বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
বাংলা সহিহ হাদিস সিরিজ-১৪
(পোশাক-পরিচ্ছদ অধ্যায়)
হাদিস গ্রন্থ--আল লু'লু ওয়াল মারজান- তাওহীদ পাবলিকেশন
(১৪৫২- ১৪৯৪টি মোট ৪৩টি হাদিস)
(আল লু'লু ওয়াল মারজান-সহিহ ও জাল-জইফ হাদিস চিহ্নিত/নির্নিত)
৩৭
|
পোষাক ও অলঙ্কার
|
১৩৩৭-১৩৭৯
|
৩৭/১.
পুরুষ ও মহিলা উভয়ের
জন্য স্বর্ণ ও রৌপ্যের পাত্র ব্যবহার ও তা থেকে পানি পান করা নিষিদ্ধ।
আল লু'লু ওয়াল
মারজান হাদিস নং-১৩৩৭
পিএমএমআরসি হাদিস
নং-১৪৫২
উম্মু সালামাহ
(রাঃ থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রূপার পাত্রে পান করে সে তো তার উদরে জাহান্নামের
আগুন প্রবেশ করায়। (বুখারী পর্ব ৭৪ অধ্যায় ২৮ হাদীস নং ৫৬৩৪; মুসলিম ৩৭/১, হাঃ ২০৬৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
আল লু'লু ওয়াল
মারজান হাদিস নং- ১৩৩৮
পিএমএমআরসি হাদিস
নং-১৪৫৩
বারাআ ইবনু ‘আযিব
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের সাতটি জিনিসের হুকুম দিয়েছেন এবং সাতটি
জিনিস থেকে নিষেধ করেছেন। তিনি আমাদের হুকুম দিয়েছেনঃ রোগীর সেবা করতে, জানাযার পেছনে
যেতে, হাঁচি দানকারীর জবাব দিতে, দাওয়াতকারীর দাওয়াত গ্রহণ করতে, অধিক অধিক সালাম দিতে,
মাযলুমের সাহায্য করতে এবং কসমকারীকে কসম ঠিক রাখার সুযোগ করে দিতে। আর আমাদের তিনি
নিষেধ করছেনঃ স্বর্ণের আংটি ব্যবহার করতে, কিংবা তিনি বলেছেন, রূপার পাত্রে পানি পান
করতে, মায়াসির অর্থাৎ এক জাতীয় নরম ও মসৃন রেশমী কাপড় কালসী অর্থাৎ রেশম মিশ্রিত কাপড়
ব্যবহার করতে এবং পাতলা কিংবা মোটা এবং অলঙ্কার খচিত রেশমী কাপড় ব্যবহার করতে। (বুখারী
পর্ব ৭৪ অধ্যায় ২৮ হাদীস নং ৫৬৩৫; মুসলিম ৩৭/১, হাঃ ২০৬৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
আল লু'লু ওয়াল
মারজান হাদিস নং- ১৩৩৯
পিএমএমআরসি হাদিস
নং-১৪৫৪
আবদুর রহমান ইবনু
আবূ লাইলা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একবার
তাঁরা হুযাইফাহ (রাঃ)-এর কাছে উপস্থিত ছিলেন। তিনি পানি পান করতে চাইলে এক অগ্নি উপাসক
তাঁকে পানি এনে দিল। সে যখনই পাত্রটি তাঁর হাতে রাখল, তিনি সেটা ছুঁড়ে মারলেন এবং বললেন,
আমি যদি একবার বা দু’বারের অধিক তাকে নিষেধ না করতাম, তাহলেও হতো। অর্থাৎ তিনি যেন
বলতে চান, তা হলেও আমি এরূপ করতাম না। কিন্তু আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ তোমরা রেশম বা রেশম জাত কাপড় পরিধান করো না এবং সোনা
ও রূপার পাত্রে পান করো না এবং এগুলোর বাসনে আহার করো না। কেননা পৃথিবীতে এগুলো কাফিরদের
জন্য আর পরকালে তোমাদের জন্য। (বুখারী পর্ব ৭০ অধ্যায় ২৯ হাদীস নং ৫৪২৬; মুসলিম ৩৭/১,
হাঃ ২০৬৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
আল লু'লু ওয়াল
মারজান হাদিস নং- ১৩৪০
পিএমএমআরসি হাদিস
নং-১৪৫৫
আবদুল্লাহ্ ইব্নু
‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উমার ইব্নু খাত্তাব
(রাঃ) মাসজিদে নববীর দরজার নিকটে এক জোড়া রেশমী পোষাক (বিক্রি হতে) দেখে নাবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বললেন, হে আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)!
