Tuesday, January 14, 2020

বাংলা সহিহ হাদিস সিরিজ-১১-(পোশাক-পরিচ্ছদ অধ্যায়)-সুনান' আত-তিরমিজি

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
 বাংলা সহিহ হাদিস সিরিজ-১১
(পোশাক-পরিচ্ছদ অধ্যায়)
হাদিস গ্রন্থ-সুনান আত-তিরমিজি-আল মাদানী প্রকাশনী
 (১১৩৮-১২০৫টি মোট ৬৮টি হাদিস)
(সুনান' আত-তিরমিজি-সহিহ ও জাল-জইফ হাদিস চিহ্নিত/নির্নিত)
২২
পোশাক-পরিচ্ছদ
১৭২০-১৭৮৭
১. অনুচ্ছেদঃ
(পুরুষের) রেশমী পোশাক ও স্বর্ণালংকার ব্যবহার
জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং-১৭২০
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৩৮
আবূ মূসা আল-আশআরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার উম্মাতের মধ্যে পুরুষদের জন্য রেশমী পোশাক এবং স্বর্ণালংকার ব্যবহার হারাম করা হয়েছে এবং মহিলাদের জন্য তা হালাল করা হয়েছে।
সহীহ্, ইবনু মা-জাহ (৩৫৯৫)
উমার, আলী, উকবা ইবনু আমির, আনাস, হুযাইফা, উম্মু হানী, আবদুল্লাহ ইবনু আমর, ইমরান ইবনু হুসাইন, আবদুল্লাহ ইবনুয যুবাইর, জাবির, আবূ রাইহান, ইবনু উমার, বারাআ ও ওয়াসিলা ইবনুল আসকা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্‌ বলেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং- ১৭২১
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৩৯
উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি জাবিয়া নামক জায়গায় ভাষণ দানের সময় বলেন, দুই, তিন অথবা চার আঙ্গুলের বেশি পরিমাণ রেশমী পোশাক ব্যবহার করতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বারণ করেছেন।
সহীহ্, মুসলিম।
এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্ বলেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
২. অনুচ্ছেদঃ
যুদ্ধের সময় রেশমী পোশাক পরার সম্মতি প্রসঙ্গে
জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং- ১৭২২
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৪০
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক যুদ্ধে আবদুর রাহমান ইবনু আওফ ও যুবাইর ইবনুল আওয়াম (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট নিজেদের শরীরে উকুন হওয়ার অভিযোগ করেন। তাদের দু’জনকেই তিনি রেশমী পোশাকের জামা পরার সম্মতি দেন। আনাস (রাঃ) বলেন, আমি তাদের দু’জনকেই তা পরে থাকতে দেখেছি।
সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ (৩৫৯২), নাসা-ঈ।
এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্ বলেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩. অনুচ্ছেদঃ
(রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জন্য স্বর্নখচিত জুব্বা উপহার)
জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং- ১৭২৩
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৪১
ওয়াকিদ ইবনু আমর ইবনু সাঈদ ইবনু মুআয (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, (আমাদের এখানে) আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) আসলে আমি তার সামনে এলাম। তিনি (আমাকে) প্রশ্ন করেন, তুমি কে? আমি বললাম, আমি ওয়াকিদ ইবনু আমর ইবনু সা’দ ইবনু মুআয। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি (আনাস) কেঁদে ফেললেন এবং বললেন, সা’দের চেহারার সাথে তোমার চেহারার মিল আছে। সা’দ (রাঃ) ছিলেন অত্যন্ত মর্যাদাবান, বলিষ্ঠ ও লম্বা শরীরের অধিকারী। তিনি একবার স্বর্ণের কারুকার্য খচিত দীবাজ (রেশম ও সূতা মিশ্রিত) কাপড়ের একটি জুব্বা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জন্য প্রেরণ করেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা পরে মিম্বারে উঠে দাঁড়ান অথবা বসেন। জনগণ তা ছুঁয়ে দেখতে শুরু করলো এবং বলতে লাগল, আমরা আজকের মতো এমন জামা আর কোন দিন দেখিনি। তিনি বললেনঃ তোমরা এর সৌন্দর্য দেখে আশ্চর্য হচ্ছ! তোমরা যা দেখছ, জান্নাতে সা’দের রুমাল তার চেয়ে বেশি উত্তম। সহীহ্‌, নাসা-ঈ।
আবূ ঈসা বলেন, আসমা বিনতু আবূ বাক্‌র (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান সহীহ্।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৪. অনুচ্ছেদঃ
লাল রং-এর কাপড় পুরুষ লোকদের জন্য অনুমোদিত
জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং- ১৭২৪
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৪২
বারাআ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি লাল রং-এর জামা পরে থাকাবস্থায় আর কোন বাবরি চুলবিশিষ্ট মানুষ দেখিনি যে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর চেয়ে বেশি সুন্দর। কাঁধের কাছাকাছি পর্যন্ত তাঁর বাবরি চুল ঝুলন্ত ছিল। তাঁর দুই কাঁধের মাঝামাঝি জায়গা প্রশস্ত ছিল। তিনি ছিলেন না বেঁটে আকৃতির আর না লম্বাকৃতির। সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ (৩৫৯৯), নাসা-ঈ।
আবূ ঈসা বলেন, জাবির ইবনু সামুরা, আবূ রিমসা ও আবূ জুহাইফা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান সহীহ্।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৫. অনুচ্ছেদঃ
হলুদ রং-এর কাপড় পুরুষ লোকদের জন্য মাকরূহ্
জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং- ১৭২৫
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৪৩
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে কাসী (সূতা ও রেশম মিশ্রিত কাপড়) ও হলুদ রং-এর জামা পরতে বারণ করেছেন।
সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ (৩৬০২), মুসলিম, ৩৬৭৬ নং হাদীসে আরও পরিপূর্ণ বর্ণনা আসবে।
আবূ ঈসা বলেন, আনাস ও আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটি হাসান সহীহ্।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৬. অনুচ্ছেদঃ
পশমী কাপড় পরা জায়িয
জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং- ১৭২৬
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৪৪
সালমান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ঘি, পনির ও পশমী বা চামড়ার জামা প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে প্রশ্ন করা হল। তিনি বললেনঃ আল্লাহ তা‘আলা তাঁর গ্রন্থে যা বৈধ করেছেন তা-ই বৈধ এবং আল্লাহ তা‘আলা তাঁর গ্রন্থে যা অবৈধ করেছেন তা-ই অবৈধ। আর তিনি যে সকল বিষয়ে নীরব থেকেছেন (বৈধ বা অবৈধ বিষয়ে কিছুই বলেননি) তা তাঁর ক্ষমা ও উদারতার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। হাসান, ইবনু মা-জাহ (৩৩৬৬)।
আবূ ঈসা বলেন, মুগীরা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি গারীব। আমরা এটাকে শুধু উল্লেখিত সনদ সূত্রেই মারফূভাবে জেনেছি। এটাকে সালমান ফারসী (রাঃ)-এর নিজের কথা হিসাবে সুফিয়ান সাওরী ও আরো কয়েকজন বর্ণনাকারী সুলাইমান আত-তাইমী হতে আবূ উসমানের সূত্রে বর্ণনা করেছেন। মাওকূফ বর্ণনাটি অনেক বেশি সহীহ্‌ মনে হয়। আমি ইমাম বুখারীর নিকট উক্ত হাদীস প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমি এটাকে মাহ্‌ফূয (সুরক্ষিত) বলে মনে করি না। সুফিয়ান-সুলাইমান আত-তাইমী হতে, তিনি আবূ উসমান হতে, তিনি সালমান (রাঃ) হতে মাওকূফভাবে বর্ণনা করেছেন। বুখারী আরো বলেন, হাদীস শাস্ত্রে সাইফ ইবনু হারুন গ্রহন যোগ্য এবং সাইফ ইবনু মুহাম্মাদ, যিনি আসিমের সূত্রে হাদীস বর্ণনা করেন, নির্ভরযোগ্য নন।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
৭. অনুচ্ছেদঃ
মৃত প্রাণীর প্রক্রিয়াজাত চামড়ার ব্যবহার প্রসঙ্গে
জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং- ১৭২৭
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৪৫
আতা ইবনু আবূ রাবাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ইবনু আব্বাস (রাঃ)-কে আমি বলতে শুনেছি, একটি ছাগল মারা গেল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর মালিককে বললেনঃ তোমরা কেন তার চামড়া ছিলে নাওনি? তোমরা এটাকে প্রক্রিয়াজাতের পর কাজে ব্যবহার করতে পারতে। সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ (৩৬০৯, ৩৬১০), মুসলিম
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং- ১৭২৮
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৪৬
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ প্রক্রিয়াজাতের পর যে কোন চামড়া পবিত্র হয়ে যায়। সহীহ্‌, প্রাগুক্ত
এ হাদীস মোতাবিক বেশিরভাগ অভিজ্ঞ আলিম আমল করেছেন । তারা মৃত প্রাণীর চামড়ার বিষয়ে বলেছেন, প্রক্রিয়াজাতের পর তা পবিত্র বলে বিবেচিত । এই হাদীসের ভিত্তিতে ইমাম শাফিঈ বলেছেন, প্রক্রিয়াজাতের পর যে কোন চামড়া পবিত্র হয়ে যায়, কুকুর ও শূকরের চামড়া ব্যতীত (তা অপবিত্র ও হারাম) । তার মতের সপক্ষে তিনি অত্র হাদীসকে দলীল হিসেবে গ্রহণ করেছেন । হিংস্র প্রাণীর চামড়ার ব্যবহারকে একদল সাহাবী ও তৎপরবর্তীগণ মাকরূহ বলেছেন । এটা পরতে এবং এর উপর নামায আদায় করতে তারা বারণ করেছেন । এই মত আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারাক, আহমাদ ও ইসহাকের । ইসহাক ইবনু ইবরাহীম বলেন, “প্রক্রিয়াজাতের পর যে কোন চামড়া পবিত্র হয়ে যায়” রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর এই কথার তাৎপর্য হল, যেসব পশুর গোশত খাওয়া বৈধ, এখানে শুধু সেসব পশুর চামড়ার কথা বলা হয়েছে । নাযর ইবনু শুমাইলও একই ব্যাখ্যা দিয়েছেন এবং বলেছেন, যেসব পশুর গোশত খাওয়া বৈধ তাকেই (আরবী ভাষায়) ইহাব বলা হয় এবং সেই ক্ষেত্রে এই হাদীসের বিধান প্রযোজ্য । আবূ ঈসা বলেন, সালামা ইবনু মুহাব্বিক, মাইমুনা ও আইশা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত হয়েছে । ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটি হাসান সহীহ্‌ । রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে ইবনু আব্বাসের বরাতে বিভিন্ন সূত্রে এ হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে । রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে মাইমুনার বরাতেও ইবনু আব্বাসের সূত্রে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে । সাওদার বরাতেও ইবনু আব্বাসের সূত্রে এটি বর্ণিত আছে । আমি (আবূ ঈসা) মুহাম্মাদ (বুখারী)-কে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে ইবনু আব্বাসের বর্ণনা এবং মাইমূনার বরাতে ইবনু আব্বাসের উভয় বর্ণনাকেই সহীহ্‌ বলতে শুনেছি । সম্ভবতঃ ইবনু আব্বাস মাইমূনার সূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করেছেন । আবার কোন সময় মাইমূনার উল্লেখ না করে ইবনু আব্বাস সরাসরি রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতেও বর্ণনা করেছেন । এ হাদীস মোতাবিক বেশিরভাগ অভিজ্ঞ আলিম আমল করেছেন । একই কথা বলেছেন সুফিয়ান সাওরী, ইবনুল মুবারাক, শাফিঈ, আহ্‌মাদ ও ইসহাকও।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং-১৭২৯
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৪৭
আবদুল্লাহ ইবনু উকাইম (রহঃ থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমাদের নিকট রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পত্র আসে এই মর্মেঃ মৃত প্রাণীর চামড়া এবং তন্তু তোমরা কোন কাজে লাগাবে না। সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ (৩৬১৩)
এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান বলেছেন । এ হাদীসটি আবদুল্লাহ ইবনু উকাইম (রহঃ) তার আরো কয়েকজন শাইখের সূত্রে বর্ণনা করেছেন । এ হাদীস অনুসারে বেশিরভাগ অভিজ্ঞ আলিম আমল করেননি । উল্লেখিত হাদীসটি আবদুল্লাহ ইবনু উকাইম হতে অপর একটি সূত্রে এভাবে বর্ণিত হয়েছেঃ “আমাদের নিকট রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মারা যাবার দুই মাস আগে তাঁর একটি পত্র আসে” । আহ্‌মাদ ইবনু হাসানকে আমি (তিরমিযী) বলতে শুনেছি, এ হাদীস মোতাবিক আহ্‌মাদ ইবনু হাম্বল প্রথম দিকে আমল করতেন । কেননা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মারা যাবার দুই মাস পূর্বেকার ছিল এ নির্দেশটি । তিনি বলতেন, এটা ছিল মৃত প্রাণীর চামড়ার প্রসঙ্গে তাঁর সর্বশেষ নির্দেশ । কিন্তু তিনি এ হাদীসের সনদে গোলমাল থাকায় তার আগের মতামত বাতিল করেন । কারণ কোন কোন বর্ণনাকারী উক্ত হাদীসের সনদ এভাবেও বিকৃত করেছেনঃ আবদুল্লাহ ইবনু উকাইম-জুহাইনা গোত্রীয় তাদের কিছু শাইখ হতে বর্ণিত।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৮. অনুচ্ছেদঃ
পায়ের গোছার নিচ পর্যন্ত ঝুলিয়ে কাপড় পরা নিষেধ
জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং- ১৭৩০
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৪৮
আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ গর্ব-অহংকারে মত্ত হয়ে যে লোক তার পরনের কাপড় পায়ের গোছার নিচ পর্যন্ত ঝুলিয়ে পরে, আল্লাহ তা‘আলা কিয়ামাত দিবসে তার দিকে দৃষ্টিপাত করবেন না।
সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ (৩৫৬৯), নাসা-ঈ
আবূ ঈসা বলেন, হুযাইফা, আবূ সাঈদ, আবূ হুরাইরা, সামুরা, আবূ যার, আইশা ও হুবাইব ইবনু মুগাফফাল (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে । ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটি হাসান সহীহ্‌ ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৯. অনুচ্ছেদঃ
মহিলাদের আঁচল লম্বা করে পরা প্রসঙ্গে
জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং- ১৭৩১
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৪৯
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ গর্ব-অহংকারের বশীভূত হয়ে যে লোক তার পরনের কাপড় গোড়ালির নিচ পর্যন্ত ঝুলিয়ে পরে, আল্লাহ তা‘আলা কিয়ামাত দিবসে তার দিকে দৃষ্টিপাত করবেন না। উম্মু সালামা (রাঃ) বললেন, মহিলারা তাদের কাপড়ের প্রান্ত বা আঁচল কিভাবে সামলাবে? তিনি বললেন, তারা (গোড়ালি হতে) এক বিঘত পরিমাণ উপরে রাখবে। তিনি (উম্মু সালামা) বললেন, এতে তো তাদের পা উদম হয়ে যাবে। তিনি বললেনঃ তবে তারা এক হাত পরিমাণ নিচ পর্যন্ত ঝুলিয়ে রাখবে, কিন্তু এর বেশি করবে না।
সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ (৩৫৮০), (৩৫৮১)
এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্‌ বলেছেন ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং- ১৭৩২
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৫০
উম্মুল হাসান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তাদের নিকট উম্মু সালামা (রাঃ) বর্ণনা করেছেন যে, ফাতিমা (রাঃ)-এর জন্য রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার কাপড়ের ঝুল এক বিঘত পরিমাণ নির্ধারিত করে দেন।
সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ (৩৫৮০),
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাম্মাদ ইবনু সালামা-আলী ইবনু যাইদ হতে, তিনি আল-হাসান হতে, তিনি তার মাতা হতে, তিনি উম্মু সালামা (রাঃ)-এর সূত্রে কোন কোন বর্ণনাকারী বর্ণনা করেছেন । মহিলাদেরকে তাদের পরনের কাপড় গোছার নিচে ঝুলিয়ে রাখার সম্মতি এ হাদীসে আছে । কেননা এতে তাদের পর্দা আরো সুরক্ষিত হতে পারে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
