বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
জাল হাদিসের কবলে
বাংলাদেশের আলেম সমাজ (২০০০টি জাল ও জঈফ হাদিস)-প্রচারে-PMMRC
( চতুর্থ পর্ব)
বাংলাদেশে হাজার হাজার
মুফতি, মুহাদ্দিস, ইমাম, মুয়াজ্জিন, মাদ্রাসার শিক্ষক (আলিম ও কওমী), কোরআনের
হাফেজ, হাদিসের হাফেজ, পির-অলি, ওযাজকারী, তাবলীগ জামায়াত, জামায়াতে ইসলামী
বাংলাদেশ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ অসংখ্য ইসলামী সংগঠন আছে। এরা প্রত্যেকেই
ইসলামের দাওয়াতী কাজ করেন। তারা নিজেরা আমল করেন ও সেই আমল তাদের অনুসারীদেরকেও
শিখিয়ে দেন। এভাবেই যুগ যুগ ধরে চলছে দাওয়াতী কাজ। কিন্তু দেখা যায়, তাদের আমলের
বা দাওয়াতী কাজের ৯৫%-ই জাল ও জঈফ হাদিস ভিত্তিক। একজন মসজিদের ইমাম,
তিনি একজন কোরআনের হাফেজ আবার মুফতি কিংবা কোনো মাদ্রাসার শিক্ষক। এই ইমাম সাহেব
যখন বাংলা খোতবা দেন আর যখন জাল ও জঈফ হাদিসগুলো বর্ণনা করেন তখন মনে হয় এরা কোনো
পড়াশোনাই করেননি। আর পড়াশোনা করলেও তাদের পাঠ্য পুস্তকগুলোই জাল ও জঈফ হাদিসে
ভরপুর। তাদের ওস্তাদগণও একই শিক্ষায় শিক্ষিত। যার ফলে তাদের সাগরেদরা ঐ ওস্তাদদের
শুধুই অন্ধ অনুকরন করেই চলছে। একবারও তারা চিন্তা করে দেখা না যে, তাদের শিক্ষা
বিদআতী শিক্ষা কিনা। যাই হোক যারা বিদআতী শিক্ষায় শিক্ষিত তাদেরকে চোখে আঙ্গুল
দিয়ে দেখিয়ে দেয়ার জন্যই জাল ও জঈফ হাদিসগুলো দেয়া হলো। আপনারা পড়বেন আর অন্যদেরকে
নতুন করে শিখিয়ে দিবেন। এতোদিন যে ভুলের উপর আমল করে আসছেন তা কিন্তু আল্লাহর
দরবারে কবুল হয়নি। তাই তওবা করে সহীহ হাদিসের পথে ফিরে আসবেন এই অনুরোধ সকলের
প্রতি রইল। এবার আওয়াজ তুলুন:- সহীহ হাদিসের আগমন, বিদআত পলায়ন।
২২১। হাজ্জ (হজ্জ) হচ্ছে
বিবাহের পূর্বের কর্ম।
হাদীসটি জাল।
সুয়ূতী এটিকে "জামেউস সাগীর” গ্রন্থে দাইলামী কর্তৃক “মুসনাদুল
ফিরদাউস গ্রন্থের বর্ণনা হতে উল্লেখ করেছেন। মানাবী তার সমালোচনা করে বলেছেনঃ এটির
সনদের গিয়াস ইবনু ইবরাহীম সম্পর্কে যাহাবী বলেনঃ সকলে তাকে মাতরূক আখ্যা দিয়েছেন
(সে গ্রহণযোগ্য নয়)। মায়সারা ইবনু আব্দে রাব্বিহি সম্পর্কে যাহাবী বলেনঃ তিনি প্রসিদ্ধ
মিথ্যুক।
আমি (আলবানী) বলছিঃ প্রথম ব্যক্তিও (গিয়াস) পরিচিত মিথ্যুক। ইবনু মাঈন
তার সম্পর্কে বলেনঃ তিনি মিথ্যুক, খবীস। আবু দাউদ বলেনঃ তিনি মিথ্যুক। ইবনু আদী বলেনঃ
দুর্বল হওয়ার ব্যাপারে তার বিষয়টি স্পষ্ট। তার সব হাদীস মাওযূ'র সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
আশ্চর্যের ব্যাপার কীভাবে সুয়ূতী তার “জামে” গ্রন্থে সেই সব মিথ্যুকদের
হাদীস উল্লেখ করেছেন!
হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
পাবলিশারঃ
তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ যঈফ ও জাল হাদিস / অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ
হাদিস
নম্বরঃ ২২২ | 222 | ۲۲۲
২২২। যে ব্যাক্তি হাজ্জ (হজ্জ) করবার পূর্বে বিবাহ করল, সে গুনাহ করা
শুরু করল।
হাদীসটি জাল।
এটি ইবনু আদী (২/২০) আহমাদ ইবনু জামহুর আল-কারকাসানী হতে বর্ণনা করেছেন।
ইবনু আদীর সূত্রে ইবনুল জাওযী হাদীসটি তার “আল-মাওযু'আত” গ্রন্থে (২/২১৩) উল্লেখ করে
বলেছেনঃ আহমাদের শাইখ মুহাম্মাদ ইবনু আইউব জাল হাদীস বর্ণনাকারী। তার পিতা আইউব সম্পর্কে
ইয়াহইয়া বলেনঃ তিনি কিছুই না। ইবনুল জাওযীর এ বক্তব্যকে সুয়ূতী “আল-লাআলী” গ্রন্থে
(২/১২০) সমর্থন করেছেন। তিনি আরো বলেছেনঃ আহমাদ ইবনু জামহূর মিথ্যার দোষে দোষী।
আমি (আলবানী) বলছিঃ রাজা ইবনু রওহ; যেভাবে ইবনু আদীর গ্রন্থে, “আল-মাওযুআত”
গ্রন্থে এবং “আল-লাআলী” গ্রন্থে এসেছে, তিনি হচ্ছেন ইবনু নূহ তার জীবনী পাচ্ছি না।
হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
পাবলিশারঃ
তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ যঈফ ও জাল হাদিস / অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ
হাদিস
নম্বরঃ ২২৩ | 223 | ۲۲۳
২২৩। যমীনে হাজারে আসওয়াদ হচ্ছে আল্লাহর ডান হাত; যার দ্বারা তিনি তার
বান্দাদের সাথে মূসাফাহা করেন।
হাদীসটি মুনকার।
এটি আবু বাকর ইবনু খাল্লাদ “আল-ফাওয়াইদ” গ্রন্থে (১/২২৪/২), ইবনু আদী
(২/১৭), ইবনু বিশরান “আল-আমালী” গ্রন্থে (২/৩/১), খাতীব বাগদাদী (৬/৩২৮) এবং তার থেকে
ইবনুল জাওযী তার “আল-ওয়াহিয়াত” গ্রন্থে (২/৮৪/৯৪৪) ইসহাক ইবনু বিশর আল-কাহেলী সূত্রে
... উল্লেখ করেছেন। খাতীব বাগদাদী এ কাহেলীর জীবনীতে উল্লেখ করেছেন, তিনি মালেক ও অন্যান্য
মর্যাদাশীলদের সূত্রে মুনকার হাদীস বর্ণনাকারী। অতঃপর তার এ হাদীসটি উল্লেখ করেছেন।
এরপর আবু বকর ইবনু আবী শায়বা হতে তার একটি মিথ্যা বর্ণনা উল্লেখ করেছেন। তাকে মূসা
ইবনু হারূণ এবং আবু যুর'য়াহ মিথ্যুক আখ্যা দিয়েছেন। ইবনু আদী এ হাদীসটির পরে বলেছেনঃ
তিনি সেই দলের অন্তর্ভুক্ত যারা হাদীস জাল করতেন। দারাকুতনীও অনুরূপ বলেছেন যেমনভাবে
“আল-মীযান” গ্রন্থে এসেছে। তবে ইবনুল জাওযী একটু বেশী করে বলেছেনঃ সহীহ নয় ... এবং
আবু মা’শার দুর্বল। হাদীসটিকে "জামেউস সাগীর" গ্রন্থে উল্লেখ করার কারণে
মানাবী সুয়ূতীর সমালোচনা করেছেন। ইবনুল আরাবী বলেনঃ এ হাদীসটি বাতিল, এ দিকে দৃষ্টি
দেয়া যায় না। আমি কাহেলীর মুতাবায়াত পেয়েছি। কিন্তু সেগুলোও সহীহ নয়। সেগুলোও
বাতিল নতুবা নিতান্তই দুর্বল।
হাদিসের মানঃ মুনকার (সর্বদা পরিত্যক্ত)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
পাবলিশারঃ
তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ যঈফ ও জাল হাদিস / অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ
হাদিস
নম্বরঃ ২২৪ | 224 | ۲۲٤
২২৪। কুরআনের বাহকগণ আল্লাহর আঊলিয়া (বন্ধু)। অতএব যে ব্যাক্তি তাঁদের
সাথে শত্রুতা করবে, সে প্রকৃত পক্ষে আল্লাহর সাথে শত্রুতা করল। আর যে ব্যাক্তি তাঁদের
সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করল, সে প্রকৃত পক্ষে আল্লাহর সাথেয় বন্ধুত্ব স্থাপন করল।
হাদীসটি জাল।
এটিকে দাইলামী তার “মুসনাদ" গ্রন্থে (২/৯০) আবূ নু’য়াইম সূত্রে
মুয়াল্লাক হিসাবে উল্লেখ করেছেন। সুয়ূতী "জামেউস সাগীর" গ্রন্থে দাইলামী
এবং ইবনুন নাজ্জার-এর বর্ণনা হতে উল্লেখ করেছেন। মানাবী তার সমালোচনা করে বলেছেনঃ এটির
সনদে দাউদ ইবনু মুহাব্বার নামক এক বর্ণনাকারী আছেন। যাহাবী "আয-যুয়াফা"
গ্রন্থে বলেনঃ তার সম্পর্কে ইবনু হিব্বান বলেছেনঃ তিনি নির্ভরযোগ্যদের উদ্ধৃতিতে হাদীস
জাল করতেন।
সুয়ূতী নিজে হাদীসটিকে “যায়লুল আহাদীসিল মাওযুআহ” গ্রন্থে (পৃঃ ৩২
নং ১৫৫) উল্লেখ করে বলেছেন, হাফিয “লিসানুল মীযান” গ্রন্থে বলেনঃ এ খবরটি মুনকার। হাদীসটি
আবু নু’য়াইম “আখবার আসবাহান” গ্রন্থে হাসান ইবনু ইদরীস এর জীবনীতে উল্লেখ করেছেন।
কিন্তু এটির সমস্যা হচ্ছে দাউদ ইবনু মুহাব্বার হতে।
ইবনু আররাক "তানযীহুশ শারীয়াহ" গ্রন্থে (১/১৩৫) তার অনুকরণ
করেছেন। সনদের অপর বর্ণনাকারী হাসান ইবনু ইদরীস সম্পর্কে আবুশ শাইখ তার “আত-তাবাকাত”
গ্রন্থে (৩৮৯/৫৩১) ভাল-মন্দ কিছুই বলেননি। আবু নু’য়াইমও তাই করেছেন।
এছাড়া ইবরাহীম ইবনু সাহালকে আমি চিনি না। দাইলামী আলী (রাঃ)-এর হাদীস
হতে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। যার সনদে মুহাম্মাদ ইবনু হাসান রয়েছেন। তার সম্পর্কে
খাতীব বাগদাদী (২/২৪৮) বলেনঃ মুহাম্মাদ ইবনু ইউসুফ আল-কাত্তান বলেছেনঃ তিনি নির্ভরযোগ্য
ছিলেন না। সূফীদের জন্য হাদীস জাল করতেন।
হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
পাবলিশারঃ
তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ যঈফ ও জাল হাদিস / অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ
হাদিস
নম্বরঃ ২২৫ | 225 | ۲۲۵
২২৫। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবর যিয়ারত কারিণীদের
এবং তার উপর মসজিদ নির্মাণ ও বাতি প্রজ্বলিত কারীদের উপর অভিশাপ দিয়েছেন।
হাদীসটি শেষাংশের শব্দগুলো দ্বারা দুর্বল।
হাদীসটিকে ইবনু মাজাহ ছাড়া চার সুনান রচনাকারী, ইবনু আবী শায়বাহ
“আল-মুসান্নাফ” গ্রন্থে (৪/১৪০), বাগাবী "হাদীসু আলী ইবনু যায়াদ” গ্রন্থে (৭/৭০/১),
তাবারানী (৩/১৭৪/২), আবু আবদিল্লাহ আল-কাত্তান তার "হাদীস" গ্রন্থে (১/৫৪),
হাকিম (১/৩৭৪), বাইহাকী (৪/৭৮, তায়ালিসী (১/১৭১) এবং ইমাম আহমাদ (২০৩০) মুহাম্মাদ
ইবনু জাহাদা সূত্রে আবু সালেহ বাযান হতে ... বর্ণনা করেছেন।
আবু সালেহ বাযান সম্পর্কে হাকিম ও যাহাবী বলেনঃ তার দ্বারা দলীল গ্রহণ
করা যাবে না। তিরমিযী বলেছেনঃ এটি হাসান পর্যায়ের হাদীস।
আমি (আলবানী) বলছিঃ জামহুরে ওলামার নিকট আবু সালেহ বাযান দুর্বল। আজালী
ছাড়া অন্য কেউ তাকে নির্ভরযোগ্য বলেননি, যেমনভাবে হাফিয ইবনু হাজার “আত-তাকরীব” গ্রন্থে
বলেছেন। বরং তাকে ইসমাঈল ইবনু আবী খালেদ ও আযদী মিথ্যুক আখ্যা দিয়েছেন। কেউ কেউ তাকে
তাদলীসের সাথে সম্পৃক্ত করেছেন।
হাফিয “আত-তাকরীব” গ্রন্থে বলেনঃ তিনি দুর্বল, মুদাল্লিস।
আব্দুল হক ইশবলী “আহকামুল কুবরা” গ্রন্থে (১/৮০) বলেনঃ তিনি তাদের নিকট
নিতান্তই দুর্বল।
আমি (আলবানী) বলছিঃ যার অবস্থা এই তার হাদীসকে হাসান বানানো যায় না;
যেমনভাবে তিরমিযী করেছেন। তাহলে কীভাবে সহীহ বানানো যায়? যেরূপভাবে আহমাদ শাকের করেছেন।
জি হ্যাঁ فلعن زائرات القبور এ অংশটুকু বিভিন্ন সূত্রে
বর্ণিত হয়েছে তবে এ শব্দে زوارات القبور দেখুন “আহকামুল জানায়েয" (১৮৫-১৮৭) এবং ولعن المتخذين على القبور المساجد এ অংশটুকু মুতাওয়াতির সুত্রে বর্ণিত হয়েছে, যা সহীহাইন সহ অন্যান্য
হাদীস গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে।
কিন্তু لعن المتخذين عليها السرج এ অংশটুকুর কোন হাদীসে শাহেদ পাচ্ছি না, হাদীসটির এ অংশটুকু দুর্বল।
হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
পাবলিশারঃ
তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ যঈফ ও জাল হাদিস / অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ
হাদিস
নম্বরঃ ২২৬ | 226 | ۲۲٦
২২৬। তোমরা আকিক পাথরের আংটি ব্যাবহার কর, কারণ সেটি বরকতপূর্ণ।
হাদীসটি জাল।
এটি মাহামেলী “আল-আমালী” গ্রন্থে (২/৪১ নং), খাতীব বাগদাদী তার “আত-তারীখ”
গ্রন্থে (১১/২৫১), উকায়লী “আয-যুয়াফা” গ্রন্থে (৪৬৬) ইয়াকুব ইবনু ওয়ালীদ আল-মাদানী
সূত্রে বর্ণনা করেছেন এবং ইবনু আদী (১/৩৫৬) ইয়াকুব ইবনুল জাওযী উকায়লীর সূত্রে “আল-মাওযুআত”
গ্রন্থে (১/৪২৩) উল্লেখ করে বলেছেনঃ ইয়াকুব মিথ্যুক, জলকারী। উকায়লী বলেনঃ এ বিষয়ে
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে কিছুই সাব্যস্ত হয়নি।
আমি (আলবানী) বলছিঃ যাহাবী ইয়াকুব-এর জীবনী বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছেনঃ
ইমাম আহমাদ বলেছেনঃ তিনি ছিলেন বড় বড় মিথ্যুকদের একজন। তিনি হাদীস জাল করতেন। অতঃপর
তার এ হাদীসটি উল্লেখ করেছেন।
ইবনু আদী বলেনঃ এ ইয়াকুব ইবনু ইবরাহীম পরিচিত নন। তার থেকে ইয়াকুব
ইবনুল ওয়ালীদ চুরি করতেন।
সুয়ূতী “আল-লাআলী” গ্রন্থে (২/২৭২) তার অভ্যাসগতভাবে ইবনুল জাওযীর
সমালোচনা করে বলেছেনঃ এটির অন্য সূত্রও রয়েছে, যেটি আল-খাতীব এবং ইবনু আসাকির বর্ণনা
করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি অন্ধকারাচ্ছন্ন। কারণ এ সূত্রে বর্ণনাকারী
খাল্লাদ ইবনু ইয়াহইয়ার নীচে যে তিনজন বর্ণনাকারী আছেন, তাদের কাউকেই চেনা যায় না।
তারা হচ্ছেন শুয়ায়েব ইবনু মুহাম্মাদ, আবু আবদিল্লাহ মুহাম্মাদ ইবনু ওয়াসীফ আল-কামী
এবং মুহাম্মাদ ইবনু সাহাল।
হাদীসটি বিভিন্ন ভাষায় বিভিন্ন সূত্রে বর্ণিত হয়েছে, কিন্তু সবগুলোই
বাতিল। যেমনভাবে সাখাবী “আল-মাকাসিদ” গ্রন্থে বলেছেন। অধিকাংশ সূত্র মিথ্যার দোষে দোষী
ব্যক্তি হতে মুক্ত নয়। তাছাড়া ভাষাগতভাবে চরম পর্যায়ের ইযতিরাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
পাবলিশারঃ
তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ যঈফ ও জাল হাদিস / অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ
হাদিস
নম্বরঃ ২২৭ | 227 | ۲۲۷
২২৭। তোমরা আকিক পাথরের আংটি ব্যাবহার কর, কারণ সেটি দারিদ্রকে দূরীভূত
করে।
হাদীসটি জাল।
এটিকে ইবনুল জাওযী “আল-মাওযু"আত” গ্রন্থে (৩/৫৮) ইবনু আদীর বর্ণনায়
উল্লেখ করেছেন এবং তার থেকে দাইলামী (২/৩১) হুসাইন ইবনু ইব্রাহীম আল-বাবী হতে ... বর্ণনা
করেছেন।
ইবনুল জাওযী বলেন, ইবনু আদী বলেছেনঃ এটি বাতিল, হুসইন মাজহুল।
যাহাবী “আল-মীযান” গ্রন্থে বলেনঃ হাদীসটি জাল। তার এ মতকে হাফিয ইবনু
হাজার “লিসানুল মীযান” গ্রন্থে সমর্থন করেছেন। অনুরূপভাবে সুয়ূতীও “আল-লাআলী” গ্রন্থে
(২/২৭৩) ইবনুল জাওযীর জাল বলাকে সমর্থন করেছেন। সুয়ূতী হাদীসটি জাল হিসাবে স্বীকার
