁর মাঝে লাগামের রশি ছাড়া অন্য কিছু্ই ছিল না। তিনি বললেনঃ
মু’আয! আমি বললামঃ হাযির আছি, হে আল্লাহ্র রসূল! তারপর কিছুক্ষণ চললেন। আবার বললেনঃ
হে মু’আয! আমি বললামঃ হাযির আছি, হে আল্লাহ্র রসূল! তারপর আরও কিছুক্ষণ চললেন। আবার
বললেনঃ হে মু’আয ইবনু জাবাল! আমি বললামঃ হাযির আছি, হে আল্লাহ্র রসূল! তিনি বললেনঃ
তুমি জান, বান্দার উপর আল্লাহ্র কী হক? আমি বললামঃ আল্লাহ ও তাঁর রসূলই বেশি জানেন।
তিনি বললেনঃ বান্দার উপর আল্লাহ্র হক এই যে, তারা একমাত্র তাঁরই ‘ইবাদাত করবে, অন্য
কিছুকে তাঁর অংশীদার গণ্য করবে না। এরপর কিছু সময় চললেন। তারপর বললেনঃ হে মু’আয ইবনু
জাবাল! আমি বললামঃ হাযির আছি, হে আল্লাহ্র রসূল! তিনি বললেনঃ বান্দারা যখন তাদের দায়িত্ব
পালন করে, তখন আল্লাহ্র প্রতি বান্দার অধিকার কী, তা জান কি? আমি বললামঃ আল্লাহ ও
তাঁর রসূলই অধিক জানেন। তিনি বললেনঃ আল্লাহ্র উপর বান্দার অধিকার এই যে, তিনি তাদের
‘আযাব দিবেন না।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৩৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪২৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/১০২. অধ্যায়ঃ
সওয়ারীর উপর পুরুষের পশ্চাতে মহিলার উপবেশন।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯৬৮
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৩৬
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমরা রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর
সঙ্গে খাইবার থেকে (মদিনায়) প্রত্যাবর্তন করছিলাম। আমি আবূ ত্বলহার সাওয়ারীর উপর পশ্চাতে
উপবিষ্ট ছিলাম, আর তিনি সাওয়ারী চালাচ্ছিলেন। রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) -এর এক সহধর্মিণী তাঁর সাওয়ারীর পশ্চাতে উপবিষ্ট ছিলেন। হঠাৎ উষ্ট্রী হোঁচট
খেয়ে পড়ে গেল। আমি বললামঃ মহিলা, এরপর আমি নেমে পড়লাম। তখন রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ইনি তোমাদের মা। আমি হাওদাটি শক্ত করে বেঁধে দিলাম। রসূলুল্লাহ্
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাওয়ারীতে উঠলেন। যখন তিনি মাদীনাহ্র নিকটবর্তী
হলেন, কিংবা রাবী বলেছেন, তিনি যখন (মাদীনাহ্) দেখতে পেলেন, তখন বললেনঃ আমরা প্রত্যাবর্তনকারী,
তাওবাহ্কারী, আমাদের প্রতিপালকের ‘ইবাদাতকারী, (তাঁর) প্রশংসাকারী।(আধুনিক প্রকাশনী-
৫৫৩৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৩০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭৭/১০৩. অধ্যায়ঃ
চিৎ হয়ে শয়ন করা এবং এক পা অন্য পায়ের উপর রাখা।
সহিহ বুখারী হাদিস নং-৫৯৬৯
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৩৭
আব্বাদ ইবনু তামীম এর চাচা (‘আবদুল্লাহ ইবনু যায়দ) (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যে, তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে মাসজিদের ভিতর চিৎ
হয়ে শয়ন করতে দেখেছেন যখন তাঁর এক পা অন্য পায়ের উপর উঠানো ছিল।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৩৬,
ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৩১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
(সহিহ বুখারী সমাপ্ত)
(হাদিস গ্রন্থ সহিহ মুসলিম হতে পোশাক সংক্রান্ত হাদিসসমূহ জানতে
প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে আপনি Facebook,
Twitter, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Addressসহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে
শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন।
“তোমরাই শ্রেষ্ঠ উম্মত, মানুষের (কল্যাণের) জন্য তোমাদেরকে বের করা হয়েছে।
তোমরা মানুষকে সৎ কাজের আদেশ করবে এবং অসৎকাজ থেকে নিষেধ করবে।” (সূরা আল-ইমরান, আয়াত-১১০)
“তার চেয়ে ভাল কথা আর কি হতে পারে, যে মানুযকে আল্লাহর দিকে ডাকে,
নিজে নেক আমল করে আর বলে যে, আমি সাধারণ মুসলমানদের মধ্য হতে একজন। (সূরা হা মীম সিজদা
আয়াত-৩৩)
নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন:
“যে হেদায়েতের প্রতি আহবান জানায়, তার জন্য তার অনুসারীদের
সমপরিমাণ সওয়াব রয়েছে, তবে তা তাদের সওয়াব থেকে কোন কিছু হ্রাস করবে না। আর যে পথভ্রষ্টতার
প্রতি আহবান জানায়, তার ওপর তার অনুসারীদের সমপরিমাণ পাপ আরোপিত, তবে তা তাদের পাপ
থেকে কোন কিছু হ্রাস করবে না।” [মুসলিম (২৬৭৪)]
আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আ’স (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “আমার পক্ষ থেকে জনগণকে
(আল্লাহর বিধান) পৌঁছে দাও, যদিও একটি আয়াত হয়। বনী-ইস্রাঈল থেকে (ঘটনা) বর্ণনা কর,
তাতে কোন ক্ষতি নেই। আর যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে আমার প্রতি মিথ্যা (বা জাল হাদীস)
আরোপ করল, সে যেন নিজ আশ্রয় জাহান্নামে বানিয়ে নিল।”
(বুখারী ৩৪৬১,হাদিস সম্ভার, হাদিস নং ১৫৪৮, রিয়াদুস সলেহিন, হাদিস নং ১৩৮৮।)
মো: ইজাবুল আলম-এম.এ, সি.ইন,এড (ইসলামিক স্টাডিজ-রংপুর কারমাইকেল ইউনিভার্সিটি
কলেজ, রংপুর), বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ, গবেষক ও লেখক।
No comments:
Post a Comment