যদি এটি আপনি খরিদ করতেন আর জুমু‘আহ’র দিন এবং যখন আপনার নিকট প্রতিনিধি দল আসে তখন
আপনি তা পরিধান করতেন। তখন আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ
এটা তো সে ব্যক্তিই পরিধান করে, আখিরাতে যার (মঙ্গলের) কোন অংশ নেই।
অতঃপর আল্লাহর রাসূল
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এ ধরনের কয়েক জোড়া পোষাক আসে, তখন তার
এক জোড়া তিনি ‘উমার (রাঃ)-কে প্রদান করেন। ‘উমার (রাঃ) আরয করলেন, হে আল্লাহ্র রাসূল
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আপনি আমাকে এটি পরিধান করতে দিলেন অথচ আপনি উতারিদের
(রেশম) পোষাক সম্পর্কে যা বলার তা তো বলেছিলেন। তখন আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমি তোমাকে এটি নিজের পরিধানের জন্য প্রদান করিনি। ‘উমার ইব্নু
খাত্তাব (রাঃ) তখন এটি মাক্কায় তাঁর এক ভাইকে দিয়ে দেন, যে তখন মুশরিক ছিল। (বুখারী
পর্ব ১১ অধ্যায় ৭ হাদীস নং ৮৮৬; মুসলিম ৩৭/১, হাঃ ২০৬৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
আল লু'লু ওয়াল
মারজান হাদিস নং- ১৩৪১
পিএমএমআরসি হাদিস
নং-১৪৫৬
ক্বাতাদাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
আবূ ‘উসমান নাহদী
(রাঃ)-এর থেকে বলেনঃ আমাদের কাছে ‘উমার (রাঃ)-এর থেকে এক পত্র আসে, এ সময় আমরা ‘উত্বাহ
ইবনু ফারকাদের সঙ্গে আযারবাইজানে অবস্থান করছিলাম। (তাতে লেখা ছিল :) রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রেশম ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন, তবে এতটুকু এবং
ইশারা করলেন, বৃদ্ধ আঙ্গুলের সাথে মিলিত দু’আঙ্গুল দ্বারা (বর্ণনাকারী বলেন :) আমরা
বুঝলাম যে (বৈধতার পরিমাণ) জানিয়ে তিনি পাড় ইত্যাদি উদ্দেশ্য করেছেন। (বুখারী পর্ব
৭৭ অধ্যায় ২৫ হাদীস নং ৫৮২৮; মুসলিম পর্ব ৩৭/ হাঃ ২০৬৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
আল লু'লু ওয়াল
মারজান হাদিস নং- ১৩৪২
পিএমএমআরসি হাদিস
নং-১৪৫৭
আলী (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে একজোড়া রেশমী কাপড় দিলেন। আমি তা পরিধান
করলাম। তাঁর মুখমণ্ডলে গোস্বার ভাব দেখতে পেয়ে আমি আমার মহিলাদের মাঝে তা ভাগ করে দিয়ে
দিলাম। (বুখারী পর্ব ৫১ অধ্যায় ২৭ হাদীস নং ২৬১৪; মুসলিম ৩৭/১ হাঃ ২০৭১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
আল লু'লু ওয়াল
মারজান হাদিস নং- ১৩৪৩
পিএমএমআরসি হাদিস
নং-১৪৫৮
আনাস ইবনু মালিক
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
শু’বাহ (রহঃ) বলেন,
আমি জিজ্ঞেস করলামঃ এ কথা কি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত?
তিনি জোর দিয়ে বললেনঃ হ্যাঁ। নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত।
যে ব্যক্তি দুনিয়ায় রেশমী কাপড় পরিধান করবে, সে আখিরাতে তা কখনও পরিধান করতে পারবে
না। (বুখারী পর্ব ৭৭ অধ্যায় ২৫ হাদীস নং ৫৮৩২; মুসলিম পর্ব ৩৭/ হাঃ ৬০৭৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
আল লু'লু ওয়াল
মারজান হাদিস নং- ১৩৪৪
পিএমএমআরসি হাদিস
নং-১৪৫৯
উকবাহ ইব্নু
‘আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ নাবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে একটা রেশমী জুব্বা হাদিয়া হিসেবে দেয়া হয়েছিল।
তিনি তা পরিধান করে সলাত আদায় করলেন। কিন্তু সলাত শেষ হওয়ার সাথে সাথে দ্রুত তা খুলে
ফেললেন, যেন তিনি তা পরা অপছন্দ করছিলেন। অতঃপর তিনি বললেনঃ মুত্তাকীদের জন্যে এ পোশাক
সমীচীন নয়।* (বুখারী পর্ব ৮ অধ্যায় ১৬ হাদীস নং ৩৭৫; মুসলিম ৩৭/১৫, হাঃ ২০৭৫)
*পুরুষের জন্য
রেশমি কাপড় পরিধান হারাম হওয়ার পূর্বের ঘটনা এটি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৭/৩.
চুলকানি বা চর্মরোগের
কারণে পুরুষের জন্য রেশমি কাপড় ব্যবহার বৈধ।
আল লু'লু ওয়াল
মারজান হাদিস নং- ১৩৪৫
পিএমএমআরসি হাদিস
নং-১৪৬০
আনাস (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আবদুর রহমান ইব্নু ‘আওফ (রাঃ) ও যুবায়র (রাঃ)-কে তাদের শরীরে
চুলকানি থাকায় রেশমী জামা পরিধান করতে অনুমতি দিয়েছিলেন। (বুখারী পর্ব ৫৬ অধ্যায় ৯১
হাদীস নং ২৯১৯; মুসলিম ৩৭/৩ হাঃ ২০৭৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৭/৫.
হিবরা কাপড় পরিধানের
মর্যাদা।
আল লু'লু ওয়াল
মারজান হাদিস নং- ১৩৪৬
পিএমএমআরসি হাদিস
নং-১৪৬১
ক্বাতাদাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আনাস
(রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলামঃ কোন্ জাতীয় কাপড় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর
নিকট অধিক প্রিয় ছিল? তিনি বললেনঃ হিবারা-ইয়ামনী চাদর। (বুখারী পর্ব ৭৭ অধ্যায় ১৮ হাদীস
নং ৫৮১২; মুসলিম ৩৭/৫, হাঃ ২০৭৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৭/৬.
পোষাকে বিনয়ী হওয়া
শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় সংখ্যক মোটা কাপড়কে যথেষ্ট মনে করা, কম মূল্যের পোষাক, কম্বল,
বিছানা ব্যবহার করা, উটের লোম থেকে তৈরি কাপড় আর তাতে যা উপাদেয় পাওয়া যায় তা ব্যবহার
করা বৈধ।
আল লু'লু ওয়াল
মারজান হাদিস নং- ১৩৪৭
পিএমএমআরসি হাদিস
নং-১৪৬২
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর চাদর গায়ে দিয়ে সলাত আদায় করলেন। চাদরটি ছিল
কারুকার্য খচিত। তিনি কারুকার্যের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকালেন, তারপর সালাম ফিরিয়ে বললেনঃএ
চাদরটি আবূ জাহমের কাছে নিয়ে যাও। কারণ, এখনই তা আমাকে সলাত থেকে অন্যমনস্ক করে দিয়েছে।
আর আবূ জাহম ইবনু হুযাইফার ‘আনবিজানিয়্যা’ (কারুকার্যবিহীন চাদর)-টি আমার জন্যে নিয়ে
এসো। সে হচ্ছে আদী ইবনু কা‘ব গোত্রের লোক। (বুখারী পর্ব ৭৭ অধ্যায় ১৯ হাদীস নং ৫৮১৮;
মুসলিম)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৭/৭.