করার পরেও “জামেউস সাগীর” গ্রন্থে ইবনু আদীর বর্ণনা হতে উল্লেখ করেছেন।
হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
পাবলিশারঃ
তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ যঈফ ও জাল হাদিস / অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ
হাদিস
নম্বরঃ ২২৮ | 228 | ۲۲۸
২২৮। তোমরা আকিক পাথরের আংটি ব্যাবহার কর। কারণ সেটি কর্ম সম্পাদনে
সর্বাপেক্ষা সফল আট ডান হাত সৌন্দর্যের জন্য সর্বাধিক উপযুক্ত।
হাদীসটি জাল।
হাদীসটি জাল। এটি ইবনু আসাকির (৪/২৯১/১-২) উল্লেখ করেছেন।
হাফিয ইবনু হাজার "লিসানু মীযান” গ্রন্থে (২/২৬৯) বলেনঃ এটি বানোয়াট
তাতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু জানি না কে জাল করেছে। তার এ বক্তব্যকে সুয়ূতী “আল-লাআলী”
গ্রন্থে (২/২৭৩) সমর্থন করেছেন।
হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
পাবলিশারঃ
তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ যঈফ ও জাল হাদিস / অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ
হাদিস
নম্বরঃ ২২৯ | 229 | ۲۲۹
২২৯। তোমরা আকিক পাথরের আংটি ব্যাবহার কর। কারণ সেটি তোমাদের কোন ব্যাক্তির
নিকট থাকাকালীন তাঁকে চিন্তা গ্রাস করবে না।
হাদীসটি জাল।
এটিকে দাইলামী তার “মুসনাদ” গ্রন্থে (২/৩২) "আলী ইবনু মাহরুবিয়া
আল-কাযবীনী সূত্রে বর্ণনা করেছেন। এটির সনদে দাউদ ইবনু সুলায়মান আল-গাযী আল-জুরজানী
নামক এক বর্ণনাকারী আছেন। তকে ইবনু মাঈন মিথ্যুক আখ্যা দিয়েছেন।
যাহাবী বলেনঃ তিনি মিথ্যুক শাইখ। আলী ইবনু মূসা আর-রিযা হতে বর্ণনাকৃত
তার একটি জাল কপি আছে।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ হাদীসটি উল্লেখিত কপি হতেই নেয়া। এরূপই স্পষ্ট
হবে সেই ব্যক্তির নিকট যে “মাকাসিদুল হাসানা” এবং “আল-কাশফ” গ্রন্থদ্বয় দেখবে।
হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
পাবলিশারঃ
তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ যঈফ ও জাল হাদিস / অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ
হাদিস
নম্বরঃ ২৩০ | 230 | ۲۳۰
২৩০। যে ব্যাক্তি আকিক পাথরের আংটি ব্যাবহার করবে, সে সর্বদা কল্যাণই
দেখতে পাবে।
হাদীসটি জাল।
এটি ইবনুল জাওযী "আল-মাওযু"আত” গ্রন্থে (১/৫৭) ইবনু হিব্বান-এর
সূত্র হতে বর্ণনা করেছেন। ইবনু হিব্বান এটিকে “আয-যুয়াফা” গ্রন্থে (৩/১৫৩) যুহায়ের
ইবনু আব্বাদ হতে ... উল্লেখ করেছেন।
ইবনু হিব্বান এবং ইবনুল জাওযী সনদের এক বর্ণনাকারী আবু বাকর সম্পর্কে
বলেনঃ তিনি মালেক হতে এমন হাদীস বর্ণনা করেছেন, যা তার হাদীসের অন্তর্ভুক্ত ছিল না।
সুয়ূতী তার এ কথাকে “আল-লাআলী” গ্রন্থে (২/২৭১) সমর্থন করেছেন।
যাহাবী আবু বাকরের জীবনী বর্ণনা করতে গিয়ে তার এ হাদীসটি উল্লেখ করে
বলেনঃ এটি মিথ্যা। হাফিয ইবনু হাজার “আল-লিসান” গ্রন্থে যাহাবীর বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন।
তাবারানী “মুজামুল আওসাত” গ্রন্থে হাদীসটি উল্লেখ করে বলেছেনঃ মালেক
হতে আবু বাকর ছাড়া অন্য কেউ হাদীসটি বর্ণনা করেননি। যুহায়েরও এককভাবে এটি বর্ণনা
করেছেন।
হায়সামী আবূ বাকরকে সহীহ্ গ্রন্থসমূহের বর্ণনাকারী বলেছেন। কিন্তু
তা ঠিক নয়, তার একথাটি ভুল। কারণ তিনি এরূপ বর্ণনাকারী নন, এমনকি “সুনান” এবং “মাসানীদ”
গ্রন্থগুলোর বর্ণনাকারীও নন। তিনি মিথ্যার দোষে দোষী ব্যক্তি, যেমনটি ইবনু হিব্বান
ও ইবনুল জাওযী বলেছেন।
মোটকথা আকীক পাথরের আংটি সম্পর্কে বর্ণিত সকল হাদীসই বাতিল, যেমনভাবে
হাফিয সাখাবী বলেছেন।
হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদিস
নম্বরঃ ২৩১ | 231 | ۲۳۱
২৩১। তোমরা শুকনা খেজুরের সাথে কাঁচা খেজুর খাও। কারণ শয়তান যখন তাঁকে
দেখে তখন ক্রোধান্বিত হয় এবং বলেঃ আদম সন্তান জীবন ধারন করে এমনকি নতুনকে পুরাতনের
সাথে মিলিয়ে আহার করে।
হাদীসটি জাল।
এটি ইবনু মাজাহ (১/৩১৭), উকায়লী "আয-যুয়াফা" গ্রন্থে (৪৬৭),
ইবনু আদী (২/৩৬৪), ইবনু হিব্বান “আয-যুয়াফা” গ্রন্থে (৩/১২০) বর্ণনা করেছেন। এছাড়া
আবু নু’য়াইম, হাকিম, বাইহাকী, আবুল হাসান, হুমামী, খাতীব বাগদাদী এবং হেবাতুল্লাহ
আত-তাবারী বর্ণনা করেছেন।
এটির সনদে আবু যাকীর ইয়াহইয়া ইবনু মুহাম্মাদ নামক এক বর্ণনাকারী আছেন।
তার সম্পর্কে ইবনু আদী, হাকিম, বাইহাকী, হুমামী ও খাতীব বলেনঃ আবু যাকীর এককভাবে হাদীসটি
বর্ণনা করেছেন। হাকিম শিথিলতা প্রদর্শনকারী হওয়া সত্ত্বেও তিনি “আল-মুসতাদরাক” গ্রন্থে
হাদীসটিকে সহীহ বলেননি। যাহাবী “আল-মীযান" গ্রন্থে বলেছেনঃ এটি মুনকার হাদীস।
নাসাঈ বলেনঃ হাদীসটি মুনকার।
আমি (আলবানী) বলছিঃ ইবনুল জাওযী হাদীসটি “আল-মাওযুআত” গ্রন্থে (৩/২৬)
উল্লেখ করে বলেছেনঃ দারাকুতনী বলেনঃ আবু যাকীর হিশাম হতে এককভাবে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
উকায়লী বলেনঃ তার অনুকরণ করা যায় না এবং এ হাদীসটিতে ছাড়া তাকে চেনা যায় না। ইবনু
হিব্বান বলেনঃ তিনি সনদগুলো উলট পালট করে ফেলতেন এবং অনিচ্ছাকৃতভাবে মুরসালকে মারফূ'
করে ফেলতেন। তাকে হিসাবে গ্রহণ করা যায় না। তিনি এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন অথচ তার
কোন ভিত্তি নেই।
সুয়ূতীও “আল-লাআলী” গ্রন্থে (২/২৪৩) হাদীসটি যে জাল তা স্বীকার করেছেন
ইমাম মুসলিম আবু যাকীর হতে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তিনি তার থেকে মুতাবায়াতের ক্ষেত্রে
বর্ণনা করেছেন, যেমনভাবে “আত-তাহযীব” গ্রন্থে এসেছে। "আত-তাকরীব" গ্রন্থে
তার সম্পর্কে বলা হয়েছেঃ তিনি সত্যবাদী, কিন্তু বহু ভুল করতেন। সুয়ূতী এটিকে জাল
হিসাবে স্বীকার করার পরেও “জামেউস সাগীর” গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন।
হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
পাবলিশারঃ
তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ যঈফ ও জাল হাদিস / অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ
হাদিস
নম্বরঃ ২৩২ | 232 | ۲۳۲
২৩২। তোমরা শুকনা খেজুর থুথুর সাথে মিশিয়ে খাও, কারণ তা জীবাণুকে হত্যা
করে।
হাদীসটি জাল।
হাদীসটি আবু বাকর শাফেঈ “আল-ফাওয়াইদ” গ্রন্থে (৯/১০৬/১) এবং ইবনু
‘আদী (২/২৫৮) ইসমাহ ইবনু মুহাম্মাদ হতে ... বর্ণনা করেছেন। ইবনু আদী, ইসমাহ ইবনু মুহাম্মাদ
সম্পর্কে বলেছেনঃ তার কোন হাদীসই নিরাপদ নয়, তিনি মুনকারুল হাদীস। ইবনুল জাওযী হাদীসটি
“আল-মাওযুআত” গ্রন্থে (৩/২৫) ইবনু আদীর সূত্রে ইসমাহ হতে উল্লেখ করে বলেছেনঃ সহীহ নয়,
ইসমাহ মিথ্যুক। সুয়ূতী “আল-লাআলী" গ্রন্থে (২/২৪৩) তার বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন।
ইবনু আররাকও “তানযীহুশ শারীয়াহ” গ্রন্থে (২/৩২০) তাকে সমর্থন করেছেন। তা সত্ত্বেও
সুয়ূতী হাদীসটি “জামেউস সাগীর” গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন।
হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
পাবলিশারঃ
তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ যঈফ ও জাল হাদিস / অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ
হাদিস
নম্বরঃ ২৩৩ | 233 | ۲۳۳
২৩৩। জান্নাতে অধিকাংশ মালা হবে আকীক পাথরের।
হাদীসটি জাল।
এটি আবু নু’য়াইম "আল-হিলইয়াহ" গ্রন্থে (৮/২৮১) সালাম ইবনু
মায়মূন আল-খাওয়াস-এর জীবনী আলোচনা করতে গিয়ে আবু মুহাম্মাদ সালাম আয-যাহেদ (সালাম
ইবনু সালেম) সূত্রে ... বর্ণনা করেছেন। ইবনুল জাওযী হাদীসটিকে তার “আল-মাওযূ’আত” গ্রন্থে
(৩/৫৮) উল্লেখ করে বলেছেনঃ সালাম ইবনু সালেম মিথ্যুক। সুয়ূতী “আল-লাআলী” গ্রন্থে
(২/২৭৩) তার সমালোচনা করে বলেছেনঃ ইবনু আদী ছাড়া সকলেই তার দুর্বল হওয়ার ব্যাপারে
একমত। অতঃপর বলেছেনঃ সালাম ইবনু মায়মূন আল-খাওয়াস বড় ধরনের সূফী এবং আবেদ। কিন্তু
তার হাদীসে মুনকার রয়েছে। ইবনু হিব্বান বলেনঃ তার উপর ধাৰ্মিকতা অগ্রাধিকার পেয়ে
যায়, ফলে তিনি হাদীস এবং তার অনুসরণ হতে অমনোযোগী হয়ে যান।
আমি (আলবানী) বলছিঃ ইবনু হিব্বান-এর পুরো কথা (১/৩৪৫) হচ্ছে এই যে,
তিনি কখনও কখনও একটি বস্তুকে অন্যটির পরে উল্লেখ করেছেন এবং সন্দেহ করে তা উলট-পালট
করে ফেলেছেন। ফলে তার দ্বারা দলীল গ্রহণ করা বাতিল হয়ে গেছে। ইবনু আবী হাতিম তার পিতার
(২/১/১৬৭) উদ্ধৃতিতে বলেছেনঃ আমি তার থেকে লিখি না। তিনি আবু খালিদ আল-আহমার হতে মাওযুর
সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ মুনকার হাদীস বর্ণনা করেছেন।
ইবনুল জাওযী যে কথা বলেছেন, সেটিই সঠিক। সালাম ইবনু সালেম মিথ্যার দোষে
দোষী । আল-খাতীব আহমাদ ইবনু সায়ার হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ সালাম ইবনু সালেম
মাওযু হাদীসের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ বহু হাদীস বর্ণনা করেছেন, যেগুলোর কোন লাগাম নেই।
ইবনু আবী হাতিম তার জীবনীতে (১/১/৩৬৭) বলেছেনঃ আমি আবু যুর'য়াহকে বলতে
শুনেছিঃ তার হাদীস লেখা যাবে না। তিনি মুরজিয়া ছিলেন এবং ইঙ্গিতে বুঝিয়েছেন তিনি
সত্যবাদী ছিলেন না। ইবনু হিব্বান (১/৩৪৪) বলেনঃ তিনি মুনকারুল হাদীস। তিনি হাদীসগুলোকে
উলট পালট করে ফেলতেন। ইবনুল মুবারাক তাকে মিথ্যুক আখ্যা দিয়েছেন। ইবনু আদী শুধুমাত্র
দুর্বল বলেছেন, এ কথা উল্লেখ করে এ হাদীসটির ক্ষেত্রে সুয়ূতী তার সিদ্ধান্তে ভুল করেছেন।
মোটকথা, হাদীসটি জাল, চাই এটি সালাম ইবনু সালেম-এর বর্ণনায় হোক বা
সালাম ইবনু মায়মূন-এর বর্ণনায় হোক।
হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
পাবলিশারঃ
তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ যঈফ ও জাল হাদিস / অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ
হাদিস
নম্বরঃ ২৩৪ | 234 | ۲۳٤
২৩৪। তোমাদের রমণীদের নেফাসের রক্ত প্রবাহিত হওয়া কালীন খেজুর খাওয়াবে,
কারণ যে নারীর খাদ্য তার নেফাসের সময়ে শুকনা খেজুর হবে তার সন্তান বুদ্ধিমান হয়ে বের
হবে। কারণ এটি মারইয়াম-এর খাদ্য ছিল। যখন তিনি ঈসাকে প্রসব করেন, তখন তার জন্য আল্লাহ
যদি শুকনা খেজুরের চাইতেও উত্তম খাবার সম্পর্কে জানতেন, তাহলে তাই তাঁকে খাওয়াতেন।
হাদীসটি জাল।
হাদিসটি খাতীব বাগদাদী (৮/৩৬৬) দাউদ ইবনু সুলায়মান জুরজানী সুত্রে (তার
জীবনী বর্ণনা করার সময়) সুলায়মান ইবনু আমর হতে ... উল্লেখ করেছেন। অতঃপর দাউদ সম্পর্কে
বলেছেনঃ তার সম্পর্কে ইবনু মাঈন বলেনঃ তিনি মিথ্যুক।
আমি (আলবানী) বলছিঃ তার আরেকটি হাদীস পূর্বে ২২৯ নম্বরে আলোচনা করা
হয়েছে। তার শাইখ সুলায়মান ইবনু আমর, তিনি হচ্ছেন নাখ'ঈ। তিনিও মিথ্যুক।
ইবনুল জাওযী “আল-মাওযু"আত” গ্রন্থে (৩/২৭) বলেনঃ সুলায়মান আন-নাখ'ঈ
এবং দাউদ তারা দু’জনই মিথ্যুক।
সুয়ূতী তার সমালোচনা করে “আল-লাআলী” গ্রন্থে (২/২৪৪) বলেছেনঃ ইবনু
মান্দার বর্ণনা হতে দাউদ-এর মুতাবায়াত পাওয়া যায়।
আমি (আলবানী) বলছিঃ সেটির সনদে রয়েছেন সুলায়মান ইবনু আমর আন-নাখ'ঈ।
সুয়ূতী নিজেই এ সুলায়মান মিথ্যুক তা স্বীকার করেছেন। অতএব তিনি যেন স্বীকার করেছেন
হাদীসটি জাল।
ইবনুল কাইয়্যিম আল-জাওযিয়াহ “আল-মানার" গ্রন্থে (২৫) দৃঢ়তার
সাথে বলেছেনঃ হাদীসটি জাল।
হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
পাবলিশারঃ
তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ যঈফ ও জাল হাদিস / অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ
হাদিস
নম্বরঃ ২৩৫ | 235 | ۲۳۵
২৩৫। ধৈর্য ধারন করার চেয়েও দুনিয়াকে পরিত্যাগ করা অতি তিক্ত এবং আল্লাহর
পথে তরবারী ভাংগার চাইতেও কঠিন। এ দুনিয়াকে যে ব্যাক্তই পরিত্যাগ করে তাঁকে দেয়া হয়
সেরূপ প্রতিফলন যেরূপ দেয়া হয় শহীদদেরকে। তাঁকে পরিত্যাগ করার অর্থ হচ্ছে খাদ্য কম
গ্রহণ করা, তৃপ্ত কম হওয়া এবং মানুষের প্রশংসাকে ঘৃণা করা। কারণ যে ব্যাক্তি মানুষের
প্রশংসাকে ভালবাসে সে দুনিয়া ও তার সম্পদকে ভাল বাসলো। আর যাকে সম্পদ আনন্দিত করে সে
যেন মানুষের প্রশংসাকে পরিত্যাগ করে।
হাদীসটি জাল।
এটি দাইলামী তার “মুসনাদ” গ্রন্থে (২/৪৪) বর্ণনা করেছেন। হাদীসটি সুয়ূতী
"যায়লুল আহাদীসিল মাওযুআহ" গ্রন্থে (পৃঃ ১৯১) দাইলামীর বর্ণনায় উল্লেখ
করে বলেছেনঃ জাযারী নামক বর্ণনাকারী সাওরী এবং আওযাঈ হতে মুনকার এবং আজব ধরনের হাদীস
বর্ণনা করেছেন। তাকে ইবনু হিব্বান জাল করার দোষে দোষী করেছেন। “লিসানুল মীযান” গ্রন্থে
এসেছে; ইবনু হিব্বান বলেনঃ তিনি সাওরী হতে অবোধগম্য বিষয় নিয়ে এসেছেন। ফলে যে ব্যক্তি
তার হাদীস লিখেছেন এ কাজ যে তারই তিনি তাতে কোন সন্দেহ করেননি (২/৩৫)। তার এ কথাকে
ইবনু আররাক “তানযীহুশ শারীয়াহ" গ্রন্থে (১/৩৫৮) সমর্থন করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ তা সত্ত্বেও সুয়ূতী হাদীসটির প্রথম অংশ “জামেউস