১০. অনুচ্ছেদঃ
পশমী কাপড় পরা সম্পর্কে
জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং- ১৭৩৩
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৫১
আবূ বুরদা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমাদেরকে আইশা (রাঃ) তালিযুক্ত কম্বল (বা চাদর) এবং মোটা কাপড়ের একটি লুঙ্গি বের করে দেখান এবং বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এই দু’টি কাপড় পরে থাকাবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ (৩৫৫১), নাসা-ঈ
আবূ ঈসা বলেন, আলী ও ইবনু মাসঊদ (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে । আইশা (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটি হাসান সহীহ্‌ ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং- ১৭৩৪
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৫২
ইবনু মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ মূসা (আঃ)-এর সাথে যেদিন তাঁর প্রতিপালক কথা বলেছিলেন সেদিন তাঁর পরনে ছিল পশমী চাদর, পশমী জুব্বা, পশমী টুপি ও পশমী পাজামা। তাঁর জুতা দু‘টি ছিল মৃত গাধার চামড়া দিয়ে তৈরী। খুবই দুর্বল, যঈফ(৪০৮২)।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। আমরা শুধু হুমাইদ ইবনু আলী আল-আ’রাজের সূত্রে এ হাদীস জেনেছি। ইমাম বুখারী বলেন, হুমাইদ ইবনু আলী আল-আ’রাজ একজন প্রত্যাখ্যাত রাবী। কিন্তু হুমাইদ ইবনু কাইস আল-আ’রাজ ছিলেন মুজাহিদের সহচর। তিনি ছিলেন মক্কার অধিবাসী এবং নির্ভরযেোগ্য রাবী। ছোট টুপিকে ‘কুম্মা’ বলা হয়।
হাদিসের মানঃ খুবই দুর্বল
১১. অনুচ্ছেদঃ
কালো রং-এর পাগড়ী প্রসঙ্গে
জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং- ১৭৩৫
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৫৩
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মক্কা বিজয়ের দিন কালো পাগড়ী পরে মক্কায় প্রবেশ করেন। সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ (২৮২২), মুসলিম
আলী, উমার, ইবনু হুরাইস, ইবনু আব্বাস ও রুকানা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে । জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্‌ বলেছেন ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
১২. অনুচ্ছেদঃ
দুই কাঁধের মাঝ বরাবর পাগড়ীর এক প্রান্ত ঝুলিয়ে রাখা
জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং- ১৭৩৬
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৫৪
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পাগড়ী বাঁধলে দুই কাঁধের মধ্য দিয়ে এর প্রান্ত ঝুলিয়ে দিতেন। নাফি (রহঃ) বলেন, ইবনু উমার (রাঃ)-ও দুই কাঁধের মাঝ বরাবর তার পাগড়ীর এক প্রান্ত ছেড়ে দিতেন। উবাইদুল্লাহ (রহঃ) বলেন, আমি কাসিম ও সালিমকেও এরূপ করতে দেখেছি। সহীহ্‌, সহীহা (৭১৬)
এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান গারীব বলেছেন । আলী (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে । কিন্তু সনদের বিচারে তার বর্ণিত হাদীসটি সহীহ্‌ নয় ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
১৩. অনুচ্ছেদঃ
স্বর্ণের আংটি পরা নিষেধ
জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং- ১৭৩৭
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৫৫
আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমাকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) স্বর্ণের আংটি পরতে, রেশমী পোশাক পরতে, রুকূ-সিজদায় কুরআনের আয়াত পাঠ করতে এবং হলুদ রং-এর পোশাক পরতে বারণ করেছেন।
সহীহ্‌, মুসলিম, পূর্বে ১৭২৫ নং হাদীসেও সংক্ষেপে বর্ণিত হয়েছে।
এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্‌ বলেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং- ১৭৩৮
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৫৬
ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) স্বর্ণের আংটি পরতে নিষেধ করেছেন।
সহীহ্, ইবনু মা-জাহ (৩৬৪২), নাসা-ঈ বারা (রাঃ) এবং অন্যদের হতেও বর্ণনা করেছেন।
আবূ ঈসা বলেন, আলী, ইবনু উমার, আবূ হুরাইরা ও মুআবিয়া (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। ইমরান (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটি হাসান সহীহ্‌। আবুত্‌ তাইয়্যাহ্‌-এর নাম ইয়াযীদ ইবনু হুমাইদ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
১৪. অনুচ্ছেদঃ
রুপার আংটি ব্যবহার করা
জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং- ১৭৩৯
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৫৭
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আংটি ছিল রুপার। এতে লাল রং-এর মূল্যবান আবিসিনীয় পাথর বসানো ছিল। সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ (৩৬৪৬), মুসলিম
ইবনু উমার ও বুরাইদা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা এ হাদীসটিকে উল্লেখিত সনদ সূত্রে হাসান সহীহ্‌ গারীব বলেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
১৫. অনুচ্ছেদঃ
আংটির জন্য উত্তম পাথর
জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং- ১৭৪০
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৫৮
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আংটি ছিল রুপার। তার পাথরও ছিল রুপার।
সহীহ্‌, মুখতাসার শামা-ইল (৭৩), বুখারী
আবূ ঈসা এ হাদীসটিকে উল্লেখিত সনদ সূত্রে হাসান সহীহ্‌ গারীব বলেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
১৬. অনুচ্ছেদঃ
ডান হাতে আংটি পরা প্রসঙ্গে
জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং- ১৭৪১
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৫৯
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি স্বর্ণের আংটি তৈরী করান এবং সেটি ডান হাতে পরেন। তারপর তিনি মিম্বারের উপর বসে বললেনঃ আমি আমার ডান হাতে এই আংটিটি পরেছিলাম। তারপর তিনি তা খুলে ফেলে দিলেন এবং (তাঁর দেখাদেখি) লোকেরাও তাদের আংটি খুলে ফেলে দিল।
সহীহ্‌, মুখতাসার শামা-ইল (৮৪), নাসা-ঈ
আলী, জাবির, আবদুল্লাহ ইবনু জাফর, ইবনু আব্বাস আইশা ও আনাস (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্‌ বলেছেন। ইবনু উমার (রাঃ)-এর হাদীসটি অন্যান্য সূত্রেও তার নিকট হতে বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু তাতে “তিনি তা ডান হাতে পরেন” কথাটুকু উল্লেখ নেই।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং- ১৭৪২
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৬০
সাল্ত ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু নাওফাল (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ইবনু আব্বাস (রাঃ)-কে ডান হাতে আংটি পরতে দেখেছি। আমার ধারণা তিনি এও বলেছেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে তাঁর ডান হাতে আংটি পরতে দেখেছি।
হাসান সহীহ্‌, ইরওয়া (৩/৩০৩-৩০৪), মুখতাসার শামা-ইল (৮০)
আবূ ঈসা বলেন, ইমাম বুখারী বলেছেন, মুহাম্মাদ ইবনু ইসহাক্ হতে, আস-সালত ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু নাওফাল-এর সূত্রে বর্ণিত হাদীসটি হাসান সহীহ্‌ ।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং- ১৭৪৩
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৬১