কার্পেট ব্যবহার
করা বৈধ।
আল লু'লু ওয়াল
মারজান হাদিস নং- ১৩৪৮
পিএমএমআরসি হাদিস
নং-১৪৬৩
জাবির (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিজ্ঞেস করলেন, তোমাদের নিকট আনমাত (গালিচার কার্পেট) আছে কি?
আমি বললাম আমরা তা পাব কোথায়? তিনি বললেন, শীঘ্রই তোমরা আনমাত লাভ করবে। তখন আমি আমার
স্ত্রীকে বলি, আমার বিছানা হতে এটা সরিয়ে দাও। তখন সে বলল, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) কি বলেননি যে, শীঘ্রই তোমরা আনমাত পেয়ে যাবে? তখন আমি তা রাখতে দেই।
(বুখারী পর্ব ৬১ অধ্যায় ২৫ হাদীস নং ৩৬৩১; মুসলিম ৩৭/৭, হাঃ ২০৮৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৭/৯.
অহঙ্কার করে কাপড়
ছেচড়ানো হারাম এবং কাপড় কতটুকু লটকানো জায়িয এবং এর মুস্তাহাব বিধান কী?
আল লু'লু ওয়াল
মারজান হাদিস নং- ১৩৪৯
পিএমএমআরসি হাদিস
নং-১৪৬৪
ইবনু ‘উমার (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ সে ব্যক্তির দিকে (রহমতের দৃষ্টিতে) তাকাবেন না,
যে অহঙ্কারের সাথে তার (পরিধেয়) পোশাক টেনে চলে। (বুখারী পর্ব ৭৭ অধ্যায় ১ হাদীস নং
৫৭৮৩; মুসলিম ৩৭/৮, হাঃ ২০৮৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
আল লু'লু ওয়াল
মারজান হাদিস নং- ১৩৫০
পিএমএমআরসি হাদিস
নং-১৪৬৫
আবূ হুরাইরাহ
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ ক্বিয়ামাতের দিন সে ব্যক্তির দিকে (রহমতের) দৃষ্টি
দিবেন না, যে ব্যক্তি অহঙ্কারবশে লুঙ্গি (পোশাক) ঝুলিয়ে পরে। (বুখারী পর্ব ৭৭ অধ্যায়
৫ হাদীস নং ৫৭৮৮; মুসলিম ৩৭/৩৯, হাঃ ২০৮৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৭/১০.
পোষাকের পারিপাট্যে
অতি উৎফুল্ল হয়ে গর্বভরে চলার নিষিদ্ধতা।
আল লু'লু ওয়াল
মারজান হাদিস নং- ১৩৫১
পিএমএমআরসি হাদিস
নং-১৪৬৬
আবূ হুরাইরাহ
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তথা আবুল কাসিম বলেছেনঃ এক ব্যক্তি আকর্ষণীয় জোড়া কাপড় পরিধান
করতঃ চুল আঁচড়াতে আঁচড়াতে পথ অতিক্রম করছিল; হঠাৎ আল্লাহ তাকে মাটির নীচে ধ্বসিয়ে দেন।
ক্বিয়ামাত অবধি সে এভাবে ধ্বসে যেতে থাকবে। [বুখারী পর্ব ৭৭ অধ্যায় ৫ হাদীস নং ৫৭৮৯,
মুসলিম ৩৭/১০ হাঃ ২০৮৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৭/১১.
স্বর্ণের আংটি ছুঁড়ে
ফেলে দেয়া।
আল লু'লু ওয়াল
মারজান হাদিস নং- ১৩৫২
পিএমএমআরসি হাদিস
নং-১৪৬৭
আবূ হুরাইরাহ
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) স্বর্ণের আংটি ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন। (বুখারী পর্ব ৭৭ অধ্যায়
৪৫ হাদীস নং ৫৮৬৪; মুসলিম ৩৭/১১, হাঃ ২০৮৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
আল লু'লু ওয়াল
মারজান হাদিস নং- ১৩৫৩
পিএমএমআরসি হাদিস
নং-১৪৬৮
ইব্নু ‘উমার
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি স্বর্ণের আংটি তৈরি করালেন এবং তিনি তা পরিধান করতেন। পরিধানকালে
তার পাথরটি হাতের ভিতরের দিকে রাখলেন। তখন লোকেরাও (এরূপ) করল। এরপর তিনি মিম্বরের
উপর বসে তা খুলে ফেললেন এবং বললেনঃ আমি এ আংটি পরিধান করেছিলাম। এবং তার পাথর হাতের
ভিতরের দিকে রেখেছিলাম। অতঃপর তিনি তা ছুড়ে ফেলে দিলেন। আর বললেনঃ আল্লাহ্র কসম! আমি
এ আংটি আর কোনদিন পরিধান করব না! তখন লোকেরাও আপন আপন আংটিগুলো খুলে ফেলল। (বুখারী
পর্ব ৮৩ অধ্যায় ৬ হাদীস নং ৬৬৫১; মুসলিম ৩৭/১১ হাদীস নং ২০৯১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৭/১২.
মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রৌপ্যের আংটি পরিধান করেছিলেন যাতে খোদাই করা ছিল ‘মুহাম্মাদ
রাসূলুল্লাহ’। তার পরে তাঁর খালীফাগণ সেটা পরিধান করেছিলেন।
আল লু'লু ওয়াল
মারজান হাদিস নং- ১৩৫৪
পিএমএমআরসি হাদিস
নং-১৪৬৯
ইবনু ‘উমার (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রূপার একটি আংটি তৈরী করেন। সেটি তাঁর হাতে ছিল।
এরপর তা আবূ বকর (রাঃ) -এর হাতে আসে। পরে তা ‘উমার (রাঃ)-এর হাতে আসে। এরপর তা ‘উসমান
(রাঃ)-এর হাতে আসে। শেষকালে তা ‘আরীস নামক এক কূপের মধ্যে পড়ে যায়। তাতে অঙ্কিত ছিল
‘মুহাম্মাদ রাসূলুল্লাহ(আরবী)’। (বুখারী পর্ব ৭৭ অধ্যায় ৫০ হাদীস নং ৫৮৭৩; মুসলিম ৩৭/১২
হাঃ ২০৯১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
আল লু'লু ওয়াল
মারজান হাদিস নং- ১৩৫৫
পিএমএমআরসি হাদিস
নং-১৪৭০
আনাস (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি আংটি তৈরী করেন। তারপর তিনি বলেনঃ আমি একটি
আংটি তৈরী করেছি এবং তাতে একটি নক্সা করেছি। সুতরাং কেউ যেন নিজের আংটিতে নক্সা না
করে। তিনি (আনাস) বলেনঃ আমি যেন তাঁর কনিষ্ঠ আঙ্গুলে আংটিটির দ্যূতি (এখনও) দেখতে পাচ্ছি।
(বুখারী পর্ব ৭৭ অধ্যায় ৫১ হাদীস নং ৫৮৭৪; মুসলিম ৩৭/১২ হাঃ ২০৯২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৭/১৩.
নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আংটি পরিধান করা, যখন তিনি অনারবদের নিকট পত্র লেখার ইচ্ছে
করলেন।
আল লু'লু ওয়াল
মারজান হাদিস নং- ১৩৫৬
পিএমএমআরসি হাদিস
নং-১৪৭১
আনাস ইব্নু মালিক
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একখানা পত্র লিখলেন অথবা একখানা পত্র লিখতে ইচ্ছে
পোষণ করলেন। তখন তাঁকে বলা হল, তারা (রোমবাসী ও অনারবরা) সীলমোহর ব্যতীত কোন পত্র পাঠ
করেনা। অতঃপর তিনি রূপার একটি আংটি (মোহর) তৈরি করিয়ে নিলেন যাতে খোদিত ছিল (মুহাম্মাদুর
রাসূলুল্লাহ)। আমি যেন তাঁর হাতে সে আংটির শুভ্রতা দেখতে পাচ্ছি। (বুখারী পর্ব ৩ অধ্যায়
৭ হাদীস নং ৬৫; মুসলিম ৩৭/১২ হাঃ ২০৯২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৭/১৪.
আংটি ছুঁড়ে ফেলে
দেয়া।
আল লু'লু ওয়াল
মারজান হাদিস নং- ১৩৫৭
পিএমএমআরসি হাদিস
নং-১৪৭২
আনাস ইবনু মালিক
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি একদিন রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হাতে রূপার একটি আংটি দেখেছেন। তারপর লোকেরাও
রূপার আংটি তৈরি করে এবং ব্যবহার করে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
পরে তাঁর আংটি পরিহার করেন। লোকেরাও তাদের আংটি পরিহার করে। (বুখারী পর্ব ৭৭ অধ্যায়
৪৭ হাদীস নং ৫৮৬৮; মুসলিম ৩৭/১৪, হাঃ ২০৯৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৭/১৯.
যখন জুতা পরবে তখন
ডান পা এবং যখন জুতা খুলবে তখন বাম পা দ্বারা আরম্ভ করবে।
আল লু'লু ওয়াল
মারজান হাদিস নং- ১৩৫৮
পিএমএমআরসি হাদিস
নং-১৪৭৩
আবূ হুরাইরাহ
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন তোমাদের কেউ জুতা পরিধান করে তখন সে ডান দিক থেকে
আরম্ভ করে, আর যখন খোলে তখন সে যেন বাম দিকে আরম্ভ করে, যাতে পরার বেলায় উভয় পায়ের
মধ্যে ডান পা প্রথমে হয় এবং খোলার সময় শেষে হয়। (বুখারী পর্ব ৭৭ অধ্যায় ৩৯ হাদীস নং
৫৮৫৬; মুসলিম ৩৭/১৯, হাঃ ২০৯৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
আল লু'লু ওয়াল
মারজান হাদিস নং- ১৩৫৯
পিএমএমআরসি হাদিস
নং-১৪৭৪
আবূ হুরাইরাহ
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ এক পায়ে জুতা পরে যেন না হাঁটে। হয় উভয় পা
সম্পূর্ণ খোলা রাখবে অথবা উভয় পায়ে পরিধান করবে। (বুখারী পর্ব ৭৭ অধ্যায় ৪০ হাদীস নং
৫৮৫৫; মুসলিম ৩৭/১৯, হাঃ ২০৯৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৭/২২.
চিত হয়ে এক পা আরেক
পা-র উপর রেখে শোয়া বৈধ।
আল লু'লু ওয়াল
মারজান হাদিস নং- ১৩৬০
পিএমএমআরসি হাদিস
নং-১৪৭৫
আবদুল্লাহ ইব্নু যায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি আল্লাহর রাসূল
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে মাসজিদে চিত হয়ে এক পায়ের উপর আরেক পা রেখে
শুয়ে থাকতে দেখেছেন। (বুখারী পর্ব ৮ অধ্যায় ৮৫ হাদীস নং ৪৭৫; মুসলিম ৩৭/২২, হাঃ ২১০০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৭/২৩.
পুরুষের জন্য জাফরান
রং ব্যবহার করা নিষিদ্ধ।
আল লু'লু ওয়াল
মারজান হাদিস নং- ১৩৬১
পিএমএমআরসি হাদিস
নং-১৪৭৬
আনাস (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পুরুষদের জাফরানী রং-এর কাপড় পরিধান করতে নিষেধ
করেছেন। (বুখারী পর্ব ৭৭ অধ্যায় ৩৩ হাদীস নং ৫৮৪৬; মুসলিম ৩৭/২৩, হাঃ ২১০১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৭/২৫.