সাগীর” গ্রন্থে দাইলামীর বর্ণনায় উল্লেখ করেছেন। তিনি এক্ষেত্রে দুটি কারণে ক্রটি
করেছেনঃ
১। জাল করার দোষে দোষী ব্যক্তির বর্ণনা হওয়া সত্ত্বেও সেটিকে উল্লেখ
করা।
২। সংক্ষেপে শুধু প্রথম অংশ উল্লেখ করা, যা সন্দেহ জাগায় যে, দাইলামী
হয়তো এরূপই (সংক্ষেপে) বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
পাবলিশারঃ
তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ যঈফ ও জাল হাদিস / অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ
হাদিস
নম্বরঃ ২৩৬ | 236 | ۲۳٦
২৩৬। সৎ কর্মশীল লোক দুনিয়াতে সুসজ্জিত হতে পারে না দুনিয়াকে পরিত্যাগ
কারীর ন্যায়।
হাদীসটি জাল।
এটি আবু ইয়ালা তার “মুসনাদ” গ্রন্থে (৩/১৯১/১৬১৭) বর্ণনা করেছেন। হায়সামী
এটিকে "আল-মাজমা" গ্রন্থে (১০/২৮৬) উল্লেখ করেছেন। অতঃপর বলেছেনঃ
এটির সনদে সুলায়মান শাযকুনী নামক এক বর্ণনাকরী আছেন; তিনি মাতরূক।
আমি (আলবানী) বলছিঃ বরং তিনি মিথ্যুক। তার সম্পর্কে পূর্বে আরো কয়েকটি
হাদীসে আলোচনা করা হয়েছে (২৩৪)। এছাড়া আলী ইবনুল হাযূর; তিনিও মাতরূক এবং ইসমাঈল
ইবনু আবান (তিনি নির্ভরযোগ্য ওররাক নন বরং তিনি হচ্ছেন গানাবী) সম্পর্কে হাফিয বলেনঃ
তিনি মাতরূক, তাকে জাল করার দোষে দোষী করা হয়েছে।
হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
পাবলিশারঃ
তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ যঈফ ও জাল হাদিস / অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ
হাদিস
নম্বরঃ ২৩৭ | 237 | ۲۳۷
২৩৭। বান্দা কোন রহস্যকে গোপন করলে, আল্লাহ তাঁকে সেই রহস্যের চাঁদর
পরিয়ে দেন। যদি তা (রহস্যটি) কল্যাণকর হয় তাহলে কল্যাণকর আর যদি তা হয় অনিষ্টকর হয়
তাহলে অনিষ্টকর।
হাদীসটি নিতান্তই দুর্বল।
এটি তাবারানী "মু'জামুল কাবীর" গ্রন্থে (১/১৮০/১) এবং
"মু'জামুল আওসাত" (৪৮৪-৪৮৫) গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এটির সনদটি নিতান্তই দুর্বল, এর কারণ দুটিঃ
১। মুহাম্মাদ ইবনু ওবায়দুল্লাহ আরযামী নামক বর্ণনাকারী; তিনি মাতরূক,
যেমনভাবে “আত-তাকরীব” গ্রন্থে বলা হয়েছে।
২। হামেদ ইবনু আদাম আল-মারওয়াযী; তাকে জুযজানী ও ইবনু আদী মিথ্যুক
আখ্যা দিয়েছেন। আহমাদ ইবনু আলী সালমানী যারা হাদীস জাল করার ক্ষেত্রে প্রসিদ্ধ তাকে
সেই সব ব্যক্তিদের কাতারে উল্লেখ করেছেন। এ জন্য হায়সামী “আল-মাজমা" গ্রন্থে
(১০/২২৫) বলেছেনঃ হামেদ ইবনু আদাম মিথ্যুক। (কিন্তু দুর্বল সনদে এটির মুতাবায়াত পাওয়া
যাওয়ার কারণে সরাসরি জাল হিসাবে চিহ্নিত করা হয়নি)।
হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
পাবলিশারঃ
তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ যঈফ ও জাল হাদিস / অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ
হাদিস
নম্বরঃ ২৩৮ | 238 | ۲۳۸
২৩৮। দস্তরখানা যখন বিছিয়ে দেয়া হবে তখন কোন ব্যাক্তি দস্তরখানা না
উঠানো পর্যন্ত দাঁড়াবে না এবং তার হাত উঠবে না, যদি তৃপ্ত হয়ে যায় যতক্ষণ পর্যন্ত লোকেরা
খাওয়া সম্পূর্ণ না করবে এবং ওযুহাত পেশ না করবে। কারণ ব্যাক্তি তার সাথির নিকট লজ্জাবোধ
করে, ফলে সে তার হাতকে গুটিয়ে নেয় অথচ খ্যাদ্যে হয়ত তার আরও প্রয়োজনীয়তা ছিল।
হাদীসটি নিতান্তই দুর্বল।
এটি ইবনু মাজাহ্ (২/৩০৯) আব্দুল আলা সূত্রে ইয়াহইয়া ইবনু আবী কাসীর
হতে ... বর্ণনা করেছেন। বূসয়রী “আয-যাওয়াইদ” গ্রন্থে (৪/১৪) বলেছেনঃ হাদীসটির সনদে
আব্দুল 'আলা ইবনু আউন রয়েছেন তিনি দুর্বল।
আমি (আলবনী) বলছিঃ বরং তিনি নিতান্তই দুর্বল। আবূ নু’য়াইম বলেনঃ তিনি
ইয়াহইয়া ইবনু আবী কাসীর হতে মুনকার হাদীস বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ সেগুলো হতেই এটি একটি। দারাকুতনী বলেনঃ তিনি নির্ভরযোগ্য
নন। ইবনু হিব্বান বলেনঃ তার দ্বারা দলীল গ্রহণ করা যায় না। হাদীসটির প্রথম বাকটি অন্য
সূত্রে বর্ণনা করা হয়েছে কিন্তু সেটও নিতান্তই দুর্বল।
হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
পাবলিশারঃ
তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ যঈফ ও জাল হাদিস / অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ
হাদিস
নম্বরঃ ২৩৯ | 239 | ۲۳۹
২৩৯। যতক্ষণ না খাদ্য সামনে থেকে উঠিয়ে নেয়া হবে ততক্ষণ তিনি খাদ্য
হতে উঠিয়ে দিতে নিষেধ করেছেন।
হাদীসটি নিতান্তই দুর্বল।
এটি ইবনু মাজাহ (২/৩০৯) ওয়ালীদ ইবনু মুসলিম সূত্রে মুনীর ইবনুয যুবায়ের
হতে ... বর্ণনা করেছেন। বূসয়রী "আয-যাওয়াইদ" গ্রন্থে (৪/১৩) বলেছেনঃ এটির
সনদে ওয়ালীদ ইবনু মুসলিম রয়েছেন, তিনি মুদাল্লিস। মাকহুল আদ-দেমাস্কিও অনুরূপ। এছাড়া
মুনীর ইবনু যুবায়ের সম্পর্কে দাহীম বলেনঃ তিনি দুর্বল। ইবনু হিব্বান বলেনঃ তিনি নির্ভরযোগ্যদের
থেকে মু'যাল হাদীস নিয়ে এসেছেন। পরীক্ষা করার উদ্দেশ্য ছাড়া তার থেকে বর্ণনা করাই
হালাল নয়।
হাফিয যাহাবী “আল-মীযান” গ্রন্থে হাদীসটি উল্লেখ করার পর বলেছেনঃ এটি
মুনকাতি হাদীস। মাকহুল এবং আয়েশা (রাঃ)-এর মাঝে সাক্ষাৎ ঘটেনি।
হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
পাবলিশারঃ
তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ যঈফ ও জাল হাদিস / অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ
হাদিস
নম্বরঃ ২৪০ | 240 | ۲٤۰
২৪০। তিনি জ্বীনের যাবহ করা জন্তু গ্রহণ করতে নিষিদ্ধ করেছেন।
হাদীসটি জাল।
এটি ইবনুল জাওযী “আল-মাওযুআত” গ্রন্থে (২/৩০২) ইবনু হিব্বান কর্তৃক
তার "মাজরুহীন" গ্রন্থের (২/১৯) বর্ণনা থেকে আব্দুল্লাহ ইবনু উযায়না
... হতে উল্লেখ করেছেন। অতঃপর বলেছেনঃ ইবনু হিব্বান বলেনঃ আব্দুল্লাহ নিতান্তই মুনকারুল
হাদীস। সাওর হতে তিনি এমন হাদীস বর্ণনা করেছেন যা তার (সাওর-এর) হাদীস নয়।
সুয়ূতী “আল-লাআলী” গ্রন্থে তার সমালোচনা করে (২/২২৬) বলেছেনঃ হাদীসটি
আবূ ওবায়েদ তার “আল-গারীব” গ্রন্থে এবং বাইহাকী উমর ইবনু হারুন হতে তার সূত্রে বর্ণনা
করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সমালোচনাতে কোন উপকারিতা নেই। কারণ উমার ইবনু
হারূণ দুর্বল সকলে তার ব্যাপারে একমত। বরং তার সম্পর্কে ইয়াহইয়া ইবনু মাঈন এবং সালেহ
জাযারা বলেছেনঃ তিনি মিথ্যুক।
হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদিস
নম্বরঃ ২৪১ | 241 | ۲٤۱
২৪১। তুমি যে সব কিছুর আকাংখা কর সে সব কিছুকে খাওয়াই হচ্ছে অপচয়ের
অন্তর্ভুক্ত।
হাদীসটি জাল।
এটি ইবনু মাজাহ্ (২/৩২২), ইবনু আবিদ-দুনিয়া "কিতাবুল জু"
গ্রন্থে (১/৮), আবু নু’য়াইম "আল-হিলইয়াহ" গ্রন্থে (১০/২১৩) এবং বাইহাকী
“শুয়াবুল ঈমান” গ্রন্থে (২/১৬৯/১) বিভিন্ন সূত্রে বাকিয়া ইবনু ওয়ালীদ হতে, তিনি
ইউসুফ ইবনু আবী কাসীরের মাধ্যমে নূহ ইবনু যাকওয়ান হতে ... বর্ণনা করেছেন। আবুল হাসান
সিন্দী ইবনু মাজার “হাশিয়াতে” বলেছেনঃ এ সনদটি দুর্বল। কারণ নূহ ইবনু যাকওয়ান দুর্বল
হওয়ার বিষয়ে সকলেই একমত। দুমায়রী বলেনঃ এ হাদীসটি এমন একটি হাদীস যা তার উপর ইনকার
(অস্বীকার) করা হয়েছে।
আমি (আলবানী) বলছিঃ হাদীসটি ইবনুল জাওযী “আল-মাওযূ’আত” গ্রন্থে (৩/৩০)
দারাকুতনীর বর্ণনায় ইয়াহইয়া ইবনু উসমান হতে উল্লেখ করে বলেছেনঃ এটি সহীহ নয়, ইয়াহইয়া
মুনকারুল হাদীস, নূহও তার ন্যায়। সুয়ূতী “আল-লাআলী” গ্রন্থে (২/২৪৬) তার সমালোচনা
করে বলেছেন ইয়াহইয়া তার যিম্মাদারী হতে মুক্ত। এ কারণে হাদীসটির জালের অপবাদ নূহ-এর
উপরেই ন্যাস্ত হয়, যা সুয়ূতীর ভাষাতেই বুঝা যায়। তা সত্ত্বেও তিনি ইবনু মাজার বর্ণনায়
"জামেউস সাগীর" গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। মানাবীও ইবনুল জাওযীর সমালোচনা করে
বলেছেনঃ এটির শাহেদ রয়েছে। কিন্তু এটি তার ধারণা। কারণ এটির একটি শাহেদও আমি পাইনি।
যদি শাহেদ থাকত তাহলে সুয়ূতী তা “আল-লাআলী” গ্রন্থে উল্লেখ করতেন।
হাদীসটির সনদের মধ্যে অন্য সমস্যাও আছে যা ইবনুল জাওযী এবং সুয়ূতীর
নিকট লুক্কায়িত রয়ে গেছে। হাফিয ইবনু হাজার “আত-তাহযীব” গ্রন্থে বলেছেনঃ ইউসুফ ইবনু
আবী কাসীর বাকিয়ার সেই সব শাইখদের একজন যাদের পরিচয় জানা যায় না। যাহাবীর “আল-মীযান”
গ্রন্থেও অনুরূপ বলা হয়েছে।
তৃতীয় আরো একটি সমস্যা রয়েছে, সেটি হচ্ছে হাদীসটি হাসান বাসরী হতে
আন আন সূত্রে বর্ণিত হয়েছে, তিনি তাদলীস করতেন।
হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
পাবলিশারঃ
তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ যঈফ ও জাল হাদিস / অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ
হাদিস
নম্বরঃ ২৪২ | 242 | ۲٤۲
২৪২। তোমরা তোমাদের হৃদয়গুলোকে কম হাসি এবং কম তৃপ্তি দ্বারা জীবন্ত-জাগ্রত
কর এবং ক্ষুধা দ্বারা সেগুলোকে পবিত্র কর, তাহলে তা ছোট এবং পাতলা হবে।
হাদীসটির কোন ভিত্তি নেই।
যেমনভাবে হাফিয ইরাকী “তাখরীজুল ইহইয়া” গ্রন্থে (৩/৭৩) এবং তাজুস সুবকী
“তাবাকাতুল কুবরা” গ্রন্থে (৪/১৬৩) অবহিত করেছেন।
হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
পাবলিশারঃ
তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ যঈফ ও জাল হাদিস / অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ
হাদিস
নম্বরঃ ২৪৩ | 243 | ۲٤۳
২৪৩। সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ সেই ব্যাক্তি যার খাবার ও হাসি কম এবং সন্তষ্ট
থাকে সেই বস্তুতে যা তার লজ্জাস্থানকে আবৃত করে।
হাদীসটির কোন ভিত্তি নেই।
হাফিয ইরাকী “তাখরীজুল ইহইয়া” গ্রন্থে (৩/৬৯) এবং তাজুস সুবকী “তাবাকাতুল
কুবরা” গ্রন্থে বলেনঃ এটির কোন ভিত্তি পাচ্ছি না।
হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
পাবলিশারঃ
তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ যঈফ ও জাল হাদিস / অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ
হাদিস
নম্বরঃ ২৪৪ | 244 | ۲٤٤
২৪৪। কিয়ামতের দিবসে মর্যাদার দিক থেকে আল্লাহর নিকট তোমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ
ব্যাক্তি সেই যে তোমাদের মধ্যে দীর্ঘ ক্ষুধায় জড়িত এবং আল্লাহর ব্যাপারে দীর্ঘ চিন্তামগ্ন।
আর কিয়ামতের দিবসে আল্লাহর নিকট ঘৃণিত তারাই যারা অধিক ঘুমায়, অধিক ভক্ষন করে এবং অধিক
পান করে।
হাদীসটির কোন ভিত্তি নেই।
এটিকে গাযালী “আল-ইহইয়া” গ্রন্থে (৩/৯৬) হাসান বাসরীর হাদীস হতে মুরসাল
হিসাবে উল্লেখ করেছেন। হাফিয ইরাকী “তাখরীজুল ইহইয়া” গ্রন্থে (৩/৯৬) এবং তাজুস সুবকী
“তাবাকাতুল কুবরা” গ্রন্থে (৪/১৬২) বলেছেনঃ এটির কোন ভিত্তি পাচ্ছি না।
হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
পাবলিশারঃ
তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ যঈফ ও জাল হাদিস / অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ
হাদিস
নম্বরঃ ২৪৫ | 245 | ۲٤۵
২৪৫। তোমরা পরিধান কর এবং অর্ধপেটে পান কর, কারণ তা হচ্ছে নবুওয়াতের
এক অংশ।
হাদীসটির কোন ভিত্তি নেই।
হাফিয ইরাকী “তাখরীজুল ইহইয়া” গ্রন্থে (৩/৬৯) এবং তাজুস সুবকী “তাবাকাতুল
কুবরা” গ্রন্থে (৪/১৬২) হাদীসটি উল্লেখ করে আমাদেরকে অবহিত করেছেন, হাদীসটির কোন ভিত্তি
নেই।
হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
পাবলিশারঃ
তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ যঈফ ও জাল হাদিস / অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ
হাদিস
নম্বরঃ ২৪৬ | 246 | ۲٤٦
২৪৬। তৃপ্তি সহকারে ভক্ষন শ্বেত রোগের অধিকারী করে।
হাদীসটির কোন ভিত্তি নেই।
এই হাদিসটি সেই সব বাতিল হাদিসগুলোর একটি যেগুলো দ্বারা গাযালী তার
গ্রন্থ সমূহকে পরিপূর্ণ করে রেখেছেন। বিশেষ করে “আল-ইহইয়া” গ্রন্থকে। হাফিয ইরাকী
“তাখরীজুল ইহইয়া” গ্রন্থে (৩/৭০) এবং তাজুস সুবকী “তাবাকাতুল কুবরা” গ্রন্থে (৪/১৬৩)
বলেনঃ এটির কোন ভিত্তি পাচ্ছি না।
হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
পাবলিশারঃ
তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ যঈফ ও জাল হাদিস / অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ
হাদিস
নম্বরঃ ২৪৭ | 247 | ۲٤۷
২৪৭। তোমরা তোমাদের আত্নার সাথে ক্ষুধা এবং তৃষ্ণা দ্বারা সংগ্রাম কর।
কারণ তাতে সাওয়াব অর্জিত হয়, আল্লাহর পথে জেহাদকারীর সাওয়াবের ন্যায়। এ ছাড়া ক্ষুধা
ও তৃষ্ণার চেয়ে আল্লাহর নিকট অধিক পছন্দনীয় কর্ম নেই।
হাদীসটি বাতিল, এটির কোন ভিত্তি নেই।
গাযালী এটিকে “আল-ইহইয়া” গ্রন্থে (৩/৬৯) মারফূ' হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
হাফিয ইরাকী “তাখরীজুল ইহইয়া” গ্রন্থে এবং তাজুস সুবকী “তাবাকাতুল কুবরা” গ্রন্থে
(৪/৬২) বলেনঃ এটির কোন ভিত্তি পাচ্ছি না।
হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