জাফর ইবনু মুহাম্মাদ (রহঃ) হতে তার বাবা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি (মুহাম্মাদ) বলেন, হাসান ও হুসাইন (রাঃ) তাদের বাঁ হাতে আংটি পরতেন।
সহীহ্‌ মাওকূফ, মুখতাসার শামা-ইল (৮২)
এ হাদীসটি হাসান সহীহ্‌।
হাদিসের মানঃ সহিহ মাওকুফ
জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং- ১৭৪৪
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৬২
হাম্মাদ ইবনু সালামা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ইবনু আবী রাফিকে তার ডান হাতে আংটি পরতে দেখেছি। আমি এ বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করলে তিনি বললেন, আমি আবদুল্লাহ ইবনু জাফরকে তার ডান হাতে আংটি পরতে দেখেছি। আর আবদুল্লাহ ইবনু জাফর বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর ডান হাতে আংটি পরতেন। সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ (৩৭৪৭)
ইমাম মুহাম্মাদ ইবনু ইস্‌মাঈল (বুখারী) (রহঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যে কতগুলো হাদীস এ অনুচ্ছেদে বর্ণিত হয়েছে সেগুলোর মধ্যে এটাই বেশি সহীহ্‌ ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং- ১৭৪৫
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৬৩
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রুপা দিয়ে একটি আংটি তৈরী করান এবং এতে মুহাম্মাদুর্ রাসূলুল্লাহ খোদাই করান, তারপর বলেন, তোমরা এর উপর খোদাই কর না।
সহীহ্‌, মুসলিমও অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্‌ বলেছেন। তোমরা এর উপর “খোদাই কর না”-এর অর্থঃ তাদের কেউ তার আংটিতে যেন ‘মুহাম্মাদুর্ রাসূলুল্লাহ’ খোদাই না করে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং- ১৭৪৬
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৬৪
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মলত্যাগ করতে যাওয়ার সময় তাঁর আংটি খুলে রাখতেন। যঈফ, ইবনু মাজাহ (৩০৩)। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
১৭. অনুচ্ছেদঃ
আংটিতে কারুকাজ করা
জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং- ১৭৪৭
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৬৫
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আংটির নকশা ছিল নিম্নরূপঃ এক পংক্তিতে ‘মুহাম্মাদ’, এক পংক্তিতে ‘রাসূল’ এবং এক পংক্তিতে ‘আল্লাহ’। সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ (৩৬৩৯-৩৬৪০), বুখারী
আনাস (রাঃ)-এর হাদীসটি হাসান সহীহ্‌ গারীব।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং- ১৭৪৮
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৬৬
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আংটির নকশা তিন পংক্তির ছিলঃ এক পংক্তিতে ‘মুহাম্মাদ’, এক পংক্তিতে ‘রাসূল’ এবং এক পংক্তিতে ‘আল্লাহ’। সহীহ্‌, দেখুন পূর্বের হাদীস
মুহাম্মাদ ইবনু ইয়াহইয়া তার বর্ণিত হাদীসে তিন সারির কথা উল্লেখ করেননি। এ অনুচ্ছেদে উমার (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
১৮. অনুচ্ছেদঃ
ছবি বা প্রতিকৃতি প্রসঙ্গে
জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং- ১৭৪৯
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৬৭
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ঘরের মধ্যে কোন ছবি রাখতে এবং তা বানাতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিষেধ করেছেন। সহীহ্‌, সহীহা (৪২৪)
আলী, আবূ তালহা, আইশা, আবূ হুরাইরা ও আবূ আইয়্যূব (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্‌ বলেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং- ১৭৫০
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৬৮
উবাইদুল্লাহ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু উতবা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি (অসুস্থ) আবূ তালহা আনসারী (রাঃ)-কে দেখতে যান। বর্ণনাকারী বলেন, আমি সেখানে সাহ্‌ল ইবনু হুনাইফ (রাঃ)-কেও উপস্থিত পেলাম। তিনি আরও বলেন, আবূ তালহা (রাঃ) একজনকে ডাকেন নিচের চাদর সরানোর জন্য। সাহ্‌ল (রাঃ) তাকে বললেন, কেন চাদর সরাবেন? তিনি বললেন, তাতে ছবি আঁকা আছে। আর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ সম্পর্কে যা বলেছেন তা তো তুমি জান। সাহল (রাঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি এ কথা বলেননি, “কিন্তু পোশাকে অল্প পরিমাণ অঙ্কিত কারুকার্য থাকলে কোন সমস্যা নেই?” আবূ তালহা (রাঃ) বললেন, হ্যাঁ। কিন্তু উহাই (ছবি সরিয়ে ফেলা) আমার জন্য উত্তম।
সহীহ্‌, গাইয়াতুল মারাম (১৩৪)
এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্‌ বলেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
১৯. অনুচ্ছেদঃ
ছবি নির্মাতা ও চিত্রকরদের প্রসঙ্গে
জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং- ১৭৫১
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৬৯
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক কোন ছবি আঁকে, সে যে পর্যন্ত তাতে প্রাণ সঞ্চার করতে না পারবে সে পর্যন্ত আল্লাহ তা’আলা তাকে আযাব দিতে থাকবেন। অথচ সে কোন দিনও তাতে প্রাণ সঞ্চার করতে পারবে না। যে লোক কোন দল বা সম্প্রদায়ের গোপন কথা অগোচরে কান পেতে শুনে, অথচ তারা বিষয়টি তার কাছ থেকে গোপন রাখতে চায় তার কানে কিয়ামাত দিবসে উত্তপ্ত সীসা ঢেলে দেওয়া হবে।
সহীহ্‌, গাইয়াতুল মারাম (১২০, ৪২২), বুখারী, মুসলিম (১০) প্রথম অংশ
আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ, আবূ হুরাইরা, আবূ জুহাইফা, আইশা ও ইবনু উমার (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্‌ বলেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
২০. অনুচ্ছেদঃ
চুলে কলপ লাগানো প্রসঙ্গে
জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং- ১৭৫২
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৭০
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা বার্ধক্যের শুভ্রতা পরিবর্তন করে দাও এবং ইয়াহূদীদের মতো হয়ো না। সহীহ্‌, জিল বাবুল মারআহ (১৮৯), সহীহা (৮৩৬)
যুবাইর, ইবনু আব্বাস, জাবির (ইবনু আবদুল্লাহ), আবূ যার, আনাস, আবূ রিমসা, জাহদামা, আবুত তুফাইল, জাবির ইবনু সামুরা, আবূ জুহাইফা ও ইবনু উমার (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্‌ বলেছেন। এটি একাধিক সূত্রে আবূ হুরাইরা (রাঃ) এর সূত্রে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত হয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং- ১৭৫৩
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৭১
আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ বার্ধক্যের শুভ্রতা পরিবর্তনের জন্য মেহেদি (হেনা) ও কাতাম (কালচে ঘাস) তৃণই উত্তম। সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ (২৬২২)
এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্‌ বলেছেন। আবুল আস্‌ওয়াদ আদ-দীলির নাম জালিম, পিতা আমর দাদা সুফিয়ান।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
২১. অনুচ্ছেদঃ
মাথার চুল রাখা এবং কাঁধ পর্যন্ত তা লম্বা করা প্রসঙ্গে
জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং- ১৭৫৪
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৭২