রঙে ইয়াহূদীদের বিরোধিতা
করা।
আল লু'লু ওয়াল
মারজান হাদিস নং- ১৩৬২
পিএমএমআরসি হাদিস
নং-১৪৭৭
আবূ হুরাইরাহ্
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহর
রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ইয়াহূদী ও নাসারারা রং লাগায় না।
অতএব তোমরা তাদের বিপরীত কাজ কর। (বুখারী পর্ব ৬০ অধ্যায় ৫০ হাদীস নং ৩৪৬২; মুসলিম
৩৭/২৫ হাঃ ২১০৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৭/২৬.
যে ঘরে কুকুর ও ছবি
আছে সে ঘরে মালাইকাহ প্রবেশ করে না।
আল লু'লু ওয়াল
মারজান হাদিস নং- ১৩৬৩
পিএমএমআরসি হাদিস
নং-১৪৭৮
আবূ ত্বলহা (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আল্লাহর
রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, যে বাড়িতে কুকুর থাকে আর
প্রাণীর ছবি থাকে সেথায় ফেরেশতা প্রবেশ করে না। (বুখারী পর্ব ৫৯ অধ্যায় ৭ হাদীস নং
৩২২৫; মুসলিম ৩৭/২৬ হাঃ ২১০৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
আল লু'লু ওয়াল
মারজান হাদিস নং- ১৩৬৪
পিএমএমআরসি হাদিস
নং-১৪৭৯
আবূ ত্বলহা (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘যে বাড়িতে প্রাণীর ছবি থাকে সেখানে ফেরেশতা প্রবেশ করে
না।’ বুস্র (রহ.) বলেন, অতঃপর যায়িদ ইব্নু খালিদ (রাঃ) রোগাক্রান্ত হন। আমরা তাঁর
সেবার জন্য গেলাম। তখন আমরা তাঁর ঘরে একটি পর্দায় কিছু ছবি দেখতে পেলাম। তখন আমি (বুস্র)
ওবায়দুল্লাহ খাওলানী (রহ.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, ইনি কি আমাদের নিকট ছবি সম্পর্কীত হাদীস
বর্ণনা করেননি? তখন তিনি বললেন, তিনি বলেছেন, প্রাণীর; তবে কাপড়ের মধ্যে কিছু অংকণ
করা নিষিদ্ধ নয়, তুমি কি তা শুননি? আমি বললাম, না। তিনি বললেন, হ্যাঁ, তিনি তা বর্ণনা
করেছেন। (বুখারী পর্ব ৫৯ অধ্যায় ৭ হাদীস নং ৩২২৬; মুসলিম ৩৭/২৬ হাঃ ২১০৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
আল লু'লু ওয়াল
মারজান হাদিস নং- ১৩৬৫
পিএমএমআরসি হাদিস
নং-১৪৮০
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (তাবূক যুদ্ধের) সফর থেকে প্রত্যাগমন করলেন। আমি
আমার কক্ষে পাতলা কাপড়ের পর্দা টাঙিয়েছিলাম। তাতে ছিল (প্রাণীর) অনেকগুলো ছবি। রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন এটা দেখলেন, তখন তা ছিঁড়ে ফেললেন এবং বললেনঃ
ক্বিয়ামাতের দিন সে সব মানুষের সবচেয়ে কঠিন আযাব হবে, যারা আল্লাহ্র সৃষ্টির (প্রাণীর)
অনুরূপ তৈরী করবে। ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেনঃ এরপর আমরা তা দিয়ে একটি বা দু’টি বসার আসন তৈরী
করি। (বুখারী পর্ব ৭৭ অধ্যায় ৯১ হাদীস নং ৫৯৫৪; মুসলিম ৩৭/২৬, হাঃ ২১০৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
আল লু'লু ওয়াল
মারজান হাদিস নং- ১৩৬৬
পিএমএমআরসি হাদিস
নং-১৪৮১
উম্মুল মু’মিনীন
‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, তিনি
একটি ছবিওয়ালা বালিশ ক্রয় করেন। আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
তা দেখতে পেয়ে দরজায় দাঁড়িয়ে গেলেন, ভিতরে প্রবেশ করলেন না। আমি তাঁর চেহারায় অসন্তুষ্টির
ভাব দেখতে পেলাম। তখন বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)!