পাবলিশারঃ
তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ যঈফ ও জাল হাদিস / অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ
হাদিস
নম্বরঃ ২৪৮ | 248 | ۲٤۸
২৪৮। কর্মসমূহের সর্দার হচ্ছে ক্ষুধা এবং আত্নার অপমান হচ্ছে পশমী পোষাক।
হাদীসটির কোন ভিত্তি নেই।
হাফিয ইরাকী “তাখরীজুল ইহইয়া” গ্রন্থে (৩/৯) এবং তাজুস সুবকী “তাবাকাতুল
কুবরা” গ্রন্থে (৪/১৬২) বলেনঃ এটির কোন ভিত্তি পাচ্ছি না।
হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
পাবলিশারঃ
তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ যঈফ ও জাল হাদিস / অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ
হাদিস
নম্বরঃ ২৪৯ | 249 | ۲٤۹
২৪৯। চিন্তা হচ্ছে ইবাদতের অর্ধেক আর অল্প খাদ্য গ্রহণই হচ্ছে ইবাদত।
হাদীসটি বাতিল।
হাফিয ইরাকী “তাখরীজুল ইহইয়া” গ্রন্থে (৩/৬৯) বলেনঃ এটির কোন ভিত্তি
নেই।
হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
পাবলিশারঃ
তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ যঈফ ও জাল হাদিস / অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ
হাদিস
নম্বরঃ ২৫০ | 250 | ۲۵۰
২৫০। তিনি যখন দুপুরের খাবার খেতেন, তখন রাতের খাবার খেতেন না। আর যখন
রাতের খাবার খেতেন তখন দুপুরের খাবার খেতেন না।
হাদীসটি দুর্বল।
এটি ইবনু বিশরান “আল-আমালী” গ্রন্থে (১/৭৩), আবু নু’য়াইম “আল-হিলইয়াহ"
গ্রন্থে (৩/৩২৩), ইবনু আসাকির "আখবারুন লি হিফযিল কুরআন" গ্রন্থের শেষাংশে
(কাফ ২/৮) এবং অনুরূপভাবে “আত-তারীখ” গ্রন্থে (১১/৬৫/১) সুলায়মান ইবনু আব্দির রহমান
হতে ... বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এটির সনদ দুর্বল। বর্ণনাকারী ওয়াযীন ইবনু আতার
হেফযে ক্রটি রয়েছে। এ কারণে হাদীসটি দুর্বল। তাছাড়া হাদীসটি মুরসাল, কারণ আবু সাঈদ-এর
সাথে আতার সাক্ষাৎ ঘটেনি।
সতর্কবাণীঃ এ হাদীসটির উৎপত্তি স্থল হাফিয ইরাকী এবং তাজুস-সুবকী উভয়ের
নিকট লুক্কায়িতই রয়ে গেছে। এ জন্যে তারা বলেছেন যে, এটি সেই সব হাদীসের অন্তর্ভুক্ত
যেগুলো গাযালী “আল-ইহইয়া” গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন অথচ সেগুলোর কোন ভিত্তি নেই। যুবায়দী
“ইতহাফুস সাদা” গ্রন্থে (৭/৪০৯) শুধু আবূ নু’য়াইম-এর বর্ণনা দ্বারা তার সমালোচনা করেছেন।
কিন্তু বাস্তবতা হলো তার বিপরীত। এটিকে বাইহাকী “শুয়াবুল ঈমান” গ্রন্থে (২/১৫৮/২)
আবূ যুহায়ফা হতে মওকুফ হিসাবে বর্ণনা করেছেন, যার সনদে ওয়ালীদ ইবনু আমর নামক বর্ণনাকারী
আছেন, তিনি দুর্বল।
হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদিস
নম্বরঃ ২৫১ | 251 | ۲۵۱
২৫১। যে ব্যাক্তি তার পেটকে ক্ষুধার্ত বানায় তার চিন্তা-ভাবনা বড় হয়
(বৃদ্ধি পায়) এবং তার হৃদয় জ্ঞান সম্পন্ন হয়।
হাদীসটির কোন ভিত্তি নেই।
যেমনভাবে হাফিয ইরাকী “তাখরীজুল ইহইয়া” গ্রন্থে (৩/৭৩) এবং তাজুস সুবকী
“তাবাকাতুল কুবরা” গ্রন্থে (৪/১৬৩) অবহিত করেছেন।
হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
পাবলিশারঃ
তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ যঈফ ও জাল হাদিস / অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ
হাদিস
নম্বরঃ ২৫২ | 252 | ۲۵۲
২৫২। অতিভোজন রোগের মূল আর রক্ষাকারী খাদ্য ঔষধের মূল। অতএব তোমরা প্রত্যেক
শরীরকে যাতে সে অভ্যস্ত হয়েছে তাতে অভ্যস্ত কর।
হাদীসটির কোন ভিত্তি নেই।
গাযালী মারফু' হিসাবে “আল-ইহইয়া” গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। অতঃপর হাফিয
ইরাকী তার “আত-তাখরীজ” গ্রন্থে বলেছেনঃ এটির কোন ভিত্তি পাচ্ছি না। তার বক্তব্যকে হাফিয
সাখাবী “মাকাসিদুল হাসানা” গ্রন্থে (১০৩৫) সমর্থন করেছেন।
ইবনুল কাইয়্যিম “যাদুল মায়াদ" গ্রন্থে (৩/৯৭) বলেনঃ ... এ হাদীসটি
আরবদের ডাক্তার হারিস ইবনু কিলদার কথা। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত
মারফু' হিসাবে বলা সঠিক নয়। হাদীস শাস্ত্রের একাধিক ইমাম এ কথাই বলেছেন।
কিন্তু সাখাবী উল্লেখ করেছেন যে, খাল্লাদ আয়েশা (রাঃ) এর হাদীস হতে
বর্ণনা করেছেন এ বাক্যেঃ
الأزم دواء، والمعدة داء، وعودوا بدنا ما اعتاد
অর্থ “সাবধানতা হচ্ছে ঔষধ এবং পাকস্থলী (পেট) হচ্ছে অসুখ। অতএব তোমরা
শরীরকে যাতে অভ্যাস্ত হয়েছে তাতেই অভ্যস্ত কর।”
এটির বাহ্যিকতা দেখে মনে হয় যেন মারফূ। সুয়ূতী “আদ-দুরার” গ্রন্থে
তা স্পষ্ট করেই বলেছেন, যেমনভাবে “কাশফুল খাফা” গ্রন্থেও (২/৭৪/১৭৮৮) এসেছে। তিনি
(সুয়ূতী) “জামেউল কাবীর” গ্রন্থেও (১/৩২০/২) উল্লেখ করেছেন। কিন্তু তার হাদীসটির কোন
সনদ বর্ণনা করেননি যাতে দৃষ্টি দেয়া যায়। আমার অধিকাংশ ধারণা এটি সহীহ্ নয়।
অতঃপর ইবনুল কাইয়্যিমকে দেখেছি তিনি "যাদুল মায়াদ" গ্রন্থে
(৩/১০২) এটিকে হারিস ইবনু কিলদার কথা হিসাবেই উল্লেখ করেছেন। এটিই উপযোগী।
হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
পাবলিশারঃ
তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ যঈফ ও জাল হাদিস / অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ
হাদিস
নম্বরঃ ২৫৩ | 253 | ۲۵۳
২৫৩। তোমরা সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) পালন কর সুস্থ থাকবে।
হাদীসটি দুর্বল।
এটি তাবারানী “মুজামুল আওসাত” গ্রন্থে (২/২২৫/১/৮৪৭৭) এবং আবু নু’য়াইম
“আত-তিব্ব” গ্রন্থে (কাফ ২৪/১,২) মুহাম্মাদ ইবনু সুলায়মান সূত্রে যুহায়ের ইবনু মুহাম্মাদ
হতে ... বর্ণনা করেছেন।
তাবারানী বলেনঃ যুহায়ের ইবনু মুহাম্মাদ ছাড়া অন্য কেউ এ বাক্যে হাদীসটি
বর্ণনা করেননি ।
আমি (আলবানী) বলছিঃ হাদীসটি যুহায়ের হতে শামীদের বর্ণনায় দুর্বল।
আর এ বর্ণনাটি সে সব বর্ণনারই অন্তর্ভুক্ত।
হাফিয ইরাকী “তাখরীজুল ইহইয়া” গ্রন্থে (৩/৭৫) বলেনঃ এটি আবু হুরাইরাহ্
(রাঃ)-এর হাদীস হতে দুর্বল সনদে বর্ণিত হয়েছে।
আমি (আলবানী) বলছিঃ মুনযেরী “আত-তারগীব” গ্রন্থে এবং হায়সামী
"আল-মাজমা" গ্রন্থে (৩/১৭৯) উল্লেখ করে বলেছেনঃ এটির বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য।
এরূপ বলা প্রমাণ করে না যে, দুর্বল হতে পারে না। সাগানী একটু অগ্রণী হয়ে বলেছেনঃ এ
হাদীসটি বানোয়াট।
এছাড়া ইবনু আদী যে বাক্যে হাদীসটি (৭/২৫২১) বর্ণনা করেছেন, সেটিতে
নাহশাল নামক এক বর্ণনাকারী আছেন, তিনি হচ্ছেন মাতরূক এবং তার শাইখ যহহাক ইবনু আব্বাস
(রাঃ) হতে শুনেননি।
হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
পাবলিশারঃ
তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ যঈফ ও জাল হাদিস / অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ
হাদিস
নম্বরঃ ২৫৪ | 254 | ۲۵٤
২৫৪। তোমরা সফর কর সুস্থ থাকবে এবং যুদ্ধ কর স্বাবলম্বী হবে।
হাদীসটি দুর্বল।
এটি ইমাম আহমাদ (২/৩৮০) ইবনু লাহীয়াহ সূত্রে দাররাজ হতে ... বর্ণনা
করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ ইবনু লাহীয়ার কারণে এটির সনদ দুর্বল। কেননা তিনি
মুখস্থ বিদ্যার ক্ষেত্রে দুর্বল এবং দাররাজ হচ্ছেন বহু মুনকারের অধিকারী।
ইমাম যাহাবী "সিয়ারু আলামীন নুবালা" গ্রন্থে বলেন, কুতাইবা
বলেছেনঃ আমাকে ইমাম আহমাদ বললেনঃ ইবনু লাহী'য়াহ্ হতে তোমার হাদীসগুলো সহীহ্। কারণ
আমরা ইবনু ওয়াহহাবের কিতাব হতে লিখেছি, অতঃপর ইবনু লাহী'য়াহ্ হতে শুনেছি। অতএব দাররাজ
হচ্ছে হাদীসটির মূল সমস্যা।
ইবনু আবী হাতিম (২/২০৬) তার পিতার উদ্ধৃতিতে বলেছেনঃ হাদীসটি মুনকার।
এটির শাহেদ আছে তবে সেটি নিতান্তই দুর্বল। সেটি হচ্ছে নিম্নেরটিঃ (দেখুন পরেরটি)
হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
পাবলিশারঃ
তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ যঈফ ও জাল হাদিস / অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ
হাদিস
নম্বরঃ ২৫৫ | 255 | ۲۵۵
২৫৫। তোমরা সফর কর সুস্থ থাকবে এবং গনীমত লাভ করবে।
হাদীসটি মুনকার।
হাদীসটি ইবনু আদী (২/২৯৯), তাবারানী “মুজামুল আওসাত” গ্রন্থে (১/১১২/১),
ইবনু বিশরান “আল-আমালী” গ্রন্থে (৩/৬৬/১), খাতীব বাগদাদী তার “আত-তারীখ” গ্রন্থে (১০/৩৮৭),
কাযাঈ (২/৫২), অনুরূপভাবে তাম্মামুর রাযী “আল-ফাওয়াইদ” গ্রন্থে (নং ৭৬৭) মুহাম্মাদ
ইবনু আব্দির রহমান ইবনু রাদাদ হতে ... বর্ণনা করেছেন।
ইবনু আবী হাতিম (৩/২/১৫৫) বলেনঃ ইবনু রাদাদ ছাড়া অন্য কেউ এটি বর্ণনা
করেছেন বলে আমি জানি না। তিনি যা কিছু বর্ণনা করেছেন তার অধিকাংশই নিরাপদ নয়। ইবনু
আবী হাতিম (৩/২/১১৫) বলেনঃ তিনি শক্তিশালী নন, তিনি (ذاهب الحديث) জাহেবুল হাদীস। আবু
যুরীয়াহ বলেনঃ তিনি দুর্বল।
"আল-মীযান" গ্রন্থে এসেছে তার মুনকারগুলোর একটি হচ্ছে এ হাদিসটি।
ইবনু আবী হাতিম “আল-ইলাল” গ্রন্থে (২/৩০৬) বলেন, আমার পিতা বলেছেনঃ এ হাদীসটি মুনকার।
এ ইবনু রাদাদই হচ্ছে হাদীসটির সমস্যা। ইবনু আদী এবং আবু নু’য়াইম অন্য একটি সূত্রে
সিওয়ার ইবনু মুস'য়াব হতে, তিনি আতিয়া হতে ... হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। অতঃপর বলেছেনঃ
সিওয়ার যা কিছু বর্ণনা করেছেন তার অধিকাংশই নিরাপদ নয়।
আমি (আলবানী) বলছিঃ আতিয়া হচ্ছেন আওফী, তিনি দুর্বল। আব্দুর রাযযাক
“আল-মুসান্নাফ” গ্রন্থে (১১/৪৩৪) তাউস-এর সূত্রে উমার (রাঃ) হতে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন,
তবে মওকুফ হিসাবে। কিন্তু এটির সনদ মুনকাতি'। অর্থাৎ তাউস এবং উমার (রাঃ)-এর মধ্যে
বিচ্ছিন্নতা রয়েছে।
হাদিসের মানঃ মুনকার (সর্বদা পরিত্যক্ত)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
পাবলিশারঃ
তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ যঈফ ও জাল হাদিস / অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ
হাদিস
নম্বরঃ ২৫৬ | 256 | ۲۵٦
২৫৬। আল্লাহ তা’আলা প্রতিদিন একশত বিশটি রহমত নাযিল করেন। ষাটটি তাওয়াফকারীদের
জন্য, চল্লিশটি ঘরের (বায়তুল্লাহ-এর) চারিদিকে ই’তিকাফ করীদের জন্য এবং বিশটি ঘরের
দিকে দৃষ্টিদান কারীদের জন্য।
হাদীসটি জাল।
এটি তাবারানী “মুজামুল কাবীর” গ্রন্থে (৩/১১৫/১) খালিদ ইবনু ইয়াযীদ
আল-উমারী সূত্রে আব্দুল্লাহ ইবনু ওবায়দিল্লাহ আল-লায়সী হতে ... বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এটির সনদ জাল; খালিদ ইবনু ইয়াযীদকে আবূ হাতিম ও
ইয়াহইয়া ইবনু মাঈন মিথ্যুক আখ্যা দিয়েছেন। ইবনু হিব্বান বলেনঃ তিনি নির্ভরযোগ্যদের
উদ্ধৃতিতে জাল হাদীস বর্ণনাকারী। লায়সীও মাতরূক; যেমনভাবে “লিসানুল মীযান” (৫/২১৬)
সহ অন্যান্য গ্রন্থে এসেছে। হাদীসটির আরো দু'টি সূত্র রয়েছে। কিন্তু সে সূত্র দুটিও
জাল।
হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
পাবলিশারঃ
তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ যঈফ ও জাল হাদিস / অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ
হাদিস
নম্বরঃ ২৫৭ | 257 | ۲۵۷
২৫৭। তুমি তোমাকে অপচয় করা হতে বাঁচাও, কারণ দিনে দু’বার খাবার গ্রহণ
করা অপচয়ের অন্তর্ভুক্ত।
হাদীসটি জাল।
এটি গাযালী “আল-ইহইয়া” গ্রন্থে (৩/৭৮) উল্লেখ করেছেন। হাফিয ইরাকী
তার “আত-তাখরীজ” গ্রন্থে বলেনঃ হাদীসটি বাইহাকী “আশ-শু'য়াব” গ্রন্থে আয়েশা (রাঃ)-এর
হাদীস হতে বর্ণনা করে বলেছেনঃ এটির সনদ দুর্বল। মুনযেরী বলেনঃ হাদীসটি বাইহাকী বর্ণনা
করেছেন। তাতে বর্ণনাকারী ইবনু লাহীয়াহ রয়েছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ তিনি তার হেফযের দিক থেকে দুর্বল। অতঃপর আমি বাইহাকীর
নিকট “আশ-শু'য়াব” গ্রন্থে (২/১৫৮/১) হাদীসটির সনদ সম্পর্কে অবহিত হই এবং আমার নিকট
স্পষ্ট হয়ে যায় যে, এটিতে অন্য কারণও রয়েছে যা এটির দুর্বলতাকে বৃদ্ধি করেছে। কারণ
এটির সনদে আবু আব্দির রহমান আস-সুলামী রয়েছেন। তার নাম মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান আস-সূফী।
তার সম্পর্কে মুহাম্মাদ ইবনু ইউসুফ আল-কাত্তান বলেনঃ তিনি সূফীদের জন্য হাদীস জাল করতেন।
অতঃপর বাইহাকী (২/১৬১/২) খালিদ ইবনু নাজীহ আল-মিসর সূত্রেও বর্ণনা করেছেন।
এ খালিদ সম্পর্কে আবু হাতিম বলেনঃ তিনি মিথ্যুক, হাদীস জাল করতেন।
হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
পাবলিশারঃ
তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ যঈফ ও জাল হাদিস / অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ
হাদিস
নম্বরঃ ২৫৮ | 258 | ۲۵۸
২৫৮। নিশ্চয় ব্যাক্তি কর্তৃক তার মেহমানের সাথে বাড়ীর দরজা পর্যন্ত
বের হয়ে যাওয়া সুন্নাতের অন্তর্ভুক্ত।
হাদীসটি জাল।
এটি ইবনু মাজাহ্ (২/৩২৩), ইবনুল আরাবী তার "আল-মু'জাম" গ্রন্থে
(২/২৪৬) এবং তার থেকে কাযা'ঈ (১/৯৫) ‘আলী ইবনু উরওয়া সূত্রে আব্দুল মালেক হতে ...
বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এটির সনদটি বানোয়াট। তার কারণ হচ্ছে এ ‘আলী ইবনু
উরওয়া। তার সম্পর্কে যাহাবী বলেন, ইবনু হিব্বান বলেছেনঃ তিনি হাদীস জাল করতেন। তাকে
সালেহ জাযারা ও অন্যরা মিথ্যুক আখ্যা দিয়েছেন। অতঃপর তার কতিপয় হাদীস উল্লেখ করেছেন,
এটি সেগুলোর একটি।
এর আরেকটি সূত্র পেয়েছি, যেটি ইবনু আদী (২/১৬৯) সালাম ইবনু সালেম আল-বালধী
সূত্রে ... উল্লেখ করেছেন। এ সালাম সম্পর্কে ২৩৩ নং হাদীসে আলোচনা করা হয়েছে। তার
সম্পর্কে আবূ হাতিম বলেনঃ তিনি সত্যবাদী নন। জুরজানী বলেনঃ তিনি নির্ভরযোগ্য নন।
এছাড়া ইবনু যুরায়েজ মুদাল্লিস। তিনি আন আন শব্দে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
পাবলিশারঃ
তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ যঈফ ও জাল হাদিস / অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ
হাদিস
নম্বরঃ ২৫৯ | 259 | ۲۵۹
২৫৯। তোমরা রোগের ভান করো না, কারণ এর ফলে তোমরা রোগী হয়ে যাবে এবং
তোমরা তোমাদের কবর খুড়ো না, কারণ এর ফলে তোমরা মৃত্যুবরণ করবে।
হাদীসটি মুনকার।
ইবনু আবী হাতিম “আল-ইলাল” গ্রন্থে (২/৩২১) বলেনঃ আমি আমার পিতাকে এ
হাদীসটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। আমার পিতা উত্তরে বলেনঃ এ হাদীসটি মুনকার।
আমি (আলবানী) বলছিঃ তার কারণ হচ্ছে মুহাম্মাদ ইবনু সুলায়মান নামক বর্ণনাকারী।
ইমাম যাহাবী “আল-মীযান” গ্রন্থে বলেনঃ তিনি মাজহুল এবং তিনি যে হাদীস বর্ণনা করেছেন
সেটি মুনকার। অর্থাৎ এ হাদীসটি।
হাদিসের মানঃ মুনকার (সর্বদা পরিত্যক্ত)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
পাবলিশারঃ
তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ যঈফ ও জাল হাদিস / অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ
হাদিস
নম্বরঃ ২৬০ | 260 | ۲٦۰
২৬০। তোমরা তোমাদের নেফাসধারী নারীদেরকে কাঁচা খেজুর খেতে দাও। তাঁরা
বললঃ সব সময়তো কাঁচা খেজুর পাওয়া যায় না। তিনি (উত্তরে) বললেনঃ তাহলে শুকনা খেজুর।
তাঁরা বললঃ সব শুকনা খেজুরই ভাল, তবে সর্বোত্তম শুকনা খেজুর কোনটি? তিনি বললেনঃ তোমাদের
সর্বোত্তম শুকনা খেজুর হচ্ছে বুরনী খেজুর, যা সুস্থতাকে প্রবেশ করায় এবং রোগকে বের
করে দেয়। তাতে কোন রোগ নেই। তা ক্ষুধার্থের জন্য অধিক তৃপ্তিদায়ক এবং আক্রান্তের জন্য
অধিক উত্তাপ দানকারী।
হাদীসটি দুর্বল।
এটি ইবনু সামউন ওয়ায়েয “আল-আমালী” গ্রন্থে (২/১৯২/১) বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এটির সনদের বর্ণনাকারী কাসেম ইবনু ইসমাঈল এর জীবনী
কে বর্ণনা করেছেন পাচ্ছি না। তবে ইবনু হিব্বান-এর "আস-সিকাত" গ্রন্থে (৯/১৯)
এসেছে, তিনি হাশেমী কুফী, তিনি ওবায়দুল্লাহ ইবনু মূসা হতে ... হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
আবু নু’য়াইম-এর “আত-তিব্ব” নামক গ্রন্থে (২৩-২৪) অন্য একটি সূত্রে শু'বা হতে তার মুতাবা'য়াতও
পাওয়া গেছে।
সনদটির অন্য এক বর্ণনাকারী শাহার ইবনু হাওশাব দুর্বল। বেশী বেশী ভুল
সংঘটিত হওয়ার কারণে তার দ্বারা দলীল গ্রহণ করা যায় না। এ জন্য ইমাম মুসলিম অন্য বর্ণনাকারীর
সাথে মিলিতভাবে তার হাদীস বর্ণনা করেছেন।
হাফিয ইবনু হাজার তার সম্পর্কে বলেনঃ তিনি সত্যবাদী, কিন্তু বেশী মুরসালকারী
এবং সন্দেহ প্রবণ। অতএব এ হাওশাবের কারণেই হাদীসটি দুর্বল।
হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদিস
নম্বরঃ ২৬১ | 261 | ۲٦۱
২৬১। তোমরা তোমাদের চাচী খেজুর গাছের সাথে ভাল ব্যাবহার কর। কারণ আল্লাহ
তা’আলা আদমকে সৃষ্টি করার পর তার মাটির কিছু অংশ অবশিষ্ট রয়ে যায়, অতঃপর তা থেকেই খেজুর
গাছকে সৃষ্টি করেন।
হাদীসটি জাল।
এটি ইবনু আদী (২/৫৭), বাতেরকানী তার "জুযউ মিন হাদীস" গ্রন্থে
(২/১৫৭) এবং ইবনুল জাওযী “আল-মাওযূ’আত” গ্রন্থে (১/১৮৪) জাফার ইবনু আহমাদ ইবনে গাফেকী
হতে ... বর্ণনা করেছেন। ইবনু আদী বলেনঃ এ হাদীসটি জাল। এটি যে জাফরি জাল করেছেন তাতে
কোন সন্দেহ নেই। ইবনুল জাওযী বলেনঃ এটি সহীহ নয়, জাফার একজন জালকারী।
হাফিয ইবনু হাজার “লিসানুল মীযান” গ্রন্থে তার এ বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন।
কিন্তু সুয়ূতী অভ্যাসগতভাবে “আল-লাআলী” গ্রন্থে (১/১৫৬) তার সমালোচনা
করে বলেছেনঃ আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ)-এর হাদীসে এটির শাহেদ আছে। কিন্তু তাতেও চরম সমস্যা
রয়েছে, সেটি হচ্ছে সম্মুখের হাদীসটি।
হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
পাবলিশারঃ
তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ যঈফ ও জাল হাদিস / অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ
হাদিস
নম্বরঃ ২৬২ | 262 | ۲٦۲
২৬২। আদম (আঃ) কে সৃষ্টিকৃত মাটির অবশিষ্টাংস হতে খেজুর গাছ, আনার গাছ
এবং আঙ্গুর গাছ সৃষ্টি করা হয়েছে।
হাদীসটি নিতান্তই দুর্বল।
এটি মাহামেলী “আল-আমালী” গ্রন্থে (২/৩৮) এবং তার থেকে ইবনু আসাকির
(২/২০৯/২) বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এটির সনদটি নিতান্তই দুর্বল। বর্ণনাকারী আবু হারুণ
আল-আবাদীর নাম হচ্ছে আম্মারা ইবনু যুওয়াইন। তিনি মাতরূক। কেউ কেউ তাকে মিথ্যুকও আখ্যা
দিয়েছেন; যেমনভাবে “আত-তাকরীব” গ্রন্থে এসেছে।
এরূপ চরম পর্যায়ের দুর্বল হওয়া সত্ত্বেও সুয়ূতী "আল-লাআলী"
গ্রন্থে পূর্বের হাদীসটির শাহেদ হিসাবে ইবনু আসাকীরের বর্ণনা হতে হাদীসটি উল্লেখ করেছেন।
শুধু তাই নয়, তিনি “জামেউস সাগীর” গ্রন্থেও উল্লেখ করেছেন। এ কারণে মানাবী তার সমালোচনা
করেছেন।
হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
পাবলিশারঃ
তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ যঈফ ও জাল হাদিস / অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ
হাদিস
নম্বরঃ ২৬৩ | 263 | ۲٦۳
২৬৩। তোমরা তোমাদের চাচী খেজুর গাছকে সম্মান কর। কারণ তাঁকে তোমাদের
পিতা আদমকে সৃষ্টিকৃত মাটির অবশিষ্টাংশ দ্বারা সৃষ্টি করা হয়েছে। মারইয়াম বিনতে ইমরান
যে বৃক্ষের নীচে সন্তান প্রসব করেছেন, তার চেয়ে আল্লাহর নিকট সম্মানিত বৃক্ষ আর নেই।
অতএব তোমরা তোমাদের নারী মাতাকে কাঁচা খেজুর খাওয়াও। যদি কাঁচা খেজুর না থাকে তাহলে
শুকনা খেজুর।
হাদীসটি জাল।
এটি উকায়লী “আয-যুয়াফা” গ্রন্থে (৪৩০), আবুশ শাইখ “আল-আমসাল"
গ্রন্থে (নং ২৬৩), ইবনু আদী (১/৩৩০), ইবনু হিব্বান "আয-যুয়াফা" গ্রন্থে
(৩/৪৪-৪৫), বাগেন্দী “হাদীস শায়বান” গ্রন্থে (১/১৯০) এবং তার থেকে ইবনু আসাকির (২/৩০৯/২,
১৯/২৬৭/১), আবু নু’য়াইম “আত-তিব্ব” গ্রন্থে (২/২৩/২) এবং "আল-হিলইয়াহ"
গ্রন্থে (৬/১২৩) মাসরুর ইবনু সাঈদ আত-তামীমী সূত্রে ... বর্ণনা করেছেন।
আবূ নু’য়াইম বলেনঃ উরওয়া হতে আওযাঈর এ হাদীসটি গারীব। মাসরূর এককভাবে
এটিকে বর্ণনা করেছেন। উকায়লী বলেনঃ তার হাদীসটি নিরাপদ নয়। তাকে ছাড়া অন্য কারো
মাধ্যমে এটিকে জানা যায় না।
ইবনু আসাকির বলেনঃ উরওয়া আলী (রাঃ)-কে পায়নি, অর্থাৎ সনদটি মুনকাতি
বিচ্ছিন্ন। হাদীসটি গরীব এবং তামীমী মাজহুল।
আমি (আলবানী) বলছিঃ তিনি মিথ্যার দোষে দোষী। যাহাবী “আল-মীযান” গ্রন্থে
বলেনঃ ইবনু হিব্বান তার সম্পর্কে অনুসন্ধান করে বলেছেনঃ তিনি আওযাঈ হতে বহু মুনকার
হাদীস বর্ণনা করেছেন।
সুয়ূতী তার সমালোচনা করে “আল-লাআলী” গ্রন্থে (১/১৫৬) বলেছেনঃ আবূ সাঈদ
খুদরী (রাঃ) এর হাদীসে তার প্রথমাংশের শাহেদ রয়েছে এবং শেষাংশেরও শাহেদ আছে।
আমি (আলবানী) বলছিঃ আবু সাঈদ (রাঃ) এর (২৬২) হাদীসটি নিতান্তই দুর্বল।
সবার ঐক্যমতে সেটি শাহেদ হবার যোগ্য নয়। তার অবস্থা সম্পর্কে এটির পূর্বেই আলোচনা
করেছি।
আরো একটি শাহেদ হচ্ছে আবু উমামা (রাঃ)-এর হাদীস। সেটি হচ্ছে ২৬০ নং
হাদীস। সেটি যে দুর্বল তা সেখানেই আলোচনা করা হয়েছে।
হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
পাবলিশারঃ
তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ যঈফ ও জাল হাদিস / অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ
২৬৪। নেফাসধারী নারীদের জন্য আমার নিকট কাঁচা খেজুরের ন্যায় রোগ মুক্তকারী
কিছু নেই এবং কোন রোগীর জন্য মধুর ন্যায় আরোগ্যদানকারী কিছু নেই।
হাদীসটি জাল।
এটি ইবনু নু’য়াইম “আত-তিব্ব” গ্রন্থে আবু হুরাইয়াহ্ (রাঃ) হতে বর্ণনা
করেছেন। সুয়ূতী এটিকে পূর্বের হাদীসটির শাহেদ হিসাবে উল্লেখ করেছেন। অথচ তার কোন সনদ
উল্লেখ করেননি যাতে করে তাতে দৃষ্টি দেয়া যায়। আবু নু’য়াইম তার “আত-তিব্ব” গ্রন্থে
(২/২৪/১) আলী ইবনু উরওয়া হতে ... বর্ণনা করেছেন, যা আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে।
আমি (আলবানী) বলছিঃ আলী ইবনু উরওয়া মিথ্যুক। তিনি হাদীস জাল করতেন।
তার সম্পর্কে ১১৯ নং হাদীসে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। ইবনু আররাক "তানযীহুশ
শারী'য়াহ" গ্রন্থে (১/২০৯) ইমাম সুয়ূতীর অনুসরণ করে হাদীসটি সম্পর্কে কিছু না
বলে চুপ থেকেছেন। তবে তিনি বলেনঃ হাদীসটি ওয়াকী “আল-গারার” গ্রন্থে আয়েশা (রাঃ)-এর
হাদীস হতে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তার সূত্রে আসরাম ইবনু হাওশাব নামক এক বর্ণনাকারী
আছেন, তিনি মিথ্যুক।
হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
পাবলিশারঃ
তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ যঈফ ও জাল হাদিস / অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ
হাদিস
নম্বরঃ ২৬৫ | 265 | ۲٦۵
২৬৫। হে আবূ হুরায়রা! তুমি লোকেদেরকে কুরআন শিক্ষা দাও এবং তুমি তা
শিখ। কারণ তুমি যদি এমতাবস্থায় মৃত্যুবরণ কর তাহলে ফেরেশতাগণ তোমার কবর যিয়ারত করবে
যেরূপ বায়তুল্লাহকে যিয়ারত করা হয়। তুমি লোকদেরকে আমার সুন্নাত শিক্ষা দাও, যদিও তাঁরা
তা অপছন্দ করে। তুমি যদি পথে এক পলক পরিমাণ সময় অপেক্ষা না করে জান্নাতে প্রবেশ করাকে
পছন্দ কর, তাহলে তোমার মতামত দ্বারা আল্লাহর দ্বীনের মধ্যে নূতন কিছু আবিষ্কার করো
না।
হাদীসটি জাল।
এটি খাতীব বাগদাদী (৪/৩৮০) এবং আবুল ফারাজ ইবনু মাসলামা “মাজলিসুল আমালী”
গ্রন্থে (২/১২০) আব্দুল্লাহ ইবনু সালেহ আল-ইয়ামানী সূত্রে আবু হাম্মাম আল-কুরাশী হতে
... বর্ণনা করেছেন। ইবনুল জাওযী তার “আল-মাওযুআত” গ্রন্থেও (১/২৬৪) উল্লেখ করে বলেছেনঃ
এটি সহীহ নয়। আবূ হুম্মাম-এর নাম হচ্ছে মুহাম্মাদ ইবনু মুহাব্বাব। তার সম্পর্কে ইয়াহইয়া
বলেনঃ তিনি মিথ্যুক। আবূ হাতিম বলেনঃ তিনি যাহেবুল হাদীস। সুয়ূতী তার সমালোচনা করে
“আল-লাআলী” গ্রন্থে (১/২২২) বলেছেনঃ এটির অন্য সূত্রও রয়েছে। আবূ নু’য়াইম বলেনঃ আমাকে
আব্দুল্লাহ ইবনু মুহাম্মাদ হাদীসটি শুনিয়েছেন...।
আমি (আলবানী) বলছিঃ তিনি উল্লেখিত হাদীসটির ন্যায় বলেছেন, কিন্তু ভাষায়
কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। তিনি বলেনঃ
فإن أتاك الموت وأنت كذلك حجت الملائكة إلى قبرك كما يحج المؤمنون إلى بيت الله الحرام
তুমি এ অবস্থায় থাকাকালীন যদি তোমার নিকট মৃত্যু এসে যায়; তাহলে ফেরেশতাগণ
তোমার কবরের নিকট হজ্জ করবে; যেভাবে মু'মিনরা বায়তুল্লাহুল হারামে হজ্জ করে।
সুয়ূতী হাদীসটির ব্যাপারে কোন হুকুম না লাগিয়ে চুপ থেকেছেন। আমার
নিকট এ অংশটুকুতে প্রথমটির চেয়ে আরো শক্তিশালী ইনকার অপছন্দনীয় বস্তু রয়েছে। কারণ
এতে কবরের দিকে হজ্জ করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এ ব্যাখ্যা বিদ'আতী ব্যাখ্যা, শরীয়তে
এর কোন অস্তিত্ব নেই। বায়তুল্লাহ ছাড়া অন্য কোন দিকে হজ্জের উদ্দেশ্যে যিয়ারত করা
যায় এমন কথা কোথাও আসেনি। এরূপ কর্মকান্ড সেই সব বিদ'আতীদের মাঝেই বিদ্যমান আছে যারা
কবরগুলোকে অতিরিক্ত সম্মান দেখায় ...।
আমার হৃদয় সাক্ষ্য দিচ্ছে যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
হতে এটির একটি অক্ষরও বের হয়নি। আল্লাহ খারাপ পরিনতি করুন ঐ ব্যক্তির যিনি এ হাদীসটি
জাল করেছেন। এ হাদীসটি মুহাম্মাদ ইবনু আব্দির রহীম ইবনু শাবীব জাল করেছেন। আমি তাকেই
জালকারী হিসাবে দোষী সাব্যস্ত করছি। তিনি মাজহুল অপরিচিত। এছাড়া অন্য এক সনদে মুহাম্মাদ
ইবনু আব্দির রহীম ইবনু শাবীবের স্থলে মুহাম্মাদ ইবনু ইবরাহীম ইবনে শাকীক বলা হয়েছে,
কিন্তু যাচাই-বাছাই করার পর দেখা যাচ্ছে যে এখানে ইবনু শাবীবই সঠিক।
হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
পাবলিশারঃ
তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ যঈফ ও জাল হাদিস / অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ
হাদিস
নম্বরঃ ২৬৬ | 266 | ۲٦٦
২৬৬। তিনি যখন কোন প্রয়োজনীয়তাকে ভুলে যাবার আশংকা করতেন, তখন তার হাতে
একটি সুতা রেখে দিতেন (বেঁধে দিতেন), যাতে করে তা স্মরণ করতে পারেন।
হাদীসটি বাতিল।
এটি ইবনু আদী (১/১৭২), ইবনু সা'দ (১/২৮৬), হারিস ইবনু আবূ উসামা তার
“মুসনাদ” গ্রন্থে এবং আবুল হাসান আল-আবনুসী “আল-ফাওয়াইদ” গ্রন্থে (২/২৬) সালেম ইবনু
আবদিল 'আলা হতে ... বর্ণনা করেছেন। ইবনু আদী বলেনঃ সালেম এ হাদীসটির ব্যাপারে প্রসিদ্ধ,
ইবনু মাঈন ও অন্যরা তার উপরে এটিকে হাদীস হিসাবে ইনকার (অস্বীকার) করেছেন। সুয়ূতী
“জামেউস সাগীর” গ্রন্থে ইবনু সাদের বর্ণনা হতে উল্লেখ করেছেন। মানাবী তার সমালোচনা
করে বলেছেনঃ এটি আবু ইয়ালা বর্ণনা করেছেন। যারাকশী বলেনঃ এটির সনদে সালেম ইবনু আবদিল
'আলা রয়েছেন। তার সম্পর্কে ইবনু হিব্বান বলেনঃ তিনি জালকারী। ইবনু আবী হাতিম বলেনঃ
হাদীসটি বাতিল।
ইবনু শাহীন “আন-নাসিখ” গ্রন্থে বলেনঃ তার সব হাদীসই মুনকার। মুসান্নেফ