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ছিলেন মধ্যম আকৃতির। তিনি অধিক লম্বাও ছিলেন না আবার খাটোও ছিলেন না। তিনি সুঠাম শরীরের অধিকারী ছিলেন এবং তাঁর গায়ের রং ছিল বাদামী। তাঁর মাথার চুল কোঁকড়ানোও ছিল না আবার একেবারে সোজাও ছিল না। তিনি রাস্তায় চলাচলের সময় সামনের দিকে ঝুঁকে হাঁটতেন। সহীহ্‌, মুখতাসার শামা-ইল (১, ২), নাসা-ঈ
আইশা, বারাআ, আবূ হুরাইরা, ইবনু আব্বাস, আবূ সাঈদ, জাবির, ওয়াইল ইবনু হুজর ও উম্মু হানী (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। হুমাইদ কর্তৃক বর্ণিত আনাস (রাঃ)-এর এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্‌ গারীব বলেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং- ১৭৫৫
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৭৩
আইশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ও রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একই পাত্র হতে পানি নিয়ে গোসল করতাম। তাঁর বাবরি চুল কাঁধের উপরে কিন্তু কানের লতির নিচ পর্যন্ত প্রলম্বিত ছিল।
হাসান সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ (৬০৪, ৩৬৩৫)
এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা উল্লেখিত সনদসূত্রে হাসান সহীহ্‌ গারীব বলেছেন। উল্লেখিত হাদীসটি আরো কয়েকটি সূত্রে আইশা (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে। তবে তাতে “তাঁর বাবরি চুল কাঁধের উপরে কিন্তু কানের লতির নিচ পর্যন্ত লম্বা ছিল কথাটুকু উল্লেখ নেই। (এই শেষের অংশটুকু আবদুর রাহমান ইবনু আবুয যিনাদ তার বর্ণনায় উল্লেখ করেছেন।) তিনি একজন সিকাহ (আস্থাভাজন) বর্ণনাকারী এবং হাদীসের হাফিয ছিলেন। মালিক ইবনু আনাস তাঁকে সিকাহ বলেছেন এবং তার নিকট হতে হাদীস লিখার নির্দেশ দিতেন।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
২২. অনুচ্ছেদঃ
বার বার চুল আচড়ানো নিষেধ
জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং- ১৭৫৬
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৭৪
আবদুল্লাহ ইবনু মুগাফফাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বার বার চুল আচড়াতে বারণ করেছেন।
সহীহ্‌, সহীহা (৫০১)
মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার-ইয়াহ্‌ইয়া ইবনু সাঈদ হতে, তিনি হিশামের সূত্রে হাসান হতে একইরকম হাদীস বর্ণনা করেছেন। এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্‌ বলেছেন। আনাস (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
২৩. অনুচ্ছেদঃ
সুরমা লাগানো প্রসঙ্গে
জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং- ১৭৫৭
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৭৫
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা ইসমিদ সুরমা লাগাও। এটা চোখের জ্যোতি বাড়ায় এবং চোখের পাতার লোম গজায়। তিনি মনে করেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর একটি সুরমাদানি ছিল। তা হতে তিনি প্রতি রাতে তিনবার ডান চোখে এবং তিনবার বাঁ চোখে সুরমা লাগাতেন।
“তিনি মনে করেন” এই শব্দ ব্যতীত হাদীসটি সহীহ্‌, মুখতাসার শামা-ইল (৪২)
জাবির ও ইবনু উমার (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্‌ গারীব বলেছেন। আমরা এ হাদীসটি শুধুমাত্র আব্বাদ ইবনু মানসূরের সূত্রে উক্ত শব্দে জেনেছি। এ হাদীসটি আলী ইবনু হুজর ও মুহাম্মাদ ইবনু ইয়াহ্ইয়া-ইয়াযীদ ইবনু হারুন হতে, তিনি আব্বাদ ইবনু মানসূর (রহঃ)-এর সূত্রেও একই রকম বর্ণিত হয়েছে।
একাধিক সূত্রে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “তোমরা অবশ্যই ইসমিদের সুরমা লাগাও, এটা চোখের জ্যোতি বাড়ায় এবং চোখের পাতার লোম গজায়”।
সহীহ্‌, মিশকাতুল্ মাসা-বীহ (৪৪৭২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
২৪. অনুচ্ছেদঃ
হাঁটু গেড়ে জড়োসড়ো হয়ে বসা এবং একটি চাদরে সর্বাঙ্গ পেচিয়ে বসা নিষেধ
জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং- ১৭৫৮
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৭৬
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাপড় পরার দুইটি পদ্ধতি নিষিদ্ধ করেছেন। একটি কাঁধ উদম রেখে একই চাদর পুরো গায়ে জড়িয়ে নেওয়া; একই পোশাকে পেট, ঊরু ও পায়ের গোছা ঢেকে নিতম্ব মাটিতে ঠেকিয়ে দুই হাঁটু উঁচু করে বসা এবং লজ্জাস্থানে এর কোন অংশ না থাকা। সহীহ্‌, নাসা-ই
আবূ ঈসা বলেন, আলী, ইবনু উমার, আইশা, আবূ সাঈদ, জাবির ও আবূ উমামা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটি এই সূত্রে হাসান সহীহ্‌ গারীব। এ হাদীসটি আরো কয়েকটি সূত্রে আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
২৫. অনুচ্ছেদঃ
পরচুলা ব্যবহার প্রসঙ্গে
জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং- ১৭৫৯
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৭৭
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ পরচুলা (কৃত্রিম চুল) সংযোগকারিণী ও ব্যবহারকারিণী এবং উল্কি অঙ্কনকারিণী ও যে তা অঙ্কন করায়, এদেরকে আল্লাহ তা’আলা অভিসম্পাত করেছেন। নাফি (রহঃ) বলেন, সাধারণতঃ নিচের মাড়িতেই আঁকা হয়। সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ (১৯৮৭), নাসা-ই
এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্‌ বলেছেন। আইশা, ইবনু মাসঊদ, আসমা বিনতু আবী বাক্র, ইবনু আব্বাস, মাকিল ইবনু ইয়াসার ও মুআবিয়া (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
২৬. অনুচ্ছেদঃ
রেশমের তৈরী আসনে বসা নিষেধ
জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং- ১৭৬০
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৭৮
বারাআ ইবনু আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রেশম দ্বারা বানানো আসনে বসতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বারণ করেছন।
সহীহ্‌, আদাবুয যিফাফ (১২৫), মিশকাত তাহকীক ছানী (৪৩৫৮), সহীহা (২৩৯৬), নাসা-ঈ
হাদীসে আরও ঘটনা আছে। আলী ও মুআবিয়া (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। বারাআ (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটি হাসান সহীহ্‌। এ হাদীসটি আশআস ইবনু আবুশ শা’সা হতে শুবা একইরকম বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
২৭. অনুচ্ছেদঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বিছানা
জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং- ১৭৬১
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৭৯
আইশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ঘুমানোর বিছানাটি ছিল চামড়া দিয়ে বানানো। এর ভিতরে খেজুর গাছের বাকল ভর্তি ছিল। সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ (৪১৫১), নাসা-ঈ
এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্‌ বলেছেন। হাফসা ও জাবির (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
২৮. অনুচ্ছেদঃ
জামা প্রসঙ্গে
জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং- ১৭৬২
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৮০
উম্মু সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট সবচাইতে পছন্দের পোশাক ছিল জামা।
সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ (৩৫৭৫)
এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান গারীব বলেছেন। আব্দুল মু’মিন ইবনু খালীদের হাদীস হিসেবেই এটি আমরা জানতে পেরেছি। তিনি এককভাবে এটি বর্ণনা করেছেন। কিছু বর্ণনাকারী উম্মু সালামা (রাঃ)-এর এ হাদীসটি আবূ তূমাইলা-আবদুল মু’মিন ইবনু খালিদ হতে, তিনি আবদুল্লাহ ইবনু বুরাইদা হতে, তিনি তার মায়ের সূত্রেও বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং- ১৭৬৩