আমি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের কাছে তাওবাহ করছি। আমি কী অপরাধ করেছি? তখন আল্লাহর রাসূল
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, এ বালিশের কী ব্যাপার? ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেন,
আমি বললাম, আমি এটি আপনার জন্য ক্রয় করেছি, যাতে আপনি টেক লাগিয়ে বসতে পারেন। তখন আল্লাহর
রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, এই ছবি তৈরিকারীদের ক্বিয়ামাতের দিন
শাস্তি দেয়া হবে। তাদের বলা হবে, তোমরা যা তৈরী করেছিলে, তা জীবিত কর। তিনি আরো বলেন,
যে ঘরে এ সব ছবি থাকে, সে ঘরে (রহমতের) মালাইকা প্রবেশ করেন না। (বুখারী পর্ব ৩৬ অধ্যায়
৪০ হাদীস নং ২১০৫; মুসলিম ৩৭/২৬, হাঃ ২১০৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
আল লু'লু ওয়াল
মারজান হাদিস নং- ১৩৬৭
পিএমএমআরসি হাদিস
নং-১৪৮২
আবদুল্লাহ ইবনু
‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যারা এই ছবি তৈরী করে তাদেরকে কিয়ামাত দিবসে শাস্তি প্রদান
করা হবে এবং বলা হবে তোমরা যা তৈরী করেছিলে তাতে জীবন দান কর। (বুখারী পর্ব ৭৭ অধ্যায়
৮৯ হাদীস নং ৫৯৫১; মুসলিম ৩৭/২৬ হাঃ ২১০৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
আল লু'লু ওয়াল
মারজান হাদিস নং- ১৩৬৮
পিএমএমআরসি হাদিস
নং-১৪৮৩
আবদুল্লাহ ইবনু
মাস‘ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, (ক্বিয়ামাতের দিন) মানুষের মধ্যে
সবচেয়ে কঠিন শাস্তি হবে তাদের, যারা ছবি বানায়। (বুখারী পর্ব ৭৭ অধ্যায় ৮৯ হাদীস নং
৫৯৫০; মুসলিম ৩৭/২৬, হাঃ ২১০৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
আল লু'লু ওয়াল
মারজান হাদিস নং- ১৩৬৯
পিএমএমআরসি হাদিস
নং-১৪৮৪
সা‘ঈদ ইবনু আবুল
হাসান (রহ.) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ইবনু
‘আব্বাস (রাঃ)-এর নিকট উপস্থিত ছিলাম, এমন সময়ে তাঁর কাছে এক ব্যক্তি এসে বলল, হে আবূ
আব্বাস! আমি এমন ব্যক্তি যে, আমার জীবিকা হস্তশিল্পে। আমি এসব ছবি তৈরী করি। ইবনু
‘আব্বাস তাঁকে বলেন, (এ বিষয়ে) আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে
আমি যা বলতে শুনেছি, তাই তোমাকে শোনাব। তাঁকে আমি বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি কোন ছবি
তৈরী করে আল্লাহ তা‘আলা তাকে শাস্তি দিবেন, যতক্ষণ না সে তাতে প্রাণ সঞ্চার করে। আর
সে তাতে কখনো প্রাণ সঞ্চার করতে পারবে না। (এ কথা শুনে) লোকটি ভীষণভাবে ভয় পেয়ে গেল
এবং তার চেহারা ফ্যাকাশে হয়ে গেল। এতে ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বললেন, আক্ষেপ তোমার জন্য,
তুমি যদি এ কাজ না-ই ছাড়তে পার, তবে এ গাছপালা এবং যে সকল বস্তুতে প্রাণ নেই, তা তৈরী
করতে পার। (বুখারী পর্ব ৩৪ অধ্যায় ১০৪ হাদীস নং ২২২৫; মুসলিম ৩৭/২৬, হাঃ ২১১০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
আল লু'লু ওয়াল
মারজান হাদিস নং- ১৩৭০
পিএমএমআরসি হাদিস
নং-১৪৮৫
আবূ যুর‘আ (রহ.)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আবূ
হুরাইরাহ (রাঃ)-এর সাথে মাদীনাহর এক ঘরে প্রবেশ করি। ঘরের উপরে এক ছবি নির্মাতাকে তিনি
ছবি তৈরী করতে দেখলেন। তিনি বললেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে
বলতে শুনেছি: (আল্লাহ বলেছেন) ঐ ব্যক্তির চেয়ে অধিক যালিম আর কে, যে আমার সৃষ্টির অনুরূপ
কোন কিছু সৃষ্টি করতে যায়? তা হলে তারা একটি দানা সৃষ্টি করুক অথবা একটি অণু পরিমাণ
কণা সৃষ্টি করুক? (বুখারী পর্ব ৭৭ অধ্যায় ৯০ হাদীস নং ৫৯৫৩; মুসলিম ৩৭/২৬, হাঃ ২১১১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৭/২৮.
উটের গলায় ধনুকের
রশির গোলাকার মাল্য পরানো মাকরূহ।
আল লু'লু ওয়াল
মারজান হাদিস নং- ১৩৭১
পিএমএমআরসি হাদিস
নং-১৪৮৬
আবূ বাশীর আল-আনসারী
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, কোন এক
সফরে তিনি আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে ছিলেন। (রাবী)
‘আবদুল্লাহ্ বলেন, আমার মনে হয়, তিনি (আবূ বাশীর আনসারী) বলেছেন যে, মানুষ শয্যায় ছিল।
তখন আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একজন সংবাদ বহনকারীকে পাঠালেন
যে, কোন উটের গলায় যেন ধনুকের রশির মালা কিংবা মালা না ঝুলে, আর ঝুললে তা যেন কেটে
ফেলা হয়। (জাহেলী যুগে উটের গলায় এক ধরণের মালা এ উদ্দেশ্যে লটকানো হতো যাতে উট নজর
লাগা থেকে রক্ষা পায়। আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এই ভ্রান্ত
ধারণা দূরীকরণের জন্যে এই নির্দেশ প্রদান করেন।) (বুখারী পর্ব ৫৬ অধ্যায় ১৩৯ হাদীস
নং ৩০০৫; মুসলিম ৩৭/২৮ হাঃ ২১১৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৭/৩০.
পশুর গায়ে চিহ্ন
লাগানো মুখ বাদ দিয়ে যাকাত ও জিযিয়ার পশুর চিহ্ন লাগানো উত্তম।
আল লু'লু ওয়াল
মারজান হাদিস নং- ১৩৭২
পিএমএমআরসি হাদিস
নং-১৪৮৭
আনাস (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ উম্মু
সুলাইম (রাঃ) যখন একটি সন্তান প্রসব করলেন তখন আমাকে জানালেন, হে আনাস! শিশুটিকে দেখ,
যেন সে কিছু না খায়, যতক্ষণ না তুমি একে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর
নিকট নিয়ে যাও, তিনি এর তাহনীক করবেন। আমি তাকে নিয়ে গেলাম। দেখলাম, তিনি একটি বাগানে
আছেন, আর তাঁর পরনে হুরাইসিয়া নামের চাদর আছে। তিনি যে উটে করে মাক্কাহ বিজয়ের দিনে
অভিযানে গিয়েছিলেন তার পিঠে ছিলেন। (বুখারী পর্ব ৭৭ অধ্যায় ২২ হাদীস নং ৫৮২৪; মুসলিম
৩৭/৩০ হাঃ ২১১৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৭/৩১.