(সুয়ূতী) “আদ-দুরার” গ্রন্থে বলেনঃ আবু হাতিম বলেছেনঃ হাদীসটি বাতিল। ইবনু শাহীন বলেছেনঃ
এটি মুনকার, সহীহ্ নয়।
আমি (আলবানী) বলছিঃ ইবনু আবী হাতিম তার “আল-ইলাল” গ্রন্থে (২/২৫২) বলেনঃ
আমি আমার পিতাকে এ হাদীসটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম ... তিনি উত্তরে বলেনঃ এ হাদীসটি
বাতিল। আমি সালেমের অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেনঃ তিনি হাদীসের ক্ষেত্রে
দুর্বল এবং এটি সালেম হতেই বর্ণিত।
ইবনু আবী হাতিম “আল-জারহু ওয়াত তা’দীল” গ্রন্থে (২/১/১৮৬) বলেনঃ সালেম
সম্পর্কে ইবনু মাঈন বলেছেনঃ তার হাদীসটি কিছুই না। ইবনু আবী হাতিম আরো বলেনঃ আমার পিতা
বলেছেনঃ তিনি মাতরূকুল হাদীস।
আবূ তাহের "আত-তাযকিরা" গ্রন্থে বলেনঃ তিনি নির্ভরযোগ্যদের
উদ্ধৃতিতে হাদীস জাল করতেন। ইবনু হিব্বানও তার কথার অনুসরণ করেছেন। হাকিম ও নাক্কাশ
বলেনঃ তিনি নাফে' হতে জাল হাদীস বর্ণনা করেন। অনুরূপ কথা “লিসানুল মীযান” গ্রন্থে এসেছে।
তার এ বর্ণনাটি নাফে' হতেই।
ইবনুল জাওযী “আল-মাওযূ’আত” গ্রন্থে (৩/৭৩) হাদীসটির তিনটি সূত্র উল্লেখ
করেছেন।
১। প্রথমটি সম্পর্কে আলোচনা করা হল।
২। দ্বিতীয় সূত্রটিতে আবু আমর বিশর ইবনু ইবরাহীম আল-আনসারী রয়েছেন।
তিনি আওযাঈ হতে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। এটি দারাকুতনী এবং ইবনু আসাকির তার “আত-তারীখ”
গ্রন্থে (৩/১০/১) বর্ণনা করেছেন। ইবনুল জাওযী বলেনঃ বিশর এককভাবে এটি বর্ণনা করেছেন।
তিনি হাদীস জালকারী।
আমি (আলবানী) বলছিঃ ইমাম যাহাবী তার জীবনীতে উল্লেখ করেছেন যে, এ হাদীস
তার মুসীবতগুলোর একটি! ইবনু আদী “আল-কামিল” গ্রন্থে তার কতিপয় হাদীস (২/৩৩) বর্ণনা
করেছেন, এটি সেগুলোর একটি। অতঃপর বলেছেনঃ এ হাদীসগুলো আওযাঈ এবং অন্যদের থেকে বর্ণনা
করা। বিশর ছাড়া অন্য কেউ আওযাঈ হতে সেগুলো বর্ণনা করেননি। এগুলো বাতিল তিনি তাদের
উপর জাল করেছেন। অনুরূপভাবে তার সেই সব হাদীস যেগুলো আমি উল্লেখ করিনি (তাদের থেকে
বর্ণনা করা) সেগুলোও বানোয়াট।
৩। তৃতীয়টি গিয়াস ইবনু ইবরাহীম সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। এ গিয়াস এককভাবে
হাদীসটি বর্ণনা করেছেন, তিনি মাতরূক।
আমি (আলবানী) বলছিঃ তিনি জাল করার দোষে দোষী, যেমনভাবে পূর্বে তার সম্পর্কে
আলোচনা করা হয়েছে। সুয়ূতী “আল-লাআলী” গ্রন্থে (২/১৮০) তাবারানীর বর্ণনা হতে বাকিয়া
ইবনুল ওয়ালীদ থেকে চতুর্থ সূত্র উল্লেখ করেছেন। অতঃপর চুপ থেকেছেন, কিন্তু তার চুপ
থাকা সঠিক হয়নি। কারণ বাকিয়া মাজহুল বর্ণনাকারীদের থেকে বর্ণনা করেছেন, যেমনভাবে
ইবনু মাঈন ও আজালী বলেছেন। এ বর্ণনাটি এ প্রকারের অন্তর্ভুক্ত। কারণ তার শাইখ আবু আব্দির
রহমান মাজহুল বর্ণনাকারীদের একজন; যেমনভাবে “আল-লিসান” গ্রন্থে এসেছে।
অতঃপর আমি (আলবানী) আরেকটি সূত্র পেয়েছি, যেটি একাধিক সমস্যায় জর্জরিত।
তাতে বিশর ইবনু ওবায়দিল্লাহ রয়েছেন। তার সম্পর্কে ইবনু আদী বলেনঃ তিনি আইম্মাদের
থেকে বর্ণনাকারী হিসাবে মুনকারুল হাদীস।
আরো রয়েছেন ইয়াহইয়া ইবনু আবী ফুরাত; আমি তাকে চিনি না।
আরো আছেন ঈসা ইবনু শুয়া'য়েব; তার মধ্যে দুর্বলতা রয়েছে। তাদের দু'জনের
একজন এ সূত্রটির সমস্যা।
হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
পাবলিশারঃ
তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ যঈফ ও জাল হাদিস / অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ
হাদিস
নম্বরঃ ২৬৭ | 267 | ۲٦۷
২৬৭। যে ব্যাক্তি তার আংটি বা পাগড়ী উল্টিয়ে রাখে বা তার আংগুলে সুতা
ঝুলিয়ে রাখে, যাতে করে তার প্রয়োজনীয়তাকে স্মরণ করতে পারে, সে ব্যাক্তি অবশ্যই আল্লাহর
সাথে শির্ক করল। কারণ আল্লাহ তা’আলাই প্রয়োজনীয়তাকে স্মরণ করিয়ে দেন।
হাদীসটি জাল।
এটি ইবনু আদী (৩৩/১-২) এবং ইবনুল জাওযী “আল-মাওযুআত” গ্রন্থে (৩/৭৪)
বিশর ইবনুল হুসাইন সূত্রে ... বর্ণনা করেছেন। অতঃপর ইবনু আদী বলেছেনঃ এটি সহীহ নয়।
ইবনুল জাওযী বলেছেনঃ এটির কোন ভিত্তি নেই। কারণ বিশর যুবায়ের হতে বাতিল
হাদীস বর্ণনাকারী। সুয়ূতী তার এ বক্তব্যকে “আল-লাআলী” গ্রন্থে (২/২৮৩) সমর্থন করে
বলেছেনঃ ইবনু হিব্বান বলেনঃ বিশর ইবনুল হুসাইন আল-আসবাহানী যুবায়ের হতে একটি জাল কপি
বর্ণনা করেছেন যাতে একশত পঞ্চাশটি হাদীস ছিল।
ইবনু আররাক "তানযীহুশ শারীয়াহ" গ্রন্থে (২/৩২২) তার এ বক্তব্যকে
সমর্থন করেছেন।
হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
পাবলিশারঃ
তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ যঈফ ও জাল হাদিস / অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ
হাদিস
নম্বরঃ ২৬৮ | 268 | ۲٦۸
২৬৮। যে ব্যাক্তি যমীন হতে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম লিখা কাগজ উঠাবে;
তাঁকে পদদলিত হওয়া থেকে সম্মান প্রদর্শন করে, তাঁকে আল্লাহর নিকট সত্যবাদী বিশ্বাসীদের
মধ্যে লিপিবদ্ধ করা হবে এবং তার পিতা-মাতার উপর হতে শাস্তি লাঘব করা হবে যদিও তাঁরা
দু’জন মুশরিক হয়। আর যে ব্যাক্তি বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম লিখল, অতঃপর আল্লাহকে
সম্মান দেখিয়ে তাঁকে সৌন্দর্য মণ্ডিত করল, তাঁকে ক্ষমা করে দেয়া হবে।
হাদীসটি জাল।
এটি আবুশ শাইখ ইবনু হিব্বান “তাবাকাতুল আসবাহানিয়ীন" গ্রন্থে
(পৃঃ ২৩৪) এবং ইবনু আদী (১/২৪৬) আবূ সালেম আর-রাওয়াসী আলা ইবনু মাসলামী সূত্রে আবু
হাফস আল-আবাদী হতে, তিনি আবান হতে ... বর্ণনা করেছেন।
ইবনুল জাওযী এটিকে তার "আল-মাওযু’আত" গ্রন্থে (১/২২৬) ইবনু
আদীর বর্ণনায় উল্লেখ করে বলেছেনঃ আবান নিতান্তই দুর্বল। হাফস তার চেয়েও দুর্বল এবং
আবু সালেম আলা ইবনু মাসলামাকে মুহাম্মাদ ইবনু তাহির আল-আযদী মিথ্যুক আখ্যা দিয়েছেন।
তিনি আরো বলেছেনঃ তার থেকে বর্ণনা করা হালাল নয়।
সুয়ূতী “আল-লাআলী” গ্রন্থে (১/২০২) বলেনঃ আবাদীর জীবনী বর্ণনা করতে
গিয়ে এটিকে ইবনু আদী উল্লেখ করে বলেছেনঃ তিনি মাতরূকুল হাদীস। তিনি (সুয়ূতী) আরো
বলেনঃ এটি আলী ইবনু আবী তালিব (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে, কিন্তু সহীহ্ নয়।
হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
পাবলিশারঃ
তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ যঈফ ও জাল হাদিস / অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ
হাদিস
নম্বরঃ ২৬৯ | 269 | ۲٦۹
২৬৯। আলেম ব্যাক্তির বার্ধক্য জনিত কারণে মস্তিষ্ক বিকৃত হবে না।
হাদীসটি জাল।
ইবনু আবী হাতিম “আল-ইলাল” গ্রন্থে (২/৪৩৯) বলেনঃ আমার পিতাকে আলা ইবনু
যায়দাল কর্তৃক আনাস (রাঃ) হতে বর্ণনাকৃত হাদীস সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। তিনি
বলেনঃ 'আলা দুর্বল, মাতরূকুল হাদীস। আমরা জ্ঞানের অধিকারী মাসউদী, জারীরী, সাঈদ ইবনু
আরুবা, আতা ইবনুস সায়েব ও অন্যান্যদের পেয়েছি তাদের প্রত্যেকের শেষ বয়সে মস্তিষ্কে
পরিবর্তন ঘটেছিল।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ আলা সম্পর্কে যাহাবী বলেছেনঃ তিনি ধ্বংসপ্রাপ্ত।
ইবনুল মাদীনী বলেনঃ তিনি হাদীস জাল করতেন। ইবনু হিব্বান বলেনঃ তিনি আনাস (রাঃ) হতে
জাল কপি বর্ণনা করেছেন।
তিনি হাদীসটি অন্য ভাষাতেও বর্ণনা করেছেন এভাবেঃ (দেখুন পরেরটি)
হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
পাবলিশারঃ
তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ যঈফ ও জাল হাদিস / অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ
হাদিস
নম্বরঃ ২৭০ | 270 | ۲۷۰
২৭০। কুরআন পাঠকারী বার্ধক্য জনিত কারণে বিকৃত মস্তিষ্ক হবে না।
হাদীসটি জাল।
এটিকে সুয়ূতী “যায়লু আহাদীসিল মাওযু আহ” গ্রন্থে (পৃঃ ২৫) উল্লেখ
করেছেন এবং তার অনুসরণ করে ইবনু আররাক “তানীহুশ শারীয়াহ" গ্রন্থে (২/৩৬) আবূ
নু’য়াইম সূত্রে বর্ণনা করেছেন। এটি “আখবারু আসবাহান” গ্রন্থেও (২/৩৪৩) লাহেক ইবনুল
হুসাইন-এর বর্ণনায় ... এসেছে।
দাইলামী (৪/১৯০) এবং ইবনু আসাকির তার “আত-তারীখ” গ্রন্থে (১৮/১/২) আবূ
নু’য়াইম ও অন্য একটি সূত্রের বরাতে বর্ণনা করেছেন। এটির সনদে লাহেক ইবনুল হুসাইন নামক
এক বর্ণনাকারী আছেন। সুয়ূতী বলেনঃ যাহাবী “আল-মীযান” গ্রন্থে বলেছেনঃ লাহেক মিথ্যুক।
তার থেকেই আবু নু’য়াইম “আল-হিলইয়াহ" গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন।
“লিসানুল মীযান” গ্রন্থে ইবনু হাজার বলেনঃ ইদরীসী বলেছেনঃ তিনি নির্ভরযোগ্যদের
উদ্ধৃতিতে হাদীস জাল করতেন। সম্ভবত মিথ্যুকদের মধ্যে তার মত কাউকে সৃষ্টি করা হয়নি।
ইবনুস সামায়ানী বলেনঃ তিনি ছিলেন মিথ্যুকদের একজন। এমন একটি কপি জাল করেছেন, যার বর্ণনাকারীদের
নাম জানা যায় না। ইবনুন নাজ্জার বলেনঃ তিনি মিথ্যুক হওয়ার ব্যাপারে সকলেই একমত পোষণ
করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এতো কিছু বলার পরেও সুয়ূতী হাদীসটি উল্লেখ করার
দ্বারা “জামেউস সাগীর” গ্রন্থকে কালিমালিপ্ত করেছেন।
হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদিস
নম্বরঃ ২৭১ | 271 | ۲۷۱
২৭১। যে ব্যাক্তি কুরআন জমা করবে, মৃত্যু পর্যন্ত আল্লাহ তাঁকে তার
জ্ঞান দ্বারা উপকৃত করবেন।
হাদীসটি জাল।
এটি আবূ সাঈদ ইবনুল আরাবী তার “আল-মু'জাম” গ্রন্থে (২/১১১) ইবরাহীম
ইবনু হায়সামের মাধ্যমে আবূ সালেহ্ হতে ... বর্ণনা করেছেন। ইবনু আসাকির (২/১১১/২) অন্য
একটি সূত্রে আবূ সালেহ্ হতে বর্ণনা করেছেন। এটির সনদ নিতান্তই দুর্বল। বর্ণনাকারী রিশদীন
ইবনু সাঈদ সম্পর্কে হাফিয ইবনু হাজার "আত-তাকরীব" গ্রন্থে বলেনঃ তিনি দুর্বল।
আবূ হাতিম ইবনু লাহীয়াকে তার উপর অগ্রাধিকার দিয়েছেন। ইবনু ইউনুস বলেনঃ তিনি দ্বীনের
ক্ষেত্রে নেককার ছিলেন। আমি তাকে সালেহীনদের মধ্যে গাফেল হিসাবে পেয়েছি। ফলে তার হাদীসে
সংমিশ্রণ ঘটেছে।
আমি (আলবানী) বলছিঃ বাহ্যিকতা প্রমাণ করছে যে, এটি তার সংমিশ্রণ ঘটিত
হাদীসগুলোর একটি। হতে পারে হাদীসটি আব্দুল্লাহ ইবনু সালেহ (আবু সালেহ)-এর প্রতিবেশী
খালেদ ইবনু নাজীহ কর্তৃক জালকৃত। কারণ তিনি হাদীস জাল করতেন এবং আব্দুল্লাহর গ্রন্থ
সমূহে ঢুকিয়ে দিতেন। অথচ আব্দুল্লাহ তা বুঝতে পারতেন না। দেখুন “আল-মীযান” গ্রন্থ
(২/৪৬-৪৮) এবং এ মর্মে আবূ হাতিমের ভাষ্য ১৯৪ নং হাদিসে দেখুন, সেখানেও তার সম্পর্কে
ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে।
হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
পাবলিশারঃ
তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ যঈফ ও জাল হাদিস / অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ
হাদিস
নম্বরঃ ২৭২ | 272 | ۲۷۲
২৭২। ব্যাক্তির জ্ঞানের গভীরতা যাচাই কর তার দাড়ির দীর্ঘায়ত্বের মাঝে,
আংটির কারুকার্যের মাঝে এবং তার কুনিয়াতের মাঝে।
হাদীসটি জাল।
এটিকে সুয়ূতী “যায়লু আহাদীসিল মাওযুআহ” গ্রন্থে (পৃঃ ১০) ইবনু আসাকিরের
বর্ণনা হতে উসমান ইবনু আব্দির রহমান আত-তারায়েকী হতে উল্লেখ করেছেন। তিনি ইয়াযীদ
ইবনু সিনান আশয়ারী হতে ... বর্ণনা করেছেন। সুয়ূতী বলেনঃ ইয়াযীদ দুর্বল এবং তারায়েফীকে
ইবনু নুমায়ের মিথ্যুক আখ্যা দিয়েছেন।
হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
পাবলিশারঃ
তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ যঈফ ও জাল হাদিস / অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ
হাদিস
নম্বরঃ ২৭৩ | 273 | ۲۷۳
২৭৩। সূরা নেসার পরে ওয়াকফ নেই।
হাদীসটি দুর্বল।
এটি তাহাবী “শারহু মা'য়ানীল আসার” গ্রন্থে (২/২৫০), তাবারানী (৩/১১৪/১),
দারাকুতনী (৪/৬৮/৩,৪) এবং বাইহাকী তার “সুনান” গ্রন্থে (৬/১৬২) আব্দুল্লাহ ইবনু লাহীয়াহ
সূত্রে ঈসা ইবনু লাহীয়াহ হতে ... বর্ণনা করেছেন।
দারাকুতনী বলেন (বাইহাকীও তাকে সমর্থন করেছেন) ইবনু লাহীয়াহ ছাড়া
অন্য কেউ তার ভাই থেকে মুসনাদ হিসাবে বর্ণনা করেননি। তারা দু’জনই দুর্বল।
এটিকে সুয়ূতী “জামেউস সাগীর” গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন এবং হাসান হিসাবে
চিহ্নিত করেছেন। মানাবী দারাকুতনী ও “আল-মাজমা” গ্রন্থে (২/৭) হায়সামীর কথা দ্বারা
তার প্রতিবাদ করেছেন। তিনি বলেনঃ হাদীসটি তাবারানী বর্ণনা করেছেন, যার সনদে ঈসা ইবনু
লাহীয়াহ রয়েছেন; তিনি দুর্বল।
তাহাবী ইমাম আবু হানীফা (রহঃ)-এর নিকট ওয়াকফ বাতিল এ মতামতের সমর্থনে
এ হাদীস দ্বারা দলীল গ্রহণ করেছেন। এরূপ দলীল গ্রহণ করা নিতান্তই দুর্বল নিম্নে বর্ণিত
কারণেঃ
১। হাদীসটি দুর্বল; যেমনটি অবহিত হয়েছেন। এর দ্বারা দলীল গ্রহণ করা
অবৈধ ।
২। এটি (ওয়াকফ) শরীয়ত সম্মত এ মর্মে বর্ণিত সহীহ হাদীসের সাথে সাংঘর্ষিক,
যা বুখারী ও মুসলিমের মধ্যে বর্ণিত হয়েছে। দেখুন "ইরওয়াউল গালীল” (৬/৩০/১৫৮২)।
হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
পাবলিশারঃ
তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ যঈফ ও জাল হাদিস / অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ
হাদিস
নম্বরঃ ২৭৪ | 274 | ۲۷٤
২৭৪। চল্লিশটি বাড়ী পর্যন্ত প্রতিবেশী এ মর্মে জিবরীল আমাকে ওয়াসিয়াত
করেছেন। চতুর্দিকে দশটি দশটি করে।
হাদীসটি দুর্বল।
এটি বাইহাকী (৬/২৭৬) ইসমাঈল ইবনু সায়েফ হতে ... বর্ণনা করেছেন। অতঃপর
বলেছেনঃ এটির সনদ দুর্বল। আমি (আলবানী) বলছিঃ যায়লাঈ “নাসবুর রায়ার” গ্রন্থে (৪/৪১৪)
তা স্বীকার করেছেন। কারণ এ ইসমাঈল সম্পর্কে ইবনু আদী (১/৩১৮) বলেনঃ তিনি নির্ভরযোগ্যদের
উদ্ধৃতিতে ভেজালযুক্ত হাদীস বর্ণনা করেছেন এবং তিনি হাদীস চোর।