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৮১
উম্মু সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, জামা-ই রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট সবচাইতে প্রিয় পোশাক ছিল।
সহীহ্‌, দেখুন পূর্বের হাদীস।
আবূ ঈসা বলেন, আমি মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈল (বুখারী)-কে বলতে শুনেছি, আব্দুল্লাহ ইবনু বুরাইদা কর্তৃক তার মায়ের বরাতে উম্মু সালামা হতে বর্ণিত হাদীস অধিক সহীহ্‌। এই বর্ণনা সূত্রে আবূ তুমাইলাহ তার মা হতে এভাবে উল্লেখ আছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং- ১৭৬৪
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৮২
উম্মু সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সবচাইতে পছন্দনীয় পোশাক ছিল জামা।
সহীহ্‌, দেখুন পূর্বের হাদীস
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং- ১৭৬৫
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৮৩
আসমা বিনতু ইয়াযীদ ইবনু সাকান আল-আনসারিয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর জামার হাতা কব্জি পর্যন্ত ছিল।
যঈফ, মুখতাসার শামায়িল (৪৭) যঈফা (৩৪৫৭)। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং- ১৭৬৬
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৮৪
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন জামা পরতেন, তখন ডান দিক হতে পরা আরম্ভ করতেন। সহীহ্‌, মিশকাত তাহকীক ছানী (৪৩৩০)
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি শুবার সূত্রে একাধিক বর্ণনাকারী বর্ণনা করেছেন। কিন্তু এটাকে তাদের কেউই মারফূভাবে বর্ণনা করেননি। এটাকে শুধু আবদুস্‌ সামাদ মারফূ হাদীস হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
২৯. অনুচ্ছেদঃ
নতুন কাপড় পরার দু’আ
জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং- ১৭৬৭
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৮৫
আবূ সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নতুন কাপড় পরার সময় প্রথমে সেটির নাম নিতেন। যেমন পাগড়ী, জামা অথবা চাদর। তারপর তিনি বলতেন: “হে আল্লাহ! সকল প্রশংসা তোমার জন্য। এটা তুমি আমাকে পরিয়েছো। আমি তোমার নিকট এর মধ্যে নিহিত কল্যাণ এবং যে উদ্দেশ্যে এটা বানানো হয়েছে তার কল্যাণ চাইছি। আর এর মধ্যে নিহিত ক্ষতি এবং যে উদ্দেশ্যে এটা বানানো হয়েছে তার অনিষ্ট হতে তোমার আশ্রয় চাই”। সহীহ্, মিশকাত (৪৩৪২)
উমার ও ইবনু উমার (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে । হিশাম ইবনু ইউনুস কূফী কাসিম ইবনু মালিক আল মুযানী হতে জুরাইরীর সূত্রে একই রকম হাদীস বর্ণনা করেছেন । এ হাদীসটি হাসান গারীব সহীহ্ ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩০. অনুচ্ছেদঃ
জুব্বা ও চামড়ার মোজা পরা প্রসঙ্গে
জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং- ১৭৬৮
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৮৬
উরওয়া ইবনুল মুগীরা ইবনু শুবা (রাঃ) হতে তার বাবা থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি রূমী জুব্বা পরেন। এর হাতাদু’টি ছিল সংকীর্ণ।
সহীহ্, মুখতাসার শামা-ইল (৫৭), সহীহ্ আবূ দাঊদ (১৩৯-১৪০), নাসা-ঈ
এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্ বলেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং- ১৭৬৯
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৮৭
মুগীরা ইবনু শুবা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দাহিয়া আল-কালবী (রাঃ) একজোড়া চামড়ার মোজা উপহার দিয়েছিলেন। তিনি তা পরিধান করেন। সহীহ্, মুখতাসার শামা-ইল (৫৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩১. অনুচ্ছেদঃ
স্বর্ণ দিয়ে দাঁত বাঁধানো
জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং- ১৭৭০
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৮৮
আরফাজা ইবনু আসআদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, জাহিলী আমলে কুলাবের যুদ্ধে আমার নাক আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে নষ্ট হয়ে যায়। আমি রুপার একটি নাক বাঁধিয়ে নিলাম। কিন্তু আমি তাতে দুর্গন্ধ অনুভব করি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে একটি স্বর্ণের নাক বানিয়ে নিতে বললেন।
হাসান, মিশকাত তাহকীক ছানী (৪৪০০)
আলী ইবনু হুজর রাবী ইবনু বাদর হতে এবং মুহাম্মাদ ইবনু ইয়াযীদ আল-ওয়াসিতী আবুল আশহাব হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন ।
এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান গারীব বলেছেন। আমরা এ হাদীস সম্বন্ধে শুধু আবদুর রাহমান ইবনু তারাফার সূত্রে জেনেছি । সালম ইবনু যারীর ও আবদুর রাহমান ইবনু তারাফার সূত্রে আবুল আশহাবের হাদীসের মতই বর্ণনা করেছেন। অসংখ্য অভিজ্ঞ আলিম হতে বর্ণিত আছে, তারা নিজেদের দাঁত স্বর্ণ দ্বারা বাঁধিয়ে নিয়েছেন । এ হাদীসটি তাদের দলীল । আবদুর রাহমান ইবনু মাহ্‌দী বলেন, সাল্‌ম ইবনু জারীর বলা অমূলক বরং ইবনু ওয়া জারীর সঠিক । আবূ সাঈদ আস-সানআনীর নাম মুহাম্মাদ, পিতা মুইয়াসসীর।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
৩২. অনুচ্ছেদঃ
হিংস্র প্রাণীর চামড়া কাজে লাগানো নিষেধ
জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং- ১৭৭১
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৮৯
আবুল মালীহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
১৭৭১/১. আবুল মালীহ (রহঃ) হতে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত আছে, হিংস্র প্রাণীর চামড়া ফরাশ হিসাবে ব্যবহার করতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বারণ করেছেন।
সহীহ্, সহীহা (১০১১), মিশকাত (৫০৬)
আবুল মালীহ (রহঃ) হতে তার বাবার সূত্রে বর্ণিত আছে, হিংস্র প্রাণীর চামড়া কাজে লাগানোকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিষিদ্ধ করেছেন।
সহীহ্‌, দেখুন পূর্বের হাদীস
মুআয ইবনু হিশাম-তার পিতা হতে, তিনি কাতাদা হতে, তিনি আবুল মালীহ হতে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি হিংস্র প্রাণীর চামড়া কাজে লাগানোকে অপছন্দ বলে মনে করেন। সহীহ্‌, দেখুন পূর্বের হাদীস
আবূ ঈসা বলেন, এই হাদীসের সনদ “আবুল মালীহ-তার পিতা হতে” এভাবে সাঈদ ইবনু আবূ আরূবা ছাড়া আর কেউ বর্ণনা করেছেন বলে আমাদের জানা নেই।
১৭৭১/২. আবুল মালীহ (রহঃ) হতে বর্ণিত আছে, হিংস্র প্রাণীর চামড়া ব্যবহারকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিষেধ করেছেন। সহীহ্‌, দেখুন পূর্বের হাদীস
এই বর্ণনাটিই অনেক বেশি সহীহ্ (কারণ স্মরণ শক্তির দিক হতে শুবা (রহঃ) সাঈদ ইবনু আবূ আরূবার চাইতে অগ্রগণ্য)।
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
৩৩. অনুচ্ছেদঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পাদুকা
জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং- ১৭৭২
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৯০
কাতাদা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)-কে আমি প্রশ্ন করলাম, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জুতাজোড়া কেমন ছিল? তিনি বললেন, এর দু’টি করে ফিতা ছিল। সহীহ্‌, মুখতাসার শামা-ইল (৬০, ৬২)
এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্ বলেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং- ১৭৭৩
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৯১
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জুতাজোড়ার দু’টি করে ফিতা ছিল।
সহীহ্‌, মুখতাসার শামা-ইল (৬০, ৬২)এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্ বলেছেন। ইবনু আব্বাস ও আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে।
এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্ বলেছেন। ইবনু আব্বাস ও আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৪. অনুচ্ছেদঃ
এক পায়ে জুতা পরে হাঁটা নিষেধ
জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং- ১৭৭৪
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৯২
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, এক পায়ে জুতা পরে যেন তোমাদের কেউ না হাঁটে। হয় সে দুটো পায়ে জুতা পরবে অথবা দুটো পা-ই উদম রাখবে। সহীহ্ ইবনু মা-জাহ (৩৬১৭), নাসা-ঈ
এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্ বলেছেন। জাবির (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৫. অনুচ্ছেদঃ
দাঁড়ানো অবস্থায় জুতা পরা মাকরূহ্
জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং- ১৭৭৫
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৯৩
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, দাঁড়ানো অবস্থায় কাউকে জুতা পরতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিষেধ করেছেন।
সহীহ্, ইবনু মা-জাহ (৩৬১৮)
এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা গারীব বলেছেন । এ হাদীসটি আনাস (রাঃ) হতেও অন্য সূত্রে (নিম্নে দ্র.) বর্ণিত আছে । কিন্তু হাদীস বিশারদগণের মতে এই দুইটি হাদীস সহীহ্‌ নয় । তারা মনে করেন হারিস ইবনু নাবহান হাদীসের হাফিয নন । তাছাড়া কাতাদা-আনাস (রাঃ)-এর সূত্রে এ হাদীসের কোন ভিত্তি আছে বলে আমাদের জানা নেই ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং- ১৭৭৬
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৯৪
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
মা’মার হতে কাতাদার বরাতে আনাস (রাঃ)-এর সূত্রে বর্ণিত আছে, কাউকে দাঁড়িয়ে জুতা পরতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বারণ করেছেন। সহীহ্, দেখুন পূর্বের হাদীস
এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা গারীব বলেছেন । ইমাম বুখারী বলেন, এ হাদীস এবং মামার হতে আম্মার ইবনু আবূ আম্মারের বরাতে আবূ হুরাইরা (রাঃ)-এর সূত্রে বর্ণিত হাদীসটি সহীহ্‌ নয় ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৬. অনুচ্ছেদঃ
এক পায়ে জুতা পরে হাঁটার সম্মতি প্রসঙ্গে
জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং- ১৭৭৭
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৯৫
আইশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেছেন, খুব কমই রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক পায়ে জুতা পরে হেঁটেছেন।
মুনকার, মিশকাত (৪৪১৬)
হাদিসের মানঃ মুনকার
জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং- ১৭৭৮
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৯৬
আইশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক পায়ে জুতা পরে তিনি চলাফিরা করেছেন। সহীহ্‌, প্রাগুক্ত
এই বর্ণনাটি অনেক বেশি সহীহ্‌। আবূ ঈসা বলেন, এটাকে আবদুর রাহমান ইবনুল কাসিমের সূত্রে সুফিয়ান সাওরী ও অপরাপর বর্ণনাকারীগণ মাওকূফভাবে বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৭. অনুচ্ছেদঃ
প্রথমে কোন্‌ পায়ে জুতা পরতে হবে
জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং- ১৭৭৯
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৯৭
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ জুতা পরার সময় আগে ডান পায়ে জুতা পড়বে এবং তা খোলার সময় আগে বাম পায়ের জুতা খুলবে। অতএব জুতা পরার সময় ডান পা প্রথম হবে এবং খোলার সময় ডান পা দ্বিতীয় হবে।
সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ (৩৬১৬), মুসলিম এবং বুখারীও একই অর্থে হাদীস বর্ণনা করেছেন।
এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্‌ বলেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং- ১৭৮০
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৯৮
আইশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বলেছেনঃ তুমি যদি আমার সাথে মিলিত হতে চাও তবে একজন সফরকারীর মত পাথেয় নিয়ে দুনিয়াতে খুশি থাক। আর তুমি ধনীদের সাথে উঠা-বসা ও মেলামেশার ব্যাপারে সতর্ক থাক। তোমার পরনের পোশাক পুরাতন হলেও তাতে তালি না লাগানো পর্যন্ত তা বাতিল করো না। খুবই দুর্বল, যঈফা (১২৯৪), তা’লীকুর রাগীব (৪/৯৮), মিশকাত, তাহকীক ছানী (৪৩৪৪)।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। শুধু সালিহ ইবনু হাসসানের সূত্রেই আমরা এ হাদীসটি জেনেছি। ইমাম বুখারী (রহঃ) বলেছেন, সালিহ ইবনু হাসসান একজন প্রত্যাখ্যাত রাবী। কিন্তু সালিহ ইবনু আবূ হাসসান সিকাহ রাবী, তার সূত্রে ইবনু আবূ যিব হাদীস বর্ণনা করেছেন। “ধনীদের সাথে উঠা-বসার ব্যাপারে সতর্ক থাক”, এই বাক্যের তাৎপর্য আবূ হুরাইরা (রাঃ) বর্ণিত নিম্নোক্ত হাদীসের মতইঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “কেউ যদি দেখে যে, অন্য কোন ব্যক্তিকে তার চেয়ে সুন্দর দৈহিক গঠন ও ধন-সম্পদের অধিকারী করা হয়েছে, তবে সে যেন এই ক্ষেত্রে তার নিজের তুলনায় যাকে কম দেয়া হয়েছে এবং যার উপর তাকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে, তার দিকে দেখে। তাহলে সে (নিজের প্রতি) আল্লাহ তা‘আলা প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধাকে তুচ্ছজ্ঞান করবে না।”
আওন ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু উতবা (রাঃ) বলেন, আমি ধনীদের সাথে উঠা-বসা করি। আমি নিজের চাইতে বেশী বিষণ্ন অন্য কাউকে অনুভব করি না। (আমার ভারাক্রান্ত হৃদয় হওয়ার কারণ এই যে) তাদের যান-বাহন ও পোশাক-পরিচ্ছদ আমার চেয়েও অনেক ভাল দেখতে পাই। আর আমি যখন গরীব লোকদের সাথে মেলামেশা করি তখন অনেক বেশী শান্তি অনুভব করি।
হাদিসের মানঃ খুবই দুর্বল
৩৯. অনুচ্ছেদঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মক্কায় প্রবেশ প্রসঙ্গে
জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং- ১৭৮১
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১১৯৯
উম্মু হানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মক্কায় পদার্পণের সময় তাঁর মাথার চুলে চারটি বেণী ছিল। এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা গারীব বলেছেন। ইমাম বুখারী (রহঃ) বলেন, উম্মু হানী (রাঃ) হতে মুজাহিদ (রহঃ) কিছু শুনেছেন বলে আমার জানা নেই। সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ (৩৬৩১)
অন্য একটি সূত্রেও উম্মু হানী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মক্কায় প্রবেশের সময় তাঁর মাথায় চারটি বেণী ছিল। সহীহ্‌, দেখুন পূর্বের হাদীস
এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা গারীব বলেছেন। আবদুল্লাহ ইবনু আবূ নাজীহ মক্কার অধিবাসী এবং তার নাম ইয়াসার।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৪০. অনুচ্ছেদঃ
সাহাবীদের টুপি কেমন ছিল?
জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং- ১৭৮২
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১২০০
আবূ সাঈদ আবদুল্লাহ ইবনু বুসর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেছেন, আমি আবূ কাবশা আনসারী (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর সাহাবীদের টুপি ছিল মাথা জুড়ে বিস্তৃত। যঈফ, মিশকাত, তাহকীক ছানী (৪৩৩৩)।
আবূ ঈসা বলেছেন, এ হাদীসটি মুনকার। হাদীস বিশারদেদের মতে আবদুল্লাহ ইবনু বুসর হাদীস শাস্ত্রে দুর্বল। প্রখ্যাত হাদীসবেত্তা ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ প্রমুখ তাকে দুর্বল বলেছেন। বুতহুন শব্দের অর্থ প্রশস্ত।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
৪১. অনুচ্ছেদঃ
লুঙ্গির সর্বনিম্ন সীমা
জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং- ১৭৮৩
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১২০১
হুযাইফা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার বা তাঁর জঙ্ঘা (হাঁটুর নিচের মাংসপেশী) ধরে বলেনঃ এটা হল লুঙ্গি বা পায়জামার জায়গা। তুমি না মানতে চাইলে আরও নিচে নামাতে পার। যদি তাও মানতে রাজী না হও তবে জেনে রাখ, লুঙ্গি-পায়জামার পায়ের গোছা স্পর্শ করার কোন অধিকার নেই।
সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ (৩৫৭২)
এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্‌ বলেছেন। এ হাদীসটি আবূ ইসহাকের সূত্রে শুবা এবং সুফিয়ান সাওরীও বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৪২. অনুচ্ছেদঃ
টুপির উপর পাগড়ী বাঁধা
জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং- ১৭৮৪
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১২০২
আবূ জাফর ইবনু মুহাম্মদ ইবনু রুকানা (রহঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ
রুকানা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর সাথে কুস্তি লড়েন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে ভূপাতিত করেন। রুকানা (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ আমাদের ও মুশরিকদের মধ্যে পার্থক্য হল টুপির উপর পাগড়ী পরা।
যঈফ, মিশকাত (৪৩৪০), ইরওয়া (১৫০৩)।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। এর সনদ সঠিক নয়। আমরা আবূল হাসান আসকালানীকেও চিনি না এবং ইবনু রুকানাকেও না।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
৪৩. অনুচ্ছেদঃ
লোহার আংটি
জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং- ১৭৮৫
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১২০৩
আবদুল্লাহ ইবনু বুরাইদা (রহঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ
বুরাইদা (রাঃ) বলেছেন, এক ব্যক্তি লোহার আংটি পরে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর নিকটে এলে তিনি বলেনঃ তোমার কাছ থেকে জাহান্নামবাসীদের অলংকার ফেলে দাও। সে ফিরে গিয়ে আবার পিতলের আংটি পরে তাঁর নিকটে এলে তিনি বললেনঃ কি ব্যাপার! আমি তোমার হতে মূর্তির গন্ধ পাচ্ছি? এবার সে ফিরে গিয়ে সোনার আংটি পরে তাঁর নিকটে এলে তিনি বললেনঃ কি ব্যাপার! আমি তোমাকে জান্নাতীদের অলংকার পরা দেখতে পাচ্ছি? তখন সে বলল, আমি কিসের আংটি বানাব? তিনি বললেনঃ এক মিসকালের (সাড়ে চার মাসা) কম রূপা দিয়ে আংটি বানাও।
যঈফ, মিশকাত (৪৩৯৬), আদাবু যিফাফ (১২৮)।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি পারীব। এ অনুচ্ছেদে আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর এবং আবদুল্লাহ ইবনু মুসলিম (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবদুল্লাহ ইবনু মুসলিমের ডাকনাম আবূ তাইবা আল-মারওয়াযী।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
৪৪. অনুচ্ছেদঃ
আংটি কোন্‌ আঙ্গুলে পরতে হবে?
জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং- ১৭৮৬
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১২০৪
আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আলী (রাঃ)-কে আমি বলতে শুনেছিঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে রেশমী কাপড় পরতে, লাল জিনপোষের উপর বসতে এবং আমার আংটি এই এই আঙ্গুলে পরতে বারণ করেছেন। এই বলে তিনি তাঁর তর্জনী ও মধ্যমার দিকে ইশারা করেন।
এই অথবা এই আঙ্গুলে শব্দে হাদীসটি সহীহ্‌, বর্ণনাকারী আসিম সন্দেহ করেছেন। যঈফা (৫৪৯৯), মুসলিম
এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্‌ বলেছেন। আবূ মূসা (রাঃ)-এর ছেলের নাম আমির এবং উপনাম আবূ বুরদা। পিতা আব্দুল্লাহ ইবনু কাইস
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
৪৫. অনুচ্ছেদঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পছন্দনীয় পোশাক
জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং- ১৭৮৭
পিএমএমআরসি হাদিস নং-১২০৫
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যেসব পোশাক পরতেন তার মধ্যে আঁচলবিশিষ্ট (ইয়ামানী) চাদর তাঁর নিকট সবচাইতে বেশি পছন্দের ছিল।
সহীহ্‌, মুখতাসার শামা-ইল মুহাম্মাদীয়া (৫১), নাসা-ঈ
এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্‌ গারীব বলেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
(সুনান আত তিরমিজি সমাপ্ত)
(হাদিস গ্রন্থ সহিহ বুখারী হতে পোশাক সংক্রান্ত হাদিসসমূহ জানতে
প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে আপনি Facebook, Twitter, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Addressসহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন।
“তোমরাই শ্রেষ্ঠ উম্মত, মানুষের (কল্যাণের) জন্য তোমাদেরকে বের করা হয়েছে। তোমরা মানুষকে সৎ কাজের আদেশ করবে এবং অসৎকাজ থেকে নিষেধ করবে।” (সূরা আল-ইমরান, আয়াত-১১০)
“তার চেয়ে ভাল কথা আর কি হতে পারে, যে মানুযকে আল্লাহর দিকে ডাকে, নিজে নেক আমল করে আর বলে যে, আমি সাধারণ মুসলমানদের মধ্য হতে একজন। (সূরা হা মীম সিজদা আয়াত-৩৩)
নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন:
 “যে হেদায়েতের প্রতি আহবান জানায়, তার জন্য তার অনুসারীদের সমপরিমাণ সওয়াব রয়েছে, তবে তা তাদের সওয়াব থেকে কোন কিছু হ্রাস করবে না। আর যে পথভ্রষ্টতার প্রতি আহবান জানায়, তার ওপর তার অনুসারীদের সমপরিমাণ পাপ আরোপিত, তবে তা তাদের পাপ থেকে কোন কিছু হ্রাস করবে না।” [মুসলিম (২৬৭৪)]
আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আ’স (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “আমার পক্ষ থেকে জনগণকে (আল্লাহর বিধান) পৌঁছে দাও, যদিও একটি আয়াত হয়। বনী-ইস্রাঈল থেকে (ঘটনা) বর্ণনা কর, তাতে কোন ক্ষতি নেই। আর যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে আমার প্রতি মিথ্যা (বা জাল হাদীস) আরোপ করল, সে যেন নিজ আশ্রয় জাহান্নামে বানিয়ে নিল।” 
(বুখারী ৩৪৬১,হাদিস  সম্ভার, হাদিস নং ১৫৪৮, রিয়াদুস সলেহিন, হাদিস নং ১৩৮৮।)
মো: ইজাবুল আলম-এম.এ, সি.ইন,এড (ইসলামিক স্টাডিজ-রংপুর কারমাইকেল ইউনিভার্সিটি  কলেজ, রংপুর), বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ, গবেষক ও লেখক।
ইসলামের অন্যান্য সকল বিষয় সহিহভাবে জানতে 
 

No comments:

Post a Comment

আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করার গুরুত্ব ও ফজিলত

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করার গুরুত্ব ও ফজিলত ভূমিকা: আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাও। নিশ...