মাথা মোড়ানোর পর
এখানে ওখানে কিছু চুল ছেড়ে দেয়া মাকরূহ।
আল লু'লু ওয়াল
মারজান হাদিস নং- ১৩৭৩
পিএমএমআরসি হাদিস
নং-১৪৮৮
ইবনু ‘উমার (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘কাযা’ করতে তথা মাথা মোড়ানোর পর স্থানে স্থানে চুল রেখে দিতে
নিষেধ করেছেন। (বুখারী পর্ব ৭৭ অধ্যায় ৭২ হাদীস নং ৫৯২১; মুসলিম ৩৭/৩১, হাঃ ২১২০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৭/৩২.
রাস্তার উপর বসা
নিষিদ্ধ এবং রাস্তার হক্ব আদায় করা।
আল লু'লু ওয়াল
মারজান হাদিস নং- ১৩৭৪
পিএমএমআরসি হাদিস
নং-১৪৮৯
আবূ সাঈদ খুদরী
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তোমরা রাস্তার উপর বসা ছেড়ে দাও। লোকজন বলল, এ ছাড়া আমাদের
কোন পথ নেই। কেননা, এটাই আমাদের উঠাবসার জায়গা এবং এখানেই আমরা কথাবার্তা বলে থাকি।
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যদি তোমাদের সেখানে বসতেই হয়, তবে রাস্তার
হক আদায় করবে। তারা বলল, রাস্তার হক্ব কী? তিনি বললেন, দৃষ্টি অবনমিত রাখা, কষ্ট দেয়া
হতে বিরত থাকা, সালামের জবাব দেয়া, সৎকাজের আদেশ দেয়া এবং অন্যায় কাজে নিষেধ করা।
(বুখারী পর্ব ৪৬ অধ্যায় ২২ হাদীস নং ২৪৬৫; মুসলিম ৩৭/৩২ ২১২১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৭/৩৩.
পরচুলা লাগানোর কাজ
করা বা নিজে লাগানো উলকির কাজ করা বা নিজে লাগানো, ভ্রু চিকন করা এবং আল্লাহ্র সৃষ্টির
পরিবর্তন করা হারাম।
আল লু'লু ওয়াল
মারজান হাদিস নং- ১৩৭৫
পিএমএমআরসি হাদিস
নং-১৪৯০
আসমা বিন্তে আবু
বকর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক মহিলা নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসূল! আমার এক মেয়ের বসন্ত রোগ হয়ে
মাথার চুল পড়ে গেছে। আমি তাকে বিয়ে দিয়েছি। তার মাথায় কি পরচুলা লাগাব? তিনি বলেন,
পরচুলা লাগিয়ে দেয় ও পরচুলা লাগিয়ে নেয় এমন নারীকে আল্লাহ অভিশাপ দিয়েছেন।(বুখারী পর্ব
৭৮ অধ্যায় ৮৫ হাঃ ৫৯৪১; মুসলিম ৩৭/৩৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
আল লু'লু ওয়াল
মারজান হাদিস নং- ১৩৭৬
পিএমএমআরসি হাদিস
নং-১৪৯১
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, কোন এক
আনসারী মহিলা তার মেয়েকে শাদী দিলেন। কিন্তু তার মাথার চুলগুলো উঠে যেতে লাগল। এরপর
সে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এসে এ ঘটনা বর্ণনা করে বলল, আমার
স্বামী আমাকে বলেছে আমি যেন আমার মেয়ের মাথায় কৃত্রিম চুল পরিধান করিয়ে দেই। তখন নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, না তা করো না, কারণ, আল্লাহ্ তা‘আলা এ ধরনের
মহিলাদের ওপর লা‘নত বর্ষণ করে থাকেন, যারা মাথায় কৃত্রিম চুল পরিধান করে। (বুখারী পর্ব
৬৭ অধ্যায় ৯৫ হাদীস নং ৫২০৫; মুসলিম ৩৭/৩৩ হাঃ )
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
আল লু'লু ওয়াল
মারজান হাদিস নং- ১৩৭৭
পিএমএমআরসি হাদিস
নং-১৪৯২
আবদুল্লাহ্ ইবনে
মাস’ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহ্
লা’নাত করেছেন ঐ সমস্ত নারীর প্রতি যারা অন্যের শরীরে উল্কি অংকণ করে, নিজ শরীরে উল্কি
অংকণ করায়, যারা সৌন্দর্যের জন্য ভূরু-চুল উপড়িয়ে ফেলে ও দাঁতের মাঝে ফাঁক সৃষ্টি করে।
সে সব নারী আল্লাহ্র সৃষ্টিতে বিকৃতি আনয়ন করে। এরপর বানী আসাদ গোত্রের উম্মে ইয়াকূব
নামের এক মহিলার কাছে এ সংবাদ পৌঁছলে সে এসে বলল, আমি জানতে পারলাম, আপনি এরকম এরকম
মহিলাদের প্রতি লানত করছেন। তিনি বললেন, আমি তার প্রতি লানত করব না কেন? তখন মহিলা
বলল, আমি দু’ ফলকের মাঝে যা আছে তা (পূর্ণ কুরআন) পড়েছি। কিন্তু আপনি যা বলেছেন, তা
তো এতে পাইনি। ‘আবদুল্লাহ্ (রাঃ) বললেন, যদি তুমি কুরআন পড়তে তাহলে অবশ্যই তা পেতে,
তুমি কি পড়নি? রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তোমাদেরকে যা দেন তা তোমরা
গ্রহণ কর এবং যা থেকে তোমাদেরকে নিষেধ করেন তা হতে বিরত থাক। মহিলাটি বলল, হাঁ নিশ্চয়ই
পড়েছি। ‘আবদুল্লাহ্ (রাঃ) বললেন, রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ কাজ করতে
নিষেধ করেছেন। তখন মহিলা বলল, আমার মনে হয় আপনার পরিবারও এ কাজ করে। তিনি বললেন, তুমি