আমি (আলবানী) বলছিঃ বর্ণনাকার সাকীনা এবং উম্মে হানীকে আমি চিনি না।
হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
পাবলিশারঃ
তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ যঈফ ও জাল হাদিস / অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ
হাদিস
নম্বরঃ ২৭৫ | 275 | ۲۷۵
২৭৫। সাবধান! অবশ্যই চল্লিশ ঘর পর্যন্ত প্রতিবেশী। সেই ব্যাক্তি জান্নাতে
প্রবেশ করবে না যার প্রতিবেশী তার অনিষ্ঠতাকে ভয় করে। চল্লিশ ঘর বলতে কী বুঝানো হচ্ছে
এ মর্মে যুহরীকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল? তিনি বললেনঃ চল্লিশ এ দিকে আর চল্লিশ ঐ দিকে।
হাদীসটি দুর্বল।
এটি তাবরানী “মুজামুল কাবীর” গ্রন্থে (১৯/৭৩/নং ১৪৩) ইউসুফ ইবনু সাফার
হতে এবং তিনি আওযাঈ হতে ... বর্ণনা করেছেন। বর্ণনাকারী ইউসুফ ইবনু সাফার আবুল ফায়েয
সম্পর্কে সমালোচনা রয়েছে। অনুরূপ কথা যায়লাঈও (৪/৪১৩-৪১৪) বলেছেন। তাদের পক্ষ হতে
এ ইবনু সাফার সম্পর্কে নিতান্তই নরম কথা বলা হয়েছে। কারণ এরূপ কথা বলা হয় যার ব্যাপারে
ভাল না মন্দ এ নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে তার ক্ষেত্রে। অথচ এ ইবনু সাফার মাতরূক হওয়ার
ব্যাপারে সবাই একমত, বরং তাকে দারাকুতনী মিথ্যুক আখ্যা দিয়েছেন এবং বাইহাকী তার সম্পর্কে
বলেছেনঃ তিনি হাদীস জালকারীদের অন্তর্ভুক্ত। তার জাল হাদীস পূর্বে আলোচিত হয়েছে (১৮৭
নং)।
এ জন্য হায়সামী “আল-মাজমা" গ্রন্থে ( ৮/১৬৯) বলেছেনঃ ইউসুফ ইবনুস
সাফার মাতরক।
আমি (আলবানী) বলছি হাকাল ইবনু যিয়াদ আওযাই হতে মুরসাল হিসাবে হাদীসটি
বর্ণনা করেছেন। সেটি আবু দাউদ তার "আল-মারাসীল" গ্রন্থে (নং ৩৫০) বর্ণনা
করেছেন।
এটির সনদের বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য। যদি মুরসাল না হত তাহলে সহীহ
বলে হুকুম লাগাতাম। হাফিয় ইরাকী “তাখরীজুল ইহইয়া” গ্রন্থে (২/১৮৯) বলেছেনঃ হাদীসটি
দুর্বল। অনুরূপ কথা হাফিয ইবনু হাজার “ফাতহুল বারী” গ্রন্থেও (১০/৩৯৭) বলেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ হাদীসটির অংশ বিশেষ ولا يدخل الجنة من خاف সহীহ। কারণ আবু হুরাইরাহ্
(রাঃ)-এর হাদীসের মধ্যে এসেছে এ ভাষায়ঃ
لا يدخل الجنة من لا يأمن جاره بوائقه
এটি মুসলিম (১/৪৯) এবং বুখারী “আদাবুল মুফরাদ” গ্রন্থে (পৃঃ ২০) বর্ণনা
করেছেন।
হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
পাবলিশারঃ
তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ যঈফ ও জাল হাদিস / অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ
হাদিস
নম্বরঃ ২৭৬ | 276 | ۲۷٦
২৭৬। প্রতিবেশীর হক হচ্ছে চল্লিশ বাড়ী পর্যন্ত। এদিকে, ঐদিকে তথা ডানে,
বামে, সম্মুখে ও পিছনে।
হাদীসটি নিতান্তই দুর্বল।
হাদীসটি নিতান্তই দুর্বল। এটি আবু ইয়ালা তার “মুসনাদ” গ্রন্থে (১০/৩৮৫/
৫৯৮২) বর্ণনা করেছেন। এটির সনদে মুহাম্মাদ ইবনু জামে আল-আত্তার, মুহাম্মাদ ইবনু উসমান
ও আব্দুস সালাম ইবনু আবীল জানূব রয়েছেন। আবু ইয়ালার সূত্র হতেই হাদীসটি ইবনু হিব্বান
“আয-যুয়াফা” গ্রন্থে (২/১৫০) বর্ণনা করেছেন এবং এটির সমস্যা হিসাবে আব্দুস সালামকে
মুনকারুল হাদীস বলে চিহ্নিত করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ যায়লাঈ “নাসবুর রায়া” গ্রন্থে (৩/৪১৪) তার এ বক্তব্যকে
সমর্থন করেছেন। ইবনু হিব্বান এটিকে “আস-সিকাত” গ্রন্থেও (৭/১২৭) উল্লেখ করেছেন। আবু
হাতিম (৩/১/৪৫) বলেনঃ তিনি মাতরূকুল হাদীস।
আমি (আলবানী) বলছিঃ হাদীসটির সনদে অন্য একটি সমস্যা রয়েছে। হায়সামী
বলেনঃ (৮/১৬৮) আবূ ইয়ালা তার শাইখ মুহাম্মাদ ইবনু জামে আল-আত্তার হতে বর্ণনা করেছেন।
তিনি দুর্বল।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এর চেয়েও বরং তার অবস্থা আরো খারাপ। আবূ যুর'য়াহ
বলেনঃ তিনি সত্যবাদী নন।
এছাড়া মুহাম্মাদ ইবনু উসমান হচ্ছেন জামহী মাক্কী, তিনিও দুর্বল। এটি
হচ্ছে হাদীসটির তৃতীয় সমস্যা। এ কারণেই হাফিয ইরাকী “তাখরীজুল ইহইয়া” গ্রন্থে (২/১৮৯)
বলেছেনঃ হাদীসটি দুর্বল।
হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
পাবলিশারঃ
তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ যঈফ ও জাল হাদিস / অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ
হাদিস
নম্বরঃ ২৭৭ | 277 | ۲۷۷
২৭৭। চল্লিশটি বাড়ীর অধিবাসীরাই প্রতিবেশী।
হাদীসটি দুর্বল।
এটি আবু দাউদ তার “আল-মারাসীল” গ্রন্থে (৪৫০) যুহরী হতে মুরসাল হিসাবে
বর্ণনা করেছেন। যুহরীকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল কীভাবে চল্লিশ ঘর? তিনি বলেনঃ ডানে চল্লিশ,
বামে চল্লিশ, পিছনে চল্লিশ এবং সামনে চল্লিশ ।
এটির সনদের বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য। হাদীসটি সহীহ সেই ব্যক্তির নিকট
যিনি মুরসালকে দলীল হিসাবে গ্রহণ করেন।
আলেমগণ প্রতিবেশীর সীমা-রেখা নির্ধারণের ব্যাপারে মতভেদ করেছেন। হাফিয
ইবনু হাজার “ফাতহুল বারী” গ্রন্থে (১০/৩৬৭) সেগুলো উল্লেখ করেছেন। সীমা-রেখা নির্দিষ্ট
করে যা কিছু রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করা হয়েছে সেগুলো দুর্বল,
সহীহ নয়। সমাজ যতটুকু পর্যন্ত প্রতিবেশী হিসাবে গণ্য করে ততটুকুই প্রতিবেশী হিসাবে
গণ্য হবে। এ সিদ্ধান্তটিই সঠিক।
হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
পাবলিশারঃ
তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ যঈফ ও জাল হাদিস / অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ
হাদিস
নম্বরঃ ২৭৮ | 278 | ۲۷۸
২৭৮। জ্ঞান হচ্ছে ভাণ্ডার এবং তার চাবি হচ্ছে প্রশ্ন করা/ জিজ্ঞাসা
করা। অতএব তোমরা জিজ্ঞাসা কর, তোমাদেরকে আল্লাহ দয়া করবেন। কারন তাতে চার জনকে সওয়াব
দেয়া হবে; প্রশ্নকারীকে, শিক্ষককে, মনোযোগ সহকারে শ্রবণকারীকে এবং তাঁদের উত্তর দানকারীকে।
হাদীসটি জাল।
এটি আবূ নু’য়াইম (৩/১৯২) এবং আবু উসমান আন-নুজায়রেমী “আল-ফাওয়াইদ”
গ্রন্থে (১/২৪) দাউদ ইবনু সুলায়মান আল-কাযযায সূত্রে ... বর্ণনা করেছেন। অতঃপর আবু
নু’য়াইম বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব, এ সনদ ছাড়া অন্য কোন সনদে আমরা এটিকে লিখিনি।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এটির সনদ দাউদ ইবনু সুলায়মান হতে জালকৃত। তিনি
হচ্ছেন জুরজানী গাযী। যাহাবী তার সম্পর্কে বলেনঃ ইয়াহইয়া ইবনু মাঈন তাকে মিথ্যুক
আখ্যা দিয়েছেন। আবু হাতিম তাকে চিনেন না। সর্বাবস্থায় তিনি মিথ্যুক শাইখ। আলী ইবনু
মূসা আর-রিযা হতে তার একটি জাল কপি রয়েছে। অতঃপর তার কতিপয় হাদীস উল্লেখ করেছেন,
এটি সেগুলোর একটি।
হাফিয ইবনু হাজারও “লিসানুল মীযান” গ্রন্থে তার (যাহাবীর) কথাকে সমর্থন
করেছেন। এ কারণেই সুয়ূতী “জামেউস সাগীর” গ্রন্থে হাদীসটি উল্লেখ করে ক্রটি করেছেন।
মানাবী যাহাবী ও আসকালানীর কথা উল্লেখ করে তার সমালোচনা করেছেন। হাদীসটি অন্য এক সনদে
“আওয়ালী” গ্রন্থে শায়রাবী (১/২১৩) এবং “আল-ফাকীহ ওয়াল মুতাফাক্কিহ” গ্রন্থে (২/৩২)
আল-খাতীব বর্ণনা করেছেন। কিন্তু এটির সনদে আব্দুল্লাহ ইবনু আহমাদ আত-তাঈ রয়েছেন। তার
অবস্থা জুরজানীর অবস্থার ন্যায়। তিনি তার পিতা হতে বাতিল-বানোয়াট কপি বর্ণনা করেছেন।
তিনি অথবা তার পিতা এটি জাল করেছেন।
হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
পাবলিশারঃ
তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ যঈফ ও জাল হাদিস / অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ
হাদিস
নম্বরঃ ২৭৯ | 279 | ۲۷۹
২৭৯। কোন এক নাবীকে তার জাতি ধ্বংস করে দিয়েছে। অর্থাৎ সোতাইহ।
ইসলামী কোন গ্রন্থে এটির কোন ভিত্তি নেই।
আসলে এটির সনদই দেখছি না। হাফিয ইবনু কাসীর “আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া”
গ্রন্থে (২/২৭১) এরূপই বলেছেন।
হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
পাবলিশারঃ
তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ যঈফ ও জাল হাদিস / অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ
হাদিস
নম্বরঃ ২৮০ | 280 | ۲۸۰
২৮০। আল্লাহ পাক ঈসা (আঃ) এর নিকট ওহী মারফত বললেনঃ হে ঈসা! মুহাম্মদের
প্রতি ঈমান আন এবং তোমার উম্মতের মধ্য হতে যে ব্যাক্তি তাঁকে পাবে তাঁদেরকে তার প্রতি
ঈমান আনার নির্দেশ দাও। কারণ মুহাম্মদ যদি না হত তাহলে আদমকে সৃষ্টি করতাম না। মুহাম্মদ
যদি না হত তাহলে জান্নাত ও জাহান্নাম সৃষ্টি করতাম না। অবশ্যই আমি পানির উপর আরশ সৃষ্টি
করেছিলাম। অতঃপর সে (আরশ) অশান্ত হয়ে গেলে তার উপর লা-ইলাহা ইল্লালাহু মুহাম্মাদুর
রাসুলুল্লাহ লিখে দিলাম, ফলে সে শান্ত হয়ে গেল।
হাদীসটি জাল।
মারফু’ হিসাবে এটির কোন ভিত্তি নেই। হাকিম “আল-মুসতাদরাক” গ্রন্থে
(২/৬১৪-৬১৫) আমর ইবনু আওস আনসারী সূত্রে ... বর্ণনা করে বলেছেনঃ এটির সনদ সহীহ। যাহাবী
তার সমালোচনা করে বলেছেনঃ আমার ধারণা এটি সাঈদের উপর জাল করা হয়েছে।
আমি (আলবানী) বলছিঃ অর্থাৎ সাঈদ ইবনু আবী আরুবার উপর। এ হাদীসটির ব্যাপারে
সাঈদ হতে বর্ণনাকারী আমর ইবনু আওস আনসারী মিথ্যার দোষে দোষী। যাহাবী “আল-মীযান"
গ্রন্থে বলেনঃ তার অবস্থা মাজহুল, তিনি মুনকার হাদীস নিয়ে এসেছেন। তিনি তার এ হাদীসটি
উল্লেখ করে বলেছেনঃ আমার ধারণা এটি বানোয়াট। হাফিয ইবনু হাজার “লিসানুল মীযান” গ্রন্থে
তার কথার সাথে একমত পোষণ করেছেন এবং তাকে সমর্থন করেছেন।
হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদিস
নম্বরঃ ২৮১ | 281 | ۲۸۱
২৮১। সে এক নাবী যাকে তার জাতি ধ্বংস করে দিয়েছে। অর্থাৎ খালিদ ইবনু
সিনানকে বুঝানো হচ্ছে।
হাদীসটি সহিহ নয়।
এটি হাকিম (২/৫৯৮-৫৯৯) এবং অনুরূপ ভাবে আবু ইয়ালা মুয়াল্লা ইবনু মাহদী
সূত্রে ... বর্ণনা করেছেন। এ সনদটি দুর্বল মুরসাল হওয়ার কারণে। মুয়াল্লা ইবনু মাহদীকে
আবু হাতিম দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। তিনি আরো বলেছেনঃ তিনি কখনও কখনও মুনকার হাদীস নিয়ে
আসতেন। হায়সামী বলেছেনঃ এটি সেগুলো হতেই।
আমি (আলবানী) বলছিঃ হাদীসটি তাবারানী (৩/১৫৪/১), বাযযার (২৩৬১), ইবনু
আদী (২/২৭১), আবু নু’য়াইম “আখবারু আসবাহান” গ্রন্থে (২/১৮৭) কায়স ইবনু রাবী সূত্রে
সালেম আল-আফতাস হতে ... বর্ণনা করেছেন। বাযযার বলেনঃ এ সূত্র ছাড়া এটিকে মারফু হিসাবে
চিনি না। কায়স নিজে নির্ভরযোগ্য ছিলেন, কিন্তু তিনি মুখস্থ বিদ্যায় দুর্বল ছিলেন।
তার এক ছেলে ছিল সে তার হাদীসের মধ্যে এমন কিছু ঢুকিয়ে দিত, যা তার হাদীসের অন্তর্ভুক্ত
ছিল না। সাওরী হাদীসটি সাঈদ ইবনু যুবায়ের হতে মুরসাল হিসাবে বর্ণনা করেছেন। এটি ইবনু
কাসীর “আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া” গ্রন্থে (২/২১১) বর্ণনা করেছেন। ইবনু আদী বলেনঃ তিনি
তার হাদীসটিকে মওসূল করেননি।
অতঃপর ইবনু কাসীর বলেনঃ এসব মুরসাল এ স্থানে দলীল হিসাবে গ্রহণযোগ্য
নয়। অন্যত্র (২/২৭১) বলেনঃ এটি সহীহ্ নয়। খাতীব বাগদাদী “তালখীসুল মুতাশবিহ” গ্রন্থে
(১৩/ ১৪৮-১৪৯) মওসুল হিসাবে বর্ণনা করে বলেছেনঃ এটির সনদে বিরূপ মন্তব্য রয়েছে।
আমি (আলবানী) বলছিঃ সম্ভবত তার কারণ এই যে, এটির সনদে একদল বর্ণনাকারী
আছেন যাদেরকে চিনি না। তাদের মধ্যে একজন হচ্ছেন আবূ মুহাম্মাদ আল-কুরাশী হাশেমী। দেখুন
“আল-ইসাবা” (২/৫০৭)। কালবী সূত্রেও হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে, কিন্তু কালবী মিথ্যুক।
আমি (আলবানী) বলছিঃ হাদীসটি দুর্বল হওয়া সত্ত্বেও এটি নিম্নের সহীহ
হাদীসের সাথে সাংঘর্ষিক, যেমনভাবে হায়সামী (৮/২১৪) বলেছেন।
أنا أولى الناس بعيسى بن مريم، الأنبياء إخوة لعلات، وليس بيني وبينه نبي
ঈসা ইবনু মারইয়ামের সাথে সম্পর্কের দিক দিয়ে লোকদের মধ্যে আমিই সর্বোত্তম,
কারণ নাবীগণ পিতার দিক দিয়ে ভাই ভাই। আমার ও তার মধ্যে কোন নাবী নেই (বুখারী ও মুসলিম)।
হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
পাবলিশারঃ
তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ যঈফ ও জাল হাদিস / অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ
হাদিস
নম্বরঃ ২৮২ | 282 | ۲۸۲
২৮২। আপনি যদি না হতেন, তাহলে আমি আকাশ ও ভূমণ্ডল সৃষ্টি করতাম না।
হাদীসটি জাল।
যেমনভাবে সাগানী “আল-আহাদীসূল মাওযূআহ” গ্রন্থে (পৃঃ ৭) বলেছেন। তবে
শাইখ আল-কারীর উক্তি (৬৭-৬৮) কিন্তু তার অর্থটি সহীহ, এটি দাইলামী ইবনু আব্বাস (রাঃ)
হতে মারফু হিসাবে নিম্নের ভাষায় বর্ণনা করেছেনঃ
أتاني جبريل فقال: يا محمد لولاك لما خلقت الجنة، ولولاك ما خلقت النار وفي رواية ابن عساكر: لولاك ما خلقت الدنيا
আমার নিকট জিবরীল আসলেন, অতঃপর বললেনঃ হে মুহাম্মাদ! আপনি যদি না হতেন
তাহলে জান্নাত সৃষ্টি করতাম না, আপনি যদি না হতেন তাহলে জাহান্নাম সৃষ্টি করতাম না।
ইবনু আসাকির হতে অন্য এক বর্ণনায় এসেছে; আপনি যদি না হতেন তাহলে দুনিয়া সৃষ্টি করতাম
না।
আমি (আলবানী) বলছিঃ দাইলামী হতে যা বর্ণনা করা হয়েছে তা সাব্যস্ত না
হওয়ার পূর্বেই হাদীসটির অর্থ সঠিক, এ কথাটি দৃঢ়তার সাথে বলা উচিত হবে না। আমি কাউকে
দেখছি না যিনি এটি বর্ণনা করেছেন। যদিও আমি তার সনদটি সম্পর্কে অবহিত হইনি, তবুও হাদীসটি
যে দুর্বল এ মর্মে আমি কোন সন্দেহ পোষণ করছি না। এর জন্য দাইলামী কর্তৃক এককভাবে বর্ণনা
করাটাই তার প্রমাণের জন্য যথেষ্ট।
অতঃপর আমি যখন তার (দাইলামীর) “মুসনাদ” গ্রন্থে (১/৪১/২) হাদীসটির সনদ
সম্পর্কে অবহিত হলাম যে, এটি ওবায়দুল্লাহ ইবনু মূসা আল-কুরাশী সূত্রে ফুযায়েল ইবনু