যাও এবং ভালভাবে দেখে এসো। এরপর মহিলা গেল এবং ভালভাবে দেখে এলো। কিন্তু তার দেখার
কিছুই দেখতে পেলো না। তখন ‘আবদুল্লাহ্ (রাঃ) বললেন, যদি আমার স্ত্রী এমন করত, তবে সে
আমার সঙ্গে একত্র থাকতে পারত না। (বুখারী পর্ব ৬৫ সূরা (৫৯) আল-হাশর অধ্যায় ৪ হাদীস
নং ৪৮৮৬; মুসলিম ৩৭/৩৩, হাঃ ২১২৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
আল লু'লু ওয়াল
মারজান হাদিস নং- ১৩৭৮
পিএমএমআরসি হাদিস
নং-১৪৯৩
হুমায়দ ইব্নু
‘আবদুর রাহমান (রহ.) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি মু‘আবিয়া ইব্নু
আবূ সুফ্ইয়ান (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেন যে, তার হাজ্জ পালনের বছর মিম্বরে নববীতে উপবিষ্ট
অবস্থায় তাঁর দেহরক্ষীদের কাছ থেকে মহিলাদের একগুচ্ছ চুল নিজ হাতে নিয়ে তিনি বলেন যে,
হে মীনাবাসী! কোথায় তোমাদের আলিম সমাজ? আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে
এ রকম পরচুলা ব্যবহার হতে নিষেধ করতে শুনেছি। তিনি বলেছেন, বনী ইসরাঈল তখনই ধ্বংস হয়,
যখন তাদের মহিলাগণ এ ধরনের পরচুলা ব্যবহার করতে শুরু করে। (বুখারী পর্ব ৬০ অধ্যায় ৫৪
হাদীস নং ৩৪৬৮; মুসলিম ৩৭/৩৩ হাঃ ২১২৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৭/৩৫.
পোশাকে ধোঁকা বাজি
করা এবং (স্বামী যে পোশাক) না দিয়েছে তার বড়াই করা নিষিদ্ধ।
আল লু'লু ওয়াল
মারজান হাদিস নং- ১৩৭৯
পিএমএমআরসি হাদিস
নং-১৪৯৪
আসমা (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন যে, কোন
একজন মহিলা বলল, হে আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমার সতীন
আছে। এখন তাকে রাগানোর জন্য যদি আমার স্বামী আমাকে যা দেয়নি তা বাড়িয়ে বলি, তাতে কি
কোন দোষ আছে? রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ যা তোমাকে দেয়া হয়নি,
তা দেয়া হয়েছে বলা ঐরূপ প্রতারকের কাজ, যে প্রতারণার জন্য দুপ্রস্থ মিথ্যার পোশাক পরল।
(বুখারী পর্ব ৬৭ অধ্যায় ১০৭ হাদীস নং ৫২১৯; মুসলিম ৩৭/৩৫, হাঃ ২১৩০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
( আল লু'লু ওয়াল মারজান-সমাপ্ত)
(হাদিস গ্রন্থ সুনানে ইবনে মাজাহ হতে পোশাক
সংক্রান্ত হাদিসসমূহ জানতে-
প্রবন্ধের লেখা
অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে আপনি Facebook, Twitter, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের
Email Addressসহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির
লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন।
“তোমরাই শ্রেষ্ঠ
উম্মত, মানুষের (কল্যাণের) জন্য তোমাদেরকে বের করা হয়েছে। তোমরা মানুষকে সৎ কাজের
আদেশ করবে এবং অসৎকাজ থেকে নিষেধ করবে।” (সূরা আল-ইমরান, আয়াত-১১০)
“তার চেয়ে
ভাল কথা আর কি হতে পারে, যে মানুযকে আল্লাহর দিকে ডাকে, নিজে নেক আমল করে আর বলে যে,
আমি সাধারণ মুসলমানদের মধ্য হতে একজন। (সূরা হা মীম সিজদা আয়াত-৩৩)
নবী
মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন:
“যে
হেদায়েতের প্রতি আহবান জানায়, তার জন্য তার অনুসারীদের সমপরিমাণ সওয়াব রয়েছে, তবে
তা তাদের সওয়াব থেকে কোন কিছু হ্রাস করবে না। আর যে পথভ্রষ্টতার প্রতি আহবান জানায়,
তার ওপর তার অনুসারীদের সমপরিমাণ পাপ আরোপিত, তবে তা তাদের পাপ থেকে কোন কিছু হ্রাস
করবে না।” [মুসলিম (২৬৭৪)]
আব্দুল্লাহ ইবনে
আমর ইবনে আ’স (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “আমার পক্ষ থেকে জনগণকে (আল্লাহর বিধান) পৌঁছে দাও, যদিও
একটি আয়াত হয়। বনী-ইস্রাঈল থেকে (ঘটনা) বর্ণনা কর, তাতে কোন ক্ষতি নেই। আর যে ব্যক্তি
ইচ্ছাকৃতভাবে আমার প্রতি মিথ্যা (বা জাল হাদীস) আরোপ করল, সে যেন নিজ আশ্রয় জাহান্নামে
বানিয়ে নিল।”
(বুখারী ৩৪৬১,হাদিস সম্ভার, হাদিস
নং ১৫৪৮, রিয়াদুস সলেহিন, হাদিস নং ১৩৮৮।)
মো: ইজাবুল আলম-এম.এ,
সি.ইন,এড (ইসলামিক স্টাডিজ-রংপুর কারমাইকেল ইউনিভার্সিটি কলেজ, রংপুর), বিশিষ্ট
ইসলামি চিন্তাবিদ, গবেষক ও লেখক।
ইসলামের অন্যান্য সকল বিষয় সহিহভাবে জানতে
No comments:
Post a Comment