জাফার ইবনু সুলায়মান হতে বর্ণিত আর তিনি আব্দুস সামাদ ইবনু ‘আলী হতে, তিনি তার পিতা
হতে, তার পিতা আলী ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। তখন আমি সিদ্ধান্তে উপনীত
হলাম এটির দুর্বলতার ফাটল সম্পর্কে।
আমি বলছিঃ এটির সমস্যা হচ্ছে এ আব্দুস সামাদ; উকায়লী তার সম্পর্কে
বলেনঃ তার হাদীস নিরাপদ নয় এবং তার মাধ্যম ছাড়া হাদীসটি অন্য কোন মাধ্যমে জানা যায়
না। অতঃপর তিনি সাক্ষীর সম্মানের বিষয়ে তার অন্য একটি হাদীস উল্লেখ করেছেন, যা ২৮৯৮
নম্বরে আসবে। তার মাধ্যম ছাড়া আমি হাদীস দু'টোকে চিনি না।
ইবনু আসাকিরের বর্ণনায় হাদীসটি ইবনুল জাওযী তার “আল-মাওযুআত” গ্রন্থে
(১/২৮৮-২৮৯) দীর্ঘ এক হাদীসের মধ্যে সালমান হতে বর্ণনা করে বলেছেনঃ إنه موضوع হাদিসটি বানোয়াট।
সুয়ূতী “আল-লাআলী” গ্রন্থে (১/২৭২) তার (ইবনুল জাওযীর) বক্তব্যকে সমর্থন
করেছেন।
হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
পাবলিশারঃ
তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ যঈফ ও জাল হাদিস / অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ
হাদিস
নম্বরঃ ২৮৩ | 283 | ۲۸۳
২৮৩। তোমরা তীর নিক্ষেপ কর, কারণ তীর নিক্ষেপকারীদের শপথ অর্থহীন, তাতে
শপথ ভঙ্গ হয়না, কাফফারাও দিতে হয় না।
হাদীসটি বাতিল।
এটি তাবারানী “মুজামুস সাগীর” গ্রন্থে (পৃঃ ২৩৭) ইউসুফ ইবনু ইয়াকুব
ইবনে আবদিল আযীয সাকাফী হতে, তিনি তার পিতা হতে ... বর্ণনা করেছেন। তাবারানী বলেনঃ
হাদীসটি ইউসুফ তার পিতা হতে এককভাবে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এটির সনদ দুর্বল। ইউসুফ ইবনু ইয়াকুব এবং তার পিতা
ছাড়া সকলেই নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারী। এ ইউসুফের জীবনী বর্ণনা করতে গিয়ে হাফিয ইবনু
হাজার "লিসানুল মীযান” গ্রন্থে বলেনঃ আমি তার অবস্থা সম্পর্কে জানি না। তিনি বাতিল
হাদীস নিয়ে এসেছেন এমন সনদে যাতে কোন সমস্যা নেই।
আমি (আলবানী) বলছিঃ “কিতাবুর রামী" গ্রন্থে তাবরানী কর্তৃক বর্ণনাকৃত
হাদীসটি হাফিয উল্লেখ করে বলেছেনঃ এটির সমস্যার দায় ইউসুফ অথবা তাঁর পিতার (ইয়কুব)
উপর। ইবনু উয়াইনা কখনই হাদীসটি বর্ণনা করেননি।
হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
পাবলিশারঃ
তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ যঈফ ও জাল হাদিস / অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ
হাদিস
নম্বরঃ ২৮৪ | 284 | ۲۸٤
২৮৪। হে মু’য়াজ! আমি তোমাকে কিতাবধারী (আহলে কিতাব) সম্প্রদায়ের নিকট
প্রেরণ করেছি। অতএব তুমি যদি আসমানে পানি প্রবাহিত হওয়ার স্থানের ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত
হও, তাহলে বলবে, সেগুলো হচ্ছে আরশের নিচের সাপের লালা।
হাদীসটি জাল।
এটি তাবারানী (১/১৭৬/১), উকায়লী (৩/৪৪৯) ও ইবনু আদী (১/২৬৩) ফাযল ইবনুল
মুখতার সূত্রে ... বর্ণনা করেছেন। ইবনুল জাওযী হাদীসটি “আল-মাওযু'আত” গ্রন্থে (১/১৪২)
উল্লেখ করে বলেছেনঃ ফাযল মুনকারুল হাদীস। হাফিয ইবনু কাসীর “আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া”
গ্রন্থে (১/৩৯) বলেছেনঃ এ হাদীসটি নিতান্তই মুনকার, বরং এটি মাওযূর সাথে বেশী সাদৃশ্যপূর্ণ।
তার বর্ণনাকারী ফাযল ইবনু মুখতার হচ্ছেন আবু সাহাল আল-বাসরী। তার সম্পর্কে
আবূ হাতিম আর-রাযী বলেনঃ তিনি মাজহুল, বাতিল হাদীস বর্ণনা করেছেন। আবুল ফাতাহ আল-আযদী
বলেনঃ তিনি নিতান্তই মুনকারুল হাদীস। ইবনু আদী বলেনঃ তার হাদীসগুলোর অনুসরণ করা যায়
না, না ভাষার না সনদের।
আমি (আলবানী) বলছিঃ যাহাবী তার কতিপয় হাদীস উল্লেখ করে বলেছেনঃ এগুলো
বাতিল এবং আশ্চর্যজনক । ইবনুল জাওযী অন্য একটি সূত্রেও হাদীসটি উল্লেখ করেছেন। যেটি
উকায়লী আব্দুল আ'লা ইবনু হাকিমের জীবনী বর্ণনা করতে গিয়ে (২৫৩) উল্লেখ করে বলেছেনঃ
এ হাদীসটি নিরাপদ নয়, বর্ণনা করার ক্ষেত্রে আব্দুল আ'লা মাজহুল। এটির সনদে আবু বাকর
ইবনু আবী সাবুরা রয়েছেন; তিনি মাতরূক। এছাড়া সুলায়মান ইবনু দাউদ শাযবুনীও রয়েছেন,
তিনি হচ্ছেন মিথ্যার দোষে দোষী।
যাহাবী আব্দুল আ'লার জীবনী বর্ণনা করতে গিয়ে বলেনঃ এটির সনদ অন্ধকারাচ্ছন্ন।
ভাষাও সহীহ নয়।
হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
পাবলিশারঃ
তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ যঈফ ও জাল হাদিস / অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ
হাদিস
নম্বরঃ ২৮৫ | 285 | ۲۸۵
২৮৫। রমযান মাস এবং আশূরা (আশুরা/আসুরা/আসূরা)র দিবস ব্যাতিত সাওম
(রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) রাখার ক্ষেত্রে একটি দিবসের অন্যটির উপর কোন ফযিলত (শ্রেষ্ঠত্ব)
নেই।
হাদীসটি মুনকার।
এটি তাবারানী “মুজামুল কাবীর” গ্রন্থে (৩/২১৫/২), তাহাবী “শারহু মায়ানীল
আসার” গ্রন্থে (১/৩৩৭), আবু সাহাল “আহাদীস ইবনু যুরায়েস” গ্রন্থে (২/১৮৯), ইবনু আদী
(১/২৫০) ও আরো অনেকে আব্দুল জাব্বার ইবনু ওরদ সূত্রে ইবনু আবী মুলায়কা হতে ... বর্ণনা
করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এটির সনদ দুর্বল। এটির বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য,
যেমনিভাবে মুনযেরী “আত-তারগীব” গ্রন্থে (২/৭২) এবং হায়সামী "আল-মাজমা" গ্রন্থে
(৩/১৮৬) বলেছেন। কিন্তু আব্দুল জাব্বার ইবনু ওরদ-এর মুখস্থ বিদ্যায় দুর্বলতা ছিল,
যেমনিভাবে ইমাম বুখারী ইঙ্গিত দিয়েছেন তার এ কথায়ঃ তিনি তার কোন কোন হাদীসে বিরোধিতা
করেছেন।
ইবনু হিব্বান বলেনঃ তিনি ভুলকারী এবং সন্দেহ পোষণকারী।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ হাদীসটির বর্ণনাতে তিনি যে ভুল করেছেন, দুটি কারণে
তাতে কোন সন্দেহ পোষণ করছি নাঃ
১। তার সনদে ইযতিরাব সংঘটিত হয়েছে। একবার বলেছেন ইবনু আবী মুলায়কা
হতে, আবার বলেছেন আমর ইবনু দীনার হতে। এটি প্রমাণ করছে যে, তার মুখস্থ বিদ্যায় সমস্যা
ছিল।
২। এ হাদীসটির মতন (ভাষার)-এর বিরোধিতা করা হয়েছে। যেটি বুখারী ও মুসলিমসহ
অন্যান্য হাদীস গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে।
হাদিসের মানঃ মুনকার (সর্বদা পরিত্যক্ত)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
পাবলিশারঃ
তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ যঈফ ও জাল হাদিস / অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ
হাদিস
নম্বরঃ ২৮৬ | 286 | ۲۸٦
২৮৬। আদম (আঃ) পায়ে হেঁটে ইণ্ডিয়া হতে এক হাজার বার এ ঘরের নিকট এসেছিলেন।
তবে কোন বাহনে আরোহণ করেননি। (এক হাজারের মধ্যে) তিন শতবার হাজ্জের (হজ্জ) উদ্দেশ্যে
এবং সাত শতবার উমরার উদ্দেশ্যে। আদম (আঃ) প্রথম যে হাজ্জ (হজ্জ) করেন তখন আরাফার মাঠে
দাঁড়িয়েছিলেন, এমতাবস্থায় জিবরীল (আঃ) আসলেন। অতঃপর বললেনঃ আস-সালামু আলাইকা হে আদম!
আল্লাহ আপনার কুরবানী কবূল করুন। তবে আমরা এ ঘরকে আপনার সৃষ্টির পাঁচ হাজার বছর পূর্ব
হতে তাওয়াফ করছি।
হাদীসটি নিতান্তই দুর্বল।
এটি ইবনু বিশরান "আল-আমালী" গ্রন্থে (২/১৬০-১/১৬১) আব্বাস
ইবনু ফাযল আনসারী সূত্রে কাসিম ইবনু আব্দির রহমান হতে ... বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এটির সনদ নিতান্তই দুর্বল। কারণ আব্বাস ইবনু ফাযল
আনসারী মাতরূক। তাকে আবু যুর'য়াহ মিথ্যার দোষে দোষী করেছেন; যেরূপভাবে "আত-তাকরীব"
গ্রন্থে এসেছে। এছাড়া কাসিম ইবনু আব্দির রহমান আনসারী সম্পর্কে ইবনু মাঈন বলেনঃ তিনি
কিছুই না। আবু যুর'য়াহ বলেনঃ তিনি মুনকারুল হাদীস। আবু হাতিম বলেনঃ তিনি দুর্বল, মুযতারিবুল
হাদীস। তার থেকে মুহাম্মাদ ইবনু আবদিল্লাহ দুটি বাতিল হাদীস বর্ণনা করেছেন।
দুটির একটি আদম (আঃ) এর মৃত্যু সম্পর্কে এবং দ্বিতীয়টি আবু হাযিম হতে
এসেছে। এরূপই “আল-জারহু ওয়াত তা’দীল” গ্রন্থে (৩/২/১১৩) এসেছে।
আমি (আলবানী) বলছিঃ সম্ভবত দ্বিতীয় বাতিল হাদীসটি আবু হাযিম হতে এ
আলোচ্য হাদীসটি।
হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
পাবলিশারঃ
তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ যঈফ ও জাল হাদিস / অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ
হাদিস
নম্বরঃ ২৮৭ | 287 | ۲۸۷
২৮৭। হত্যাকারী নিহতের কোন পাপ অবশিষ্ট রাখে না।
হাদীসটি কোন ভিত্তি নেই।
এটি কোন হাদীসগ্রন্থের মধ্যে পাওয়া যায় না। সহীহ, হাসান এমনকি কোন
দুর্বল সনদেও পাওয়া যায় না।
কিন্তু কিয়ামত দিবসে কতিপয় ব্যক্তির ব্যাপারে সহীহ হাদীসে (মুসলিমের
বর্ণনায় সহীহা নং ৮৪৭) এসেছে; যার মধ্যে কাতিল মাকতুলের কথাও আছে। তাতে বলা হয়েছে
মাকতুল (নিহত) ব্যক্তির গুনাহগুলো কাতিল (হত্যাকারী) ব্যক্তির উপর চাপিয়ে দেয়া হবে।
(সেটি হাদীসুল মুফলিস নামে প্রসিদ্ধ)।
হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
পাবলিশারঃ
তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ যঈফ ও জাল হাদিস / অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ
হাদিস
নম্বরঃ ২৮৮ | 288 | ۲۸۸
২৮৮। তিনি তার দাড়িকে পার্শ্ব (প্রস্থ) এবং দৈর্ঘের শেষ প্রান্ত হতে
কাট-ছাট করতেন।
হাদীসটি জাল।
এটি ইমাম তিরমিযী (৩/১১), উকায়লী “আয-যুয়াফা” গ্রন্থে (পৃঃ ২৮৮),
ইবনু আদী (২/২৪৩) এবং আবুশ শাইখ “আখলাকুন নাবী" গ্রন্থে (পৃঃ ৩০৬) উমার ইবনু হারূণ
আল-বালখী সূত্রে উসামা ইবনু যায়েদ হতে বর্ণনা করেছেন।
তিরমিযী বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। আমি মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈলকে বলতে শুনেছিঃ
উমার ইবনু হারূন মুকারিবুল হাদীস। এ হাদীসটি ছাড়া তার এমন কোন হাদীস সম্পর্কে জানি
না যেটির ভিত্তি নেই অথবা এ হাদীসটি ছাড়া তিনি এককভাবে বর্ণনা করেননি।
আমি (আলবানী) বলছিঃ তার জীবনীতে হাদীসটি উকায়লী বর্ণনা করে বলেছেনঃ
তার মাধ্যম ছাড়া অন্য কোন মাধ্যমে এটিকে জানা যায় না।
এ উমার সম্পর্কে যাহাবী “আল-মীযান” গ্রন্থে বলেন, ইবনু মাঈন বলেছেনঃ
তিনি মিথ্যুক, খবীস। সালেহ জাযারা বলেনঃ তিনি মিথ্যুক। অতঃপর এ হাদীসটি উল্লেখ করেছেন।
তবে ইবনু আদী বলেছেনঃ উমার ইবনু হারূণ ছাড়াও উসামা হতে হাদীসটি বর্ণিত
হয়েছে। কিন্তু চিন্তা করে দেখুন, ইবনু আদীর এ কথাটি কিন্তু বুখারী এবং উকায়লীর কথার
বিপক্ষে যাচ্ছে। কারণ তারা উভয়ে বলেছেন যে, উমার এককভাবে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
পাবলিশারঃ
তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ যঈফ ও জাল হাদিস / অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ
হাদিস
নম্বরঃ ২৮৯ | 289 | ۲۸۹
২৮৯। যে ব্যাক্তি প্রতি রাতে সূরা আল-ওয়াকে’য়াহ পাঠ করবে, তাঁকে কখনও
অভাব (ক্ষুধা) গ্রাস করবে না।
হাদীসটি দুর্বল।
এটি হারিস ইবনু আবী উসামা তার “মুসনাদ” গ্রন্থে (১৭৮), ইবনুস সুন্নী
"আমালুল ইয়াউম ওয়াল লাইলাহ" গ্রন্থে (নং ৬৭৪), ইবনু লাল তার “হাদীস"
গ্রন্থে (১/১১৬), ইবনু বিশরান “আল-আমালী” গ্রন্থে (২০/৩৮/১) এবং বাইহাকী "আশ-শু'য়াব"
গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। তারা সকলেই আবু শুযা সূত্রে আবু তায়বাহ হতে ... বর্ণনা করেছেন।
এটির সনদ দুর্বল। যাহাবী বলেনঃ আবু শুযাকে চেনা যায় না এবং আবু তায়বাহ মাজহুল।
এছাড়া হাদীসটির সনদে তিন দিক থেকে ইযতিরাব সংঘটিত হয়েছে। হাফিয ইবনু
হাজার “লিসানুল মীযান” গ্রন্থে এ আবূ শুযার জীবনী বর্ণনা করতে গিয়ে তার বিবরণ দিয়েছেন।
যায়লাঈ উল্লেখ করেছেন হাদীসটি কয়েকটি দিক থেকে দোষণীয়ঃ
১। এটির সনদে রয়েছে বিচ্ছিন্নতা, যেমনভাবে দারাকুতনীসহ অন্যরা তার
বিবরণ দিয়েছেন।
২। হাদীসটির মতনে (ভাষায়) রয়েছে দুর্বোধ্যতা, যেমনভাবে ইমাম আহমাদ
উল্লেখ করেছেন।
৩। হাদীসটির বর্ণনাকারীগণ দুর্বল, যেরূপ ইবনুল জাওযী বলেছেন।
৪। এছাড়া ইযতিরাব রয়েছে।
এটি দুর্বল হওয়ার ব্যাপারে ইমাম আহমাদ, আবু হাতিম, ইবনু আবী হাতিম,
দারাকুতনী, বাইহাকী এবং অন্যরাও একমত হয়েছেন। মানাবী “আত-তায়সীর” গ্রন্থে বলেনঃ হাদীসটি
মুনকার।
হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
পাবলিশারঃ
তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ যঈফ ও জাল হাদিস / অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ
হাদিস
নম্বরঃ ২৯০ | 290 | ۲۹۰
২৯০। যে ব্যাক্তি প্রতি রাতে সূরা আল-ওয়াকে’আহ পাঠ করবে; তাঁকে কখনও
অভাব (ক্ষুধা) গ্রাস করবে না। যে ব্যাক্তি প্রতি রাতে লা-উকসেমু বে-ইওয়াওমিল কিয়ামাহ
পাঠ করবে; সে কিয়ামত দিবসে আল্লাহর দিবসে আল্লাহর সাথে এমতাবস্থায় মিলিত হবে যে, তার
চেহারা পূর্ণিমার রাতের ন্যায় উজ্জ্বল থাকবে।
হাদীসটি জাল।
এটি দাইলামী আহমাদ ইবনু উমার ইয়ামানী সূত্রে নিজ সনদে বর্ণনা করেছেন।
হাদীসটি সুয়ূতী "যায়লুল আহাদীসিল মাওযুআহ” গ্রন্থে (১৭৭) উল্লেখ করে বলেছেনঃ
আহমাদ ইয়ামামী মিথ্যুক।
হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সমাপ্ত-পরের পর্ব দেখুন
১। প্রথম পর্ব দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
২। দ্বিতীয় পর্ব দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
৩। তৃতীয় পর্ব দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
১। প্রথম পর্ব দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
২। দ্বিতীয় পর্ব দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
৩। তৃতীয় পর্ব দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
No comments:
Post a Comment